ক্লাব ইনসাইড

ঋতুরাজ বসন্তকে স্বাগত জানিয়েছে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়

প্রকাশ: ০৩:১৮ পিএম, ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

শাহজাদপুরে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নামে প্রতিষ্ঠিত রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্ণাঢ্যভাবে উদযাপিত হয়েছে বসন্ত বরণ উৎসব। ফাল্গুনের প্রথম দিনের সকালে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আনন্দমুখর পরিবেশে একাডেমিক ভবন-১ থেকে শোভাযাত্রাসহ একাডেমিক ভবন-৩ এ পৌঁছে।

 

বসন্ত বরণ উৎসবের উদ্বোধন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো: শাহ্ আজম। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমেদ, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: ফখরুল ইসলামসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।'

 

শোভাযাত্রা শেষে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-৩ এ অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শাহ্ আজম এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে আলোচনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন, বসন্ত কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে নানামাত্রিক সৃষ্টিকর্মে উদ্দীপিত-উৎসাহিত করেছে। তিনি বসন্ত নিয়ে লিখেছেন অসংখ্য গান-কবিতা। তার অমর সৃষ্টি-‘আহা আজি এ বসন্তে এত ফুল ফোটে, এত বাঁশি বাজে, এত পাখি গায়'। মনে পড়ছে 'ফাল্গুনী', 'বসন্ত' নাটকের কথা।

 

ঋতুরাজ বসন্তকে রবীন্দ্রনাথ দেখেছেন নতুন প্রাণের বার্তাবাহক হিসেবে। জীবনে নতুনের আহবানের উদবোধক হিসেবে। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় তাই বসন্তকে আবাহন করে কবিগুরুর বসন্ত উদযাপনার অনুসরণে। আমরা প্রতিবছর ঋতুরাজ বসন্তকে আবাহনের মাধ্যমে ফুলে ফুলে ভরে যাওয়া বাংলার সবুজ প্রান্তরকে নতুন করে বরণ করি। 



 

রবি উপাচার্য আরও বলেন, জরাজীর্ণ শীতের পর বসন্তের আগমনে প্রকৃতি সেজেছে নতুন রূপে। বসন্ত অনন্ত সম্ভাবনার ঋতু; প্রেম, বিরহ, মিলন, দ্রোহ-সংগ্রাম, বিজয় অর্জনের স্মৃতিময় সময়খণ্ডের অনন্য নাম বসন্ত।

 

উপাচার্য শাহ্ আজম বলেন, বসন্ত মানে নতুন করে জেগে ওঠা, নতুন আনন্দে-আশায় রঙিন হয়ে ওঠার সময়। এই শুভক্ষণে আমাদের প্রতিজ্ঞা হোক- ক্ষুদ্রতা, পুরাতনকে পরিহার করে, বিভেদ-ব্যর্থতা ভুলে, নতুন প্রত্যয়ে, নতুন শক্তিতে বলীয়ান হয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হবার। 

 

ড. শাহ্ আজম বলেন, ১৯৫২ সালের ৮ই ফাল্গুন ২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষা বাংলার জন্য রাজপথে বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছিল সালাম, রফিক, জব্বার, বরকত, সফিকসহ নাম না জানা আরও অনেকে। সে আত্মত্যাগ আজ বিশ্বস্বীকৃত। বারবার ফিরে আসুক ফাল্গুন, আসুক বসন্ত, শোক নয়, দুর্বিনীত সাহস আর অপরিমেয় শক্তি হয়ে।

 

ট্রেজারার ফিরোজ আহমেদ বলেন, প্রাকৃতিক রূপ-রসে, কোকিলের কুহুতান, আমের মুকুলের সৌরভে আর পিঠাপুলির মৌতাতে বসন্তের আমেজ ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম থেকে শহরে। বসন্তের রঙিনদোলা, উচ্ছলতা ও উন্মাদনায় ভাসবে বাঙালি। বাংলার প্রকৃতিতে আজ ফাগুনের ছোঁয়া, আগুনরাঙা বসন্তের মোহময় সুর। হিম-কুয়াশায় ঢাকা শীতের পর রুক্ষ মৃতপ্রায় নিসর্গে উষ্ণতার স্পর্শ দিয়ে জীবনের স্পন্দন ফিরিয়ে এনেছে বসন্ত।

