ইনসাইড বাংলাদেশ

এবারও কি মিঠুকে সততার সার্টিফিকেট দেবে দুদক?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি এখন মানুষের মুখে মুখে। এতদিন মানুষ জানতো এখানে দুর্নীতি হয়, কিন্তু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত মানুষগুলোর চেহারা খুব একটা চেনা হতো না। ক্রমেই স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজদের চেহারা প্রকাশ্যে আসছে। মিডিয়া প্রায় প্রতিদিন তাদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে, দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরছে। করোনার সময় স্বাস্থ্যখাতের দুর্দশা নিয়ে মানুষ যখন দিকবিদিক, তখন একের পর এক দুর্নীতির খবর মানুষকে আরো বেশি হতাশ করছে। তাদের প্রশ্ন এমনি চলতে থাকবে নাকি এদের বিচার হবে? স্বাস্থ্যখাতটা ধ্বংসের পায়তারা করেছে একটা সিন্ডিকেট। সরকারের সব উন্নয়ন আর অর্জিত ভালোবাসা ধুলিসাৎ করে দিচ্ছে এই একটি খাত। আর স্বাস্থ্যখাতের এই দুর্নীতির মাফিয়া হিসেবে সবার প্রথমে নাম আসছে মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর।

প্রশ্ন হলো মিঠু দুর্নীতি কি আজকাল শুরু করেছেন? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিঠু প্রায় দশ বছর ধরে রাজত্ব করছেন স্বাস্থ্যখাতে। মিঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো বরাবরই। মিঠুকে দুর্নীতি দমন কমিশন সকল কাগজপত্র নিয়ে ডেকেছে আগামী ৯ জুলাই। সবাই অপেক্ষায় আছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের এই ডাকার ফল কি? যখন চারদিক থেকে মিঠুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির ধুয়োধ্বনি উঠছে তখন কি তাকে ফের ‘সাদা’ করার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে?

কারণ ২০১২ সালের ঘটনা মনে করিয়ে দেয় আজ। বাংলা ইনসাইডারের হাতে এসেছে তখনকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। যেখানে দেখা যায়,  ২০১২ সালের ১২ নভেম্বর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিঠুকে নোটিশ পাঠানো হয়। ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থআত্নসাত’ এর অভিযোগে তখন মিঠুকে কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় ২০০৮-২০০৯ অর্থবছর হতে অদ্যাবধি স্বাস্থ্য সেক্টরে বিভিন্ন উন্নয়ন, সেবা খাতে যে সমস্ত কাজ বাস্তবায়ন করেছেন/চলমান আছে এবং ঔষধ, মালামাল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছেন সেগুলের প্রশাসনিক অনুমোদন, বরাদ্দপত্র, প্রাক্কলন, টেন্ডার, কোটেশন, দাখিলকৃত টন্ডার,টেন্ডার সিডিউল, ওপেনিং মেমম, তুলনামূলক বিবরণী, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির কার্যবিবরণী, কার্যাদেশ/ সরবরাহ আদেশ, চুক্তি, কার্যসমাপ্তি প্রতিবেদন, মালামাল/ যন্ত্রপাত/ ঔষধ গ্রহন সংক্রান্ত, নোটশীট, বল ভাউচার, কাজ বুয়ে! নেয়ার রেকর্ডসহ প্রাসঙ্গিক সকল তথ্য/রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ছায়ালিপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মিঠু কোন কাগজপত্র জমা দেয়নি। মিঠুর তদন্তেরও কি অগ্রগতি হলো সেটাও জানা যায়নি।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মিঠুকে ফের একই অভিযোগে কাগজপত্র দাখিল করার নির্দেশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। সে যাত্রাতেও মিঠু আদৌ কোন কাগজপত্র জমা দেয়নি। দুদক তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও গ্রহণ করেনি। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট মিঠুকে আরেকবার রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মিঠুর কাজ মিঠূ করেছেন। মিঠু তোয়াক্কা না করে দুদকের এই নোটিশ এড়িয়ে গিয়েছেন।

মিঠু তার ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থআত্নসাত’ ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এটা যে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য তা নয়, দুদকই মিঠুকে ফের মনে করে। ২০১৬ দুদক বনানী থানায় দুদক মিঠুর বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার এজহারে মিঠূর কাছে বারবার তথ্যাদি চাওয়া ও নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার পরও জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে বলা হয় ৫০,১৫,৫১,২৩৪ পরিমাণ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছে মিঠু। সেই প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়।

সেই তদন্তের রিপোর্ট বাংলা ইনসাইডারের কাছে। তদন্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায় যে, মিঠুর নামে ২০১১-২০১২ অর্থ বছর পর্যন্ত জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সুনামে/বেনামে প্রায় ৫০,১৫,৫১,২৩৪/- টাকা। বিপুল পরিমাণ সম্পদ/ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মায় বিধায় নিজ নামে, তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের নামে/বেনামে `অর্জিত প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ, অর্জনের পদ্ধতি/উৎস ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ উদঘাটনের জন্য তার যাবতীয় স্থাবর অস্থাবর সম্পদ দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী আদেশ প্রাপ্তির ৭(সাত) দিবসের মধ্যে তাকে দাখিল করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার স্মারক নং- দুদক/বিঃঅনুঃ ও তদন্ত-১/১৪৫-২০১২/৩২৫৭০ তাং- ২/১২/২০১৩ খ্রি: মূলে নির্দেশ দেয়া হয়। উক্ত আদেশটি করার জন্য জনাব মো. হাফিজুর রহমান, সাবেক উপসহকারী পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, ঢাকাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। উক্ত আদেশ (এক পাতা) ও সম্পদ বিবরণীর ফর্ম নম্বর ০০০১৫১৪ (`তিন পাতা) জনাব মো. আবু সায়েম খান, সিনিয়র অফিস এক্রিকিউটিভ, লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ, সাক্ষী (১) জনাব গোলাম কিবরিয়া, ম্যানেজার, লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ, (২) জনাব সিরাজুল ইসলাম, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ- এর কাছে দেওয়া হয়।

কিন্তু মিঠূ পরবর্তীতে জানান, তিনি এমন কোন ফর্ম পাননি। পরবর্তীতে মিঠূ তার ২০০৯-২০১০ হতে ২০১৩-২০১৪ পর্যন্ত প্রদত্ত যাবতীয় আয় এবং করের সনদ সংযুক্ত করেছেন। তাছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ করদাতা হিসাবে জাতীয়ভাবে পুরস্কার পাওয়া সংক্রান্ত বাংলাদেশ গেজেটের কপি সংযুক্ত করে দুদকে জমা দিয়েছেন। 

আর এর প্রেক্ষিতে দুদক মিঠূর বিরুদ্ধে তদন্ত করে। সেই তদন্তে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযাগ অনুসন্ধানকালে প্রমাণিত না হওয়ায় স্মারক নং-দুদক /বি:অনুঃ ও তদন্ত-১/১৪৫-২০১২/১৯৯০৭ তারিখ: ২৯/৬/১৭ খ্রি: মূলে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক অভিযাগের অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিসমাপ্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিঠুর ১৬ টির বেশি কোম্পানি স্বাস্থ্যখাতের কাজ করে। দুদক থেকে পাওয়া তথ্যমতে এর মধ্যে রয়েছে- (১) মেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ এন্ড টেকনোক্রেট (২) লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ (৩) সিআর মার্চেন্ডাইজ (8) এলআর এভিয়েশন (৫)জিইএফ এন্ড ট্রেডিং (৬) ট্রেড হাউজ ও (৭) মেহরবা ইন্টারন্যাশনাল, (৮) ক্রিয়েটিভ ট্রেড,(৯) ফিউচার ট্রেড, (১০)লেক্সিকেন, আইটি(প্রাঃ)লিঃ, (১১) টেকনো ট্রেড, (১২) Bellaire aviation (১৩) GES and trading (14) Have International, (15) Lesicon Hospitalite, (16) North Tech LLC) Ltd।

কিন্তু এর কোনটার বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। মিঠূ দুদক থেকে ছাড়পত্র পেয়ে আবার স্বমহিমায় দুর্নীতিতে মেতে উঠেন। তার দুর্নীতি এখন করোনাকালে আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। মিঠুকে আবার ডাকা হয়েছে দুদকে। যতদূর জানা যায় মিঠু দেশের বাইরে আছেন। মিঠু কি এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন কাগজপত্র জমা দিবে? সেটা অবশ্য সময়ই বলে দিবে।

কথা হলো মিঠু যদি ছাড়পত্র পেয়ে যায় তাহলেই সে পুতপবিত্র? মিঠুর দুর্নীতি অব্যাহত থাকে। মিঠু হয়তো কোনভাবে আবারও মুখোমুখি হবে দুদকের। কিন্তু তারপর কি? সেটা দেখার অপেক্ষায় জাতি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দুর্নীতির মামলার কি হলো? কিংবা তারেকের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলাও কি হলো সেটাও জানা যায়নি। তালিকাটি বেশ লম্বাই যে দুদক তদন্ত শুরু করে আর সেটার শেষ জানা যায় না।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

প্রেমিকার আত্মহত্যার শোকে পৃথিবী থেকে বিদায় প্রেমিক

প্রকাশ: ০৩:৫৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

নরসিংদীর শিবপুরে প্রেমিকার আত্মহত্যার শোক সইতে না পেরে প্রেমিক সিফাত (১৯) নিজেই আত্মহত্যা করেছেন। প্রেমিকার মৃত্যুর ১৯ দিন পর ফেসবুক‌ স্ট্যাটাস দিয়ে প্রেমিক সিফাত পৃথিবী থেকে বিদায় নেয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) রাত ১০টার দিকে উপজেলার মাছিমপুর ইউনিয়নের খড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সিফাত ওই গ্রামের ইব্রাহিমের ছেলে। তিনি শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন।

ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাসে সিফাত লিখেছেন, ‘তানহা আত্মহত্যা করে প্রমাণ করে গেল আমারে কতটা ভালোবাসে। আমিও প্রমাণ করে দিমু তানহারে আমি কতটা ভালোবাসি। কারও সঙ্গে ভুল করে থাকলে মাফ করে দিও। আর দেখা হবে না সবাই দোয়া কইরো শান্তিতে থাকি কিংবা অশান্তিতে দুজন যেন একসঙ্গে থাকতে পারি। আমার শেষ ইচ্ছা তানহার কবরের পাশে আমাকে কবর দেওয়া হোক।’

তিনি আরও লিখেছেন, ‘আমি পরিস্থিতির শিকার। আর আমার কোনো কিছুর জন্য তানহার পরিবার বা আমার পরিবার দায়ী না, এমনকি আমার কোনো ভাই-ব্রাদার বা বন্ধুও দায়ী না। যা হবে আমার নিজের ইচ্ছেতে হবে। সত্যি বলতে আমার আর বাঁচার ইচ্ছে নাই। আমাকে যদি কেউ বাঁচিয়েও নেয় আমি পুনরায় আত্মহত্যার চেষ্টা করব। প্লিজ আমাকে কেউ বাঁচানোর চেষ্টা কইরো না। বেঁচে থেকে আর কি হবে, যার জন্য বাঁচার কথা ছিল সে তো আর নেই।’

সিফাত লিখেছেন, ‘তানহা আমারে কথা দিছিলো যদি বাঁচি তো একসঙ্গে বাঁচমু আর যদি মরতে হয় তো একসঙ্গে মরমু। আমি তানহারে এই কথাটাই দিছিলাম। কিন্তু একটা চরিত্রহীন জানোয়ার আমাদের সুখে থাকতে দিল না। ওদের অত্যাচারে তানহা আত্মহত্যা করল। এক প্রকার তারা তানহারে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করল। জানোয়ারের পরিবারকেই আমি খুনি বলে দাবি করি। আমি যদি বেঁচে থাকি তাহলে জানোয়ারের পরিবার স্বাধীনভাবে চলবে, ওদের কোনো সাজা হবে না। আর অন্যদিকে আমার তানহা শেষ, আমি অর্ধেক শেষ আমার পরিবারও শেষ। আমি আর কষ্ট সহ্য করতে পারছি না (প্রমাণ হয়ে যাক দুজন দুজনকে কতটা ভালোবাসতাম) আর আমি চরিত্রহীন জানোয়ারের পরিবারের সঠিক বিচারের দাবি জানাচ্ছি। এমন সাজা দেওয়া হোক অন্য কোনো মেয়ের সঙ্গে যেন এমন না হয়। আর যেন কারও প্রাণ না ঝরে। কেউ যেন ব্ল‍্যাকমেইলের শিকার না হয়। আমার শেষ একটাই ইচ্ছে- আমরা দুজনে সারাজীবন একসঙ্গে থাকতে চেয়েছিলাম, বাস্তবে তা হলো না। তাই আমার মৃত্যুর পর তানহার কবরের পাশে যেন আমার কবর দেওয়া হয়। আমি আঙ্গুররে মারছি শুধু একটা কারণে, হেয় তানহার হাতে ধরছিল। তানহারে খারাপ প্রস্তাব দিছিল। আমি সহ্য করতে পারি নাই। তাই হেরে কোবাইছি। আমরা প্রেম করছি এটাই কি অপরাধ ছিল। আমাদের জীবন শেষ করে দিল। ভালো থাকুক আঙ্গুর আর আঙ্গুরের পরিবার।

এদিকে সিফাতের বাবা ইব্রাহিম জানান, প্রতিবেশী চাচাতো বোন খলিলের মেয়ে তানহার (১৫) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল আমার ছেলে সিফাতের। গত ৩ এপ্রিল দিবাগত রাত ২টার সময় তানহা ঘরের ভেতর থেকে আর সিফাত জানালার সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলার সময় দেখে ফেলে একই এলাকার রাজুর ছেলে আঙ্গুর (২৫)।

এ সময় আঙ্গুর তানহাকে কুপ্রস্তাব দেয়। সিফাত এতে নিষেধ করে। কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় আঙ্গুর সিফাতকে মারধর করে টাকা দাবি করে। পরে সে উত্তেজিত হয়ে আঙ্গুরকে কুপিয়ে আহত করে। মারামারির বিষয়ে মামলা চলমান রয়েছে। লোকলজ্জায় গত ৬ এপ্রিল রাতে তানহা নিজ ঘরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

এসব বিষয়ে গ্রামীণ সালিস দরবার হওয়ার কথা ছিল। সালিস দরবারে আমাকে ও আমার ছেলেকে এটা করবে ওটা করবে বলে বিভিন্নভাবে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতো। দরবারে গেলে জমির দলিল নিয়ে যেতে বলতো। এসব মানসিক চাপ সইতে না পেরে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ছেলে সিফাত। আমি এর বিচার দাবি করছি।

শিবপুর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফরিদ উদ্দিন বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ও তদন্তের পর আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।


আত্মহত্যা   প্রেমিক-প্রেমিকা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

মাদক পাচার বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিলেন তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৩:৩২ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

পশ্চিম ভারত মহাসাগর অঞ্চলে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার বিষয়ক প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত। বৃহস্পতিবার মরিশাসের বালাক্লাভায় ইন্টারকন্টিনেন্টাল রিসোর্ট-এ মরিশাস আয়োজিত এ সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।

সম্মেলনে বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রীসহ বিভিন্ন দেশের মন্ত্রী ও প্রতিনিধিদলের প্রধানরা মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলার কৌশল নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

আঞ্চলিক সহযোগিতা কাঠামো এবং একটি আঞ্চলিক ড্রাগ অবজারভেটরি স্থাপনের মাধ্যমে ড্রাগ রেসপন্স সমন্বয়ের জন্য নেতৃস্থানীয় জাতীয় সংস্থাগুলোর একটি নেটওয়ার্ক স্থাপনের ওপর সম্মেলনে গুরুত্বারোপ করা হয়।

সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যে চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন তা হলো- তরুণদের মাদক ব্যবহারের অধিক ঝুঁকি, আইনের প্রয়োগ এবং আন্তঃসীমান্তীয় নিরাপত্তা অস্থিতিশীল করার ঝুঁকি, অবৈধ আর্থিক প্রবাহ, আন্তর্জাতিক অপরাধ, পরিবার এবং সামাজিক শান্তি বিনষ্টকরণ, আইনহীন অঞ্চল সৃষ্টি, সমুদ্র নিরাপত্তার হুমকি, সিন্থেটিক ওষুধের ক্রমবর্ধমান হুমকি, আইনি কাঠামোর ত্রুটি এবং মাদক উৎপাদন ও ঔষধের বাজারের ক্রমবর্ধমান পরিমাণ।

উল্লিখিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্মেলনে অংশগ্রহণকারীরা যেসব প্রস্তাব করেন তা হলো- সমুদ্র নজরদারি বৃদ্ধি এবং আন্তঃসীমান্তীয় সহযোগিতার উন্নয়ন, মাদক পাচারের নেটওয়ার্ক ব্যাহত এবং ধ্বংস করার জন্য এ সংক্রান্ত সব দলের অংশীদারিত্ব, পৃথক আঞ্চলিক দায়িত্ব গ্রহণ, ভারত মহাসাগর কমিশন (আইওসি) দ্বারা প্রতিষ্ঠিত আঞ্চলিক সমুদ্র নিরাপত্তার বিষয়ে অংশীদারদের একত্রিত করা, বিশ্বব্যাপী প্রশিক্ষণ এবং ভারত মহাসাগরের দেশগুলোর মধ্যে পুলিশি এবং কাস্টমস সহযোগিতাসহ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি করা।

সম্মেলনে আরও যে সুপারিশগুলো উঠে আসে তা হলো- ড্রাগ সংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের কৌশল পুনর্বিবেচনা এবং নবায়ন, আইনি কাঠামো এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা পর্যালোচনা, আইওসি এবং জাতিসংঘের ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম দপ্তরের মতো আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় কাজ করা, যারা সফলভাবে মাদক পাচার এবং মাদকদ্রব্যের অপব্যবহার মোকাবিলা করেছে তাদের উদাহরণ অনুসরণ করে মাদকের অপব্যবহার এবং সামগ্রিকভাবে সংঘবদ্ধ অপরাধ হ্রাস করতে টেকসই উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি।

সম্মেলনের বিরতিতে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রী প্রবিন্দ জগন্নাথের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে আলাপ করেন বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।

২৪টি দেশ ও ২৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থা এ সম্মেলনে অংশ নেয়। সম্মেলনের শেষ সময় মাদক পাচার ও মাদকদ্রব্যের অপব্যবহারের ওপর প্রথম মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনের ঘোষণা গৃহীত হয়।


তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী   মোহাম্মদ আলী আরাফাত  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

তাপপ্রবাহ: রেলের মাঠ পর্যায়ে কর্মরতদের জন্য ৫ নির্দেশনা

প্রকাশ: ০১:১৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে নিজেকে সুরক্ষার জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য ৫টি নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের দু’টি প্রশাসনিক অঞ্চল থেকে সম্প্রতি প্রকাশ করা আলাদা আলাদা বিজ্ঞপ্তিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ মেডিকেল অফিসার (পূর্বাঞ্চল) ডা. ইবনে সফি আব্দুল আহাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষায় নিচের উপায়গুলো অনুসরণের অনুরোধ করা হলো—

১. পানিশূন্যতা থেকে রক্ষার জন্য প্রচুর পানি পান করুন। অতিরিক্ত ঘাম হলে নিষেধ না থাকলে পর্যাপ্ত খাবার স্যালাইন পান করুন। তৃষ্ণাবোধ না করলেও নির্দিষ্ট সময় অন্তর পানি পান করতে হবে।

২. ঠান্ডা পানি ও বরফ পানি পান থেকে বিরত থাকুন।

৩. সুতির ঢিলেঢালা পোশাক ব্যবহার করুন। বাইরে বের হওয়ার সময় ছাতা, টুপি ব্যবহার করুন।

৪. খাবারের মেন্যুতে আমিষ ও চর্বি জাতীয় খাবার কমিয়ে শাকসবজি বাড়াতে হবে।

৫. শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি, ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টের রোগী এবং হৃদরোগের ওষুধ সেবন করেন এমন ব্যক্তির এই আবহাওয়ায় বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি। 

বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক অসীম কুমার তালুকদার স্বাক্ষরিত আরেকটি বিজ্ঞপ্তিতেও এই পাঁচ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তবে এর সঙ্গে সূর্যের আলো থেকে চোখ সুরক্ষার জন্য সানগ্লাস ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।


তাপপ্রবাহ   রেল মন্ত্রণালয়   মাঠ কর্মরতা   নির্দেশনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চলতি বছরই থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি হবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ১২:২৬ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য থাইল্যান্ডকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। চলতি বছরই দেশটির সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) সই হবে।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের কাছে থাইল্যান্ড একটি সম্ভাবনাময় অংশীদার। দেশটির সঙ্গে বাংলাদেশের সরাসরি সমুদ্র বন্দর কেন্দ্রিক যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে।

সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান শেখ হাসিনা। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাকে স্বাগত জানানো হয়।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে, গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।


থাইল্যান্ড   বাংলাদেশ   বাণিজ্য চুক্তি   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার দ্বিপক্ষীয় বৈঠক

প্রকাশ: ১২:০৭ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে অংশ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকালে থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় গভর্নমেন্ট হাউসে যান তিনি। এ সময় থাই প্রধানমন্ত্রী জাঁকজমকপূর্ণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে থাই কুহ ফাহ বিল্ডিংয়ের সামনের লনে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানানো হয়। এ সময় থাইল্যান্ডের সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল কর্তৃক প্রদত্ত গার্ড অব অনার পরিদর্শন করেন প্রধানমন্ত্রী।

পরে স্রেথা থাভিসিন তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের শেখ হাসিনার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। শেখ হাসিনা পরে সরকারি ভবনের অতিথি বইয়ে স্বাক্ষর করেন।

এ বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা জোরদার করতে দুই প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বেশ কয়েকটি দ্বিপাক্ষিক নথিতে স্বাক্ষর হওয়ার কথা রয়েছে।

বৈঠক শেষে সরকারি বাসভবন ত্যাগের আগে শেখ হাসিনা সেখানে আনুষ্ঠানিক মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

এর আগে গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) ৬ দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে থাইল্যান্ডে পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে পৌঁছলে বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রীকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সঙ্গে সংযুক্ত মন্ত্রী পুয়াংপেট চুনলাইদ অভ্যর্থনা জানান।


থাইল্যান্ড প্রধানমন্ত্রী   দ্বিপক্ষীয় বৈঠক   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন