ক্লাব ইনসাইড

হিযবুত তাহরীর ও শিবির যেভাবে কাজ করছে বুয়েটে

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০১ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সেরা বিদ্যাপীঠ। সেখানে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার জন্য আন্দোলনকারী ছাত্রদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। অন্যদিকে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, ছাত্ররাজনীতি বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্ধ করা যাবে না। বুয়েটের উপাচার্য বলেছেন, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা চাইলে আবার চালু হতে পারে ছাত্ররাজনীতি। 

আজ বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত বলেছে, বুয়েটে ছাত্ররাজনীতি কোন বাধা নেই। সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে কেন রাজনীতি থাকবে না সেটি একটি বড় প্রশ্ন বটে। ছাত্ররাজনীতি যারা বন্ধ করতে চাইছে, তারা আসলে কারা? তারা কি আসলে সাধারণ ছাত্রছাত্রী, নিরীহ নাকি তার পিছনে অন্য কোন রাজনৈতিক অভিপ্রায় রয়েছে। 

বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেছেন তাদের সঙ্গে জামায়াত এবং হিজবুত তাহরীর গোপন সম্পর্ক রয়েছে। সরেজমিন অনুসন্ধানে দেখা যায়, সামনে নেতৃত্বে রাখা হয়েছে একেবারে সমস্ত ছাত্ররাজনীতির সঙ্গে সম্পর্কহীন নিরীহ মেধাবী শিক্ষার্থীদের। যাদের সাথে কোনো রাজনৈতিক দল এমনকী জামায়াত বা হিযবুত তাহরীরের সম্পর্ক নেই। কিন্তু তাদেরকে নেতৃত্বের সামনে এনেছে কারা? তাদেরকে নেতৃত্বের সামনে এনেছে হিযবুত তাহরীর এবং এবং ছাত্রশিবির। 

ছাত্রশিবির এবং হিজবুত তাহরীরের কর্মীরা, নেতারা এমন সব ছাত্রদেরকে আন্দোলনকারী শক্তি হিসেবে সামনে এনেছে, যারা আসলে ছাত্রদের মাঝে নিরপেক্ষ এবং মেধাবী হিসেবে পরিচিত। সেই সমস্ত শিক্ষার্থীদেরকেই আনা হয়েছে, যাদের আওয়ামী বিরোধী একটি রাজনৈতিক পরিচয়ও রয়েছে। পারিবারিক সূত্রে তারা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে বিরোধপূর্ণ অবস্থানে রয়েছেন, তাদেরকেই বাছাই করা হয়েছে। 

গত ১০ বছর ধরে হিযবুত তাহরীর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিবিড়ভাবে কাজ করছে বলে একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। প্রতিটি হলে হিযবুত তাহরীর একাধিক কমিটির খবরও পাওয়া গেছে। এই সমস্ত কমিটি গুলো কাজ করছে মূলত ছাত্ররাজনীতির বিরোধী একটি নেতিবাচক মনোভাব তৈরি করার জন্য। হিযবুত তাহরীর পাশাপাশি ইসলামী ছাত্রশিবিরও হিযবুত তাহরীর ছায়াতলে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে সংগঠন তৈরি করছে। হিজবুত তাহরীর এবং ইসলামি ছাত্রশিবিরের মধ্যে এক ধরনের ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যে ঐক্য অনুযায়ী তারা হলগুলোতে আসন ভিত্তিক আসন বণ্টন করেছে। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে হিযবুত তাহরীর তাদের নিয়মিত লিফলেট বিতরণ করছে। নামাজের দাওয়াত দিচ্ছে এবং প্রতি বৃহস্পতিবার অন্তত চারটি হলে হিযবুত তাহরীর তাদের ইসলামি চিন্তাভাবনা প্রচারের জন্য জলসার মতো বৈঠকের আয়োজন করছে। এই বৈঠকগুলোতে উগ্র ইসলামি চিন্তা ভাবনা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের চত্বরে ঘুরে দেখা যায়, প্রতিটি হলে এবং প্রতিটি কক্ষে নামাজ পড়া এবং নামাজের নিয়ম এবং নামাজ না পড়লে কী ধরনের শাস্তি হবে ইত্যাদি নানা রকম বক্তব্য এবং প্রচারণা বা দেওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি প্রতিটি হলে ছাত্ররাজনীতির অপকর্ম এবং ছাত্ররাজনীতির বিরুদ্ধে নানারকম বক্তব্য বিবৃতি সম্পর্কিত অবস্থান দেয়া হচ্ছে।  

হিযবুত তাহরীর প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে দু ধরনের কাজ করছে। প্রথমত তারা হিযবুত তাহরীরের পক্ষে নীরবে প্রচার প্রচারণা করছন এবং সাধারণ ছাত্রছাত্রীদেরকে তারা বুঝাতে চাচ্ছেন যে, ধর্ম ভিত্তিক ন্যায় সঙ্গত জীবন যাপনই হলো শিক্ষা জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। পাশাপাশি তারা ছাত্রলীগ সহ বিভিন্ন সংগঠনের বিরুদ্ধে নেতিবাচক বক্তব্য প্রচার করছে যাতে ছাত্রদের মধ্যে ছাত্ররাজনীতি সম্পর্কে খারাপ ধারণা তৈরি হচ্ছে। সবকিছু মিলিয়ে শিবির এবং হিযবুত তাহরীর সিটি করে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়কে দখল করে ফেলেছে। এখনই তাদের প্রতিরোধ করা না গেলে সামনের দিনগুলোতে বড় ধরনের সঙ্কট তৈরি হবে দেশ সেরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে।

হিযবুত তাহরীর   শিবির   বুয়েট   ছাত্রলীগ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জীবন নিয়ে শঙ্কার কথা জানালেন বুয়েটের ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশী ১৫ শিক্ষার্থী

প্রকাশ: ১০:০৩ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সামাজিক অবমাননা ও কালচারাল র‍্যাগিংয়ের প্রেক্ষিতে প্রেরিত অভিযোগের তদন্ত, নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি চালু এবং ক্যাম্পাসে জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মানববন্ধন করেছেন বুয়েটে নিয়মতান্ত্রিক ছাত্ররাজনীতি প্রত্যাশী ১৫ শিক্ষার্থী।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিকেল ৪ টায় বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বরাবর এ দাবি জানান তারা। বুয়েটে আগামী একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার আগে দাবিগুলোর বাস্তবায়ন চান তারা।

লিখিত বক্তব্যে শিক্ষার্থীরা জানান, ক্যাম্পাসে বিভিন্ন সময় একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর দ্বারা আমরা প্রায়ই অনলাইন ও সরাসরি হেনস্তা ও অপমানের শিকার হয়েছি। সুনামগঞ্জে আটক ২৪ বুয়েট শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলায় আদালতের সুষ্ঠু বিচার চেয়ে গত বছররের ৬ আগস্ট মানববন্ধন করেছিলাম। মানববন্ধনে দাঁড়ানোর কারণে ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র ও ব্যাচের শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে সকলকে ডেকে জবাবদিহিতা চাওয়া হয়। ক্যাম্পাসে কিছু মানুষের অসংলগ্ন আচরণ আমাদের অপমানের সামিল। হলে সিট বাতিল অথবা টার্ম বহিষ্কার এর ভীতি প্রদর্শন করে অরিত্র ঘোষ এবং মিশু দত্তকে আনুমানিকভাবে রাত ১১ টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত আহসান উল্লাহ হলের কমন রুমে এবং মাঠে জবাবদিহিতা চাওয়া হয়।

সামাজিকভাবে হেনস্থার কথা উল্লেখ করে তারা বলেন, রাতে একসাথে কাচ্চি খাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এসেছিল বলে মিথ্যাচার করায় আমরা অভিযোগ জানিয়েছিলাম। সিএসবি (কারেন্ট স্টুডেন্ট অফ বুয়েট) নামক একটি ফেসবুক গ্রুপে নাম ছাড়া পোস্ট দিয়ে ভিত্তিহীনভাবে আমাদেরকে অপরাধী বানিয়ে মব জাস্টিস শুরু করে। এ নিয়ে অভিযোগ দিলে প্রশাসন আশ্বাস দিয়ে কোনোরূপ তদন্ত রিপোর্ট বা দোষীদের উপর শান্তি আরোপ করেনি। সামাজিকভাবে আমাদেরকে হেনস্তা করে সব গ্রুপ, ক্লাব ও খেলাধুলা, ডিপার্টমেন্টের অনুষ্ঠানসহ সাংস্কৃতিক অঙ্গন থেকে বের করে দেয়। এক পর্যায়ে আমাদের সাথে স্টাডি ম্যাটেরিয়ালস শেয়ার না করার জন্য ঘোষণা করে একটি দল এবং কেউ যদি না মানে তাকেও হেনস্তা করে হবে এমন হুমকি পর্যন্ত দেয়া হয়। এই গ্রুপের এডমিন কারা এবং তাদের উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখার দাবি জানান তারা।

শিক্ষার্থীদের পূর্ব অভিযোগ উল্লেখ করে তারা বলেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে হিজবুত তাহরিরের মতো মৌলবাদী সংগঠন যে সক্রিয় তার সত্যতা বুয়েটের সিসিটিভি ফুটেজ দেয়। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে বিষয়টি তদন্ত করে পরিচয় বের করে ক্যাম্পাস থেকে বের করে নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেয়ার অনুরোধ জানায় তারা। এছাড়া টাঙ্গুয়ার হাওরে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের সাথে সংযুক্ত মামলায় জামিনে থাকা আসামীদের কেসের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত সাময়িক বহিষ্কারের দাবি জানায় তারা।

বুয়েট   ছাত্ররাজনীতি   সংবাদ সম্মেলন  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

জবির প্রথম বহিরাঙ্গণ কার্যক্রম পরিচালক ড.আব্দুল মালেক


Thumbnail

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) বহিরাঙ্গণ কার্যক্রম পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেক।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলাম স্বক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম সংবিধির ৮ (৭) ধারা মোতাবেক সিন্ডিকেটের অনুমোদন সাপেক্ষে আগামী দুই বছরের জন্য সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেকে বহিরাঙ্গণ কার্যক্রম হিসেবে নিযুক্ত করা হলো। বিধি মোতাবেক তিনি সুযোগ সুবিধা পাবেন। আগামী ১মে থেকে এই আদেশ কার্যকর হবে। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়   অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মালেক  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

কুবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ

প্রকাশ: ০৫:৪২ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) শিক্ষক সমিতির কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষকদের উপর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ এবং প্রক্টর সহ মোট ২০ জন হামলা করেছে বলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মোঃ আবু তাহের।

 

রবিবার (২৮ এপ্রিল) মধ্যরাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় এই অভিযোগ দায়ের করা হয়। 

 

এতে বিবাদী হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ এফ এম আবদুল মঈন, কোষাধ্যক্ষ মোঃ আসাদুজ্জামান ও প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী। এছাড়াও ছাত্রলীগের সাবেক নেতাদের মধ্যে রয়েছেন আমিনুর রহমান বিশ্বাস, রেজা-ই-এলাহী, মাসুদ আলম, ইকবাল হোসাইন খান, পার্থ সরকার, বিপ্লব চন্দ্র দাস, ইমরান হোসাইন, মুশফিকুর রহমান খান তানিম, রকিবুল হাসান রকি, মেহেদী হৃদয়, ফয়সাল হাসান, এম নুর উদ্দিন হোসাইন, অনুপম দাস বাঁধন, আরিফুল হাসান খান বাপ্পী, ইমাম হোসাইন মাসুম। বর্তমান শিক্ষার্থীদের মধ্যে রয়েছে রাকিব হোসেন ও দ্বীপ চৌধুরী।

 

শিক্ষক সমিতির সভাপতি আবু তাহের অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করেন, নিজ কার্যালয়ে প্রবেশের সময় উপাচার্য এএফএম আবদুল মঈন সহকারী অধ্যাপক মোঃ মুর্শেদ রায়হান এর পেটে ঘুষি মারেন এবং পেছন দিক থেকে কনুই দিয়ে আঘাত করেন। এরপর তার সঙ্গে থাকা সন্ত্রাসীরা মুর্শেদ রায়হান এর পেটে ঘুষি মেরে প্রশাসনিক ভবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। একই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ মোকাদ্দেস উল ইসলাম এর মুখে সজোরে ঘুষি মারেন। এরপর তারা সকলে মিলে মার্কেটিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমানকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে শারীরিক আঘাত করে। এ সময় আরো অন্তত ২০জন শিক্ষক হামলার শিকার হন। উপাচার্য কার্যালয়ে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মোঃ আসাদুজ্জামান উক্ত বহিরাগত সন্ত্রাসীদের শিক্ষক সমিতির কার্যালয়ে হামলা ও তালা দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। 

 

অভিযোগে আরো উল্লেখ করা হয়, পরবর্তী সময়ে বহিরাগত সন্ত্রাসীরা শিক্ষক লাউঞ্জে হামলা করে এবং প্রশাসনিক ভবনের বাইরে অবস্থানরত শিক্ষকদের উপর পুনরায় হামলা চালায়। সন্ত্রাসীরা এ পর্যায়ে অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ শামিমুল ইসলামকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয় এবং উপর্যুপরি শারীরিক হামলা করে। পরবর্তী সময়ে অধ্যাপক শামিমুল ইসলামসহ লোকপ্রশাসন বিভাগের জান্নাতুল ফেরদৌস, ব্যবস্থাপনা শিক্ষা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মাহমুদুল করিম বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসা গ্রহণের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পুনরায় তাদের উপর শারীরিক হামলা করে। এ সময় প্রক্টোরিয়াল বডি ও কতিপয় শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের নানাভাবে হুমকি ধমকি প্রদান করেন। এভাবে শিক্ষকদের উপর হামলা ও হুমকি ধমকির ফলে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেদের এবং পরিবারের সদস্যদের জীবনের ব্যাপক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। 

অভিযোগের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান বলেন, 'গতকাল রাতে আমরা প্রায় ৫০ জন শিক্ষক থানায় অভিযোগ করে এসেছি। গতকাল আমাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানে উপাচার্য স্যার নিজে সন্ত্রাসী স্বরূপ হয়ে আমাদের শিক্ষকদের উপর হামলা করেছেন। উপাচার্য-কোষাধ্যক্ষের নেতৃত্বে বারংবার বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে আমাদের উপর হামলা করিয়েছে। এমতাবস্থায় আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমরা উপাচার্য, ট্রেজারার, প্রক্টরসহ অভিযোগের ২০ জনকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।'


কুবি   উপাচার্য   শিক্ষক সমিতি   মামলা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

বৃষ্টি প্রার্থনায় ইবিতে ইস্তিসকার নামাজ আদায়


Thumbnail ইবিতে বৃষ্টি প্রার্থনায় ইস্তিসকার নামাজ আদায়

চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। তপ্ত রোদে পুড়ছে সারাদেশ। ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় ফসল নিয়ে বিপাকে পড়ছে কৃষকরাও। আর এই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে ও মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে রহমতের বৃষ্টি কামনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সালাতুল ইস্তিসকার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশ নেন। নামাজ শেষে সবাই মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে এই তীব্র তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি এবং বৃষ্টির প্রার্থনা করে কান্নায় ভেঙে পড়েন সবাই।

নামাজ ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদের পেশ ইমাম কাম খতিব আশরাফ উদ্দীন খান। এই আয়োজনের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ধর্মতত্ত্ব অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আ ব ম ছিদ্দিকুর রহমান আশ্রাফী।

নামাজে আল-কুরআন এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নাছির উদ্দিন মিঝি, আল-হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সভাপতি ও লালন শাহ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন, একই বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান, অধ্যাপক ড. ময়নুল হক, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজওয়ানুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল হান্নান শেখ, ড. আলীনূর রহমান, ড. রুহুল আমিন ও বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. রহমান হাবিবসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কয়েক শ' শিক্ষার্থী অংশ নেন।


ইবি   ইস্তিসকার নামাজ   বৃষ্টি   তাপপ্রবাহ  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করেই চবিতে চলবে ক্লাস-পরীক্ষা

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে সশরীরে যাবতীয় শ্রেণী কার্যক্রম ও পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) কর্তৃপক্ষ।

রবিবার (২৮ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট ও ডিনদের নিয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আবু তাহের, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সেকান্দর চৌধুরী, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

এবিষয়ে উপ-উপাচার্য (প্রশাসনিক) অধ্যাপক ড. মোঃ সেকান্দর চৌধুরী বলেন, দেশের চলমান দাবদাহ বিবেচনা করে আগামী ৩০ এপ্রিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস ও পরীক্ষা সশরীরে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।


চবি   শ্রেণী কার্যক্রম   পরীক্ষা   তীব্র তাপদাহ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন