নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭
রাহাদের বয়স আট কি নয়। বাবার সঙ্গে বাজার করতে এসেছে। বেশ খুব খুশি মনেই বাজার করছে রাহাদ।বাজার সম্পর্কে খুব ধারণা নেই তার।বাজার করতে তোমার কেমন লাগছে? ভালো। আচ্ছা জিনিসপত্রের দাম কেমন? ‘আঙ্কেল দাম বেশি! এতটুকু ছোট রাহাদই যখন টের পাচ্ছে জিনিসপত্রের দাম বেশি, তাহলে দ্রব্র্যমূল্যের আগুনে পরিবারের কর্তা বা তার বাবার অবস্থা কী তা বুঝতে বাকি থাকে না কারও।
কেবল রাহাদের বাবাই নন সব পরিবারের কর্তাদেরই গায়ে লাগছে এই আগুন। বাজার করতে এসে হিসাব নিকাশ মিলাতে পারছেন না নিম্ন আয়ের মানুষ। শুধু নিম্ন আয়ের মানুষই নন, বাজার করতে এসে দীর্ঘশ্বাস ফেলছে সব ধরনের ক্রেতাই।
আবারও ঝাঁঝ বেড়েছে পেঁয়াজের। প্রতি কেজি ১০ টাকা বেড়ে ৫৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে দেশি পেঁয়াজ। আর ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকায়। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে এই দর।
পেঁয়াজের দাম বাড়তির কারণ জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী জামাল বলেন, ‘পেঁয়াজের দাম গত এক সপ্তাহ ধরে বেড়েই চলছে, ভারতে পেঁয়াজের দাম বেশি থাকার কারণে দাম বেড়েছে’।
পেঁয়াজের দাম বাড়লেও কমেছে কাঁচা মরিচের দাম। কয়েকদিন আগেও কাঁচা মরিচের দাম এক লাঁফে বেড়ে ২৪০ টাকায় ওঠে। বিক্রি হলেও এখন প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। বিক্রেতারা জানান, ‘ভারত থেকে কাঁচামরিচের আমদানি বেশি হওয়ায় দাম কমেছে’।
বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। প্রতি কেজি শিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকায়। কারওয়ান বাজার, কাঁঠালবাগান ও আশে পাশের বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।
বাজারে শীতের আগাম সবজি ফুল কপি ও পাতা কপি পাওয়া যাচ্ছে। আকাশচুম্বী দামে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়।
কাঁঠালবাগান বাজারের সবজি বিক্রেতা সাগর বলেন, চাহিদার তুলনায় এ সময়ে সবজির সরবরাহ এমনিতেই কম থাকে। এ বছর অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে অনেক সবজি ক্ষেত নষ্ট হয়েছে। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ অনেক কম থাকায় পাইকারি বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় খুচরা বাজারেও দাম বেড়েছে।
বাজারে প্রতি কেজি ডায়মন্ড আলু ৩০ টাকা, লম্বা বেগুন ৬০ টাকা, শসা ৮০ টাকা, টমেটো ১০০ টাকা, পটল ৫৫ টাকা, বরবটি ৮০ টাকা , করল্লা ৪০ টাকা, চালকুমড়া ২৫ থেকে ৩০ টাকা, গাজর ৬০ টাকা এবং প্রতি পিস লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা এবং মিষ্টি কুমড়া ৮০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
চালের বাজার স্থির রয়েছে। গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে। বাজারে প্রতি কেজি মিনিকেট ৬০ থেকে ৬২ টাকা, নাজির ৬২ থেকে ৬৫ টাকা, মাঝারিমানের চাল ৫০ টাকা, মোটা চাল ৪৫ খেকে ৪৮ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মুদি বাজার পর্যবেক্ষণে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের দামেই স্থিতিশীল রয়েছে অধিকাংশ মুদি পণ্যের দাম। কেজি প্রতি ছোলা ৮৫ টাকা, দেশি মুগ ১৩০ টাকা,ভারতীয় মুগ ১২০ টাকা, মাষকলাই ১৩৫ টাকা, দেশি মসুর ১২৫ টাকা, ভারতীয় মসুর ৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। দারুচিনি ৩৬০ টাকা, জিরা৪৫০ টাকা, শুকনা মরিচ ২০০ টাকা, লবঙ্গ ১ হাজার ৫০০ টাকা, এলাচ ১ হাজার ৬০০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে।
২ সপ্তাহ আগের বাড়তি দামেই ভোজ্যতেল বিক্রি হতে দেখা গেছে। বাজারে ব্র্যান্ডভেদে ৫ লিটারের বোতল ৫৩০ থেকে ৫৪০ টাকা, লিটার বোতল ১০৭ টাকা থেকে বেড়ে ১০৯ টাকায় বিক্রি হয়েছে। অবশ্য টিসিবির প্রতিবেদনের সঙ্গে বাজারের দামে কিছুটা পার্থক্য দেখা গেছে। টিসিবির মূল্য তালিকায় ব্র্যান্ডভেদে ৫ লিটারের বোতল ৫১০ টাকা থেকে ৫৩০ টাকা। প্রতি লিটার ভোজ্যতেল ১০২ থেকে ১০৭ টাকা।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সবজির বাজার চড়া থাকলেও মাছের বাজার সহনশীল পর্যায়ে রয়েছে। ক্রেতারা জানান অন্যান্য জিনিস পত্রের দামের তুলনায় মাছের দাম কিছুটা কম। আকারভেদে প্রতি কেজি রুই ১৮০ থেকে ২৫০ টাকা, সরপুঁটি ১৫০ থেকে ২০০ টাকা, কাতলা ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা, তেলাপিয়া ১২০ থেকে ১৩০ টাকা, চাষের কৈ ১৫০ থেকে১৮০ টাকা এবং পাঙ্গাস ৮০ থেকে ১০০ কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়া গত সপ্তাহের দামেই বিক্রি হচ্ছে গরু ও খাসির মাংস। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৪৮০ টাকা, খাসির মাংস ৭৫০ টাকা এবং ছাগলের মাংস ৬৫০ টাকায়বিক্রি হচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএ/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যাংকগুলোর পিছু ছাড়ছে না তারল্য সংকট। দৈনন্দিন কার্যক্রম মেটাতেও
এখন ধার করতে হচ্ছে। গেল বুধবার (২৪ এপ্রিল) এক দিনে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো ধার করেছে
২৩ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে বিশেষ তারল্য সহায়তার আওতায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে
ধার করেছে ২০ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকা।
কলমানি মার্কেট ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো থেকে বিভিন্ন স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি
ধার করেছে আড়াই হাজার কোটি টাকার বেশি। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক
থেকে ধার করেছে ৪ হাজার কোটি টাকার বেশি।
সূত্র জানায়, ঈদের আগে ব্যাংকগুলোতে গ্রাহকের বাড়তি চাহিদা ছিল
টাকা তোলার। এ কারণে ওই সময়ে তারল্য সংকট বেড়েছিল। ঈদের পর গ্রাহকদের চাপ কমে গেছে।
তারপরও ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট রয়েছে।
সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক একীভূত করার ঘোষণা দেওয়ায় দুর্বল ব্যাংক
থেকে গ্রাহকরা নগদ টাকা তুলে নিচ্ছেন। এমনকি দীর্ঘমেয়াদি সঞ্চয়ী প্রকল্পে জমা রাখা
অর্থও তুলে নিচ্ছেন। এতে করে কিছু দুর্বল ব্যাংকে তারল্য সংকট বেড়েছে। ওইসব ব্যাংক
এখন ধারের প্রবণতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) কলমানি মার্কেট থেকে কিছু দুর্বল ব্যাংক
৩ হাজার ৯০০ কোটি টাকা ধার করেছে। এতে সর্বোচ্চ সুদ ছিল সাড়ে ৯ শতাংশ। সর্বনিম্ন সুদ
ছিল ৮ শতাংশ। এ সুদহার কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানাভাবে মৌখিক নির্দেশনা দিয়ে একটি সীমার
মধ্যে রেখে দিয়েছে। এছাড়া স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি ধার করেছে প্রায় ২৫০ কোটি টাকা। এতে
সুদহার ছিল ১০ থেকে প্রায় ১২ শতাংশ।
এর আগে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক দিনে সর্বোচ্চ ২৬
হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ধার করেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ব্যাংকগুলো আমদানি ব্যয়
মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনায় মোটা অঙ্কের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংকে আটকে
গেছে। এছাড়া বিভিন্ন ট্রেজারি বিল ও বন্ডেও বিনিয়োগ করেছে। ট্রেজারি বিল পুনরায় কিনে
নেওয়ার চুক্তি বা রেপোর আওতায় ওইসব অর্থ ব্যাংকগুলোকে স্বল্পমেয়াদে ধার দিচ্ছে।
এদিকে, ব্যাংকগুলোতে এখনো আমানত বাড়ার চেয়ে ঋণ বাড়ছে বেশি হারে।
ঋণ হিসাবে বিতরণ করা অর্থ আদায় হচ্ছেও কম। এসব কারণে ব্যাংকগুলোতে তারল্য সংকট বেড়েছে।
এছাড়া বাজারে নিত্যপণ্যের দাম মাত্রাতিরিক্ত বেড়ে যাওয়ায় মানুষের
সঞ্চয় করার মতো সক্ষমতা কমে গেছে। এমনকি আগের সঞ্চয় ভেঙে জীবিকা নির্বাহ করছে।
এতে করেও ব্যাংকে সঞ্চয় প্রবণতা বাড়ছে না। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংকগুলোতে নানা সংকটের কারণে গ্রাহকদের মধ্যে নানা ধরনের বিভ্রান্তিও তৈরি হয়েছে।
তারল্য সংকট ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৯ হাজার টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৩ হাজার ৪২৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৫ হাজার ২০৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এর আগে গত ২৩ এপ্রিল দুই দিনের ব্যবধানে ভরিতে ৩ হাজার ১৩৮ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৬ হাজার ২৯০ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১০ হাজার ৯৯৫ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৫ হাজার ১৪৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৬ হাজার ৫৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৪টা থেকে কার্যকর হয়েছিল।
আর গত ২১ এপ্রিল একদিনের ব্যবধানে ভরিতে ৬৩০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৯ হাজার ৪২৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। এছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ৭০৯ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ৬৬২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
এছাড়া গত ২০ এপ্রিল সবচেয়ে ভালো মানের ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণ ৮৪০ টাকা কমিয়ে ১ লাখ ১৮ হাজার ৭৯৮ টাকা নির্ধারণ করেছিল বাজুস। আর ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৩ হাজার ৩৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ৯৭ হাজার ১৯৬ টাকা ও সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৭৮ হাজার ২৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা সেদিন বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে কার্যকর হয়েছিল।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের প্রথম চার মাসেই দেশের বাজারে ১২ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৭ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ৫ বার। এর মধ্যে এপ্রিলেই দাম সমন্বয় হয়েছে ৭ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।
স্বর্ণ বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুস
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস বিসিএস
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন বাজুস
মন্তব্য করুন
দাম কমানোর একদিন পরই আবারও ভরিতে ২ হাজার ১০০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ১৪ হাজার ১৯০ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর করা হয়েছে।