নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৩ পিএম, ০৯ জুন, ২০১৮
আকস্মিক সফলতার ইতিহাস খুবই বিরল। মেধা ও পরিশ্রম দিয়েই সফলতা অর্জন করতে হয়। তবে শুধু মেধা থাকলেই হবে না, অধিকাংশ মানুষই যা করতে ইচ্ছুক আর যা করছে তাঁর মধ্যে সমন্বয় খুঁজে পায় না। সেজন্য প্রয়োজন সঠিক পরামর্শের।
বিশ্বে সফল কিছু মানুষের পরামর্শ অনুসরণ করে আপনিও হতে পারেন সেই ধনী ব্যক্তিদের একজন।
ওয়ারেন বাফেট
ওয়ারেন অ্যাডওয়ার্ড বাফেট একজন সফল মার্কিন ব্যবসায়ী ও বিনিয়োগকারী। তিনি বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ের প্রধান নির্বাহী। অর্জিত সম্পদের বেশিরভাগ অংশই জনকল্যাণমূলক কাজে ব্যয় করেন তিনি। সফলতা অর্জনের জন্য বাফেট বলেছেন, ’আয়ের জন্য শুধুমাত্র একটি উৎসকে কখনোই ব্যবহার করা উচিত নয় বরং বিনিয়োগের মাধ্যমে আরেকটি উৎস তৈরি করুন’।
স্টিভ জবস
স্টিভেন পল জবস ছিলেন জনপ্রিয় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান অ্যাপলের চেয়ারম্যান ও সহ-প্রতিষ্ঠাতা । তাঁর অসাধারণ মানবিক গুণ ও চিন্তা চেতনার জন্য অনেকে তাকে দার্শনিক হিসেবেও আখ্যায়িত করতেন। দুরারোগ্য ক্যান্সার ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে তিনি ২০১১ সালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি মনে করতেন, ‘কোনো নতুন কিছুর উদ্ভাবনই একজন নেতা ও অনুসরণকারীদের মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরতে পারে’।
বিল গেটস
মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান বিল গেটস, পুরো নাম উইলিয়াম হেনরি গেটস। তিনি একাধারে ১৩ বছর পৃথিবীর শীর্ষ ধনীর তালিকায় প্রথম ছিলেন। তাঁকে অনুসরণ করে অনেক তরুণ উদ্যোক্তা উন্নতির শিখরে পৌঁছেছে। তিনি এক স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বলেন, নিজের নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত ভুল প্রমাণিত হলে, সেই ভুলের জন্য কষ্ট না পেয়ে আমাদের উচিত সেই ভুল থেকে প্রয়োজনীয় শিক্ষা গ্রহণ করা’।
জেফ বেজোস
জনপ্রিয় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা হলেন জেফরি প্রেস্টন বেজোস। চলতি বছর তিনি বিশ্বে শীর্ষ ধনীর স্থান লাভ করেন, তাঁর সম্পদের পরিমাণ ১১২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি মনে করেন, ’কোনো কোম্পানির জন্য ব্র্যান্ড, কোনো ব্যাক্তির কাছে তার সুনামের মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কঠিন কিছু ভালো করার মাধ্যমেই খ্যাতি উপার্জন সম্ভব।’ সাফল্য অর্জনের জন্য লম্বা পথকে বেছে না নিয়ে ছোট পথকে বেছে নেওয়ার কথাই বলেন তিনি।
মার্ক জাকারবার্গ
জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জাকারবার্গ। তাঁকে চেনেন না এমন মানুষ পাওয়া খুবই দুর্লভ। মাত্র ২৩ বছর বয়সে তিনি বিশ্বের সফল ব্যাক্তিদের তালিকায় নিজের নাম লেখাতে সক্ষম হন। এই অসম্ভবকে সম্ভব করার ক্ষেত্রে তাঁর পরামর্শ হলো, ’শুধুমাত্র একটি কোম্পানি গড়ে তোলাই আমার মূল লক্ষ্য নয়, আমার লক্ষ্য হলো এমন কিছু করা যা পুরো বিশ্বকে বদলে দিতে পারে।’
বাংলা ইনসাইডার/ জেডআই/ জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন
জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে
নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির
আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে
২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে
নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
প্রো-ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন