নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:০১ পিএম, ০৯ জানুয়ারী, ২০২১
আওয়ামী লীগের প্রতিপক্ষ এখন আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের কিছু নেতা আওয়ামী লীগের আরেক নেতার সমালোচনা করছেন। তাদের বক্তব্যে কেবল ঐ নেতা নয়, পুরো দলই বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে পরছে। ব্যক্তিগত এবং পারিবারিক ভাবে পরিচিত আওয়ামী লীগের দুই নেতার কথা বার্তায় এখন অস্থির আওয়ামী লীগ। এদের একজন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা, অন্যজন স্থানীয় নেতা।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাঈদ খোকন। ক’দিন আগেও ঢাকা দক্ষিন সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলেন। তার মেয়াদ শেষ হলে দলের মনোনয়ন পাননি। দলীয় মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচিত হয়ে, শেখ ফজলে নূর তাপস এখন দক্ষিণের মেয়রের দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তাপস দুর্নীতি এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। সেই অবস্থানের অংশ হিসেবেই ফুলবাড়িয়ায় অবৈধ দোকান উচ্ছেদ হচ্ছে। এতে বিপাকে পরেছেন সাঈদ খোকন। কারণ ঐ সব দোকানের বিতর্কিত বরাদ্দ তার সময়ে দেয়া হয়েছিল। এনিয়ে তিনি সরাসরি ব্যক্তিগত ভাবে তাপসের সংগে কথা বলতে পারতেন। কিন্তু সেটি না করে, শুরু থেকেই তাপসকে আক্রমন করে বসেন। আজও (শনিবার, ৯ জানুয়ারি) তিনি মেয়র তাপসের সিদ্ধান্তের কঠোর সমালোচনা করে বক্তব্য রেখেছেন ব্যবসায়ীদের সমাবেশে।আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা এই প্রকাশ্য অবস্থানে বিব্রত। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য বলেছেন ‘বিষয়টি দলীয় ফোরামে আলোচনা করাই ভালো হতো।’
আওয়ামী লীগের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা আবদুল কাদের মির্জা। তারচেয়েও বড় কথা তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। আর একারনেই তার বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় হচ্ছে। আওয়ামী লীগের অধিকাংশ সিনিয়র নেতৃবৃন্দ কাদের মির্জার বক্তব্যে ‘বিরক্ত’। তারা মনে করছেন ওবায়দুল কাদেরের ভাই হবার কারণেই তিনি এধরণের লাগামহীন বক্তব্য রাখার সুযোগ পাচ্ছেন। নাম প্রকাশ না করার সর্তে আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেছেন ‘এখনই যদি তাকে তিরস্কার এবং ভৎসনা না করা হয়, তাকে যদি কঠোর ভাবে সতর্ক না করা হয়, তাহলে ভবিষ্যতে তৃণমুলের মধ্যে এধরনের লাগামহীন বক্তব্যের প্রকোপ বাড়বে।’
তবে আওয়ামী লীগের কোন কোন নেতা মনে করছেন, সামনে কাদের মির্জার পৌরসভা নির্বাচন। এটা নির্বাচনী কৌশল। তবে, এই দুই নেতার বক্তব্য আওয়ামী লীগের জন্য বিব্রতকর, এটা মানছে প্রায় সব নেতাই।
মন্তব্য করুন
এভিয়েশন শিল্প যুক্তরাজ্য বিমান মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ভারত পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা লোকসভা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
সরকারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
এবার জাতীয় সংসদে তোপের মুখে পড়লেন সৈয়দ সায়েদুল হক ওরফে ব্যারিস্টার সুমন। কারও নাম উল্লেখ্য না করে জাতীয় পার্টির মহাসচিব ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মুজিবুল হক চুন্নু অভিযোগ করেছেন একজন সদস্য সস্তা জনপ্রিয়তা অর্জন করতে গিয়ে ৩৪৯ জন এমপির জন্য মর্যাদাহানিকর ঘটনা ঘটিয়েছেন। এ জন্য তিনি স্পিকারের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।
ভারতে এখন লোকসভা নির্বাচন চলছে। এই লোকসভা নির্বাচনের মাধ্যমে আগামী ৪ জুন জানা যাবে নতুন সরকার কারা গঠন করছে। নির্বাচন নিয়ে চলছে অনিশ্চয়তা। বিজেপির কপালে ভাঁজ। কিন্তু এর মধ্যেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রা আগামীকাল বুধবার সন্ধ্যায় ঢাকা সফরে আসছেন। দুই দেশের সম্পর্ককে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভারত সফরের জন্য আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানাতেই বিনয় মোহন কোয়াত্রার এই বাংলাদেশ সফর বলে কূটনৈতিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
দেশে সরকারি মালিকানাধীন ২৮টি শিল্পপ্রতিষ্ঠান লোকসানে চলছে বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন। তিনি জানান, লোকসানি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) অধীন চারটি, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশনের (বিএসএফআইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন ১৫টি এবং বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনের (বিসিআইসি) অধীন নয়টি কোম্পানি রয়েছে।
আগামীকাল থেকে শুরু হচ্ছে উপজেলা নির্বাচন। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর উপজেলা নির্বাচন নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ না থাকলেও স্থানীয় পর্যায়ে এই নির্বাচন নিয়ে একটি উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিএনপিকে ছাড়াও বাংলাদেশের গণতন্ত্র যে অব্যাহত থাকতে পারে এবং নির্বাচনে ভোটারদের আগ্রহ থাকতে পারে- সেটি প্রমাণের নির্বাচন উপজেলা নির্বাচন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হারানোর কিছু নেই। অর্জন করবার আছে অনেক কিছুই। আর এ কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপজেলা নির্বাচনের জন্য তিনটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেছেন।