ক্লাব ইনসাইড

লিবারেল মাইন্ডসের 'সভাপতির পদত্যাগ' নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানালো কুবির ইংরেজি বিভাগ

প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ০২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

গত ২৯ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) ঘটে যাওয়া কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগের সহযোগী সংগঠন লিবারেল মাইন্ডসের 'সভাপতির পদত্যাগ' নিয়ে নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) ইংরেজি বিভাগ। 

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিভাগের জরুরি সভার পর ইংরেজি বিভাগের মোট ৮ জন শিক্ষকের স্বাক্ষরে 'সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া একটি অনাকাঙ্খিত ঘটনার প্রেক্ষিতে, ইংরেজি বিভাগ, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়-এর অবস্থান' শিরোনামে বিষয়টি জানানো হয়।

বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, চলতি বছরের ৩০ জানুয়ারি (বুধবার) কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থীদের সংগঠন লিবারেল মাইন্ডসের প্রাক্তন সভাপতি এবং ইংরেজি বিভাগের ছাত্র মো: আনোয়ার আজম একই বিভাগের একজন সম্মানিত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগসহ বিভাগীয় প্রধানের নিকট একটি পদত্যাগপত্র নিয়ে আসে এবং যে খবরটি পরবর্তীতে গণমাধ্যমে কাভারেজ পায়। উক্ত ঘটনার প্রেক্ষিতে বিভাগে একটি জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয় এবং সেখানে কিছু সিদ্ধান্তের পাশাপাশি এই বিষয়ে বিভাগের অবস্থানমূলক বিবৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। 

গেল বছরের ১৮ জুলাই ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মাস্টার্স চূড়ান্ত পর্বের পরীক্ষা শেষ হওয়ায় বিভাগ উক্ত শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী মো: আনোয়ার আজমের লিবারেল মাইন্ডসের সভাপতি পদ হতে পদত্যাগ পত্রটি গ্রহণ করা বা আমলে নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা মনে করেনি।

কারণ, ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের একাডেমিক কমিটি মিটিংয়ে লিবারেল মাইন্ডসের গঠনতন্ত্র সংশোধনকালে সিদ্ধান্ত হয় যে মাস্টার্স চূড়ান্ত পর্ব থেকে সভাপতি নির্বাচিত হবেন এবং যেহেতু সংগঠনটির কার্যনিবাহী পরিষদের মেয়াদ এক বছর এবং উক্ত শিক্ষাবর্ষের শ্রেণি কার্যক্রম আর মাত্র কয়েক মাস বাকি সে প্রেক্ষিতে সভাপতির কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার জন্য "সহ-সভাপতি" পদটি সৃষ্টি করা হয়। সে মোতাবেক, ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসের প্রথম মিটিংয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী পরবর্তী প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মোহাঃ হাবিবুর রহমান লিবারেল মাইন্ডসের সহ-সভাপতি এবং সেক্রেটারিকে নিয়ে নির্বাচন কার্যক্রমটি পরিচালনা করেন।

উল্লেখ্য যে, বিভাগে মো: আনোয়ার আজম অভিযোগ পত্রটি জমা দিতে আসলে বিভাগের দুই জন সিনিয়র শিক্ষক তার সাথে কথা বলে আশ্বাস দেন যে সে কষ্ট পেয়ে থাকলে বিভাগ সেটা দেখবে। তাকে পরদিন সকাল ১০.০০ টায় বিভাগের সিনিয়র শিক্ষকদের সাথে বসার আহ্বান জানিয়ে সে পর্যন্ত ধৈর্য্য ধারণ করার পরামর্শ জানালে হলেও সে কয়েকটি দপ্তরে অভিযোগ পত্রটি প্রেরণ করে।

দ্বিতীয়ত, মো: আনোয়ার আজম দাবি করেন যে তিনি প্রধান উপদেষ্টা তথা প্রধান নির্বাচন কমিশনারের নির্দেশে নির্বাচন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেন এবং তাঁর সাথে কথা বলে (যা সে পদত্যাগপত্র জমা দিতে এসে দাবি করে) উক্ত অভিযোগপত্রটি পেশ করেন। অত্যন্ত দুঃখজনক হলেও তার এই দাবি একজন সিনিয়র শিক্ষককের বিরুদ্ধে চরম মিথ্যাচার বলে সভায় প্রতীয়মান হয়। পদত্যাগপত্রে মো: আনোয়ার আজম আরো দাবি করেন যে বিভাগীয় শিক্ষক শারমিন সুলতানা তাকে "উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে", "ধমকাতে থাকেন" এবং "মানহানিকর আচরণ" করেন। নিজ শিক্ষকের বিরুদ্ধে এমন শব্দ চয়নকে ইংরেজি বিভাগের কাছে নৈতিকতার চরম অবক্ষয় বলে মনে হয়। একজন শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীকে শাসন করার অধিকার না থাকাটা তার শিক্ষাদানের অধিকারকে খর্ব করার শামিল। তাছাড়া ছাত্র-শিক্ষক সর্ম্পকের মধ্যে কোন প্রকার ভুল বোঝাবুঝি হলে কিংবা একের কর্তৃক অন্য কষ্ট পেলে সেটা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানটি কাম্য ছিল যে সুযোগ ঐ শিক্ষার্থী গ্রহণ করেননি।

উক্ত পদত্যাগপত্রে মো: আনোয়ার আজম সংগঠনটির সেক্রেটারি মোঃ নয়ন মিয়াকে নিয়েও কিছু মিথ্যাচার করেন। মোঃ নয়ন মিয়া বলেন তিনি এই বিষয় কিছু জানেননা কারণ তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেননা। তিনি শিক্ষকদের আরো জানানা যে সিনিয়র ভাই আনোয়ার আজমের কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন তাকে কেন জড়ানো হলো।

মোঃ আনোয়ার আজমের এই পদত্যাগপত্রের ভিত্তিতে গত ৩০ জানুয়ারি  শারমিন সুলতানাকে নিয়ে তাঁর অনুমতি ব্যতিত ছবি ব্যবহার করে অনলাইন পত্রপত্রিকা খবর ছাপিয়ে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করে যা অত্যন্ত আপত্তিকর ও শিষ্টাচার বর্হিভূত। তাছাড়া, উক্ত খবরগুলি প্রকাশিত হয়েছে কোন প্রকার ক্রস-চেকিং ছাড়াই।নিজেদের অবস্থান জানালো কুবির ইংরেজি বিভাগ


লিবারেল মাইন্ডস   কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়   মোঃ আনোয়ার আজম  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

তালা সংস্কৃতির অবসান চেয়ে কুবিতে শিক্ষকদের মৌন মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৮:৫১ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

সাম্প্রতিক সময়ের বিভিন্ন ঘটনার প্রতিবাদে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকরা মৌন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে। রোববার (১২ মে) বিকাল ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে এই মৌন মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা।

মৌন মানববন্ধনে শিক্ষকরা 'প্রতিবাদের ভাষা হোক বুদ্ধিবৃত্তিক ও রুচিবোধের পরিচায়ক', 'শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি নিরসনে সকলে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করুন', 'গবেষণার প্রণোদনা অব্যাহত থাকুক', 'শিক্ষা ও গবেষণার পথ সুপ্রসন্ন হোক, 'অপরাজনীতি বন্ধ হোক' , 'সেশনজট মুক্ত ও শান্তিময় ক্যাম্পাস আমাদের কাম্য', '২৮ এপ্রিল ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত হোক', 'শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সম্পর্ক হোক সৌহার্দপূর্ণ ও সম্মানের', 'তালা সংস্কৃতির অবসান হোক', 'প্রাণের কুবিতে তালা সংস্কৃতির এটাই হোক শেষ চর্চা', 'দাবি আদায়ে শিক্ষার্থীরা জিম্মি কেন', 'এগিয়ে যাবে সবসময়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়', 'মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণার মাধ্যমে লিডিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকুক' লেখা সম্বলিত প্লে-কার্ড হাতে নিয়ে দাঁড়ান। 

এই মৌন মানববন্ধনে  উপস্থিত ছিলেন লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. রশিদুল ইসলাম শেখ, অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোসা. শামসুন্নাহার, ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. বনানী বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. মুহম্মদ হাবিবুর রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামাল হোসাইন, ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শারমিন সুলতানা, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. জাহিদ হাসান, একাউন্টিং এন্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুহাম্মদ সজীব রহমান, মার্কেটিং বিভাগের প্রভাষক আবু ওবায়দা রাহিদ,আইসিটি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমেনা বেগম, আইসিটি বিভাগের প্রভাষক কাশমি সুলতানা সহ আরো অনেকে। 

