নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৪ এএম, ০৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
কিছুদিন আগেই অনার্সের রেজাল্ট বের হয়েছে অনিকের। এরপর থেকেই পড়াশুনার প্রতি আরও মনোযোগী হয়ে পড়েছে সে। ফর্ম পূরণ করেছেন বিসিএসের। এখন অপেক্ষা শুধু পরীক্ষার দিন ঘোষণার।
বিসিএস পরীক্ষার ফর্ম পূরণের সময় গত ১০ আগস্ট শেষ হয়েছে। এবার ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৪৬৮টি আবেদন জমা পড়েছে। এটি বিসিএসের ইতিহাসে রেকর্ড পরিমাণ আবেদন। তাই বলাই যায় এবারের বিসিএসের প্রতিযোগিতা যেকোনো সময়ের চেয়ে আরও কঠিন হবে। এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে তাই পড়াশুনাও করতে হবে বেশি এবং কৌশল অনুযায়ী।
এমনও অনেক চাকরিপ্রার্থী রয়েছেন যারা সারাদিন পড়াশুনা করছেন। কিন্তু তাঁদের পড়াশুনার কৌশল ঠিক নেই। বিসিএসের মতো প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এই কৌশল খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
বিসিএস প্রিলি প্রস্তুতি নেওয়ার আগে একজন প্রার্থীকে জানতে হবে প্রস্তুতি ভালো নেওয়ার জন্য কি কি বই পড়া যেতে পারে। এজন্য অনেক আগে থেকেই বই ও নোটের তালিকা করতে হবে। এজন্য বড় ভাই বা এমন কেউ যার বিসিএসে ভাইভা বা লিখিত দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর কাছ থেকে সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। দরকারি কোনো বই বাজারে না পাওয়া গেলেও কারও কাছ থেকে সংগ্রহ করা যেতে পারে।
বিসিএসের মতো বড় পরীক্ষায় অনেকে কিছুদিন পড়াশুনা করেই আর ধৈর্য রাখতে পারে না অর্থাৎ হাল ছেড়ে দেয়। হাল ছেড়ে না দিয়ে পড়াশুনা চালিয়ে যেতে হবে। এক্ষেত্রে বিসিএস ক্যাডার হয়েছে এমন মানুষদের নিকট থেকে অনুপ্রেরণা নেওয়া যেতে পারে।
অনেকে পড়াশুনা শুরু না করেই বিসিএস পরীক্ষার ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করে। কিন্তু বুঝতে হবে যে এটি প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষা। পড়াশুনা দেরি করে শুরু করলে অন্যান্য প্রার্থী থেকে অনেক পিছিয়ে পড়তে হতে পারে। তাই ধৈর্য নিয়ে দিনের পর দিন পড়াশুনা করতে হবে।
বিসিএসের পড়াশুনা সাধারণত একটি গ্রুপের কয়েক জন মিলে একসঙ্গে করলে অনেক অজানা তথ্য জানা যায়। একসঙ্গে পড়াশুনা করলে একে অপরের বই নিয়েও পড়া যায়। জানার পরিধিটাও বেশি হয় এর মাধ্যমে।
বিসিএস প্রিলির ক্ষেত্রে সব পড়তে না যেয়ে বুঝেশুনে পড়াই উত্তম। কারণ মানুষের মেমোরি অত্যাধিক পড়াশুনা মনে রাখতে অক্ষম। তাই সব না পড়ে, পড়তে হবে গুরুত্ব বুঝে।
বিসিএস প্রার্থীদের মধ্যে একটি দ্বন্দ্ব সবসময়ই কাজ করে। সেই দ্বন্দ্বটি হলো বিসিএস কোচিং করলে ভালো হবে না সময় নষ্ট হবে। এমনও অনেক অতি উৎসাহী চাকরি প্রার্থী রয়েছে যারা কোনো কোচিং সম্পর্কে না জেনে, না বুঝেই ভর্তি হয়। প্রত্যাশামতো না হওয়ায় কিছুদিন পর তাঁরা কোচিংয়ে যাওয়া বাদ দিয়ে দেয়। এতে সময় ও টাকা উভয়ই নষ্ট হয়।
মডেল টেস্ট পরীক্ষার কৌশল ও অভিজ্ঞতা বৃদ্ধিতে কাজ করে। বিসিএস পরীক্ষার আগে পরীক্ষা দেয়ার কিছু অভিজ্ঞতা আগে থেকেই থাকলে তা পরীক্ষার দিন নেগেটিভ মার্কিং ও টাইম মেইনটেইনে সহায়তা করে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএম/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন
জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে
নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির
আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে
২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে
নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
প্রো-ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা অধিদপ্তরের (এনএসআই) নতুন মহাপরিচালক
(ডিজি) হিসেবে মেজর জেনারেল মো. হোসাইন আল মোরশেদ পিএসসিকে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার
(২ এপ্রিল) এ আদেশ জারি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
ওই আদেশে বলা হয়, সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা বিএ-৪৩১৪ মেজর জেনারেল
মো. হোসাইন আল মোরশেদকে এনএসআইর মহাপরিচালক পদে প্রেষণে নিয়োগের জন্য তার চাকরি প্রধানমন্ত্রীর
কার্যালয়ে ন্যস্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির উপসচিব আব্দুল্লাহ আরিফ মোহাম্মদ স্বাক্ষরিত এ আদেশ জনস্বার্থে অবিলম্বে কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়।
মন্তব্য করুন