 

আলোচনায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. মো: ফখরুল ইসলাম বলেন, বসন্ত শুধু অশোক-পলাশ-শিমুলেই উচ্ছ্বাসের রং ছড়ায় না, আমাদের ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে শহীদদের রক্তের উপরও রং ছড়ায়। এই বসন্তেই রয়েছে  বাঙালির দ্রোহ প্রেম, দেশ আর মাতৃভাষাপ্রীতির অনন্য নজির। কেননা আমাদের ভাষা- স্বাধীনতা সংগ্রাম এই বসন্তে শুরু হয়েছিল। তাই এই বসন্তে বাঙালি হৃদয় কিছুতেই ঘরে বসে থাকতে পারে  না। যেমন থাকতে পারেনি- ষবাহান্ন ও একাত্তরে। যেকোনো সংকটে বাঙালিকে জেগে উঠতে এই বসন্ত সাহস যুগিয়েছে। একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করে বিশ্ব দরবারে উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে সামনে এগিয়ে যাবার প্রেরণা হয়ে থাকুক বসন্ত।

 

আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠিত হয় বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষাদের্থীর মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় একাডেমিক ভবন প্রাঙ্গণ । অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানভীর আহমেদ।



মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ফিলিস্তিনকে সমর্থন জানিয়ে কুবি ছাত্রলীগের পদযাত্রা

প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে বিশ্বব্যাপি চলমান ছাত্র আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।

 

সোমবার (০৬ মে) সাড়ে ১২টার দিকে শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা স্বাধীন রাষ্ট্রের ফিলিস্তিনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে পদযাত্রা করে। 


আরও পড়ুন: স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা

 

ক্যাম্পাসের গোল চত্বর প্রাঙ্গণে এ পদযাত্রা শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মূল ফটকের সামনে এসে সামনে এসে শেষ হয়। পদযাত্রায় কুবি শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিভিন্ন স্লোগানে ক্যাম্পাস মুখরিত হয়। 'ইসরায়েলের কালো হাত ভেঙে দাও, গুড়িয়ে দাও। ফিলিস্তিন ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই' সহ বিভিন্ন স্লোগানে নেতাকর্মীরা ফেটে পড়ে। 


আরও পড়ুন: চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক সেলিম আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নির্দেশে দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনের মানুষের উপর ইসরায়েলের যে নৃশংস হামলা সেটার প্রতিবাদ জানিয়ে আজকের এই পদযাত্রা। আমরা চাই, ফিলিস্তিন একটি স্বাধীন দেশের মর্যাদা পাক। আমাদের দেশের মতো ফিলিস্তিনেও রক্তপাতহীন সেদেশের পতাকা উড়ুক। সাধারণ মানুষ স্বাধীনভাবে বাঁচতে পারবে। এটাই আমরা চাই।’


ছাত্রলীগ   ফিলিস্তিন   পদযাত্রা   কুবি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

স্বাধীন ফিলিস্তিনের দাবিতে ছাত্রলীগের পদযাত্রা

প্রকাশ: ০১:৫৫ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি এবং নিরীহ ফিলিস্তিনিদের উপর বর্বরোচিত নির্যাতনের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী শিক্ষার্থী সমাজ ও শিক্ষকরা যে আন্দোলন শুরু করেছে তার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বিশাল পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।

সোমবার (৬ মে) সাড়ে ১২টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিশাল মিছিল নিয়ে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে রাজু ভাস্কর্যের সামনে সমাপ্ত হয়।

এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ফিলিস্তিন বাংলাদেশের পতাকা, ব্যানার প্লাকার্ড হাতে নিয়ে পদযাত্রায় অংশ নেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল শাখা অন্যান্য ইউনিট থেকে হাজার হাজার নেতাকর্মী এ সমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।

এছাড়াও ‘মিছিলে ফ্রি ফ্রি প্যালেস্টাইন-স্টপ জেনোসাইড, উই ওয়ান্ট জাস্টিস-জয় জয় ফিলিস্তিন, স্বৈরাচার নিপাত যাক-ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, ফ্রম দ্য রিভার টু দ্য সি-প্যালেস্টাইন উইল বি ফ্রি’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের।

পদযাত্রায় অংশ নেওয়া ছাত্রলীগ নেতারা বলেন, ‘ইসরায়েল ফিলিস্তিনের মানুষকে নির্বিচারে হত্যা করছে। ধ্বংস করছে পুরো গাজাকে। আমরা সাধারণ মানুষ হিসেবে এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই।’

এসময় ইসরাইর যে গণহত্যা চালাচ্ছে তার প্রতি নিন্দা জানিয়ে আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় তাদের শাস্তি দাবি করে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

এর আগে রবিবার (৫ মে) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সারা দেশে একযোগে বাংলাদেশের পতাকার পাশাপাশি ফিলিস্তিনের পতাকা উত্তোলন, পদযাত্রা ও ছাত্র সমাবেশের ঘোষণা দেয় ছাত্রলীগ।


ছাত্রলীগ   ফিলিস্তিন   পদযাত্রা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ঢাবিতে সশরীরে ক্লাস পরীক্ষা শুরু বুধবার

প্রকাশ: ০১:৩৪ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) সশরীরে সব ক্লাস-পরীক্ষা নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (৬ মে) ঢাবির গণসংযোগ বিভাগ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশের ওপর দিয়ে চলমান তীব্র দাবদাহ (হিট ওয়েভ) সহনশীল পর্যায়ে আসায় বুধবার (৮ মে) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষাসমূহ যথারীতি সশরীরে অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল এই সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।

এর আগে গত ২১ এপ্রিল তীব্র দাবদাহের কারণে শতভাগ ক্লাস অনলাইনে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল ঢাবি। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের প্রতি ৫টি নির্দেশনাও দেয়া হয়েছিল।


ঢাবি   ক্লাস   পরীক্ষা   সশরীরে  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

চাঁদাবাজির অভিযোগে জবি ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশ: ১২:২১ পিএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন অনিকসহ পাঁচ জনকে আসামি করে ঢাকার আদালতে মামলা করা হয়েছে। ফয়সাল হেলাল নামে এক ব্যবসায়ী বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।

 

রবিবার (৫ মে) ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সূত্রাপুর আমলী আদালতে মামলা করা হয়। মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বাদীপক্ষের আইনজীবী মোঃ শাহা আলম বিষয়টি জানিয়েছেন।

 

মামলার প্রথম আসামি মহিউদ্দিন অনিক, দ্বিতীয় সৌরভ হাওলাদার, তৃতীয় রিপন, চতুর্থ হাসিবুল হাসান হৃদয় এবং পঞ্চম হিমুসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৩ থেকে ৫ জনকে আসামি করা হয়েছে।

 

মামলার অভিযোগে বলা হয়, আসামীগন দীর্ঘদিন ধরে ব্যাবসায়ী ফয়সাল হেলালকে ভয়ভীতি দেখিয়ে তার নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা চাঁদা দাবী করে আসছে। হেলাল জীবনের ভয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন হতে বিরত থাকে।

 

গত ২৬ এপ্রিল সারাদিন ব্যবসা বানিজ্য করে তাহার ব্যবসায়ের বকেয়া পাওনা টাকা থেকে দুই লক্ষ ছত্রিশ হাজার টাকা কালেকশন করে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার সময় নিজ বাসায় ফেরার পথে ৪২/৪৩, নর্থব্রুক হল রোডে অবস্থিত রাজমহল হোটেলের সামনে পৌছানো মাত্র ১নং আসামী মো. মহিউদ্দিন অনিক এর নেতৃত্বে অনান্য আসামীগন বাদীর গতি রোধ করে দাঁড়ায় এবং বাদীর নিকট যা আছে সব দিয়ে দিতে বলে।

 

বাদী আসামীদের ভয়ে আসামীদের সাথে কথা বলতে বলতে রাজমহল হোটেলের ভিতর ঢুকে যায়। তখন আসামীগন বাদীর পিছনে পিছনে রাজমহল হোটেলে ঢুকে বাদীকে ঘেরাও করে ধরে বাদীর নিকট থাকা টাকা পয়সা এবং মোবাইল ফোন দিয়ে দিতে বলে। তখন ১ ও ২নং আসামী বাদীকে চর-থাপ্পর মারতে থাকে। ১নং আসামী বাদীর পকেটে থাকা দুই লক্ষ উনিশ হাজার টাকা জোড়পূর্বক নিয়ে যায়। তখন ২নং আসামী বাদীর নিকট আর কি আছে জানতে চায় ও দিয়ে দিতে বলে। অন্যান্য আসামীগন বাদীকে বেদম মারপিট করে মারাত্বকভাবে আহত করে ৩নং আসামী তার হাতে থাকা চাকু বেড় করে বাদীকে চাকু দিয়ে আঘাত করতে যায়। তখন বাদীর ডাক চিৎকারে হোটেলে কর্মরত কর্মচারীরা এগিয়ে এসে বাদীকে আসামীদের হাত হইতে রক্ষা করে। ফলে আসামীগন বাদীর মোবাইল ও মানিব্যাগে থাকা অবশিষ্ট টাকা নিতে পারেনি। কিন্তু যাবার আগে ২নং আসামী আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাদীকে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে বলে অন্যথায় বাদীকে জানে মেরে ফেলার হুমকী দিয়ে চলে যায়।

 

এ বিষয় জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম ফরাজী জানান, আমরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে কথা বলবো।

বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসাইন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানের সাথে এবিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।


জবি   ছাত্রলীগ   চাঁদাবাজি   মামলা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

রাবির সাংবাদিকতা বিভাগের নতুন সভাপতি অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল

প্রকাশ: ১১:৪০ এএম, ০৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুল (সাজ্জাদ বকুল) । রোববার (৫ মে) তিনি বিভাগে যোগদান করেন। 

 

সদ্য বিদায়ী সভাপতি অধ্যাপক ড. মুসতাক আহমেদ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান ও তাঁর কাছে সভাপতির দায়িত্ব হস্তান্তর করেন। 

 

দায়িত্ব গ্রহণকালে বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক তানভীর আহমদ, অধ্যাপক মোঃ মশিহুর রহমান, সহযোগী অধ্যাপক শাতিল সিরাজ, অধ্যাপক ড. এবিএম সাইফুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক কাজী মামুন হায়দার, সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহীল বাকীসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

 

দায়িত্ব গ্রহণের পর অধ্যাপক ড. মোজাম্মেল হোসেন বকুল বলেন, ‘করোনার প্রভাবে বিভাগের যেসব শিক্ষাবর্ষে সেশনজট তৈরি হয়েছিল তা কমিয়ে আনাসহ বিভাগের সার্বিক অগ্রগতির জন্য কাজ করবেন। দেশে-বিদেশে বিভাগকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে কাজ করার আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। এক্ষেত্রে তিনি বিভাগের সকল শিক্ষকের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।’

 

প্রসঙ্গত, অধ্যাপক সাজ্জাদ বকুল রাজশাহীর রুয়েট চত্বরে অবস্থিত অগ্রণী বিদ্যালয়, রাজশাহী কলেজে পড়াশোনার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। ২০০৯ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন। ২০১২ সালে সহকারী অধ্যাপক, ২০১৭ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০২২ সালে তিনি অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। এর আগে তিনি ঢাকায় দৈনিক প্রথম আলো, যুগান্তর ও কালের কণ্ঠের মতো পত্রিকায় সহ-সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন। এছাড়া দেশের বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জনসংযোগের পেশাগত দায়িত্ব পালন করেছেন। 


এছাড়া তিনি একজন ছড়াকার, গীতিকবি ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা। তিনি সাজ্জাদ বকুল নামে লেখালেখি ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করে থাকেন। তিনি ২০১১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ প্রতিষ্ঠা করেন। বর্তমানে এই সংসদের মডারেটর হিসেবে কাজ করছেন। এ ছাড়া বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালন করছেন তিনি।


রাবি   সাংবদিকতা বিভাগ   সভাপতি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন