নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২১ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
বিসিএস লিখিত পরীক্ষার মাত্র ২ দিন বাকি ছিল। তাই প্রিলিমিনারি যারা টিকেছে তাঁদের দম ফেলার সময় নেই। মিঠুনও পরীক্ষার জন্য ভালো প্রস্তুতি নিয়েছিল। কিন্তু পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগে থেকেই তাঁর রাতে ঘুম নেই।
পরীক্ষার প্রথম দিন অর্থাৎ আগের রাতেও ঘুম আসেনি মিঠুনের। কারণ টেনশন। তৃতীয় পরীক্ষার আগের রাতে শারীরিক ও মানসিক দুর্বলতা, পেটে ব্যাথা,বমি ইত্যাদি কারণে হলের বন্ধুরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এভাবে টেনশনে না ঘুমিয়েই পরীক্ষাগুলো দিয়েছে সে।। কষ্ট করে কোনোরকমে পরীক্ষা শেষ করে মিঠুন।
বিসিএস একজন চাকরি প্রার্থীর জন্য সোনার হরিণের মতো। দিনের পর দিন কষ্টের ফসল বিসিএস। তাই অনেক চাকরি প্রার্থীই তাঁর সবটুকু দিয়ে বিসিএসের জন্য পড়াশুনা করে। বিসিএস ক্যাডার হতে হলে ভালোভাবে পড়তেই হবে, তাই বলে নিজের স্বাস্থ্য নষ্ট করে নয়।
বর্তমান সময়ে ছোট একটা সরকারি চাকরি পাওয়াও অনেক কঠিন। সেদিক দিয়ে বিসিএসের চাকরি হতে হলে একজন চাকরি প্রার্থীকে বর্ণনাতীত পরিশ্রম করতে হয়। এই পরিশ্রম শুধু সেসময়ই সফল হয় যখন বিসিএস হয়। কিন্তু বিসিএস হওয়ার আগে পর্যন্ত প্রায় সব বিসিএস প্রার্থীকেই ভোগান্তি ও বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয়।
অনেক বিসিএস পরীক্ষার্থীর বন্ধুবান্ধব পড়াশুনা শেষ করেই সরকারি কোনো চাকরি বা বেসরকারি চাকরি শুরু করে। তাই বিসিএসের চাকরি না হওয়া পর্যন্ত অনেক প্রার্থীকেই চাকরি না হওয়ার বঞ্চনা পোহাতে হয়। অর্থাৎ চাকরি না হওয়ার জন্য কথা শুনতে হয়। অথচ দিনের পর দিন তাঁদের কষ্টটা কেউই দেখে না। এমনকি চাকরি না হওয়াতে অনেক বিসিএস প্রার্থীকে বাসা থেকে টাকা দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। তাই বেঁচে থাকার তাগিদে তাঁদের পড়াশুনার সময়ে টিউশনি করতে হয়।
অনেকের ভালো প্রস্তুতির পর এবং কয়েকবার বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার পরও বিসিএস হয় না। চাকরি না হওয়াতে তাঁদের বাইরে যেতে ভালো লাগে না। কোন বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতেও তাঁদের ইচ্ছা হয় না। তাই বন্ধুদের সঙ্গে একপ্রকার দূরত্ব তৈরি হয় তাঁদের। তাঁরা একপ্রকার ঘরবন্দি ও একা হয়ে পড়ে।
বিসিএসের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষাও অনেক বিসিএস প্রার্থীর মধ্যে ভোগান্তি তৈরি করে। বিসিএস প্রিলিমিনারি, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার তারিখ ও রেজাল্টসহ পুরো কার্যক্রম শেষ করতে একজন প্রার্থীর কমপক্ষে দেড় থেকে দুই বছর লেগে যায়। এরপরে শারীরিক পরীক্ষা, ট্রেনিং এবং পোস্টিং হতে হতে আরও অনেক সময় চলে যায়। তাই অনেকের পক্ষে ধৈর্য রাখাও কষ্ট হয়ে যায়।
বাংলাদেশে বিসিএস হলো একজন চাকরি প্রার্থীর জন্য ওপরে উঠার সিঁড়ি। তাই প্রায় সব চাকরি প্রার্থীরই বিসিএস নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। কিন্তু বিভিন্ন সমস্যা থাকায় অনেকেই বিসিএসের প্রতি আগ্রহী হয় না বা মাঝপথে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই কম সময়ে রেজাল্ট, তাড়াতাড়ি নিয়োগসহ আরও কিছু ব্যাপার সমাধান করা গেলে চাকরি প্রার্থীদের ভোগান্তি অনেকখানি কমে যেত।
বাংলা ইনসাইডার/এসএম/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা তৃতীয়
ধাপের সংশোধিত ফল প্রকাশ করা হয়েছে। এতে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে (তিন পার্বত্য জেলা
বাদে ২১টি জেলা) লিখিত পরীক্ষার উত্তীর্ণ হয়েছেন ৪৬ হাজার ১৯৯ জন।
সোমবার (২২ এপ্রিল) রাত দেড়টায় এ ফলাফল প্রকাশ করা হয়। গণশিক্ষা
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় ৪৬ হাজার
১৯৯ জন প্রার্থীকে মৌখিক পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হয়েছে।
এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়।
পরে রাতে মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়, প্রকাশিত প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের
ফলে ত্রুটি ধরা পড়েছে। মেঘনা ও যমুনা সেটের পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়নে কারিগরি
ত্রুটি পরিলক্ষিত হওয়ায় এ দুই সেটের ফল আজ রাত ১২টার পর প্রকাশ করা হবে। সেই সংশোধিত
ফল রাতে প্রকাশ করা হয়।
গত ২৯ মার্চ এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে মোট পরীক্ষার্থী ছিলেন
৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopme.gov.bd এবং
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd -তে ফলাফল পাওয়া যাবে। উত্তীর্ণ
পরীক্ষার্থীরা মোবাইলেও মেসেজ পাবেন।
মৌখিক পরীক্ষার তারিখ, সময় ও স্থান পরবর্তীতে জানানো হবে। গত বছরের
১৪ জুন এ নিয়োগ সংক্রান্ত বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়।
প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক নিয়োগ ফল প্রকাশ
মন্তব্য করুন
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রো-ভিসি) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগের আদেশ স্থগিত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নিয়োগের প্রজ্ঞাপন
জারির কয়েক ঘণ্টা পরই বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) রাতে ‘জনস্বার্থে’ জারি করা আরেকটি আদেশে
নিয়োগ স্থগিতের তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
৪ এপ্রিল তারিখের প্রজ্ঞাপনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে অধ্যাপক মোহাম্মদ
মিজানুর রহমানের নিয়োগাদেশ নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হলো।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও
উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সহকারী সচিব শতরূপা তালুকদারের সই করা প্রজ্ঞাপনে ‘রাষ্ট্রপতির
আদেশক্রমে’ তাকে নিয়োগ দেওয়ার কথা জানানো হয়।
অধ্যাপক মিজানুর রহমানের নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সামনে আসে
২০২১ সালের একটি যৌন হয়রানির অভিযোগ। তাতে দেখা যায়, মিজানুর রহমান যখন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট
অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চের (নিটার) দায়িত্বে ছিলেন, তখন তার বিরুদ্ধে
নারী সহকর্মীরা যৌন হয়রানি ও নিপীড়নের অভিযোগ করেছিলেন।
প্রো-ভিসি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় উপ-উপাচার্য
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন