ক্লাব ইনসাইড

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে চার হাউজ টিউটরের পদত্যাগ

প্রকাশ: ১২:৪৭ পিএম, ২১ মার্চ, ২০২৪


Thumbnail

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হল, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল, কাজী নজরুল ইসলাম হল, নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের চারজন হাউজ টিউটর পদত্যাগ করেছেন। 

তারা যথাক্রমে প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান, ফিন্যান্স এন্ড ব্যাংকিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন এবং গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অর্ণব বিশ্বাস, ফার্মেসি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জয় চন্দ্র রাজবংশী।

বুধবার (২০ মার্চ) তারা সকলে রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) মো. আমিরুল হক চৌধুরী বরাবর এই পদত্যাগপত্র জমা দেন।

পদত্যাগ পত্রে ড. মোহাম্মদ মাহমুদুল হাছান খান বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়ম বহির্ভূত বিভিন্ন শর্তারোপ, সিন্ডিকেটের এজেন্ডা বহির্ভূত অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে ডিন নিয়োগ, যোগ্যোতা থাকা স্বত্ত্বেও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের পদোন্নতি না দিয়ে উল্টো বেআইনি শর্তারোপের প্রতিবাদে আমি শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত হলের হাউজ টিউটর পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি।

মোহাম্মদ জসীম উদ্দিন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বর্তমান প্রশাসনের বিভিন্ন প্রশাসনিক অনিয়মের জন্য আমি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের হাউজ টিউটরের দায়িত্ব পালনে অসম্মতি জ্ঞাপন করছি।

অর্ণব বিশ্বাস বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন কর্তৃক বিশ্ববিদ্যালয়ে বিরাজমান নানাবিধ একাডেমিক সংকটের কোন কার্যকরী সমাধান না করা, নিয়ম বহির্ভূত বিভিন্ন শর্তারোপ, যোগ্যতা থাকা স্বত্ত্বেও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের পদোন্নতি না দিয়ে উল্টো নীতিমালা বহির্ভূত নানাবিধ শর্তারোপের প্রতিবাদে আমি কাজী নজরুল ইসলাম হলের হাউজ টিউটর পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি।

 

জয় চন্দ্র রাজবংশী বলেন, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের নানাবিধ অব্যবস্থাপনা, স্বেচ্ছাচারিতা, নিয়ম বহির্ভূত বিভিন্ন শর্তারোপ, সিন্ডিকেটের এজেন্ডা বহির্ভূত অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে ডিন নিয়োগ, যোগ্যতা থাকা স্বত্ত্বেও বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকদের পদোন্নতি প্রদান না করে উল্টো বেআইনি শর্তারোপের ও শিক্ষকদের সাথে অন্যায্য আচরণের প্রতিবাদ স্বরূপ আমি নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরাণী হলের হাউজ টিউটর পদ থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি।

উল্লেখ্য, গত ০৬ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন মজুমদার, ০৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের গণমাধ্যম উপদেষ্টা মাহবুবুল হক ভূঁইয়া, ১৮ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মাহমুদুল হাসান এবং ২০ ফেব্রুয়ারি সহকারী প্রক্টর মো: কামরুল হাসান ও শেখ হাসিনা হলের আবাসিক শিক্ষক কুলছুম আক্তার স্বপ্না পদত্যাগ করেন। এছাড়াও ১৯ মার্চ সিন্ডিকেট সভায় 'এজেন্ডা বহির্ভূত ও বেআইনীভাবে ডিন নিয়োগ' দেয়ার কারণ দেখিয়ে সিন্ডিকেট সদস্যর পদ থেকে  অধ্যাপক ড. শেখ মকছেদুর রহমান পদত্যাগ করেন।


কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়   হাউজ টিউটর   পদত্যাগ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে অসুস্থ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ০৩:৫৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসে অসুস্থ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী

গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় সমন্বিত ভর্তি পরীক্ষার এ ইউনিটের পরীক্ষা দিতে এসে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) কেন্দ্রে তীব্র তাপপ্রবাহের কারনে সাজিদ হাসান আলিফ নামের এক শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে অতিরিক্ত সময় দেয়া হলেও এ শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে যাওয়ায় পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি।

 

শনিবার (২৭ এপ্রিল) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১১ নং কক্ষে দুপুর ১২ টা ৪০ মিনিটে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে এ ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে পরীক্ষা সময় শেষ হলে ওই শিক্ষার্থীকে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউটে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। 

 

কক্ষটিতে কর্তব্যরত শিক্ষক জানায়, ‘হঠাৎ করে খেয়াল করলাম ছেলেটি প্রচুর ঘামাচ্ছে, তাকে দেখে অসুস্থ মনে হচ্ছিলো। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল টিমকে কল করি।’

