নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:৫৭ পিএম, ২০ অগাস্ট, ২০১৮
‘ও মিডিয়ার ভাই, একটু এইদিকে আসেন। আমাদের খবরও নেন। আমাদের কষ্টের কথাও দেশের মানুষকে বলেন। আমরা কি ছেলে মেয়ে নিয়ে না খেয়ে মরবো? গরুতো বিক্রি করতে পারছি না। কাস্টমার নাই, যারা আছে, তারা যে দাম কয়, সেই দামে গরুর বেচার চেয়ে, না বেচাই ভালো। ভাই ঢাকার মানুষ কি এইবার গরু কোরবানি দিব না? সময়তো আর বেশি নাই ভাই।’
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানার আঠার খাদা এলাকার তের বছর থেকে গরুর খামার ও ব্যবসার সঙ্গে জড়িত জিয়াউর রহমান আজ দুপুরে গাবতলির হাটে এভাবেই তার দুঃখের কথা বলেন।
জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়ে তার দুঃখ-কষ্টের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যত ভালো গরুই আনি না কেন, গরুর দাম পাচ্ছি না। আমরা ঢাকার খামারিদের কাছে জিম্মি হয়ে পরছি। ঢাকা ও আশেপাশের খামার থেকেই গরু বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এখন। খামারে থাকা গরুতো দেখতে ভালোই হবে। আমাদের হাটে গরু আনতে ট্রাকে একদিন সময় লাগে, হাটে আনার পর গরুকে ভাল করে খাওয়াতে পারি না। গোছল করাতে পারিনা। এত ঝামেলায় গরুও ভয়ে তেমন কিছু খাইতে পারে না। তাই আমাদের গরুগুলোর অবস্থা কাহিল দেখায়। এই গরুই যদি ঢাকার কোন খামারে নিয়ে দুইদিন যত্ন করি তাহলে হাটে বলা দামের থেকে বেশি দাম দিয়ে কিনবে এইটা আমি গ্যরান্টি দিয়ে বলতে পারি। এছাড়াও শুনছি ইন্টারনেটেও গরু ছাগল বিক্রি হচ্ছে আজকাল। হাটে তাই গরু কিনতে কম মানুষজন আসে। ভাই আমার মত খামারিদের এখন মরণ দশা। মনে হচ্ছে গরু লালন পালন বাদ দিতে হবে।
কাস্টমাররা অভিযোগ করছে আপনারা (খামারি ও ব্যবসায়ীরা) এবছর গরুর দাম ছাড়ছেন না, বেশি বেশি করে দাম চাচ্ছেন, এমন প্রশ্নের বিপরীতে জিয়াউর রহমান বলেন, মানুষের খাবারের চেয়ে পশুর খাবারের দাম বেশি। আটা ময়দা থেকে প্রায় দিগুণ দাম গরু খাওয়া গমের ভুষির। গরু কেনার একটা দাম আছে, তার সঙ্গে প্রায় এক বছর গরুর লালন-পালন খরচ মিলে যায় হয়, তার থেকে কিছু লাভ না পাইলে আমরা কিভাবে চলবো। ব্যবসায়ীরা দাম বেশি চাচ্ছেন কি না জানি না, তবে সামান্য কিছু লাভ হলেই আমরা গরু বিক্রি করে দেই। বিক্রি না করতে পারলে ফেরত নিয়ে যেতে আবার ট্রাক ভাড়া দিতে হবে। একবছর আবার এই গরুটা পালন করলে খরচ আরও ডবল হয়ে যাবে। তাই কোন খামারি চায় না যে তার গরু ফেরত যাক। আমরাতো ভাই বেচার জন্যেই এত দূর থেকে এত কষ্ট করে গরু আনছি হাটে।
উল্লেখ্য, জিয়াউর রহমান এবছর হাটে ৪ টি বড় গরু এবং ১৬ টি ছোট ও মাঝারী গরু এনেছেন গাবতলির হাটে। এই গরু বিক্রয়ের টাকাতেই তার সংসার চলে। ছেলে মেয়ের পড়ালেখার খরচও চলে এই টাকা থেকেই। বাড়িতে তার স্ত্রী এবং সন্তানেরা অপেক্ষায় রয়েছে তাদের জন্যে ঈদের নতুন জামা কাপড় নিয়ে বাড়ি ফিরবেন। সবগুলো গরু বিক্রয় করে হাসিমুখে বাড়ি ফিরতে পারবেন এমন আশাতেই রয়েছেন জিয়াউর রহমান।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও
এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে
২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে
ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।
কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি
ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক
থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল
টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে।
তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক
থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা
অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক
এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক
৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ
ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার
মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে
সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।
এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬
হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয়
মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে
গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে
নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।
এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে।
ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের
সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।
এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।
তারল্য সংকট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।