ক্লাব ইনসাইড

মার্কিন রাষ্ট্রদূতের আচরণ পক্ষপাতদুষ্ট, জাবি শিক্ষক পরিষদের বিবৃতি

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail পিটার হাস গত বুধবার শাহীনবাগে নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমনের বাসায় যান। ফাইল ছবি।

ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের বিরুদ্ধে 'পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের' অভিযোগ তুলে উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের সংগঠন 'বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ'। বিবৃতিতে ‘মায়ের কান্নার’ স্মারকলিপি গ্রহণ না করায় পিটার হাসের আচরণকে ‘অদায়িত্বসূলভ’, ‘অপেশাদারী’ এবং ‘অংশত অমানবিক’ বলা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে পরিষদের সদস্য সচিব অধ্যাপক বশির আহমেদ স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়।

বাংলাদেশে নিযুক্ত সকল রাষ্ট্রদূতের নিরপেক্ষ ও দায়িত্বশীল আচরণ আশা করে বিবৃতিতে বলা হয়, "এদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ ও একপাক্ষিক কর্মকাণ্ড অশোভন, গর্হিত ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বলে বিবেচনা করা হয়। কিন্তু, আমরা সম্প্রতি লক্ষ্য করেছি যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস নির্দিষ্ট একটি দলের পক্ষ অবলম্বন করে তার কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন এবং সে লক্ষ্যে নানা সময় বক্তব্য ও  বিবৃতি দিচ্ছেন।"

বিবৃতিতে বলা হয়, গত বুধবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিএনপির নিখোঁজ সাবেক এক নেতার বাসায় গিয়ে বিশেষ আলোচনা করেছেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে তিনি মানবাধিকারের দোহাই দিয়ে নিখোঁজ ব্যক্তির পক্ষে অবস্থান নিয়ে আলোচনায় অংশ নিলেও সমারিক শাসক জিয়াউর রহমানের শাসনামলে সহস্রাধিক গুম হওয়া সরকারি কর্মকর্তার স্বজনদের কথায় কর্ণপাত করেননি। 


“এমনকি ওই সকল স্বজনহারা ব্যক্তিদের উদ্যোগে গঠিত ‘মায়ের কান্না’ নামের সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দেওয়া স্মারকলিপিও গ্রহণ করেননি মার্কিন রাষ্ট্রদূত।”

স্মারকলিপি গ্রহণ না করায় পিটার হাসের আচরণকে ‘অদায়িত্বসূলভ’, ‘অপেশাদারী’ এবং ‘অংশত অমানবিক’ বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়। একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর স্বার্থসিদ্ধির জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূত এসব কাজ করছেন বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়। 

এভাবে ‘অসৌজন্যমূলক’ এবং ‘পক্ষপাতমূলক’ আচরণের মাধ্যমে তিনি তার কূটনৈতিক দায়িত্ব পালন করছেন উল্লেখ করে বলা হয়, “সংবাদ পত্রের মারফতে আমরা জানতে পারি যে ‘মায়ের কান্না’ নামের সংগঠনের নেতা-কর্মীদের কথা না শুনে ও তাদের স্মারকলিপি গ্রহণ না করে মার্কিন রাষ্ট্রদূত স্থান ত্যাগ করেন, যা মার্কিন রাষ্ট্রদূতের দ্বৈত আচরণের বহিঃপ্রকাশ।” 

মুখে মানবাধিকারের কথা বললেও আদতে তিনি মানবাধিকার হরণের পন্থায় হাঁটছেন বলে বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়। বাংলাদেশের জনগণ কোন রাষ্ট্রদূতের কাছে এমন ‘পাক্ষপাতদুষ্ট’ আচরণ আশা করে না বলেও পরিষদের বিবৃতিতে বলা হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূতের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের সচেতন জনগণ হতাশ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, পশ্চিমা দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতেরাও নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কথা বলছেন যা কূটনৈতিক শিষ্টাচারবহির্ভূত ও স্বাধীন দেশের জনগণের জন্য অসম্মানজনক।

 বাংলাদেশে নিযুক্ত সকল রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে অধিকতর দায়িত্বশীল ও নিরপেক্ষ আচরণ কামনা করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ।

নিখোঁজ বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমন ও ‘গুম’ হওয়া ব্যক্তিদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’র সমন্বয়কারী আফরোজা ইসলাম আঁখির বাসায় গিয়ে গত বুধবার ‘মায়ের কান্না’ নামের আরেকটি সংগঠনের নেতাদের তোপের মুখে পড়েন পিটার হাস।

বুধবার সকালে তেজগাঁওয়ের শাহীনবাগের ওই বাড়িতে রাষ্ট্রদূত গেলে সেখানে তাকে ঘিরে ধরে স্মারকলিপি হাতে তুলে দেওয়ার চেষ্টা করেন ‘মায়ের কান্না’র কর্মীরা। তখন তড়িঘড়ি করে পিটার হাস গাড়িতে করে ওই স্থান ত্যাগ করেন। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আমলে হত্যাকাণ্ডের শিকার সামরিক বাহিনীর সদস্যদের স্বজনদের সংগঠন এই ‘মায়ের কান্না’। 


পিটার হাস   জাবি শিক্ষক পরিষদ   বিবৃতি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানো ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানোর ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ সাফাতুন নুর চৌধুরীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা মর্যাদা পরিপন্থি এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে মো. সাফাতুন নুর চৌধুরীকে (যুগ্ম-আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা) বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে কলেজের কার্যক্রম চলা অবস্থায় ফ্যান নষ্ট থাকার জের ধরে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক . কে এম আতিকুর রহমানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন ছাত্রলীগ নেতা। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শিক্ষককে কিল-ঘুষি-লাথি মেরে আহত করেন তিনি।


ছাত্রলীগ   শিক্ষক পেটানো   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

বহিষ্কার হওয়ার পর যা বললেন রাবির সেই চার ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশ: ০৬:২১ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৪ ছাত্র নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। তবে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি একাধিক ছাত্রনেতার। এমনকি ঘটনা দ্বিপাক্ষিক হলেও একপাক্ষিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দাবি বহিস্কৃত ছাত্রনেতাদের।  

 

বহিস্কৃত ছাত্রনেতারা বলছেন, ঘটনার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখার দাবি তাদের। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন সিদ্ধান্ত একপাক্ষিক হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। ঘটনায় পত্রিকা বা গণমাধ্যমে নাম না উঠলেও বিনা কারণে বহিস্কৃত হয়েছেন।

 

বহিষ্কৃত ছাত্রনেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন বলেন, ‘কি থেকে কি হয়েছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা চার জনের মধ্যে আমার নাম উল্লেখ থাকলেও প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সাথে আমার কোনো ধরণের সংশ্লিষ্টতা নেই। ঘটনায় হলের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলে আমাকে পাওয়া যাবে না। এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমার বিরুদ্ধে গিয়েছে। ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। ঘটনার সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই এবং আমি নির্দোষ এ বিষয়টি ঢাকায় গিয়ে সরাসরি কথা বলবো।’ 

 

শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, ‘ঘটনাগুলো দ্বিপাক্ষিক হলেও শুধু আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই দলের বিরুদ্ধে (বাবু-গালিব) এখন পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। আমাদের কারণ নির্দেশনার জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে কিন্তু ঢাকা যাবো কিনা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আজ (১৫ মে) ছিনতাইয়ের অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠেছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যাচার। তা রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনের পূর্ব পরিকল্পিত। আমি আতিকের (হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা) রুমে যায়ই নি। তাহলে আমি তার রুমে ভাঙচুর কিভাবে করব অথবা টাকা কিভাবে হাতিয়ে নিবো? এগুলা আমার বিরুদ্ধে সাজানো একটা নাটক এবং পূর্বপরিকল্পিত।’ 

 

আরেক বহিস্কৃত ছাত্রনেতা ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু বলেন, ‘খুবই একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। এ ঘটনায় পত্রিকা বা গণমাধ্যমে কোথাও আমার নামে অভিযোগ না আসলেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিসের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হয়েছে এটা আমার জানা নেই। তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি তা মাথা পেতে নেব। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি করি। ক্যাম্পাসের কারও রাজনীতি করিনা। এছাড়া ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে কথা বলে বিষয়টা সমাধান করার চেষ্টা করবেন বলে জানান এই ছাত্রনেতা।’

 

বহিষ্কৃত নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল বলেন, ‘ঘটনা যাই হোক আমাদের সর্বোচ্চ অভিভাবক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে রাজি নই। ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে আমরা তাদের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য। তবে আমি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি পান্থ ভাই নাকি (কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক) বলেছেন আমরা নির্দোষ হলে অবশ্যই আমাদের বহিষ্কারাদেশ বাতিল করা হবে। তাই ঢাকায় গিয়ে আমরা লিখিতভাবে আমাদের অবস্থান ব্যক্ত করবো।’