উল্লেখ্য, গত ২৮ এপ্রিল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য কার্যালয়ে প্রবেশে বাঁধা প্রদানের সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-উপাচার্য ও ছাত্রলীগের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। এরপর শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দরা অবস্থান কর্মসূচি, কুশপুত্তলিকা ঝুলানো সহ নানা কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছে উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষের পদত্যাগ চেয়ে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

রাবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে হল প্রহরীকে মারধরের অভিযোগ

প্রকাশ: ০৬:২৫ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের এক কর্মচারীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। রোববার (১২ মে) সকাল সাড়ে ছয়টায় সোহরাওয়ার্দী হলের গেটে এই ঘটনা ঘটে।

 

ভুক্তভোগী কর্মচারী মনিরুল ইসলাম। তিনি ঐ হলের গার্ডের দায়িত্বে আছেন। অন্যদিকে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা একই হলের সহ-সভাপতি ও ইনিস্টিউট অব এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চ (আইইআর) বিভাগের আতিকুর রহমান, মাদার বখ্শ হল ছাত্রলীগ কর্মী এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থী শামসুল আরিফিন খান সানি এবং একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী ও মতিহার হল ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশসহ আরও কয়েকজন। সকলেই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর অনুসারী বলে জানা গেছে।

 

ভুক্তভোগী কর্মচারী মনিরুল ইসলাম বলেন, ‘সকালে সাড়ে ছয়টার দিকে আতিকের নেতৃত্বে আকাশ, সানিসহ বেশ কয়েকজন আমাকে মারধর করে। আমি নাকি নিয়াজ মোর্শেদকে সহযোগিতা করেছি, সেজন্য তারা আমাকে হাতে-গালে-মাথায় কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে আঘাত করে। আমি বিষয়টি হল প্রভোস্টকে জানিয়েছি। তারা আমাকে অভিযোগপত্র দিতে বলেছেন। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুল হক আকাশ বলেন, ‘আমরা সকালে হলে যাই। সেখানে গিয়ে গার্ডকে আমাদের সন্দেহ হয়। আমরা তার ফোন চেক করে দেখতে পাই সে শিবির-ছাত্রদল ও নিয়াজ মোর্শদকে আমাদের তথ্য পাচার করেছে৷ মারধরের তেমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে দু-একটা চড়-থাপ্পর দেওয়া হয়েছে।’ 

 

আরেক অভিযুক্ত মাদার বখ্শ ছাত্রলীগ কর্মী শামসুল আরিফিন খান সানি অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এটার সাথে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মারধরের ঘটনা ঘটেছে কিনা সেটাও আমার জানা নেই।’

 

এ বিষয়ে জানতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুর সাথে ফোন কল এবং মেসেজের মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।

 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের প্রাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গতকালকের ঘটনার পরে আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে রাতে হলেই অবস্থান করি। এরপর আজ সকালে আতিকের নেতৃত্বে সানি, আকাশসহ বেশ কয়েকজন হলের গার্ড মনিরুল ইসলামকে প্রচণ্ড মারধর করে। আজ ছাত্রকে মারছে, কর্মচারীকে মারছে যারা আমাদের হলকে নিরাপত্তা দেয়। কয়েকদিন পর হয়তো আমাদেরও মার খেতে হবে। এই ঘটনায় আমরা ওই কর্মচারীকে অভিযোগ দিতে বলেছি। আজ সন্ধ্যায় আমাদের একটা মিটিং আছে। আমরা দ্রুত একটা তদন্ত কমিটি গঠন করব।’

 

এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, সকালের ঘটনা আমরা জেনেছি। যেহেতু এটি হলের বিষয় তাই হল প্রশাসনকে বিষয়টি দেখতে বলা হয়েছে। হল প্রশাসন এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে।

 

প্রসঙ্গত, গতকাল দিবাগত রাতে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবু ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুল্লা-হিল-গালিব গ্রুপ এবং সোহরাওয়ার্দী হল সভাপতি নিয়াজ মোর্শেদের গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেখানে দেশীয় অস্ত্র প্রদর্শন, ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে। তিন ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। সেখানেই নিয়াজ মোর্শেদকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার সন্দেহে সোহরাওয়ার্দী হলের গার্ডকে মারধরের ঘটনা ঘটে।


ছাত্রলীগ   রাবি   হল প্রহরী   মারধর  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মুট কোর্ট ক্লাবের উদ্বোধন

প্রকাশ: ০৬:১১ পিএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে মুট কোর্ট ক্লাবের উদ্বোধন করা হয়েছে। রবিবার (১২ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও মানবাধিকার বিভাগের আয়োজনে এসে প্রধান অতিথি হিসেবে এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন এ ক্লাবের উদ্বোধন করে৷ 

 

আইন বিভাগের কো-অর্ডিনেটর প্রফেসর আবু নাসের মোঃ ওয়াহিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখর ও উপাচার্য (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা।

 

জানা গেছে, উদ্বোধন পর্ব শেষে মুট কোর্টে প্রতীকী বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করেন এটর্নি জেনারেল ও রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোঃ জিয়াউর রহমান। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থীরা মামলার বাদী, সাক্ষী, আসামি, আদালতের কর্মচারী ও আইনজীবীর ভূমিকায় ছিলেন।

 

মুট কোর্ট পর্বে বিচারক ছিলেন রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ আশরাফ আলি ও অ্যাডভোকেট মো. মাসুদ হাসান চৌধুরী। মুট কোর্টের বিষয়বস্তু ছিল নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা। উভয়পক্ষ ট্রায়ালে একের পর এক সাক্ষ্য প্রমাণ ও আইনি-যুক্তি স্থাপন এবং খন্ডন করেন। শেষে পক্ষদ্বয়ের আইনজীবীদের মধ্যে চলতে থাকে যুক্তিতর্ক এবং কাক্সিক্ষত বিচার প্রার্থনা। এসময় শিক্ষার্থীদের অভাবনীয় নৈপুণ্যে বিচারক মহোদয় অত্যন্ত মুগ্ধ হন।

 

এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘আইনের ছাত্ররা একজন দক্ষ আইনজীবী হিসেবে গড়ে উঠলে দেশ ও জাতির কল্যানে কাজ করতে পারবে। এজন্য অনুশীলনের কোন বিকল্প নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কার্যক্রম শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নেবে।’

 

এদিকে দুপুরে সিনেট হলে ‘ওয়ে ফরওয়ার্ড ইন লিগাল প্রফেশন’ শীর্ষক একটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন অ্যাটর্নি জেনারেল। সেমিনারে অতিথি বক্তা ছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মিনহাজুল হক চৌধুরী ও ব্যারিস্টার মুহাম্মদ আশরাফ আলী। 

 

এসময় কো-অর্ডিনেটর অধ্যাপক আবু নাসের মো. ওয়াহিদ সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘শুধু প্রাতিষ্ঠানিক আইনশিক্ষাই নয়, বরং বাস্তব জীবনে আইনের প্রয়োগভিত্তিক কার্যপ্রণালী হাতেকলমে শেখার জন্য এ মক ট্রায়াল রুম তৈরি করা হয়েছে।’ 

সেমিনারে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ফয়জার রহমান, রেজিস্ট্রার সুরঞ্জিত মন্ডল, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পারমিতা জামান, আইন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।


মুট ক্লাব   আইন বিভাগ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

রাতভর সংঘর্ষের পর রাবির পরিস্থিতি স্বাভাবিক

প্রকাশ: ০৮:৩১ এএম, ১২ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলের গেস্টরুমে বসাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। শনিবার দিবাগত রাত ১২টা থেকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ, চলে রাত ৩টা পর্যন্ত। অবশেষে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় পুলিশ সোহরাওয়ার্দী হলে অভিযান পরিচালনা করে। তবে কোনো ধরনের অস্ত্র পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছেন হলের প্রাধক্ষ্য ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।

প্রাধক্ষ্য জাহাঙ্গীর বলেন, ‌আমরা হল প্রশাসন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনকে সঙ্গে নিয়ে হলে প্রবেশ করেছিলাম। আমরা চেষ্টা করেছি সবার রুমে তল্লাশি করার। এছাড়াও আমরা যে রুমগুলোতে সন্দেহ করেছিলাম অস্ত্র থাকতে পারে সেগুলোতে তল্লাশি করি কিন্তু কোনো অস্ত্র পাইনি। ভাঙা ইট বা চেয়ারের ভাঙা হাতল পেয়েছি। কিছু শিক্ষার্থীর রুমে তালা লাগানো ছিল, আমরা ধারণা করছি তারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ছিল। ডাইনিংয়ের ছাদ দিয়ে তারা হল ত্যাগ করেছে। হলে বর্তমানে কোনো বহিরাগত নেই।‘

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, এমন ঘটনা দুঃখজনক। দুই গ্রুপের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ হয়েছে। আমরা চেষ্টা করেছি বিষয়টি সমাধান করার। আমরা দুই পক্ষেরই সঙ্গে কথা বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে সব সময় সতর্ক। তারপরেও একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিছু ককটেল বিস্ফোরণ হয়েছে, লাঠি বা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহড়া হয়েছে। তবে হলের মধ্যে যখন আমরা গেলাম তখন এ ধরনের কোনো নমুনা পাইনি। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত আছে।

এ বিষয়ে মতিহার থানার ডিসি মধুসূদন রায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যেন স্বাভাবিক এবং পড়াশোনার পরিবেশ বজায় থাকে, সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন নির্ভয়ে পড়াশোনা করতে পারে সেই লক্ষ্যে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কাজ করি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ চাইলেই সহজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বিশ্ববিদ্যালয়ের যদি কোনো সহযোগিতা লাগে আমরা সর্বদা প্রস্তুত। আজকের ঘটনায় আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের সঙ্গে এক হয়ে কাজ করেছি। এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। 


সংঘর্ষ   রাবি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

সাংবাদিকতা বিভাগের প্রধান হলেন অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক!

প্রকাশ: ০৭:০৭ পিএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব পেয়েছেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেন।

শনিবার (১১ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হাসিবুর রশীদের নির্দেশে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলমগীর চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তাকে এই পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে কর্মরত শিক্ষকদের মধ্যে আইনগত জটিলতা থাকায় এবং উদ্ভূত পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে বিভগের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপনকল্পে প্রণীত ২০০৯ সনের ২৯ নং আইনের ধারা ১১ (১১) অনুসারে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের বিভাগীয় প্রধানের (ভারপ্রাপ্ত) দায়িত্ব প্রদান করা হলো। তার এই নিয়োগ আদেশ ১২ মে ২০২৪ তারিখ থেকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে। 

প্রসঙ্গত, প্রায় দুই মাস ধরে বেরোবির সাংবাদিকতা বিভাগে বিভাগীয় প্রধানের পদ শূন্য থাকায় একাডেমিকভাবে বিভিন্ন সমস্যায় পড়েন শিক্ষার্থীরা। এ সমস্যা সমাধানের জন্য গত ৫ ও ৬ মে একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা। পরে উপাচার্য এ সমস্যা সমাধানে এক সপ্তাহ সময় চাইলে শিক্ষার্থীরা সমস্যা সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস বর্জন করে ফিরে যান।

জানা যায়, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম গত ১০ মার্চ বিভাগীয় প্রধান হিসেবে তার দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করেন। এরপর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর আইন ২০০৯ এর ধারা-২৮(৩) অনুযায়ী জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার কথা ছিল সহযোগী অধ্যাপক তাবিউর রহমান প্রধানের। কিন্তু তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা চলমান থাকায় তিনি দায়িত্ব নিতে পারেননি। ওই দিন সহকারী অধ্যাপক নিয়ামুন নাহারকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। এরপর ১২ মার্চ সহকারী অধ্যাপক সারোয়ার আহমাদ এবং ১৯ মার্চ সহকারী অধ্যাপক মো. রহমতুল্লাহকে দায়িত্ব প্রদান করা হলে তারাও দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেন। ফলে বিভাগটির বিভাগীয় প্রধানের পদ শূন্য থাকে।  


বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় (বেরোবি)   গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ   অধ্যাপক ড. মোরশেদ হোসেন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন