ক্লাব ইনসাইড

জাবি ছাত্রলীগ সম্পাদককে বিতাড়িত করার দাবিতে বিক্ষোভ, মুখোমুখি অবস্থানে দুই গ্রুপ

প্রকাশ: ০৫:৩৮ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে ক্যাম্পাস হতে বিতাড়িত করার দাবিতে বিক্ষোভ-মিছিল করেছে ছয় হলের নেতাকর্মীরা।

বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টায় মুরাদ চত্ত্বর থেকে প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীতর উপস্থিতিতে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে ছয় হলের নেতাকর্মীরা। মিছিলটি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রবেশ পথে গিয়ে থামে।

মিছিল চলাকালে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে ক্যাম্পাস থেকে বিতাড়িত করার দাবি জানায়। অপরদিকে হাবিবুর রহমান লিটনের অনুসারীরাও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের গেইটে অবস্থান নেয়। এসময় দুপক্ষের মধ্যেই কুরুচিপূর্ণ গালিগালাজ ও উচ্চবাচ্য বিনিময় হয়।

জানা যায়, গত ২৩ জানুয়ারি শাখা ছাত্রলীগের ছয় হলের নেতাকর্মীরা জমি দখলসহ একাধিক অভিযোগে সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনকে ক্যাম্পাস থেকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ উক্ত ঘটনার তদন্তে চার সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে।

তবে এ ঘটনার তদন্ত চলাকালে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আখতারুজ্জামান সোহেল ও সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল হল ও শেখ হাসিনা হলের হল কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ঘোষণার পরেই ক্ষোভ প্রকাশ করে মুরাদ চত্ত্বরে জড়ো হতে থাকেন হাবিবুর রহমান লিটনকে অবাঞ্ছিত ঘোষণাকারী ছয় হলের নেতাকর্মীরা।

একটি হল কমিটি গঠন করতে হলে সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনা করতে হয়। প্রেস রিলিজের মাধ্যমে শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কোনো আলোচনা ছাড়াই দুই হলের কমিটি গঠন করেছে। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে ও ক্যাম্পাসের রাজনীতি সচল রয়েছে বোঝাতে কোনো আলোচনা ছাড়াই হুটহাট দুই হলের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। এসব কর্মকান্ডের মাধ্যমে সাধারণ সম্পাদক নিজের অপকর্মগুলোকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে' বলে জানান বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা।



 দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থানের ছবি

এ বিষয়ে শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক লেলিন মাহবুব বলেন, অবাঞ্ছিত সেক্রেটারি কিভাবে হল কমিটি দেয় তা আমাদের বোধগম্য না৷ তাছাড়া আমাদের সাথে কোনো ধরনের আলোচনা ছাড়াই দুটি হল কমিটি দেওয়া হয়েছে। আমরা এ কমিটি মানি না, অবিলম্বে অবাঞ্ছিত লিটনকে ক্যাম্পাস ছাড়তে হবে৷

এছাড়া বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা জানায়, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটন স্থানীয় হওয়ায় ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকায় জমি দখল, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা সহ অনেক অপকর্মের সাথে জড়িত। তার বিরুদ্ধে উঠা অভিযোগের তদন্তের ফলাফল নিজের পক্ষে আনতে কমিটিকে উপঢৌকন দিয়ে ম্যানেজ করার চেষ্টা করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সহ-সভাপতি বলেন, কমিটির সদস্যরা তদন্তের জন্য একসাথে আসার কথা। মঙ্গলবার রাতে কমিটির একজন সদস্য একাই ক্যাম্পাসে এসেছেন। তদন্ত এখানে প্রশ্নবিদ্ধ।

নেতাকর্মীদের দাবি, তদন্ত চলাকালীন অবাঞ্ছিত সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরিত কমিটি তারা মেনে নিবেন না। হল কমিটি তারাও চান। তবে তদন্ত শেষে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুসারে ও শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে হল কমিটি গঠন করতে হবে।

এদিকে, দুই ঘন্টারও বেশি সময় ধরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে অবস্থান নেয় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় তিনি দীর্ঘক্ষণ ছয় হলের নেতাকর্মীদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। পরে ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা হলে ফিরে যায়।

এসময় প্রক্টর বলেন, এটি ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। তদন্তের দায়িত্বে যে আছেন আমি তাকে জানিয়েছি৷ ছাত্রলীগের বিষয় ছাত্রলীগ দেখবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো ঘটনা বা বিশৃঙ্খলা না ঘটে সেজন্য আমরা সর্বদা তৎপর রয়েছি।


ছাত্রলীগ   বিক্ষোভ   জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

তালা সংস্কৃতির অবসান চেয়ে কুবিতে শিক্ষকদের মৌন মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৮:৫১ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা মৌন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। রোববার (১২ মে) বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মৌন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মৌন মানববন্ধনে শিক্ষকরা 'প্রতিবাদের ভাষা হোক বুদ্ধিবৃত্তিক ও রুচিবোধের পরিচায়ক', 'শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনে সকলে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করুন', 'গবেষণার প্রণোদনা অব্যাহত থাকুক', 'শিক্ষা ও গবেষণার পথ সুপ্রসন্ন হোক, 'অপরাজনীতি বন্ধ হোক' , 'সেশনজট মুক্ত ও শান্তিময় ক্যাম্পাস আমাদের কাম্য', '২৮ এপ্রিল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক', 'শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক হোক সৌহার্দপূর্ণ ও সম্মানের', 'তালা সংস্কৃতির অবসান হোক', 'প্রাণের কুবিতে তালা সংস্কৃতির এটাই হোক শেষ চর্চা', 'দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা জিম্মি কেন', 'এগিয়ে যাবে সবসময়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়', 'মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে লিডিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক' লেখা সম্বলিত প্লে-কার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়ান। 

এই মৌন মানববন্ধনে  উপস্থিত ছিলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসা. শামসুন্নাহার, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ হাবিবুর রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসান, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ সজীব রহমান, মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু ওবায়দা রাহিদ,আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমেনা বেগম, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক কাশমি সুলতানা সহ আরো অনেকে। 

উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে প্রবেশে বাঁধা প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-উপাচার্য ও ছাত্রলীগের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এরপর শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা অবস্থান কর্মসূচি, কুশপুত্তলিকা ঝুলানো সহ নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

রাবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হল প্রহরীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৬:২৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ছয়টায় সোহরাওয়ার্দী হলের গেটে এই ঘটনা ঘটে।

 

ভুক্তভোগী কর্মচারী মনিরুল ইসলাম। তিনি ঐ হলের গার্ডের দায়িত্বে আছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই হলের সহ-সভাপতি ও ইনিস্টিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর) বিভাগের আতিকুর রহমান, মাদার বখ্শ হল ছাত্রলীগ কর্মী এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুল আরিফিন খান সানি এবং একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ও মতিহার হল ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশসহ আরও কয়েকজন। সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী বলে জানা গেছে।

 

ভুক্তভোগী কর্মচারী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে সাড়ে ছয়টার দিকে আতিকের নেতৃত্বে আকাশ, সানিসহ বেশ কয়েকজন আমাকে মারধর করে। আমি নাকি নিয়াজ মোর্শেদকে সহযোগিতা করেছি, সেজন্য তারা আমাকে হাতে-গালে-মাথায় কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমি বিষয়টি হল প্রভোস্টকে জানিয়েছি। তারা আমাকে অভিযোগপত্র দিতে বলেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশ বলেন, ‘আমরা সকালে হলে যাই। সেখানে গিয়ে গার্ডকে আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা তার ফোন চেক করে দেখতে পাই সে শিবির-ছাত্রদল ও নিয়াজ মোর্শদকে আমাদের তথ্য পাচার করেছে৷ মারধরের তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে দু-একটা চড়-থাপ্পর দেওয়া হয়েছে।’ 

 

আরেক অভিযুক্ত মাদার বখ্শ ছাত্রলীগ কর্মী শামসুল আরিফিন খান সানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মারধরের ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটাও আমার জানা নেই।’

 

এ বিষয়ে জানতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর সাথে ফোন কল এবং মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গতকালকের ঘটনার পরে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাতে হলেই অবস্থান করি। এরপর আজ সকালে আতিকের নেতৃত্বে সানি, আকাশসহ বেশ কয়েকজন হলের গার্ড মনিরুল ইসলামকে প্রচণ্ড মারধর করে। আজ ছাত্রকে মারছে, কর্মচারীকে মারছে যারা আমাদের হলকে নিরাপত্তা দেয়। কয়েকদিন পর হয়তো আমাদেরও মার খেতে হবে। এই ঘটনায় আমরা ওই কর্মচারীকে অভিযোগ দিতে বলেছি। আজ সন্ধ্যায় আমাদের একটা মিটিং আছে। আমরা দ্রুত একটা তদন্ত কমিটি গঠন করব।’

 

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, সকালের ঘটনা আমরা জেনেছি। যেহেতু এটি হলের বিষয় তাই হল প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। হল প্রশাসন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।

 

প্রসঙ্গত, গতকাল দিবাগত রাতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব গ্রুপ এবং সোহরাওয়ার্দী হল সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। তিন ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। সেখানেই নিয়াজ মোর্শেদকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার সন্দেহে সোহরাওয়ার্দী হলের গার্ডকে মারধরের ঘটনা ঘটে।


ছাত্রলীগ   রাবি   হল প্রহরী   মারধর  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মুট কোর্ট ক্লাবের উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৬:১১ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মুট কোর্ট ক্লাবের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মানবাধিকার বিভাগের আয়োজনে এসে প্রধান অতিথি হিসেবে এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ ক্লাবের উদ্বোধন করে৷ 

 

আইন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর আবু নাসের মোঃ ওয়াহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর ও উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।

 

জানা গেছে, উদ্বোধন পর্ব শেষে মুট কোর্টে প্রতীকী বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এটর্নি জেনারেল ও রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ জিয়াউর রহমান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মামলার বাদী, সাক্ষী, আসামি, আদালতের কর্মচারী ও আইনজীবীর ভূমিকায় ছিলেন।

 

মুট কোর্ট পর্বে বিচারক ছিলেন রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফ আলি ও অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ হাসান চৌধুরী। মুট কোর্টের বিষয়বস্তু ছিল নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা। উভয়পক্ষ ট্রায়ালে একের পর এক সাক্ষ্য প্রমাণ ও আইনি-যুক্তি স্থাপন এবং খন্ডন করেন। শেষে পক্ষদ্বয়ের আইনজীবীদের মধ্যে চলতে থাকে যুক্তিতর্ক এবং কাক্সিক্ষত বিচার প্রার্থনা। এসময় শিক্ষার্থীদের অভাবনীয় নৈপুণ্যে বিচারক মহোদয় অত্যন্ত মুগ্ধ হন।

 

এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আইনের ছাত্ররা একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে গড়ে উঠলে দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করতে পারবে। এজন্য অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নেবে।’

 

এদিকে দুপুরে সিনেট হলে ‘ওয়ে ফরওয়ার্ড ইন লিগাল প্রফেশন’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল। সেমিনারে অতিথি বক্তা ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আশরাফ আলী। 

 

এসময় কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘শুধু প্রাতিষ্ঠানিক আইনশিক্ষাই নয়, বরং বাস্তব জীবনে আইনের প্রয়োগভিত্তিক কার্যপ্রণালী হাতেকলমে শেখার জন্য এ মক ট্রায়াল রুম তৈরি করা হয়েছে।’ 

সেমিনারে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফয়জার রহমান, রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারমিতা জামান, আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


মুট ক্লাব   আইন বিভাগ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

রাতভর সংঘর্ষের পর রাবির পরিস্থিতি স্বাভাবিক

প্রকাশ: ০৮:৩১ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ, চলে রাত ৩টা পর্যন্ত। অবশেষে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান পরিচালনা করে। তবে কোনো ধরনের অস্ত্র পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন হলের প্রাধক্ষ্য ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

প্রাধক্ষ্য জাহাঙ্গীর বলেন, ‌আমরা হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে হলে প্রবেশ করেছিলাম। আমরা চেষ্টা করেছি সবার রুমে তল্লাশি করার। এছাড়াও আমরা যে রুমগুলোতে সন্দেহ করেছিলাম অস্ত্র থাকতে পারে সেগুলোতে তল্লাশি করি কিন্তু কোনো অস্ত্র পাইনি। ভাঙা ইট বা চেয়ারের ভাঙা হাতল পেয়েছি। কিছু শিক্ষার্থীর রুমে তালা লাগানো ছিল, আমরা ধারণা করছি তারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ডাইনিংয়ের ছাদ দিয়ে তারা হল ত্যাগ করেছে। হলে বর্তমানে কোনো বহিরাগত নেই।‘

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, এমন ঘটনা দুঃখজনক। দুই গ্রুপের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি বিষয়টি সমাধান করার। আমরা দুই পক্ষেরই সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে সব সময় সতর্ক। তারপরেও একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিছু ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া হয়েছে। তবে হলের মধ্যে যখন আমরা গেলাম তখন এ ধরনের কোনো নমুনা পাইনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ডিসি মধুসূদন রায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন স্বাভাবিক এবং পড়াশোনার পরিবেশ বজায় থাকে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন নির্ভয়ে পড়াশোনা করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ চাইলেই সহজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি কোনো সহযোগিতা লাগে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। আজকের ঘটনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। 


সংঘর্ষ   রাবি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান হলেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক!

প্রকাশ: ০৭:০৭ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পেয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেন।

শনিবার (১১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদের নির্দেশে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে এই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে আইনগত জটিলতা থাকায় এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিভগের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনকল্পে প্রণীত ২০০৯ সনের ২৯ নং আইনের ধারা ১১ (১১) অনুসারে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব প্রদান করা হলো। তার এই নিয়োগ আদেশ ১২ মে ২০২৪ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। 

প্রসঙ্গত, প্রায় দুই মাস ধরে বেরোবির সাংবাদিকতা বিভাগে বিভাগীয় প্রধানের পদ শূন্য থাকায় একাডেমিকভাবে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ সমস্যা সমাধানের জন্য গত ৫ ও ৬ মে একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য এ সমস্যা সমাধানে এক সপ্তাহ সময় চাইলে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে ফিরে যান।

জানা যায়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম গত ১০ মার্চ বিভাগীয় প্রধান হিসেবে তার দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করেন। এরপর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর ধারা-২৮(৩) অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার কথা ছিল সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান থাকায় তিনি দায়িত্ব নিতে পারেননি। ওই দিন সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। এরপর ১২ মার্চ সহকারী অধ্যাপক সারোয়ার আহমাদ এবং ১৯ মার্চ সহকারী অধ্যাপক মো. রহমতুল্লাহকে দায়িত্ব প্রদান করা হলে তারাও দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। ফলে বিভাগটির বিভাগীয় প্রধানের পদ শূন্য থাকে।  


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)   গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ   অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন