ক্লাব ইনসাইড

র‌্যাগিং-নির্যাতনের দায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে নিতে হবে: সাদ্দাম

প্রকাশ: ০৬:৫৪ পিএম, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩


Thumbnail র‌্যাগিং- নির্যাতন, যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের পদযাত্রা, সমাবেশ।

র‌্যাগিংয়ের নামে নির্যাতন এবং যৌন হয়রানির মত ঘটনার দায় ‘শুধু ছাত্র সংগঠনগুলোর নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকেও এর দায় নিতে হবে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘র‌্যাগিং ও যৌন হয়রানির ঘটনা ঘটবে, আর ছাত্ররাজনীতির উপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হবে, তা হতে পারে না। কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, হল প্রশাসনকে এর দায় নিতে হবে, আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

রোববার (২৬ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিন থেকে পদযাত্রা শুরু করেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা; এ সময় তারা র‌্যাগিং ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ করেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু-ভাস্কর্যের পাদদেশে সমাবেশ হয়।

সমাবেশ থেকে সচেতনতামূলক সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে বছরের একটি দিন ‘র‌্যাগিং, সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট ও বুলিং প্রতিরোধ দিবস’ হিসেবে পালনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে আহ্বান জানানো হয়।

ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম বলেন, ‘র‌্যাগিং ও সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্টের জন্য যেসব সমস্যা হচ্ছে- তা রোধে সচেতনতামূলক সামাজিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে আমরা বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানাব যে, আপনারা বছরের একটি দিন ঠিক করুন যে দিনটিকে ছাত্রসমাজ র‌্যাগিং ও সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করবে। আমরা মনে করি একটি দিনকে যদি সচেতনতামূলক প্রতিরোধ দিবস হিসেবে বেছে নিতে পারি, তাহলে সার্বিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ আরও বেশি উন্নত হবে, সাংস্কৃতিক পরিবেশ অনেক উন্নত হবে।’

গত ১২ ফেব্রুয়ারি কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলের অতিথি কক্ষে চার ঘণ্টা আটকে রেখে প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। রাত সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় ৩টা পর্যন্ত ওই কক্ষে আটকে রেখে শারীরিক নির্যাতন করা হয় বলে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর অভিযোগ। এর প্রেক্ষাপটে এই র‌্যাগিং ও যৌন হয়রানির বিরুদ্ধে ছাত্রলীগের এই সচেতনতামূলক প্রচারভিযান হলো।

ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্মান্তিক ঘটনা বাংলাদেশের ছাত্র সমাজের হৃদয় ছুঁয়েছে। পাবনা থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ওই ছাত্রী যে সাহসিকতা দেখিয়েছে, ন্যায়বিচারের জন্য লড়াই করার জন্য যে অদম্য স্পৃহা দেখিয়েছে- এর জন্য বেগম রোকেয়া, সুফিয়া কামালের সত্যিকার উত্তরসূরী হিসেবে মনে করি তাকে। আমরা মনে করি, ওই শিক্ষার্থী (নাম উহ্য রাখা হয়েছে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিবাদের নাম। তিনি (শিক্ষার্থী) ন্যায় বিচারের প্রতীকের নাম। আজকের যে র‌্যাগিং-যৌন হয়রানি বিরোধী আন্দোলনের সূচনা হয়েছে, তার প্রতীক হচ্ছেন তিনি। তাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে আমরা অভিবাদন জানাই, স্যালুট জানাই।’

এ ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির আশ্বাসও দিয়েছেন এই ছাত্রলীগ নেতা। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে সুস্পষ্টভাবে ঘোষণা করতে চাই, র‌্যাগিং একটি ক্রিমিনাল অফেন্স। এটি যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলাবিরোধী অপরাধ, একই সঙ্গে এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। একজন শিক্ষার্থীকে র‌্যাগিং, বুলিং কিংবা যৌন হয়রানি করার অধিকার আপনাদের নেই। আপনি যখন এগুলো করছেন, তখন আপনি ফৌজদারি অপরাধে অভিযুক্ত একজন মানুষ। আমরা চাই র‌্যাগিংকে কেন্দ্র করে সকল ছাত্র সংগঠন জিরো টলারেন্স নীতি প্রদর্শন করব। কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকেও জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি মাজহারুল কবির শয়ন সমাবেশে বলেন, ‘হাইকোর্ট থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অ্যান্টি-হ্যারেসমেন্ট, র‌্যাগিং সেল গঠন করতে হবে। আমরা বলতে চাই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে প্রশাসন রয়েছে আপনারা অ্যান্টি-হ্যারাসমেন্ট সেল ও র‍্যাগিং সেল গঠন করুন। আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অধিভুক্ত যেসব প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের প্রশাসনের প্রতি আলটিমেটাম দিতে চাই, আপনারা অতিদ্রুত অ্যান্টি-হ্যারাসমেন্ট সেল ও এন্টি র‌্যাগিং সেল গঠন করুন। যদি এটি করা না হয় তাহলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলবে ৷’

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল ও ঢাকার বিভিন্ন কলেজ বিভিন্ন ইউনিটের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


র‌্যাগিং   নির্যাতন   যৌন হয়রানি   বিরুদ্ধে   ছাত্রলীগ   পদযাত্রা   সমাবেশ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করেই চবিতে চলবে ক্লাস-পরীক্ষা

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে সশরীরে যাবতীয় শ্রেণী কার্যক্রম ও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও ডিনদের নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, দেশের চলমান দাবদাহ বিবেচনা করে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


চবি   শ্রেণী কার্যক্রম   পরীক্ষা   তীব্র তাপদাহ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে অসুস্থ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে অসুস্থ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী

গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার এ ইউনিটের পরীক্ষা দিতে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে সাজিদ হাসান আলিফ নামের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে অতিরিক্ত সময় দেয়া হলেও এ শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি।

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১১ নং কক্ষে দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পরীক্ষা সময় শেষ হলে ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। 

 

কক্ষটিতে কর্তব্যরত শিক্ষক জানায়, ‘হঠাৎ করে খেয়াল করলাম ছেলেটি প্রচুর ঘামাচ্ছে, তাকে দেখে অসুস্থ মনে হচ্ছিলো। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল টিমকে কল করি।’

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বরত নার্স আয়েশা আক্তার রুপা বলেন, ‘অতিরিক্ত গরম, টেনশন থেকে ছেলেটির এমন অবস্থা হতে পারে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তবে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় অ্যাম্বুলেন্স করে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

এ বিষয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর অসুস্থ হওয়ার কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আমার রুমে নিয়ে এসে ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করি। পাশাপাশি যেহেতু ছেলেটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাই একজন রোভার সদস্য কে ডেকে ছেলেটির পরীক্ষা চলমান রাখি। তবে সে সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি।’


গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা   বিশ্ববিদ্যালয়   ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী   অসুস্থ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জবিতে ভর্তিচ্ছুদের পাশে জেলা ভিত্তিক ছাত্র সংগঠনগুলো

প্রকাশ: ১২:৩৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় জেলা ভিত্তিক ছাত্র সংগঠনগুলো

আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) গুচ্ছের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে ২৪ টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ পরীক্ষা। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। 

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সেবা দিতে দেখা গেছে জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনগুলো। দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল, বই, খাতা জমা রাখছেন তারা। এছাড়াও ফ্রি লেবুর শরবত, বিস্কুট ও পানিও দিচ্ছেন বিভিন্ন জেলা ভিত্তিক এসব সংগঠনগুলো।

 

এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থী সাঈদ বলেন, ‘পরীক্ষা দিতে এসে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনগুলো খুবই সাহায্য করছে। কোথায় কিভাবে কি করতে হবে তারা সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমার সিট কোথায় পড়েছে বুঝছিলাম না। পরে জেলা কল্যানের ভাইয়ারা সাহায্য করেছেন।’

 

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ভর্তি পরীক্ষার্থী যারা দূর দূরত্ব থেকে আসছে তাদের কে খাবার পানি, হালকা নাস্তা, তাদের মোবাইল ফোন ও ব্যাগ ইত্যাদি রাখতে ও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে চেষ্টা করছি। নতুনদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে শুভ কামনা।’

 

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি অভিষেক সাহা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত  শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করতে, যাতে তারা যেনো কেউ পরীক্ষা দিতে এসে কোনো রকম হয়রানি না হয়।’


গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা   বিশ্ববিদ্যালয়   ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

চুয়েটে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশ: ০৫:৪১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ঘোষণায় বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের আর শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা এবং জব্দ থাকা ২টি বাসের একটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।

চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক রেজাউল বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি একাডেমিক সভায় চুয়েট বন্ধ ঘোষণা করেছেন উপাচার্য।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বাসে আগুন দেওয়ার পর ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

এর আগে, ২৩ এপ্রিল বাসের ধাক্কায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

চুয়েট   শিক্ষার্থীদের অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

কুবি শাখা ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী

প্রকাশ: ০২:৪৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail কুবি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন

দেশের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ দিনে ৫ লাখ ও সর্বমোট এক কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।  

 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অর্ধ-শতাধিকের বেশি বৃক্ষরোপণ করেন শাখা ছাত্রলীগ। 

সবাইকে বৃক্ষ রোপণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন মাসুম বলেন, "শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে সফলভাবে আমাদের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। কর্মসূচীতে প্রায় ৭০-৮০ টি বিভিন্ন ফলজ, বনজ এবং ঔষধি গাছ আমরা রোপন করেছি। সেই সাথে  গাছগুলো যাতে তীব্র গরমে পানি সংকটে না ভুগে সে ব্যাপারেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি এবং সজাগ থাকছি। আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সবসময়ই গঠনতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় দেশ এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করে যাওয়ায় অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সকলকে উদাত্ত আহবান জানাই আপনারাও বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রতিরোধে আপনার আঙ্গিনায় গাছ লাগান,গাছের যত্ন নিন এবং আগামীর জন্য সুস্থ এবং সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে অংশগ্রহণ করুন।"


ছাত্রলীগ   বৃক্ষরোপন   তীব্র তাপদাহ   SDG অর্জন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন