নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:২১ এএম, ১৯ অগাস্ট, ২০১৯
কোরবানির ঈদের টানা নয় দিন ছুটির পর রোববার প্রথম লেনদেনে সূচক বেড়েছে দুই বাজারে। তবে লেনদেন কমেছে। প্রধান বাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ১৫ দশমিক ১১ পয়েন্ট; সূচক অবস্থান করছে ৫ হাজার ২১৬ দশমিক ৫৩ পয়েন্টে । অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই বেড়েছে ৬০ দশমিক ৭০ পয়েন্ট।
রোববার ঢাকায় ৩২৩ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে। আর সিএসইতে ১৫ কোটি ৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ৩৫২টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এরমধ্যে দর বেড়েছে ১৮৪টির, কমেছে ১২৩টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৫টির দর। সিএসইতে লেনদেনে অংশ নিয়েছে ২৪৫টি কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ড। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১২৪ টির, কমেছে ৮৫ টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬ টির দর।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে দর বাড়ার শীর্ষ স্থানে আছে এসিআই ফর্মুলেশনস লিমিটেড। গতকাল তাদের শেয়ারের দর বেড়েছে ১০ শতাংশ বা ১৪ টাকা ৯০ পয়সা। এসিআই ফর্মুলেশনস এর শেয়ার ৪৭৬ বারে ১ লাখ ৫০ হাজার ২৪টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ২ কোটি ৪২ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
দরবৃদ্ধিতে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ফনিক্স ফাইন্যান্স ফার্স্ট মিউচুয়াল ফান্ড। গতকাল এই কোম্পানির শেয়ার দর বেড়েছে ১০ শতাংশ বা ৬০ পয়সা। কোম্পানিটি ৩৮১ বারে ১৮ লাখ ৭৪ হাজার ৯১৪টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ১ কোটি ৪৩ লাখ ৯৭ হাজার টাকা।
তৃতীয় স্থানে রয়েছে ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ারের দর বেড়েছে ৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ বা ৩ টাকা ৮০ পয়সা। কোম্পানিটি ৭৫৪ বারে ৭ লাখ ৮৬ হাজার ১৩টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৩ কোটি ২১ লাখ ৯ হাজার টাকা।
দরবৃদ্ধিতে শীর্ষ দশে থাকা অন্য কোম্পানিগুলো হচ্ছে- এসইএমএল এফবিএসএল গ্রোথ ফান্ড, এসইএমএল আইবিবিএল সরীয়াহ ফান্ড, এসইএমএল লেকচার ইক্যুয়টি মিউচুয়াল ফান্ড, এসিআই কোম্পানি লিমিটেড, গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্স, সোনারবাংলা ইন্স্যুরেন্স ও লিব্রা ইনফিউশনস লিমিটেড।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দরপতনের তালিকার শীর্ষ স্থান দখল করে রয়েছে ভিএফএস থ্রেড ডাইং লিমিটেড। এই কোম্পানির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৮ দশমিক ৮৬ শতাংশ বা ৩ টাকা ৫০ পয়সা কমেছে। ডিএসই এর তথ্য অনুযায়ী, এই কোম্পানির শেয়ার সর্বশেষ ৩৬ টাকা দরে লেনদেন হয়। গতকাল কোম্পানিটি ১ হাজার ৮৮৮ বারে ১১ লাখ ৭৯ হাজার ৮১৯টি ইউনিট লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ৪ কোটি ৩৬ লাখ ৪৮ হাজার টাকা।
দর পতনে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ডাক্কা ডাইং অ্যান্ড মেন্যুফেকচারিং কোম্পানি লিমিটেড। কোমপানিটির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৭ দশমিক ৮৯ শতাংশ বা ৩০ পয়সা কমেছে। শেয়ার সর্বশেষ ৩ টাকা ৫০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছে। এদিন কোম্পানিটি ৫০ বারে ৬৪ হাজার ২৬৪টি ইউনিট লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ২ লাখ ২৭ হাজার টাকা।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফারইস্ট ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর আগের দিনের চেয়ে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ বা ১০ পয়সা কমেছে। শেয়ার সর্বশেষ ৩ টাকা ৩০ পয়সা দরে লেনদেন হয়েছে। এদিন কোম্পানিটি ৩৩ বারে ৫৬ হাজার ৮২৪টি শেয়ার লেনদেন করে। যার বাজার মূল্য ১ লাখ ৮৩ হাজার টাকা।
দর পতনের তালিকায় শীর্ষ দশে থাকা অন্যান্য কোম্পানি হচ্ছে- বীচ হ্যাচারি লিমিটেড, হামিদ ফেব্রিক্স লিমিটেড, সোনারাগাঁও ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেড, টুং হাই নিটিং অ্যান্ড ডাইং লিমিটেড, শেফার্ড ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও প্রিমিয়ার লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড।
বাংলা ইনসাইডার/এএইচসি
মন্তব্য করুন
ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও
এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে
২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে
ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।
কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি
ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক
থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল
টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে।
তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক
থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা
অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক
এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক
৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ
ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার
মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে
সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।
এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬
হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয়
মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে
গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে
নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।
এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে।
ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের
সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।
এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।
তারল্য সংকট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।