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্বরত নার্স আয়েশা আক্তার রুপা বলেন, ‘অতিরিক্ত গরম, টেনশন থেকে ছেলেটির এমন অবস্থা হতে পারে। আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তবে তার শারীরিক অবস্থা খারাপ থাকায় অ্যাম্বুলেন্স করে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।

এ বিষয়ে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আতিয়ার রহমান বলেন, ‘একজন শিক্ষার্থীর অসুস্থ হওয়ার কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে তাকে আমার রুমে নিয়ে এসে ডাক্তারের মাধ্যমে চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করি। পাশাপাশি যেহেতু ছেলেটি অসুস্থ হয়ে পড়েছে তাই একজন রোভার সদস্য কে ডেকে ছেলেটির পরীক্ষা চলমান রাখি। তবে সে সম্পূর্ণ পরীক্ষা শেষ করতে পারেনি।’


গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা   বিশ্ববিদ্যালয়   ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী   অসুস্থ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জবিতে ভর্তিচ্ছুদের পাশে জেলা ভিত্তিক ছাত্র সংগঠনগুলো

প্রকাশ: ১২:৩৯ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail গুচ্ছ বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করা পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় জেলা ভিত্তিক ছাত্র সংগঠনগুলো

আজ শনিবার (২৭ এপ্রিল) গুচ্ছের এ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শুরু হচ্ছে ২৪ টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। ২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এ পরীক্ষা। দুপুর ১২টা থেকে শুরু হয়ে এ পরীক্ষা চলবে দুপুর ১টা পর্যন্ত। 

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসা শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সেবা দিতে দেখা গেছে জেলা ভিত্তিক বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনগুলো। দূর থেকে আসা শিক্ষার্থীদের ব্যাগ, মোবাইল, বই, খাতা জমা রাখছেন তারা। এছাড়াও ফ্রি লেবুর শরবত, বিস্কুট ও পানিও দিচ্ছেন বিভিন্ন জেলা ভিত্তিক এসব সংগঠনগুলো।

 

এ বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষার্থী সাঈদ বলেন, ‘পরীক্ষা দিতে এসে বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনগুলো খুবই সাহায্য করছে। কোথায় কিভাবে কি করতে হবে তারা সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় তথ্য ও দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন। আমার সিট কোথায় পড়েছে বুঝছিলাম না। পরে জেলা কল্যানের ভাইয়ারা সাহায্য করেছেন।’

 

সাতক্ষীরা জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা ভর্তি পরীক্ষার্থী যারা দূর দূরত্ব থেকে আসছে তাদের কে খাবার পানি, হালকা নাস্তা, তাদের মোবাইল ফোন ও ব্যাগ ইত্যাদি রাখতে ও বিভিন্ন তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে চেষ্টা করছি। নতুনদের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে শুভ কামনা।’

 

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ জেলা ছাত্রকল্যাণ সমিতির সভাপতি অভিষেক সাহা বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত  শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিয়ে সাহায্য করতে, যাতে তারা যেনো কেউ পরীক্ষা দিতে এসে কোনো রকম হয়রানি না হয়।’


গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা   বিশ্ববিদ্যালয়   ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

চুয়েটে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ

প্রকাশ: ০৫:৪১ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শিক্ষার্থীদের অবরোধ ও বিক্ষোভের মধ্যে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি বৈঠকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

জানা গেছে, ঘোষণায় বিকেল ৫টার মধ্যে ছাত্রদের আর শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টার মধ্যে ছাত্রীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তবে এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা এবং জব্দ থাকা ২টি বাসের একটিতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছেন।

চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক রেজাউল বলেন, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছিল শিক্ষার্থীরা। প্রশাসন তাদের শান্ত করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি একাডেমিক সভায় চুয়েট বন্ধ ঘোষণা করেছেন উপাচার্য।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের বাসে আগুন দেওয়ার পর ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় আছি।

এর আগে, ২৩ এপ্রিল বাসের ধাক্কায় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। এ ঘটনায় সড়ক অবরোধ করে বাস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

চুয়েট   শিক্ষার্থীদের অবরোধ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

কুবি শাখা ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী

প্রকাশ: ০২:৪৭ পিএম, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail কুবি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বৃক্ষরোপন কর্মসূচী পালন

দেশের ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রা সহনশীল পর্যায়ে নিয়ে আসা এবং তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশনা অনুযায়ী ১০ দিনে ৫ লাখ ও সর্বমোট এক কোটি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।  

 

মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরের দিকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন পয়েন্টে অর্ধ-শতাধিকের বেশি বৃক্ষরোপণ করেন শাখা ছাত্রলীগ। 

সবাইকে বৃক্ষ রোপণের প্রতি আহ্বান জানিয়ে কুবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হোসেন মাসুম বলেন, "শাখা ছাত্রলীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দের অংশগ্রহণে সফলভাবে আমাদের কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। কর্মসূচীতে প্রায় ৭০-৮০ টি বিভিন্ন ফলজ, বনজ এবং ঔষধি গাছ আমরা রোপন করেছি। সেই সাথে  গাছগুলো যাতে তীব্র গরমে পানি সংকটে না ভুগে সে ব্যাপারেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি এবং সজাগ থাকছি। আমরা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সবসময়ই গঠনতান্ত্রিক এবং নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় দেশ এবং জাতির বৃহত্তর স্বার্থে কাজ করে যাওয়ায় অঙ্গীকারবদ্ধ। আমরা সকলকে উদাত্ত আহবান জানাই আপনারাও বৈশ্বিক উষ্ণতা প্রতিরোধে আপনার আঙ্গিনায় গাছ লাগান,গাছের যত্ন নিন এবং আগামীর জন্য সুস্থ এবং সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে অংশগ্রহণ করুন।"


ছাত্রলীগ   বৃক্ষরোপন   তীব্র তাপদাহ   SDG অর্জন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবিতে গণরুমে র‌্যাগিংয়ের সত্যতা মিলেছে, সর্বোচ্চ শাস্তির সুপারিশ


Thumbnail লালন শাহ হল, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়

সম্প্রতি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) লালন শাহ হলের গণরুমে এক নবীন ছাত্রকে র‌্যাগিং, বিবস্ত্র করে কুরুচিপূর্ণ আচরণ ও রড দিয়ে শারীরিকভাবে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠে।

এ ঘটনায় প্রশাসন ও হল প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। উভয় কমিটি অভিযুক্ত ৩ শিক্ষার্থীর সরাসরি সংশ্লিষ্টতা পেয়েছে। এর মধ্যে দুইজনের নির্যাতনের মাত্রা বেশি ছিল। যার ফলে তাদের বিধি অনুযায়ী সর্বোচ্চ শাস্তি ও কম জড়িত থাকা এক শিক্ষার্থীকে সতর্ক করার সুপারিশ করা হয়েছে। পরবর্তীতে ছাত্র-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় আলোচনা সাপেক্ষে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে কর্তৃপক্ষ।

এঘটনায় গুরুতর অভিযুক্ত দুইজন হলেন, শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের মুদাচ্ছির খান কাফি এবং ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের মোহাম্মদ সাগর। এছাড়া ইতিহাস বিভাগের উজ্জ্বল হোসেন নামেও একজন জড়িত ছিল। তারা সকলেই ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। ভুক্তভোগী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।

তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি ইবির লালন শাহ হলের গণরুমে (১৩৬ নং কক্ষ) এক ছাত্রকে বিবস্ত্র করে রাতভর র‌্যাগিং করা হয়। এসময় কথা না শুনলে তাকে লোহার রড দিয়ে পেটানো হয়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগীকে উলঙ্গ করে পর্ণগ্রাফি দেখে অশ্লীল অঙ্গ-ভঙ্গি করতে বাধ্য করে নির্যাতনকারীরা।

এদিকে ওই কক্ষে প্রায়ই র‌্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে বলে সাক্ষাতকার দেওয়া শিক্ষার্থীরা তদন্ত কমিটির কাছে জানিয়েছে। এছাড়াও প্রশাসনের গঠিত কমিটির ১৪ পৃষ্ঠার প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত সংযুক্ত করা হয়েছে।

হল কর্তৃপক্ষের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ড. আলতাফ হোসেন বলেন, ‘সোমবার তদন্ত প্রতিবেদন হল প্রভোস্ট বরাবর জমা দিয়েছি। আমরা ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। বিধি অনুযায়ী শাস্তি দিতে কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করা হয়েছে।’

লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, ‘আমরা তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। জড়িতদের শাস্তির সুপারিশ করে আমরা তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে প্রেরণ করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিধি অনুযায়ী তাদের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. দেবাশীষ শর্মা বলেন, ‘আমরা ঈদের আগেই তদন্ত কার্যক্রম শেষ করেছি। ঘটনার সত্যতা পেয়েছি। আমরা জড়িতদের বিষয়ে প্রশাসন বরাবর বিধি অনুযায়ী শাস্তির সুপারিশ করেছি।’


ইবি   র‌্যাগিং   গণরুম  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন