জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীমের যৌন হয়রানির
অভিযোগ এবার গেছে রাষ্ট্রপতির কাছে। নিজ বিভাগের শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ
তোলায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের হুমকির প্রতিকার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের
আচার্য বরাবর এ আবেদন করেন ওই ছাত্রী।
মঙ্গলবার (২০ মার্চ) অভিযোগকারী ছাত্রী বঙ্গভবনে আবেদনটি জমা দিয়ে
আসেন। এতে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদনে তিনি যৌন নিপীড়ন ও বুলিংয়ের বিচার চেয়েছেন।
শিক্ষার্থী কাজী ফারজানা মীম আবেদনে লিখেছেন, ২০২১ সালের ডিসেম্বর
মাসে উপাচার্য বরাবর আমার সঙ্গে ঘটে যাওয়া বুলিং ও যৌন নির্যাতনের বিচার চেয়ে একটি
আবেদন দায়ের করি। বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর তখন যৌন হয়রানি প্রতিরোধ সেলের দায়িত্বে
ছিলেন। এটার বিচার আমি এখনো পাইনি, উল্টো আমাকে যৌন নিপীড়নকারী শিক্ষক ও তার সমর্থনে
বিভাগের চেয়ারম্যান, অনার্স পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে ফেল করিয়েছেন। অভিযুক্ত শিক্ষকরা
আমাকে ভীষণরকম বহিষ্কার ভয়ভীতি, পরীক্ষার ফেল করানো, অন্যান্য শিক্ষার্থীদের থেকে আমাকে
বিচ্ছিন্ন করে মানসিকভাবে নির্যাতন করে মৃত্যু হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমাকে আত্মহত্যার
পথে ঠেলে দিচ্ছে। ফলে আমি সংবাদ মাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ করি।
এ অবস্থায়, আপনার কাছে সর্বশেষ আশা ভরসা নিয়ে আবেদন জানাচ্ছি। আপনার
পক্ষ থেকে এই বুলিং ও যৌন নিপীড়নের দৃষ্টান্তমূলক বিচার এবং প্রশাসনের জবাবদিহিতার
ব্যবস্থার জন্য আকুল আবেদন জানাচ্ছি। আমাকে ফেল করানো বিষয়গুলো আপনার নির্ধারিত বিশেষ
কমিটির মাধ্যমে পুনর্বিবেচনা করে পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করে আমার জীবনকে পুনরুদ্ধার
করার জন্য আকুল আর্জি জানাচ্ছি।
সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ফাইরুজ সাদাফ
অবন্তিকার অপমৃত্যুর ঘটনায় যৌন হয়রানিসহ নানা নিপীড়নের বিরুদ্ধে এই শিক্ষার্থী সোচ্চার
হন। সেখানে অবন্তিকার ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে নিজের প্রসঙ্গ টানেন তিনি। নিজের সঙ্গে
ঘটে যাওয়া বিষয় নিয়ে তিনি গণমাধ্যমে কথা বলেন।
শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ দেওয়ায় হত্যাসহ বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে বহিষ্কারের হুমকি পেয়েছেন বলে অভিযোগ করেন এ ছাত্রী।
এর আগে, গতকাল সোমবার দুপুরে ডিবি কার্যালয়ে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের
ফিল্ম ও টেলিভিশন বিভাগের শিক্ষক আবু সাহেদ ইমনের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ আনেন
কাজী ফারজানা মীম। তাকে বিভিন্নভাবে হত্যার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
ডিবিতে গিয়ে নিজের জীবনের নিরাপত্তা চান তিনি।
ওই ছাত্রীর প্রতিটি বিষয় দেখবেন—বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সাদেকা হালিম। তিনি বলেন, ছাত্রী (কাজী ফারজানা মীম) যেন পরীক্ষা দিতে পারে সে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
মন্তব্য করুন
তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা
করে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে সশরীরে যাবতীয় শ্রেণী কার্যক্রম ও পরীক্ষা নেওয়ার
সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ।
রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও ডিনদের নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এবিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, দেশের চলমান দাবদাহ বিবেচনা করে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
চবি শ্রেণী কার্যক্রম পরীক্ষা তীব্র তাপদাহ
মন্তব্য করুন
গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার এ ইউনিটের পরীক্ষা দিতে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে সাজিদ হাসান আলিফ নামের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে অতিরিক্ত সময় দেয়া হলেও এ শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি।
শনিবার (২৭ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১১ নং কক্ষে দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পরীক্ষা সময় শেষ হলে ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
কক্ষটিতে কর্তব্যরত শিক্ষক জানায়, ‘হঠাৎ করে খেয়াল করলাম ছেলেটি প্রচুর ঘামাচ্ছে, তাকে দেখে অসুস্থ মনে হচ্ছিলো। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল টিমকে কল করি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বরত নার্স আয়েশা আক্তার রুপা বলেন, ‘অতিরিক্ত গরম, টেনশন থেকে ছেলেটির এমন অবস্থা হতে পারে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তবে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় অ্যাম্বুলেন্স করে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
এ বিষয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর অসুস্থ হওয়ার কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আমার রুমে নিয়ে এসে ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করি। পাশাপাশি যেহেতু ছেলেটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাই একজন রোভার সদস্য কে ডেকে ছেলেটির পরীক্ষা চলমান রাখি। তবে সে সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি।’
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী অসুস্থ
মন্তব্য করুন
আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) গুচ্ছের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে ২৪ টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ পরীক্ষা। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সেবা দিতে দেখা গেছে জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনগুলো। দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল, বই, খাতা জমা রাখছেন তারা। এছাড়াও ফ্রি লেবুর শরবত, বিস্কুট ও পানিও দিচ্ছেন বিভিন্ন জেলা ভিত্তিক এসব সংগঠনগুলো।
এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থী সাঈদ বলেন, ‘পরীক্ষা দিতে এসে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনগুলো খুবই সাহায্য করছে। কোথায় কিভাবে কি করতে হবে তারা সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমার সিট কোথায় পড়েছে বুঝছিলাম না। পরে জেলা কল্যানের ভাইয়ারা সাহায্য করেছেন।’
সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ভর্তি পরীক্ষার্থী যারা দূর দূরত্ব থেকে আসছে তাদের কে খাবার পানি, হালকা নাস্তা, তাদের মোবাইল ফোন ও ব্যাগ ইত্যাদি রাখতে ও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে চেষ্টা করছি। নতুনদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে শুভ কামনা।’
এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি অভিষেক সাহা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করতে, যাতে তারা যেনো কেউ পরীক্ষা দিতে এসে কোনো রকম হয়রানি না হয়।’
গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
দেশের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ দিনে ৫ লাখ ও সর্বমোট এক কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অর্ধ-শতাধিকের বেশি বৃক্ষরোপণ করেন শাখা ছাত্রলীগ।
সবাইকে বৃক্ষ রোপণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন মাসুম বলেন, "শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে সফলভাবে আমাদের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। কর্মসূচীতে প্রায় ৭০-৮০ টি বিভিন্ন ফলজ, বনজ এবং ঔষধি গাছ আমরা রোপন করেছি। সেই সাথে গাছগুলো যাতে তীব্র গরমে পানি সংকটে না ভুগে সে ব্যাপারেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি এবং সজাগ থাকছি। আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সবসময়ই গঠনতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় দেশ এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করে যাওয়ায় অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সকলকে উদাত্ত আহবান জানাই আপনারাও বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রতিরোধে আপনার আঙ্গিনায় গাছ লাগান,গাছের যত্ন নিন এবং আগামীর জন্য সুস্থ এবং সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে অংশগ্রহণ করুন।"
ছাত্রলীগ বৃক্ষরোপন তীব্র তাপদাহ SDG অর্জন
মন্তব্য করুন
দেশের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ দিনে ৫ লাখ ও সর্বমোট এক কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।