 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তত্বাবধায়ক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠ্যক্রম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোন নেতা-কর্মী নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। আমরা শীঘ্রই সাংগঠনিক সফরে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করব।’ 

 

প্রসঙ্গত, এর আগে ১১ মে রাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দু'পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিষ্ফোরণ ও অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস। সোহরাওয়ার্দী হল সহ আশেপাশের হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে। ঘটনার এক দিন পর ১৩ মে রাতে পুনরায় একই স্থানে অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। 

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৪ মে) সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু এবং  সাংগঠনিক সম্পাদক কাব্বিরুজ্জামান রুহুল এই চার নেতা কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। 


ছাত্রলীগ   রাবি বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

রাবি শাখা ছাত্রলীগের ৪ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ১৫ মে, ২০২৪


Thumbnail

শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার ছাত্রলীগ নেতাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।

 

মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চার ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়। 

 

বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু, এবং শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে শাহিনুল সরকার ডন (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), নিয়াজ মোর্শেদ (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), আশিকুর রহমান অপু (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) ও কাবিরুজ্জামান রুহুল (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।


রাবি   ছাত্রলীগ   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

পাবিপ্রবিতে নিউক্লিয়ার সায়েন্স বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৫:৫৮ পিএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

পাবনা বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েরোল অব দ্য নিউক্লিয়ার সায়েন্স ইন আনরেভেলিং দ্য মিসটেরি অব দ্য ইভ্যুলুশন অব দ্য ইউনিভার্সবিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

 

সোমবার (১৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারী- তে সকাল সাড়ে ১১টায় পদার্থ বিজ্ঞান রসায়ন বিভাগ সেমিনারটি আয়োজন করে।

 

এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক . হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক . কে এম সালাহ্ উদ্দীন এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক . ফজলুল হক।

 

অধ্যাপক . মো. খায়রুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাবিপ্রবির সহযোগি অধ্যাপক জেআইএনআর, রাশিয়ার পোস্ট ডক্টরিয়াল ফেলো . প্রীতম কুমার দাস। 


এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।


নিউক্লিয়ার সায়েন্স   সেমিনার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

সিকৃবিতে রুম দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ১৭

প্রকাশ: ১০:০৯ এএম, ১৩ মে, ২০২৪


Thumbnail সিকৃবিতে রুম দখলকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের সংঘর্ষ

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) রুম দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। রোববার (১২ মে) বিকাল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুস সামাদ আজাদ হলে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।

সিকৃবির আব্দুস সামাদ আজাদ হলের ৫০৭ নম্বর রুমকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, দীর্ঘদিন থেকে রুমটি ফাঁকা পড়ে থাকায় হল থেকে রুম বরাদ্দ পাওয়া কয়েকজন ছাত্রকে রুমে তুলে দেন সভাপতির অনুসারী রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ গ্রুপের নেতা-কর্মীর। এতে আপত্তি জানায় সাংগঠনিক সম্পাদক আরমান হোসেন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। তারা রুমটি নিজেদের বলে দাবি করে। এনিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য ছাত্র পরামর্শ, প্রক্টর, প্রভোস্টরা ছাত্রলীগের সঙ্গে বসলে কথাকাটাকাটির জেরে দ্বিতীয় দফায় আবার সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে মাঠে অবস্থান করে ছাত্রলীগের এই দুই পক্ষ।

সিকৃবির চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. অসিম রঞ্জন রায় জানান, দুই দফা সংঘর্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুজনকে ওসমানী মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়েছেন।

আব্দুস সামাদ আজাদ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মীর মোঃ ইকবাল হাসান বলেন, ক্যাম্পাসে একটি রুমকে নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন। ওই রুমটা তালা মেরে রাখা হয়েছে। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা নিজেরা বসে বিষয়টা সমাধান করবে বলে জানিয়েছে।

সিকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক . সাদ উদ্দিন মাহফুজ বলেন, ‘আব্দুস সামাদ আজাদ হলের একটি রুম নিয়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের ঝামেলা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আমরা সকলের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কারা ঝামেলায় জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো সমস্যা হলে প্রশাসন থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’


সিকৃবি   ছাত্রলীগ   আব্দুস সামাদ আজাদ হল   রুম দখল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন