ইনসাইড বাংলাদেশ

এবারও কি মিঠুকে সততার সার্টিফিকেট দেবে দুদক?

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৮:৫৯ পিএম, ০৬ জুলাই, ২০২০


Thumbnail

স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতি এখন মানুষের মুখে মুখে। এতদিন মানুষ জানতো এখানে দুর্নীতি হয়, কিন্তু দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত মানুষগুলোর চেহারা খুব একটা চেনা হতো না। ক্রমেই স্বাস্থ্যখাতের দুর্নীতিবাজদের চেহারা প্রকাশ্যে আসছে। মিডিয়া প্রায় প্রতিদিন তাদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করছে, দুর্নীতির ফিরিস্তি তুলে ধরছে। করোনার সময় স্বাস্থ্যখাতের দুর্দশা নিয়ে মানুষ যখন দিকবিদিক, তখন একের পর এক দুর্নীতির খবর মানুষকে আরো বেশি হতাশ করছে। তাদের প্রশ্ন এমনি চলতে থাকবে নাকি এদের বিচার হবে? স্বাস্থ্যখাতটা ধ্বংসের পায়তারা করেছে একটা সিন্ডিকেট। সরকারের সব উন্নয়ন আর অর্জিত ভালোবাসা ধুলিসাৎ করে দিচ্ছে এই একটি খাত। আর স্বাস্থ্যখাতের এই দুর্নীতির মাফিয়া হিসেবে সবার প্রথমে নাম আসছে মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর।

প্রশ্ন হলো মিঠু দুর্নীতি কি আজকাল শুরু করেছেন? সংশ্লিষ্টরা বলছেন, মিঠু প্রায় দশ বছর ধরে রাজত্ব করছেন স্বাস্থ্যখাতে। মিঠুর বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো বরাবরই। মিঠুকে দুর্নীতি দমন কমিশন সকল কাগজপত্র নিয়ে ডেকেছে আগামী ৯ জুলাই। সবাই অপেক্ষায় আছে, দুর্নীতি দমন কমিশনের এই ডাকার ফল কি? যখন চারদিক থেকে মিঠুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির ধুয়োধ্বনি উঠছে তখন কি তাকে ফের ‘সাদা’ করার সার্টিফিকেট দেওয়া হবে?

কারণ ২০১২ সালের ঘটনা মনে করিয়ে দেয় আজ। বাংলা ইনসাইডারের হাতে এসেছে তখনকার কিছু গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট। যেখানে দেখা যায়,  ২০১২ সালের ১২ নভেম্বর অভিযোগের প্রেক্ষিতে মিঠুকে নোটিশ পাঠানো হয়। ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থআত্নসাত’ এর অভিযোগে তখন মিঠুকে কাগজপত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় ২০০৮-২০০৯ অর্থবছর হতে অদ্যাবধি স্বাস্থ্য সেক্টরে বিভিন্ন উন্নয়ন, সেবা খাতে যে সমস্ত কাজ বাস্তবায়ন করেছেন/চলমান আছে এবং ঔষধ, মালামাল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করেছেন সেগুলের প্রশাসনিক অনুমোদন, বরাদ্দপত্র, প্রাক্কলন, টেন্ডার, কোটেশন, দাখিলকৃত টন্ডার,টেন্ডার সিডিউল, ওপেনিং মেমম, তুলনামূলক বিবরণী, দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির কার্যবিবরণী, কার্যাদেশ/ সরবরাহ আদেশ, চুক্তি, কার্যসমাপ্তি প্রতিবেদন, মালামাল/ যন্ত্রপাত/ ঔষধ গ্রহন সংক্রান্ত, নোটশীট, বল ভাউচার, কাজ বুয়ে! নেয়ার রেকর্ডসহ প্রাসঙ্গিক সকল তথ্য/রেকর্ডপত্রের সত্যায়িত ছায়ালিপি জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মিঠু কোন কাগজপত্র জমা দেয়নি। মিঠুর তদন্তেরও কি অগ্রগতি হলো সেটাও জানা যায়নি।

পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল মিঠুকে ফের একই অভিযোগে কাগজপত্র দাখিল করার নির্দেশ দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। সে যাত্রাতেও মিঠু আদৌ কোন কাগজপত্র জমা দেয়নি। দুদক তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাও গ্রহণ করেনি। ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট মিঠুকে আরেকবার রেকর্ডপত্র চেয়ে চিঠি পাঠানো হয়েছে। কিন্তু মিঠুর কাজ মিঠূ করেছেন। মিঠু তোয়াক্কা না করে দুদকের এই নোটিশ এড়িয়ে গিয়েছেন।

মিঠু তার ‘অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থআত্নসাত’ ঠিকই চালিয়ে যাচ্ছিলেন। এটা যে শুধু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্য তা নয়, দুদকই মিঠুকে ফের মনে করে। ২০১৬ দুদক বনানী থানায় দুদক মিঠুর বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলার এজহারে মিঠূর কাছে বারবার তথ্যাদি চাওয়া ও নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার পরও জমা না দেওয়ার অভিযোগ আনা হয়। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত শুরু হয়। তদন্তে বলা হয় ৫০,১৫,৫১,২৩৪ পরিমাণ টাকা অবৈধভাবে উপার্জন করেছে মিঠু। সেই প্রেক্ষিতে তদন্ত করা হয়।

সেই তদন্তের রিপোর্ট বাংলা ইনসাইডারের কাছে। তদন্ত থেকে প্রাপ্ত তথ্য মতে জানা যায় যে, মিঠুর নামে ২০১১-২০১২ অর্থ বছর পর্যন্ত জ্ঞাত আয়ের বহির্ভূত সুনামে/বেনামে প্রায় ৫০,১৫,৫১,২৩৪/- টাকা। বিপুল পরিমাণ সম্পদ/ সম্পত্তির মালিক হয়েছেন মর্মে দুর্নীতি দমন কমিশনের স্থির বিশ্বাস জন্মায় বিধায় নিজ নামে, তার উপর নির্ভরশীল ব্যক্তিবর্গের নামে/বেনামে `অর্জিত প্রকৃত সম্পদের পরিমাণ, অর্জনের পদ্ধতি/উৎস ও জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ উদঘাটনের জন্য তার যাবতীয় স্থাবর অস্থাবর সম্পদ দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও উহা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী আদেশ প্রাপ্তির ৭(সাত) দিবসের মধ্যে তাকে দাখিল করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন, প্রধান কার্যালয়, ঢাকার স্মারক নং- দুদক/বিঃঅনুঃ ও তদন্ত-১/১৪৫-২০১২/৩২৫৭০ তাং- ২/১২/২০১৩ খ্রি: মূলে নির্দেশ দেয়া হয়। উক্ত আদেশটি করার জন্য জনাব মো. হাফিজুর রহমান, সাবেক উপসহকারী পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন, ঢাকাকে দায়িত্ব দেয়া হয়। উক্ত আদেশ (এক পাতা) ও সম্পদ বিবরণীর ফর্ম নম্বর ০০০১৫১৪ (`তিন পাতা) জনাব মো. আবু সায়েম খান, সিনিয়র অফিস এক্রিকিউটিভ, লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ, সাক্ষী (১) জনাব গোলাম কিবরিয়া, ম্যানেজার, লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ, (২) জনাব সিরাজুল ইসলাম, নেটওয়ার্ক ইঞ্জিনিয়ার লেক্ৰিকোন মার্চেন্ডাইজ- এর কাছে দেওয়া হয়।

কিন্তু মিঠূ পরবর্তীতে জানান, তিনি এমন কোন ফর্ম পাননি। পরবর্তীতে মিঠূ তার ২০০৯-২০১০ হতে ২০১৩-২০১৪ পর্যন্ত প্রদত্ত যাবতীয় আয় এবং করের সনদ সংযুক্ত করেছেন। তাছাড়া ব্যক্তি পর্যায়ে সর্বোচ্চ করদাতা হিসাবে জাতীয়ভাবে পুরস্কার পাওয়া সংক্রান্ত বাংলাদেশ গেজেটের কপি সংযুক্ত করে দুদকে জমা দিয়েছেন। 

আর এর প্রেক্ষিতে দুদক মিঠূর বিরুদ্ধে তদন্ত করে। সেই তদন্তে তার বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযাগ অনুসন্ধানকালে প্রমাণিত না হওয়ায় স্মারক নং-দুদক /বি:অনুঃ ও তদন্ত-১/১৪৫-২০১২/১৯৯০৭ তারিখ: ২৯/৬/১৭ খ্রি: মূলে দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক অভিযাগের অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিসমাপ্ত করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মিঠুর ১৬ টির বেশি কোম্পানি স্বাস্থ্যখাতের কাজ করে। দুদক থেকে পাওয়া তথ্যমতে এর মধ্যে রয়েছে- (১) মেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ এন্ড টেকনোক্রেট (২) লেক্সিকোন মার্চেন্ডাইজ (৩) সিআর মার্চেন্ডাইজ (8) এলআর এভিয়েশন (৫)জিইএফ এন্ড ট্রেডিং (৬) ট্রেড হাউজ ও (৭) মেহরবা ইন্টারন্যাশনাল, (৮) ক্রিয়েটিভ ট্রেড,(৯) ফিউচার ট্রেড, (১০)লেক্সিকেন, আইটি(প্রাঃ)লিঃ, (১১) টেকনো ট্রেড, (১২) Bellaire aviation (১৩) GES and trading (14) Have International, (15) Lesicon Hospitalite, (16) North Tech LLC) Ltd।

কিন্তু এর কোনটার বিরুদ্ধেই অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। মিঠূ দুদক থেকে ছাড়পত্র পেয়ে আবার স্বমহিমায় দুর্নীতিতে মেতে উঠেন। তার দুর্নীতি এখন করোনাকালে আরো স্পষ্ট হয়ে উঠে। মিঠুকে আবার ডাকা হয়েছে দুদকে। যতদূর জানা যায় মিঠু দেশের বাইরে আছেন। মিঠু কি এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন কাগজপত্র জমা দিবে? সেটা অবশ্য সময়ই বলে দিবে।

কথা হলো মিঠু যদি ছাড়পত্র পেয়ে যায় তাহলেই সে পুতপবিত্র? মিঠুর দুর্নীতি অব্যাহত থাকে। মিঠু হয়তো কোনভাবে আবারও মুখোমুখি হবে দুদকের। কিন্তু তারপর কি? সেটা দেখার অপেক্ষায় জাতি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য মির্জা আব্বাস ও খন্দকার মোশাররফ হোসেনের দুর্নীতির মামলার কি হলো? কিংবা তারেকের বিরুদ্ধে করা দুর্নীতির মামলাও কি হলো সেটাও জানা যায়নি। তালিকাটি বেশ লম্বাই যে দুদক তদন্ত শুরু করে আর সেটার শেষ জানা যায় না।

 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সুন্দরবনে আগুন, ভয়াবহ রূপে ছড়িয়েছে ৩ কিলোমিটার জুড়ে

প্রকাশ: ১১:০৯ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

পূর্ব সুন্দরবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এরইমধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে।

শনিবার (৪ মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের আমুরবুনিয়া টহল ফাঁড়ি সংলগ্ন গহিন বনে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে বন বিভাগ ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে।

মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট সন্ধ্যায় পৌঁছালেও আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেনি।

খবর পেয়ে বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নুরুল কবির ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তারেক সুলতান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

তিনি জানান, বিকেলে বনরক্ষী ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন দেখতে পায়। এ সময় বন বিভাগের কর্মী ও স্থানীয় এলাকাবাসী আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। তবে পানি অনেক দূরে হওয়ায় রাত ৯টা পর্যন্ত ফায়ার ইউনিটগুলো আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারেনি। তবে লাইন স্থাপনের কাজ করছে তারা। সকালে ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভানোর কাজ শুরু করতে পারে বলে ঈঙ্গিত দেন এ বন কর্মকর্তা।

সুন্দরবন বিভাগের বিটিআরটির সদস্যরা আগুন নেভানোর কাজ করছে। বিটিআরটি সদস্যরা জানান, তারা পানির অভাবে আগুন নেভাতে পারছে না। তাই আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ফায়ার সার্ভিস দ্রুত কাজ শুরু করতে না পারলে তীব্র দাবদাহের কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে পারে।

বাগেরহাটের মোরেলগঞ্জ উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য মো. আবু তাহের জানান, আমুরবুনিয়া ফাঁড়ির কাছেই আগুন লেগেছে। বেশ বড় এলাকা। অন্তত দুই থেকে তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আগুন ছড়িয়েছে। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

বাগেরহাট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপসহকারী পরিচালক মো. সাইদুল আলম চৌধুরী জানান, আগুনের খবর পেয়ে প্রথমে মোরেলগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও পরে শরণখোলা ও মোংলা ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ মোট ৩টি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে। দুর্গম এলাকা হওয়ায় পৌঁছাতে অনেক সময় লেগেছে। এখন লাইন স্থাপনের কাজ চলছে। লাইন স্থাপন শেষে দ্রুত আগুন নেভানোর কাজ শুরু করা হবে।


সুন্দরবন   আগুন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

আমলাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি কেন?

প্রকাশ: ১১:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে আমলাতন্ত্রের এখন বাড়বাড়ন্ত। আমলারাই যেন রাষ্ট্র ক্ষমতায় রয়েছেন। তারাই যেন সব কিছু নিয়ন্ত্রণ করছেন। এরকম একটি ধারণা প্রতিষ্ঠিত। রাজনীতিবিদদেরকে ব্যাকসিটে দিয়ে আমলারাই যেন এখন রাষ্ট্র পরিচালনার ড্রাইভিং সিটে। আর এরকম পরিস্থিতিতে আমলারা এখন সবকিছুর উর্ধ্বে উঠে গেছেন। তাদের বিচার করা যাবে না। দুর্নীতি দমন কমিশন তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সরকারের অনুমতি নিতে হবে। আমলারা যৌন নির্যাতন, নারী কেলেঙ্কারি এবং ফৌজদারি অপরাধ করলেও শুধুমাত্র ইনক্রিমেন্ট বন্ধের মত লঘু শাস্তি পাচ্ছেন এবং সেই লঘু শাস্তিগুলো পরবর্তীতে ক্ষমা করা হচ্ছে।

আমলাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা আয়-ব্যয়ের হিসাবও এখন পর্যন্ত দাখিল করছেন না। অর্থাৎ সরকারি কোনও আইন, নীতি, নিয়ম কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না বাংলাদেশের আমলারা। এর মধ্যে আমলারা নতুন বায়না ধরেছেন। তারা তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করেছেন।

আরও পড়ুন: সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় চান আমলারা

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, বাংলাদেশের সচিব পর্যায়ে যে সমস্ত শীর্ষ আমলারা রয়েছেন তাদের বেশির ভাগেরই সন্তানরা উচ্চশিক্ষা নেন বিদেশে। তারা শিক্ষাজীবনে একটি পর্যায়ের পর তাদের সন্তানদের উচ্চশিক্ষা দেওয়ার জন্য বিদেশে পাঠান। দেখা যাচ্ছে- মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্যের মত দেশগুলোতে সচিব এবং অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের শতাধিক আমলার সন্তানরা পড়াশোনা করে এবং এদের মধ্যে খুব অল্প কয়েকজনই বৃত্তি পান। বাকিদের ব্যয়ভার বহন করেন আমলারাই। এই বিপুল ব্যয় বহনের অর্থ আমলারা কোথায় থেকে পান সেটি যেমন একটি প্রশ্ন, তেমনই আমলাদের সন্তানদের বিদেশে পাঠানোর প্রবণতা দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার উপর তাদের অনাস্থারই প্রতিফলন।

সাম্প্রতিক সময়ে তাদের এই মনোভাবটি আবার নতুন করে দেখা দিল- যখন তারা তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করলেন। প্রশ্ন উঠেছে, আমালাদের বেশিরভাগ সন্তানই যখন বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করেন তখন তাদের পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি কেন?

আরও পড়ুন: জনজীবনে অস্বস্তি বাড়ছে যেসব ইস্যুতে

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, যে সমস্ত আমালাদের সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করছেন, সেই সমস্ত দেশগুলোতে এখন মানি লন্ডারিং এবং আয়ের উৎস একটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে। একাধিক আমলার সন্তানরা বিদেশে পড়াশোনা করতে গিয়ে এখন বেশ চাপের মধ্যে রয়েছেন। কারণ, কোথায় থেকে তার টাকা আসছে এবং কোথায় থেকে এই শিক্ষা ব্যয় বহন করা হচ্ছে এটি এখন দেশে দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

তাছাড়া টিউশন ফি’র বাইরে আমলাদের সন্তানদের যে বিলাসবহুল জীবনযাপন সেই বিলাসবহুল জীবনযাপনের জন্য টাকা পাঠানো এখন আগের মত আর সহজ নেই। আর এ কারণেই আমলারা মনে করছেন যে, ভবিষ্যতে এই মানি লন্ডারিং এবং অর্থ পাচারের ইস্যুতে তাদের বড় ধরনের সর্বনাশ ঘটতে পারে। আর তাই তাদের সন্তানদের জন্য পৃথক বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি করছেন। কিন্তু আমাদের এই দাবি কতটুকু যৌক্তিক সেই প্রশ্ন উঠেছে। আমলারা কি তাহলে তাদের জন্য সুবিধার সবকিছু নিংড়ে নিতে চান? এই প্রশ্নটি এখন সবচেয়ে বড় হয়ে উঠেছে।


সচিবালয়   আমলা   বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

সিঙ্গাপুরের জন্য চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ: হাইকমিশনার

প্রকাশ: ১০:৩৫ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের হাইকমিশনার ডেরেক লো বলেছেন, ‌ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে সিঙ্গাপুরের জন্য বাংলাদেশের বিশেষ করে চট্টগ্রাম খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চট্টগ্রামের বে-টার্মিনালে সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ বিনিয়োগ করছে, বে-টার্মিনাল ট্রান্সফরমেশনের মাধ্যমে এ আন্তর্জাতিক বৃহৎ বন্দরে উপনীত হবে। এ সূত্রে দু’দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধি পাবে। 

শনিবার (০৪ মে) হাইকমিশনার চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি’র পরিচালকম-লীর সাথে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারস্থ চেম্বার কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, চেম্বার প্রেসিডেন্ট ওমর হাজ্জাজ, সহ-সভাপতি রাইসা মাহবুব, পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ, মো. রকিবুর রহমান (টুটুল), মাহফুজুল হক শাহ, বেনাজির চৌধুরী নিশান, নাজমুল করিম চৌধুরী শারুন, আখতার উদ্দিন মাহমুদ, মোহাম্মদ সাজ্জাদ উন নেওয়াজ, ওমর মুক্তাদির, এন্টারপ্রাইজ সিঙ্গাপুর-এর দক্ষিণ এশিয়ার ডেভেলপমেন্ট পার্টনার ক্লারেন্স চং, সিঙ্গাপুরের শিপিং কোম্পানি পিএসএ’র লিম উই চিয়াং, বাংলাদেশ প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল্লাহ জহির।

 


সিঙ্গাপুর   হাইকমিশনার   ডেরেক লো  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

শাহজালালে ৩ ঘণ্টা করে বন্ধ থাকবে ফ্লাইট ওঠানামা

প্রকাশ: ১০:১৩ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

রানওয়ের রক্ষণাবেক্ষণসহ বেশ কয়েকটি কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। আর তাই আগামী ৫ থেকে ৭ মে বিমানবন্দরের এ রানওয়েটি রাত ১২টা থেকে রাত ৩টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, এই ৩ দিন মধ্যরাতে ৩ ঘণ্টার জন্য ফ্লাইট ওঠানামা বন্ধ থাকবে। এই সময়টাতে রানওয়ের মার্কিং করা, বৈদ্যুতিক ও রক্ষণাবেক্ষণের কিছু কাজ করা হবে।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, এই ৩ ঘণ্টায় বিমানবন্দরে নিয়মিতভাবে সৌদি এরাবিয়ান এয়ারলাইন্স, মালয়েশিয়ান এয়ারওয়েজ, থাই এয়ারওয়েজ, কুয়েত এয়ারওয়েজ, কাতার এয়ারওয়েজ ও ক্যাথে প্যাসিফিকের ফ্লাইট থাকে। তাদের এই ৩ দিন ফ্লাইটের সময় এগিয়ে বা পিছিয়ে নিতে বলা হয়েছে।

এর আগে, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাইট ব্যবস্থাপনায় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং যাত্রীসেবা মানোন্নয়নে রানওয়ের সেন্ট্রাল লাইনে আরও লাইট স্থাপনের জন্য ২ মাস ৫ ঘণ্টার জন্য শাহজালাল বিমানবন্দরের রানওয়ে বন্ধ করা হয়েছিল।


হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর   ফ্লাইট  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড বাংলাদেশ

চ্যালেঞ্জের মুখে তরুণ মন্ত্রীরা

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ০৪ মে, ২০২৪


Thumbnail

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তরুণদেরকে রাজনীতিতে পাদপ্রদীপে আনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। বহু তরুণকে তিনি প্রত্যাশার বাইরে জায়গা দিয়েছেন। নেতৃত্বে, মন্ত্রিসভায় এবং জাতীয় সংসদে নিয়ে এসেছেন। এবারের যে মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে সেই মন্ত্রিসভা অভিজ্ঞতা এবং তারুণ্যের মিশেলে একটি মন্ত্রিসভা বলেই রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন।

আরও পড়ুন: উপজেলায় বেপরোয়া মন্ত্রী-এমপিরা

এই মন্ত্রিসভায় শেখ হাসিনা বেশকিছু তরুণকে গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়ে সাহসী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। কিন্তু তরুণরা দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই এখন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ছেন। আর এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে তারা শান্ত-ধীরস্থিরভাবে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে সরকারের সাফল্যের অনেক কিছুই।

যে সমস্ত মন্ত্রীরা চ্যালেঞ্জের মুখে রয়েছেন, তাদের মধ্যে রয়েছেন-

১. শিক্ষামন্ত্রী: শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। গত মন্ত্রিসভায় তিনি ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী। এবার তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই তিনি রীতিমতো চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন।

বিশেষ করে এই তীব্র দাবদাহের মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা-বন্ধ নিয়ে যে টানাপোড়েন তৈরি হয়েছে, সেই টানাপোড়েনে সাধারণ অভিভাবকদের কাছে শিক্ষামন্ত্রী সমালোচিত হচ্ছেন। বিশেষ করে হাইকোর্ট যখন প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে তখন তার বিরুদ্ধে আপিল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে তিনি সমালোচিত হয়েছিলেন। যদিও সেই সিদ্ধান্ত থেকে তিনি পরে সরে এসেছেন। তবে তরুণ শিক্ষামন্ত্রীকে সামনের দিনগুলোতে আরও অনেক কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে বলেই মনে করছেন সাধারণ মানুষ।

আরও পড়ুন: নির্দেশ অমান্যকারী মন্ত্রী-এমপিদের সাধারণ ক্ষমা?

২. জনপ্রশাসনমন্ত্রী: গতবার ফরহাদ হোসেন ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী। এবার তিনি পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নানা রকম আমলাতান্ত্রিক ইস্যু এখন ক্রমশ জটিল হয়ে পড়ছে এবং সাধারণ মানুষের অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বিশেষ করে প্রশাসন ক্যাডারের কর্তৃত্ব-বাড়াবাড়ি অন্যান্য ক্যাডারগুলোর মধ্যে ক্ষোভ এবং অসন্তোষ সৃষ্টি করছে। সাম্প্রতিক সময়ে প্রশাসন ক্যাডারের একের পর এক পদোন্নতি এবং অন্যান্য ক্যাডারগুলোর অবহেলা সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের বৈষম্য সৃষ্টি করেছে।

তাছাড়া চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ নিয়ে প্রশাসনের মধ্যে একধরনের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। সেই নেতিবাচক মনোভাব কাটানোর জন্য জনপ্রশাসনমন্ত্রীকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হচ্ছে। প্রশাসনের ন্যায়নীতি এবং যোগ্য ব্যক্তিদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিষয়টিও এখন একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে। চাটুকার এবং মতলববাজদেরকে পদোন্নতি দেওয়ার বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে একধরনের অবস্থান তৈরি হয়েছে।

আমলাদের বাড়বাড়ন্ত এখন সাধারণ মানুষের জন্য একটি বিরক্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আমলাদের নানা রকম দাবিদাওয়ার ফিরিস্তি সাধারণ মানুষকে হতাশ করেছে। এই অবস্থায় আমলাতন্ত্রকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা এবং তাদের খবরদারি-বাড়াবাড়ির লাগাম টেনে ধরা যেন জনপ্রশাসনমন্ত্রী জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

৩. বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছিলেন এবারের মন্ত্রিসভায় অন্যতম বড় চমক। এই তরুণ কীভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে সেটা দেখার অপেক্ষায় ছিল সাধারণ মানুষ। কিন্তু বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী এখন পর্যন্ত বাজারের উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে পারেননি, শৃঙ্খলাও রক্ষা করতে পারেননি। তার এই দায়িত্বটি অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং।

আরও পড়ুন: বাংলাদেশের পাঁচ ইস্যুতে নজর রাখছে যুক্তরাষ্ট্র

এই সমস্ত তরুণ মন্ত্রীরা তাদের উদ্ভাবনী নানা রকম দক্ষতা দিয়ে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেন সেটার উপর নির্ভর করছে বাংলাদেশের রাজনীতিতে তারুণ্যের যোগ্যতা নির্ধারণ এবং ভবিষ্যত।


শিক্ষামন্ত্রী   জনপ্রশাসনমন্ত্রী   বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন