নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:৫৭ পিএম, ১৩ এপ্রিল, ২০২১
আগামীকাল থেকে সারাদেশ লকডাউনে যাচ্ছে এবং এবার লকডাউনের ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে এবারের লকডাউন হবে অত্যন্ত কঠোর। ইতিমধ্যেই আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারের বিভিন্ন বিভাগ লকডাউনের প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে লকডাউন শুরুর আগেই জনজীবনে লকডাউন নিয়ে এক ধরনের নেতীবাচক ধারনা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে রোজা, ঈদ এবং অর্থনৈতিক টানাপোড়েনে থাকা মানুষ এই লকডাউনের বিরোধীতা করছে। ইতিমধ্যেই দোকান মালিক সমিতি লকডাউনের মধ্যেও দোকান খোলার দাবি জানিয়েছে। ছোট ছোট পেশার মানুষ অনিশ্চতায় ভুগছেন। তারা মনে করছেন লকডাউন সীমিত আকারে হলেও তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ দেয়া দরকার। ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসা এবং শিল্প উদ্যোগের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যেই লকডাউনের ব্যাপারে নেতীবাচক ধারনাটা বেশি। আর এই প্রেক্ষাপটেই লকডাউনের ব্যাপারে সরকার আগামী ২১ এপ্রিলের পর আবার লকডাউন বাড়াবে কি না এটি নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে রয়েছে সরকার।
সরকারের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, তারা আগামী কয়েকটা দিন দেখতে চান করোনা পরিস্থিতির কি হয়। ৭ দিনের পরে লকডাউন না বাড়িয়ে বিকল্প কি করা যায় সেটি নিয়েও চিন্তা করছে সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, সরকার লকডাউনের একাধিক বিকল্প নিয়ে ভাবছে। ২১ তারিখের পর দ্বিতীয় দফা লকডাউন না করে বরং সভা-সমাবেশ, গণ জমায়েতের মতো বিষয়গুলোকে বন্ধ রেখে আস্তে আস্তে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে সচল রাখার কৈশল প্রণয়ণ করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একদিকে যেমন করোনা সংক্রমণ ঠেকানোর প্রয়োজনীয়তা মনে করছেন অন্যদিকে অর্থনৈতিক সংকট যাতে সৃষ্টি না হয় সে ব্যাপারেও সারাক্ষণ নজর রাখছেন। আর এ কারণেই আগামী ২১ এপ্রিলের পর লকডাউন না দিয়ে বরং সবকিছু সীমিত আকারে চালু করে দেয়ার পক্ষে সরকারের একটি বড় অংশ। প্রধানমন্ত্রী এ ব্যাপারে বিভিন্ন মহলের সঙ্গে কথা বলছেন। এ কথা বলা প্রেক্ষিতে সরকার লকডাউনের বিকল্প হিসেবে বেশ কিছু বিষয় ভাবছেন।
১. গণ জমায়েত বন্ধ করা: গণ জমায়েত হতে পারে এ ধরনের অনুষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ রাখা। যেমন বিয়ের অনুষ্ঠান, ওয়াজ মাহফিল, রাজনৈতিক কর্মসূচি ইত্যাদি বন্ধ রাখা।
২. সীমিত আকারে সবকিছু সচল রাখা: সীমিত আকারে সবকিছু যাতে সচল থাকে সেটার ব্যবস্থা করা। অর্থাৎ রমজান মাসে এমনিতেই অফিসের সময়সূচি কম। তাই সময়সূচি কম রেখে এবং অর্ধেক জনবল দিয়ে অফিস চালানো যায় কি না সেটিও একটি সম্ভাব্যতা বিচার বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।
৩. স্থানীয় ভিত্তিক লকডাউন: যেসব এলাকাতে করােনা ঝুঁকি বেশি সেই এলাকাগুলোতে লকডাউন করা এবং জোনিং ম্যাপের মাধ্যমে অতি সংক্রমিত এলাকাগুলোকে চিহ্নিত করে সেগুলোকে বন্ধ করার মাধ্যমে সংক্রমণ ঠেকানো।
৪. চলাচল বন্ধ রাখা: দূরপাল্লার বাস, নৌযান বন্ধ রেখে করোনা মোকাবেলা করা।
৫. স্বাস্থ্যবিধির ওপরে বেশি গুরুত্ব দেয়া: সরকার করোনা মোকাবেলায় যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মানার ওপরে গুরুত্ব দেবে।
সরকার আগামী ৭ দিন পরিস্থিতি দেখতে চায় যে এর মধ্যে পরিস্থিতি কোন দিকে যায়। করোনা পরিস্থিতি যদি শেষ পর্যন্ত স্থিতিশীল থাকে তাহলে ২১ এপ্রিলের পর আর লকডাউন বাড়ানো হবে না। বরং সরকার একটি স্বাস্থ্যবিধি সম্মত পদ্ধিতিতে অর্থনৈতি কর্মকাণ্ড সচল করার দিকে মনোযোগ দেবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
যশোর ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলা
মন্তব্য করুন
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান ফরিদপুর
মন্তব্য করুন
ভারত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মার্কিন দূতাবাস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানিয়েছে যে, আগামী মে মাসে তার বাংলাদেশ সফর করার কথা। এরপরও আরও কয়েকটি মধ্যপ্রাচ্যের দেশের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিত্বের বাংলাদেশ সফরের কথা রয়েছে বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।
৭ জানুয়ারি নির্বাচনের পর বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য চেষ্টা চালাচ্ছে। কূটনৈতিক ক্ষেত্রে এটি বাংলাদেশের জন্য একটি বড় ধরনের বাঁক বলে মনে করা হচ্ছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, নানা বাস্তবতায় বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্য মুখী হচ্ছে। বিশেষ করে বর্তমানে পরিবর্তিত বিশ্বে এবং যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ওপর বাংলাদেশকে নির্ভরশীল থাকতে হচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের ওপর নির্ভরশীল থাকার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি কারণ রয়েছে। তার মধ্যে প্রথম কারণ হলো- বাকিতে তেল-জ্বালানি পাওয়া। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সংকটের ফলে জ্বালানি তেলের নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে কোথাও এক বছরের বাকিতে, কোথাও তারও বেশি সময় বাকিতে জ্বালানি তেল আহরণের চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। এক্ষেত্রে সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিবাচক সমঝোতা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
কাতারের সঙ্গেও এমন একটি সমঝোতা হওয়ার সম্ভাবনা আছে বলে জানা গেছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সঙ্গেও বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হবে৷
দ্বিতীয়ত, মধ্যপ্রাচ্য বাংলাদেশের অভিবাসীদের জন্য একটি বড় বাজার। বিশেষ করে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এই সব দেশগুলোতে বিপুল সংখ্যক বাঙালি বসবাস করে। যুদ্ধের ফলে এই সমস্ত দেশগুলোতে জনশক্তি রপ্তানি বাধাগ্রস্ত হতে পারে বলে অনেকে মনে করছে। অনেক শ্রমিক ছাঁটাই হতে পারে। আর এটি মাথায় রেখেই বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক ঝালিয়ে নিচ্ছে, যেন বাংলাদেশের শ্রমিকরা এই শ্রমিক ছাঁটাই এর আওতায় না পড়ে।
তৃতীয়ত, বাংলাদেশে যে অর্থনৈতিক সংকট সেই অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলায় অদূর ভবিষ্যতে নগদ সহায়তা দরকার হতে পারে, দ্রুত ঋণ দরকার হতে পারে। আর সেক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশের সংকট নিরসনের একটা বড় ভরসাস্থল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আর এই সমস্ত বাস্তবতায় বাংলাদেশ এখন মধ্যপ্রাচ্যমুখী। বাংলাদেশের ঋণের হার অনেক বেশি। বাংলাদেশে ঋণের পরিমাণ অনেক বেড়েছে। অর্থনীতি ক্রমশ ঋণ নির্ভর হয়ে পড়েছে। এখানে থেকে উত্তরণের জন্য মধ্যপ্রাচ্যের সম্পদশালী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন একটি দূরদর্শী কূটনৈতিক চিন্তা বলেই অনেকে মনে করছেন। কারণ আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশকে বিপুল পরিমাণ দেনা মেটাতে হবে। এই কারণেই বাংলাদেশ কখনও যেন সংকটে না পরে সেজন্য মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকা অত্যন্ত জরুরি।
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ককে যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের দৃষ্টি দিয়ে দেখে না বলে জানিয়েছেন মার্কিন দূতাবাসের রাজনৈতিক কর্মকর্তা ম্যাক্সওয়েল মার্টিন। তিনি বলেন, দুই দেশের সম্পর্ক অভিন্ন ইতিহাস, মূল্যবোধ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার ভিত্তিতে পরিচালিত। এই সম্পর্ক ভারত, চীন, রাশিয়া বা তৃতীয় কোনো দেশের মাধ্যমে পরিচালিত নয়।
বাংলাদেশ কি কূটনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে মধ্যপ্রাচ্যের দিকে ঝুঁকছে? সাম্প্রতিক সময়ে এই প্রশ্নটি কূটনৈতিকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। আগামী কয়েক মাসে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের বার্তা পাওয়া যায়। পৃথিবীর অন্যতম ধনী দেশ কাতারের আমির বাংলাদেশ সফর করে গেছেন। দুই দিনের সফরে কাতারের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক উন্নয়নের একটা বার্তা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া কাতার বাংলাদেশকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করারও আশ্বাস দিয়েছেন। সামনে সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশে আসছেন।