নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৫৮ পিএম, ২১ নভেম্বর, ২০২০
পশ্চিমা বিশ্বের সবচেয়ে বড় উত্সব বড়দিন আসতে আর মাসখানেক বাকি। কিন্তু এবার এই উত্সব নিয়ে কোন তোড়জোড় নেই দেশে দেশে। নেই বাজারে নুতন পণ্য আসার হিড়িক। কিংবা বিভিন্ন পণ্যে ছাড়ের পসরা। হবে কিভাবে? করোনার দ্বিতীয় দফার সংক্রমণ এড়াতে ইউরোপ জুড়ে যে লকডাউন শুরু হয়ে গেছে নভেম্বরেই।
তাই স্বভাবতই প্রশ্ন জেগেছে, ইউরোপের দেশগুলোতে ক্রিসমাস কেন্দ্রিক অর্থনীতির কী হবে, সে ব্যাপারে।
আর এই প্রশ্নটি আরো জোরালোভাবে মানুষের মাথায় চেপেছে যে, যদি এই লকডাউন খুলে না দেয়া হয় তবে আর্থিক প্রবৃদ্ধি যেমন ব্যাহত হবে তেমনি মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কর্মসংস্থানের ওপরও। আর যদি লকডাউন তুলে দেয়া হয়, তবে হুমিকর মুখে পড়বে জনস্বাস্থ্য। রেকর্ড ছুঁবে মৃত্যুর ঢেউ। ব্লুমবার্গের এক রিপোর্টে উঠে এসেছে এমনই তথ্য।
এতে বলা হয়, ইউরোপে ক্রিসমাসে শীর্ষ ৫ ব্যয়কারী দেশ হলো ব্রিটেন, স্পেন, ইতালি, জার্মানি এবং পর্তুগাল। এরমধ্যে ব্রিটেন মাথাপিছু ৬৩৯ ইউরো, স্পেন ৫৫৪ ইউরো, ইতালি ৫৪৯ ইউরো, জার্মানী৪৮৮ ইউরো এবং পর্তুগাল জনপ্রতি ৩৮৭ ইউরো খরচ করে।
যুক্তরাজ্য় প্রতি বছর ডিসেম্বরে যে ব্যয় হয় , তা বার্ষিক ব্যয়ের প্রায় ১২ শতাংশ।
লোকসান কাটাতে অনেক কোম্পানি অনলাইন শপিংকে গুরুত্ব দিচ্ছে। অনেকে আবার নভেম্বরেই ব্ল্যাক ফ্রাইডে সেল দিচ্ছে।
যেমন জার্মান খুচরা বিক্রেতা এইচডিই অনলাইনে খাবার, আসবাব এবং হার্ডওয়্যার পণ্য বিক্রি করছে। যার ফলে গতবারের তুলনায় এইবার তাদের বেচা-বিক্রি ১.২ শতাংশ বেড়েছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, মানুষ যদি এবার বড়দিনের আগে কেনা-কাটা না করে , তাহলে যে অর্থনীতিতে বড় ধরনের ক্ষতি হবে, বিষয়টি এমন নয়।
ক্রিসমাসের আগে সাধারণত মানুষজন উপহার কেনে, পার্টি করে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার কারণে এবার কেনাকাটার ধরন বদলে যাচ্ছে। পার্টির জন্য পানীয় না কিনে অনেকে ঘরের জন্য আসবাব কিনছেন। ভবিষ্যত দুর্ঘটনার কথা ভেবে অনেকে করছেন স্বাস্থ্য বীমা। ফলে লাভবান হচ্ছে এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলো। এতে করে, কিছূ খাত ক্ষতিগ্রস্ত হলেও অন্যকোন খাত ব্যাপক লাভবান হচ্ছে। যে কারণে এবার পোশাক, সুগন্ধি ও খেলনা বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো লোকসানের মুখে পড়লেও পড়তে পারে।
করোনার কারণে এবার বড়দিনের আগে হয়তো লাস্ট মিনিট শপিং –হবে না। হবে না কোন বড়দিনের পার্টিও। বিক্রেতাদের বছর শেষের টার্গেট পূরণ হবে না। তবে তরপরও বিশেষজ্ঞরা, ইউরোপের অর্থনীতি নিয়ে এখনই হতাশ হতে নারাজ। অনেকে বরং উপহারের মতো খাতে অর্থ খরচকে অবাঞ্চিত খরচ হিসেবে উল্লেখ করে বলছেন, এ ধরনের ব্যয় অর্থনীতির জন্য নেতিবাচক। এমনকি উপহার বিনিময়ের মতো বিষয়গুলো বাজারকে বিকৃত করে বলেও অভিমত কারো কারো।
তাই এবারের বড়দিনের কেনাকাটায় উপহারের জন্য অর্থ বরাদ্দ না করে , আগামী দিনগুলো ইউরোপ যেন নতুন করে করোনা ভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে বিষয়ে সবাইকে মনোযোগী হতে পরামর্শ অর্থনীতিবিদদের।
মন্তব্য করুন
ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও
এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে
২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে
ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।
কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি
ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক
থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল
টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে।
তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক
থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা
অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক
এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক
৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ
ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার
মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে
সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।
এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬
হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয়
মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে
গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে
নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।
এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে।
ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের
সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।
এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।
তারল্য সংকট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।