জাহাঙ্গীরনগর
বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) প্রথম বর্ষের এক ছাত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়
অঙ্গনে ইভটিজিং এবং যৌন হয়রানির
প্রতিবাদে ও অভিযুক্তের বিচার
দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের
সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
সোমবার
(১২ই জুন) বেলা আড়াইটায়
বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের পাদদেশে
বিভিন্ন বিভাগের প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থীর উপস্থিতিতে এ মানববন্ধন কর্মসূচী
অনুষ্ঠিত হয়।
নিরাপদ
ক্যাম্পাসের দাবিতে মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা ঘটনা পরবর্তী অভিযুক্ত
পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ যথাযথ
ভাবে হচ্ছে কিনা তার তদারকি
করা সহ ৬ দফা
দাবি উপস্থাপন করেন। দাবিগুলো হলো- ঘটনার
হালনাগাদ তথ্য নিয়মিত ভাবে
শিক্ষার্থীদের জানানো, ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের প্রবেশ ও চলাচল নিয়ন্ত্রণে
পদক্ষেপ গ্রহণ, ক্যাম্পাসে মূল সড়কগুলোতে সিসিটিভি
স্থাপন ও প্রয়োজনীয় সংখ্যক
নিরাপত্তা কর্মী নিয়োজিত করা, অন্ধকারাচ্ছন্ন সড়কগুলোতে
রাত্রিকালীন পর্যাপ্ত আলোর ব্যাবস্থ করা,
পর্যাপ্ত যানবাহন নিশ্চিত করে ক্যাম্পাসে যাতায়াত
ব্যবস্থা নিরাপদ করা।
মানববন্ধনে
ইংরেজি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আবু বক্কর সাদ
বলেন, ‘একজন মেয়েও যেন
বলতে না পারে জাহাঙ্গীরনগরে
মেয়েরা নিরাপদ নয়। যে এমন
ঘটনা ঘটিয়েছে তাকে উপযুক্ত শাস্তি
দিতে হবে যাতে সে
পুনরায় এমন ঘটনা না
করতে পারে। আমরা নিরাপদ ক্যাম্পাস
ও এই ঘটনার সুষ্ঠু
বিচার চাই।’
ভূগোল
ও পরিবেশ বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বেদত্রয়ী গোস্বামী পৃথা বলেন, ‘বিগত
কিছুদিন ধরে এমন কিছু
বিচ্ছিন্ন ঘটনা বারবার ঘটে
গেছে। আবাসিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে জাহাঙ্গীরনগরের দায়িত্ব প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। জনবহুল বা
নির্জন উভয় পরিবেশেই শিক্ষার্থীদের
নিরাপত্তা দিতে হবে।’
নাটক
ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফজলে রাব্বি বলেন,
'আমাদের স্বাধীন দেশ ও স্বাধীন
ক্যাম্পাসে থেকেও নিরাপত্তাহীনতার সমস্যা নিয়ে কথা বলতে
বলতে বাধ্য হচ্ছি যা আমাদের জন্য
লজ্জাজনক। আমরা ঘটনার সুষ্ঠু
বিচার ও নিরাপত্তার দাবি
জানাই। আমাদের দাবি বাস্তবায়িত না
হলে, প্রশাসন ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত না করলে আমরা
৫২'এর মতো আন্দোলনে
সুগঠিত হবো। আমরা চাই
প্রশাসন ঘটনাটির সুষ্ঠু বিচার ও ক্যাম্পাসে আমাদের
নিরাপত্তা নিশ্চিত করুক।’
মানববন্ধন
শেষে নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ছয়দফা দাবি নিয়ে উপাচার্য
অধ্যাপক ড. মো. নূরুল
আলম বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেন শিক্ষার্থীদের একটি
প্রতিনিধি দল।
এসময়
উপাচার্য বলেন, ‘আমরা ক্যাম্পাসের সার্বিক
নিরাপত্তা জোরদারের ব্যাপারে সর্বাদাই সোচ্চার। অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল ও তার সহযোগীর
বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। তার
সহযোগী বিদ্যুৎ চৌধুরীকে পুলিশ ইতোমধ্যে গ্রেফতার করেছে।’
তিনি
আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ স্থান এবং সড়কগুলোতে ল্যাম্পপোস্ট
মেরামতের কাজ দ্রুততম সময়ের
মধ্যে সম্পন্ন করার জন্য নির্দেশ
দিয়েছি। ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তা বাড়ানোর স্বার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ দ্রতই শুরু
করা হবে। এ ব্যাপারে
আইআইটির পরিচালকের সাথে আমার কথা
হয়েছে। শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের মোবাইল নাম্বার ও ২৪ ঘন্টা
হটলাইন সার্ভিস নাম্বার আমরা আগামীকালের মধ্যে
সব আবাসিক হলে সংযোজন করার
নির্দেশ দিয়েছি।
প্রসঙ্গত,
গতকাল রবিবার (১১ জুন) রাত
সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের
বোটানিক্যাল গার্ডেন সংলগ্ন সড়কে বহিরাগত এক
পুলিশ সদস্য কর্তৃক ইভটিজিং ও যৌন হয়রানির
শিকার হন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম
বর্ষের এক শিক্ষার্থী। এসময়
সেই পুলিশ কনস্টেবলকে গণপিটুনি দেয় শিক্ষার্থীরা।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি, নিরাপত্তা শাখা
এবং আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ ও এএসপির (সার্কেল)
উপস্থিতিতে অভিযুক্তকে পুলিশে সোপর্দ করা হয় ।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা সুদীপ্ত শাহিন বাদী হয়ে আশুলিয়া
থানায় একটি মামলা দায়ের
করেন।
মন্তব্য করুন
শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার ছাত্রলীগ নেতাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।
মঙ্গলবার (১৪ মে) বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই চার ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কার হওয়া ছাত্রলীগ নেতারা হলেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু, এবং শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে শাহিনুল সরকার ডন (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), নিয়াজ মোর্শেদ (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা), আশিকুর রহমান অপু (যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) ও কাবিরুজ্জামান রুহুল (সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা) কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হলো এবং তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব উল্লেখিত ব্যক্তিদের আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।
মন্তব্য করুন
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘রোল অব দ্য নিউক্লিয়ার সায়েন্স ইন আনরেভেলিং দ্য মিসটেরি অব দ্য ইভ্যুলুশন অব দ্য ইউনিভার্স’ বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (১৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যালারী-২ তে সকাল সাড়ে ১১টায় পদার্থ বিজ্ঞান ও রসায়ন বিভাগ সেমিনারটি আয়োজন করে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাফিজা খাতুন। বিশেষ অতিথি ছিলেন কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. কে এম সালাহ্ উদ্দীন এবং বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ফজলুল হক।
অধ্যাপক ড. মো. খায়রুল হকের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পাবিপ্রবির সহযোগি অধ্যাপক ও জেআইএনআর, রাশিয়ার পোস্ট ডক্টরিয়াল ফেলো ড. প্রীতম কুমার দাস।
এ সময় বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
মন্তব্য করুন
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (সিকৃবি) রুম দখল নিয়ে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ১৭ জন। রোববার (১২ মে) বিকাল ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুস সামাদ আজাদ হলে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
সিকৃবির আব্দুস
সামাদ আজাদ হলের ৫০৭ নম্বর রুমকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। জানা যায়, দীর্ঘদিন
থেকে রুমটি ফাঁকা পড়ে থাকায় হল থেকে রুম বরাদ্দ পাওয়া কয়েকজন ছাত্রকে রুমে তুলে দেন
সভাপতির অনুসারী রিয়াজুল ইসলাম রিয়াদ গ্রুপের নেতা-কর্মীর। এতে আপত্তি জানায় সাংগঠনিক
সম্পাদক আরমান হোসেন গ্রুপের নেতা-কর্মীরা। তারা রুমটি নিজেদের বলে দাবি করে। এনিয়ে
কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দু’পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। পরে বিষয়টি সমাধানের জন্য ছাত্র পরামর্শ, প্রক্টর, প্রভোস্টরা ছাত্রলীগের সঙ্গে বসলে কথাকাটাকাটির জেরে দ্বিতীয় দফায় আবার সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে মাঠে অবস্থান করে ছাত্রলীগের এই দুই পক্ষ।
সিকৃবির চিফ
মেডিকেল
অফিসার
ডা.
অসিম
রঞ্জন
রায়
জানান,
দুই
দফা
সংঘর্ষে
১৭
জন
আহত
হয়েছেন।
এর
মধ্যে
দুজনকে
ওসমানী
মেডিকেল
কলেজে
পাঠানো
হয়েছেন।
আব্দুস সামাদ আজাদ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মীর মোঃ ইকবাল হাসান বলেন, ক্যাম্পাসে একটি রুমকে নিয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েকজন ছাত্র আহত হয়েছেন। ওই রুমটা তালা মেরে রাখা হয়েছে। ছাত্রলীগের
নেতা-কর্মীরা নিজেরা বসে বিষয়টা সমাধান করবে বলে জানিয়েছে।
সিকৃবির প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাদ উদ্দিন মাহফুজ বলেন, ‘আব্দুস সামাদ আজাদ হলের একটি রুম নিয়ে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের ঝামেলা হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আমরা সকলের সহযোগিতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কারা এ ঝামেলায় জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনো সমস্যা হলে প্রশাসন থেকে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।’
সিকৃবি ছাত্রলীগ আব্দুস সামাদ আজাদ হল রুম দখল
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ছয়টায় সোহরাওয়ার্দী হলের গেটে এই ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কর্মচারী মনিরুল ইসলাম। তিনি ঐ হলের গার্ডের দায়িত্বে আছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই হলের সহ-সভাপতি ও ইনিস্টিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর) বিভাগের আতিকুর রহমান, মাদার বখ্শ হল ছাত্রলীগ কর্মী এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুল আরিফিন খান সানি এবং একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ও মতিহার হল ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশসহ আরও কয়েকজন। সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী কর্মচারী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে সাড়ে ছয়টার দিকে আতিকের নেতৃত্বে আকাশ, সানিসহ বেশ কয়েকজন আমাকে মারধর করে। আমি নাকি নিয়াজ মোর্শেদকে সহযোগিতা করেছি, সেজন্য তারা আমাকে হাতে-গালে-মাথায় কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমি বিষয়টি হল প্রভোস্টকে জানিয়েছি। তারা আমাকে অভিযোগপত্র দিতে বলেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশ বলেন, ‘আমরা সকালে হলে যাই। সেখানে গিয়ে গার্ডকে আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা তার ফোন চেক করে দেখতে পাই সে শিবির-ছাত্রদল ও নিয়াজ মোর্শদকে আমাদের তথ্য পাচার করেছে৷ মারধরের তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে দু-একটা চড়-থাপ্পর দেওয়া হয়েছে।’
আরেক অভিযুক্ত মাদার বখ্শ ছাত্রলীগ কর্মী শামসুল আরিফিন খান সানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মারধরের ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটাও আমার জানা নেই।’
এ বিষয়ে জানতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর সাথে ফোন কল এবং মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গতকালকের ঘটনার পরে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাতে হলেই অবস্থান করি। এরপর আজ সকালে আতিকের নেতৃত্বে সানি, আকাশসহ বেশ কয়েকজন হলের গার্ড মনিরুল ইসলামকে প্রচণ্ড মারধর করে। আজ ছাত্রকে মারছে, কর্মচারীকে মারছে যারা আমাদের হলকে নিরাপত্তা দেয়। কয়েকদিন পর হয়তো আমাদেরও মার খেতে হবে। এই ঘটনায় আমরা ওই কর্মচারীকে অভিযোগ দিতে বলেছি। আজ সন্ধ্যায় আমাদের একটা মিটিং আছে। আমরা দ্রুত একটা তদন্ত কমিটি গঠন করব।’
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, সকালের ঘটনা আমরা জেনেছি। যেহেতু এটি হলের বিষয় তাই হল প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। হল প্রশাসন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।
প্রসঙ্গত, গতকাল দিবাগত রাতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব গ্রুপ এবং সোহরাওয়ার্দী হল সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। তিন ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। সেখানেই নিয়াজ মোর্শেদকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার সন্দেহে সোহরাওয়ার্দী হলের গার্ডকে মারধরের ঘটনা ঘটে।
মন্তব্য করুন
শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চার ছাত্রলীগ নেতাকে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাথে তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী সাত দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হলো।