নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:০০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
স্নাতক শেষ হতেই একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ নেয় সেলিম। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ না যেতেই কাজ ভালো লাগে না তাঁর। তাই নতুন চাকরি খোঁজা শুরু করে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ থাকার অজুহাত দেখিয়ে, অফিসে না গিয়ে একদিন চাকরির পরীক্ষাও দিতে যায় সেলিম। কিন্তু অফিসে মিথ্যা বলার কথা জেনে যায় সেলিমের বস। বসের কাছে ঝাড়িরর পাশাপাশি কারণ দর্শানোর নোটিশ জোটে সেলিমের। একই সঙ্গে যতদিনি ধরে চাকরি করছে কোনোদিন লেট বা বন্ধ করলেই সহকর্মীরা শোনোতে দেরি করে না, সেলিম ভাই, কোথায় চাকরির ভাইভা দিলেন?
চাকরি থাকা অবস্থায় নতুন চাকরি খুঁজতে গিয়ে অনেকেই সেলিমের মতো এমন বিড়ম্বনায় পড়েন। অনেকে আবার চাকরিই হারান।
‘ইচ্ছে হলেই চাকরি ছেড়ে দিব’, কথাটা অনেকের ক্ষেত্রে বলা সম্ভব হলেও করা সম্ভব হয় না। সংসারের হাল যখন আপনার হাতে, আপনার উপার্জন যখন অন্যদেরও চাহিদা পূরণ করে তখন চাকরি ছেড়ে দেওয়াটা এত সহজ হয় না। তারপরও ভালো সুযোগের জন্য আপনাকে চাকরি খুঁজতেই হয় নতুন করে। মুশকিলটা হয় তখনই। কারণ কোনো বসই চান না, তাঁর কোনো কর্মী চাকরিরত অবস্থায়ই অন্যত্র চাকরি খুঁজুক।
চাকরি ছেড়ে দিয়ে নতুন চাকরি খুঁজবেন, সেই সুযোগটুকুও অনেকের হয় না। চাকরির অনিশ্চিত বাজারে আপনি কবে আবার চাকরি পাবেন তার কোনো গ্যারান্টি নেই। যাই করতে হবে, এই চাকরি থাকাকালীনই করতে হবে। তবে খেয়ার রাখতে হবে বিষয়টি যেন বেশি জানাজানি না হয় এবং বিড়ম্বনার কারণ হয়ে না দাঁড়ায়।
সবার আগে জেনে নেওয়া যাক, কী হতে পারে যখন অফিস আপনার চাকরি খোঁজার কথা জানবে। আপনি চাকরি খুঁজছেন মানে আপনি বর্তমান অফিসে সন্তুষ্ট নন। এতে বস ধরেই নিতে পারে আপনি কাজে পুরোপুরি মন দিচ্ছেন না। সে ক্ষেত্রে:
- আপনার ভুলটাই চোখে পড়বে সাবার আগে।
- অফিসে আপনার গুরুত্ব কমে যেতে পারে।
- চাকরি চলে যাওয়ার মতো কঠিন পরিস্থিতিরও সম্মুখীন হতে পারেন।
ক্যারিয়ার বিশেষজ্ঞদের মতে, চাকরি থাকাকালীন নতুন চাকরি খোঁজার ক্ষেত্রে আপনি সর্বোচ্চ সাবধানতা অবলম্বন করুন। যেমন চাকরি খোঁজার কথা সবাইকে বলবেন না, বর্তমান কলিগদের তো ভুলেও না। যারা আপনাকে সাহায্য করতে পারবে, শুধু তাদের বলুন। একই ভাবে কোনো সোশ্যাল সাইটের কোনো গ্রুপে সিভি পোস্ট না করে, পারসোনাল মেসেজ ব্যবহার করুন।
সারাদিন অফিসে কাটান বলে মনের ভুলে অফিসের টেলিফোন, কম্পিউটার, ফ্যাক্স, মেইল ব্যবহার করতে যাবেন না। কেউ না জানলেও এইচআর ঠিকই জেনে যাবে। ছেড়ে দিবেন বলে অফিসে কাজ বাদ দিয়ে চাকরি খুঁজবেন তা কিন্তু হবে না। এর চেয়ে বাড়ি ফিরে ঠান্ডা মাথায় চাকরি খুঁজুন।
সিভিতো জমা দিলেন কিন্তু ইন্টারভিউ, তার কী হবে? নিজের সুবিধা অনুযায়ী ইন্টারভিউয়ের দিন ও সময় ঠিক করুন। এতে অফিস ফাঁকি দিতে হবে না আপনাকে। ছুটি যদি নিতেই হয় তবে ‘ব্যক্তিগত কাজের’ কথা বলাটাই ভালো হবে। অনুসন্ধানের জন্য বর্তমান অফিসে কল না করে যেন রেফারেন্স নাম্বারে কল করা হয় তা ইন্টারভিউয়ের সময়েই জানিয়ে দিন।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, নতুন চাকরি খুঁজে পেলেও কখনোই বর্তমান অফিসের দায়িত্বে হেলাফেলা করবেন না। বরং নিজের বেস্টটাই দেওয়ার চেষ্টা করুন। আপনাকে যখনই মনে করবে সেটা যেন শ্রদ্ধার সঙ্গে মনে করা হয়। তাছাড়া হয়তো একদিন এই অফিসকেই আপনার কাজে লাগবে।
বাংলা ইনসাইডার/এমএ/আরএইচবি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন
জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে
নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির
আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে
২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে
নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
প্রো-ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন