নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ এএম, ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
একহাতে বালতি আরেক হাতে ব্যাগ ভর্তি পণ্যসহ নিয়ে এক নারী বের হচ্ছেন। শুধু এই নারীর নয় তাঁর মতো অনেকেই বাসায় ফিরছেন ব্যাগ ভর্তি পণ্য নিয়ে। এটি কোনো শপিং মলের চিত্র নয়। এমনটি দেখা গেছে বাণিজ্য মেলার প্রধান ফটকে।
ভাঙ্গনে সুর বাজতে শুরু করেছে ২৩তম ঢাকা আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলার। আর মাত্র দু’দিন বাকি। শেষ সময়ে এসে দম ফেলার ফুসরত নেই দোকানিদের। তাঁদের লক্ষ্য একটাই মেলা শেষ হওয়ার আগেই স্টলের পণ্য ক্রেতাদের হাত তুলে দিতে হবে। এজন্য ক্রেতাদের আকর্ষণ করতে বিশেষ অফার দিচ্ছেন তাঁরা। এই সুযোগ হাত ছাড়া করছেন না ক্রেতাদর্শনার্থীরাও।
শেষ মুহূর্তে প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনতে ভিড় করছেন তাঁরা। স্টল-প্যাভিলিয়নে বেচা-বিক্রির ধুম চলছে। নিজের পছন্দের প্রয়োজনীয় পণ্যটি কিনছেন। শুধু নিজের জন্য পরিবারের ছোট্ট সোনামনিদের জন্য, কেউ আবার কিনছেন প্রিয় মানুষটির জন্য। যারাই মেলায় আসছেন তাদের হাতে পণ্যভর্তি ব্যাগ লক্ষ্য করা গেছে। কেউ ফিরছেন না খালি হাতে।
মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখা গেছে, সকাল থেকেই মেলায় আসতে শুরু করেছে ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। বিকেলে দর্শনার্থীদের স্রোতে মেলায় যেন তিল ধারণের ঠাঁই নেই। দর্শনার্থীদের ঢল মেলা প্রাঙ্গণ ছাপিয়ে আশপাশের রাস্তায় গিয়ে পৌঁছেছে।
মেলায় আগত দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা গেছে গৃহস্থালি পণ্য, স্টিল, অ্যালুমিনিয়াম ও প্লাস্টিকের তৈরি, নানা ধরনের ইলেক্ট্রনিক পণ্য, ঘর সাজানোর সামগ্রী এবং খাদ্যপণ্যের স্টলগুলোতে।
মিরপুর সাড়ে ১১ টায় থেকে মেলায় আগত চাকরিজীবী সুমাইয়া ইসলাম জানান, প্রতি বছরই মেলায় আসি। দৈনন্দিন ব্যবহারের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন জিনিস সবই মেলায় পাওয়া যায়। শেষ সময়ে ছাড়ও দেয়। ওভেন, প্রেসার কুকারসহ কিছু গৃহস্থালি পণ্য কিনলাম।
পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মেলায় এসেছেন মামুন সাহেব বলেন, এর আগে দুদিন মেলায় বন্ধুদের সঙ্গে এসেছিলাম। দর-দাম করেছি। আজ পরিবার নিয়ে এসেছি। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনলাম। প্রথমদিকে মেলায় যে দাম ছিল এখন তার চেয়ে অনেক ছাড়ে পাওয়া যাচ্ছে।
ব্লেজার কিনতে মেলায় এসেছেন রমজান আলী বলেন, এর আগে ২০ জানুয়ারি ওকোড ব্র্যান্ডের একটি ব্লেজার পছন্দ হয়েছিল, দাম চেয়েছিল চার হাজার ৮০০ টাকা। এখন বিক্রি করছে দুই হাজার ৮০ টাকায়। এতো ছাড়, না কিনলে পরে সাইজ পাবো না। তাই কিনে নিলাম।
ক্রেতা তামান্না জাহিদ বলেন, বিকেলের নাস্তায় বিস্কুট লাগে। নাবিস্কো অফার দিয়েছে। এখন থেকে বিস্কুট সংগ্রহ করলাম।
এদিকে মেলার সময় বাড়ানোর ফলে বেচা-বিক্রি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অধিকাংশ স্টলমালিকরাই। হাসির ঝলক দেখা গেছে তাঁদের মুখে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও
এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে
২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে
ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।
কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি
ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক
থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল
টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে।
তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক
থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা
অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক
এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক
৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ
ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার
মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে
সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।
এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬
হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয়
মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে
গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে
নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।
এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে।
ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের
সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।
এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।
তারল্য সংকট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।