ক্লাব ইনসাইড

ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের গনহত্যা বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন

প্রকাশ: ০৬:১৩ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail ফিলিস্তিনে ইজরায়েলের গনহত্যা বন্ধের দাবীতে মানববন্ধন

ফিলিস্তিনের নিরীহ মানুষের উপর ইজরায়েলের বর্বরচিত হামলা বন্ধের দাবিতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ মিছিল করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা ইজরায়েলি সকল পণ্য বর্জনের ডাক দেন শিক্ষার্থীরা। 

 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে বিক্ষোভ শুরু করে সমগ্র ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভাস্কর্য চত্বরে এসে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে। 

 

সমাবেশে বক্তারা বিশ্বে যারা মানবাধিকারের সবক দিয়ে থাকেন সেই আমেরিকা সহ পশ্চিমা বিশ্ব ফিলিস্তিন ইস্যুতে কেন চুপ সে প্রশ্নও রাখেন। আমেরিকার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিলিস্তিনের গনহত্যা বন্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করেন তারা। এ সময় তারা ইজরায়েল নিপাত যাক ফিলিস্তিন মুক্তি পাক, মজলুমের রক্ত বৃথা যেতে দেবো না, ফ্রী ফর প্যালেস্টাইন বলে স্লোগান দিতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। 

 

সমাবেশে ইসলামিক স্টাডিজ ডিপার্টমেন্ট শিক্ষার্থী আরফাত উল্লাহ বলেন, আমরা যখন এখানে দাড়িয়ে কথা বলছি ঠিক সেই মুহুর্তে গাজায় আমাদের ভাইয়েরা বুকের রক্ত দিচ্ছে। ৩৫ হাজার ফিলিস্তিন ভাইদের হত্যা করা হয়েছে। এটা যদি মানবাধিকার লঙ্ঘন না হয় তাহলে কোনটিকে মানবাধিকার লঙ্ঘন বলবো আমরা। 

 

জুনায়েদ নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, শুধু বাংলাদেশে না, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, ইউরোপ, রাশিয়া সহ খোদ ইসরাইলেও এই আন্দোলন হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন ছাত্র হিসেবে ইহুদিবাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন করা আমাদের কর্তব্য। এই আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা ইহুদিবাদের পতন ঘটিয়েই ছাড়বো ইনশাল্লাহ। শুধু ইহুদিদের নয়, ইহুদিদের পণ্যও বয়কট করতে হবে। 

সমাবেশে বিশ্ববিদ্যালয়ের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মাসুদ বলেন, ইসরায়েলের অস্ত্র আছে, কামান আছে, ফিলিস্তিনের পাশে দু'শ কোটি মুসলমান আছে। মুসলমানরা শুধু সামনের দিকে এগিয়ে যায়, বুলেট তাদের বুকে লাগে, পিছে নয়। অতীতে মুসলমানরা যেভাবে ফিলিস্তিন শাসন করেছে, ইনশাআল্লাহ, ফিলিস্তিনের কবল থেকে মুসলমানরা আবারও ফিলিস্তিনকে স্বাধীন করবে।


মানববন্ধন   ফিলিস্তিন   বয়কট  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

প্রধানমন্ত্রীকে স্মারকলিপি দিবে ঢাবি শিক্ষক সমিতি

প্রকাশ: ০৩:৫০ পিএম, ২০ মে, ২০২৪


Thumbnail

অর্থ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি।

এ ছাড়া আগামী রবিবার (২৬ মে) একই দাবি নিয়ে একটি মানববন্ধন আয়োজন করবে এবং এই সময়ের মধ্যে তাদের দাবি না মানলে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে বলে জানিয়েছে সংগঠনটি।

গতকাল রোববার (১৯ মে) অনুষ্ঠিত ঢাবি শিক্ষক সমিতির এক সাধারণ সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ সোমবার সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সভায় সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের দাবিতে মহামান্য রাষ্ট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয় আগামী ২৬ মে রবিবার সকাল ১১:৩০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে একটি মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হবে এবং এই সময়ের মধ্যে প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তকরণ বাতিল না হলে ওই মানববন্ধন থেকে কর্মবিরতিসহ কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

এতে আরও বলা হয়, গত ১৩ মার্চ ২০২৪ তারিখে জারিকৃত এসআরও নং ৪৭-আইন/২০২৪ এর মাধ্যমে সর্বজনীন পেনশনের প্রত্যয় স্কিমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্ত করায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে এটি প্রত্যাখ্যান করে ১৯ মার্চ ২০২৪ তারিখে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে ৩ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় উপস্থিত শিক্ষকরা এই পেনশন স্কিমে অন্তর্ভুক্তি প্রত্যাখ্যানপূর্বক তীব্র প্রতিবাদ করেন।

এক মাস অতিক্রান্ত হলেও প্রত্যয় স্কিমে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তিকরণ বাতিলের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ২৯ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে শিক্ষক সমিতির কার্যকর পরিষদের জরুরি সভায় ৩০ এপ্রিল ২০২৪ থেকে ৭ মে ২০২৪ পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের স্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ওই কর্মসূচিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০৬১ জন শিক্ষক স্বাক্ষর করে সর্বজনীন পেনশনে শিক্ষকদের অন্তর্ভুক্তি বাতিলের পক্ষে মতামত প্রদান করেন।


প্রধানমন্ত্রী   স্মারকলিপি   ঢাবি শিক্ষক সমিতি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

লেখাপড়া শিখে অকেজো থাকা যাবে না: ইবি ভিসি


Thumbnail

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ভিসি অধ্যাপক . শেখ আবদুস সালাম বলেছেন, লেখাপড়া তো করতেই হবে। কিন্তু লেখাপড়া শিখে অকেজো থাকা যাবে না। বাজারে অবস্থান তৈরি করার জন্য নিজেকে যোগ্য করে তুলতে হবে। আর এজন্য জ্ঞান, প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তির সঠিক সমন্বয় ঘটিয়ে যোগ্য তৈরি হতে হবে। 

 

রোববার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম. এ. ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান ভবনে অনুষ্ঠিত ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিসি এসব কথা বলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় এই অনুষ্ঠানটি শুরু হয়।

 

অনুষ্ঠানে গেস্ট অব অনার হিসেবে ছিলেন আইসিটি ডিভিশনের ইডিজিই (এনহেন্সিং ডিজিটাল গাভার্ণমেন্ট এন্ড ইকোনমি) প্রজেক্টের পরিচালক এবং যুগ্ম-সচিব সাখাওয়াত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভিসি . মাহবুবুর রহমান, ট্রেজারার . আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া, ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের সমন্বয়ক . ফারুকুজ্জামান খান এবং ইডিজিই প্রজেক্টের স্মার্ট লিডারশীপ একাডেমির স্পেশালিস্ট . মাজহারুল হক। ইবি ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রামের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি . রবিউল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সফট বিডি লিমিটেডের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার আতিকুল ইসলাম খান স্পেশালিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের ইডিজিই (এনহেন্সিং ডিজিটাল গাভার্ণমেন্ট এন্ড ইকোনমি) প্রোজেক্টের অধীনে ৮০ হাজার শিক্ষার্থীকে এমপাওয়ারড্ করার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এই ট্রেনিংয়ের মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীরা জরুরি বিভিন্ন কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি জব মার্কেট, কার্যকরী ব্যবসায়িক যোগাযোগ, প্রফেশনাল ওয়ার্কপ্লেস নর্মস সম্পর্কে জানবে।


ইবি   ডিজিটাল স্কিলস ফর স্টুডেন্ট ট্রেনিং প্রোগ্রাম   প্রশিক্ষণ এবং প্রযুক্তি  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

ইবিতে র্কমচারীদরে দক্ষতা বৃদ্ধিতে প্রশিক্ষণ র্কমশালা


Thumbnail

ইসলামী বশ্বিবদ্যিালয়ে (ইবি) ‘র্কমচারীদরে দক্ষতা বৃদ্ধিতে শুদ্ধাচাররে ভূমকিা’ র্শীষক প্রশিক্ষণ র্কমশালা অনুষ্ঠতি হয়ছে। রববিার (১৯ মে) সকাল ১০টায় প্রশাসন ভবনরে ৩য় তলার সভাকক্ষে সহায়ক র্কমচারীদরে অংশগ্রহণে এই কর্মশালা শুরু হয়। 

 

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন। এপিএ টিমের আহবায়ক প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো: মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ও রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো: আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া। স্বাগত বক্তব্য রাখেন রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এইচ.এম. আলী হাসান। রিসোর্স পার্সন ছিলেন উপ-রেজিস্ট্রার (প্রশাসন) ও এপিএ ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা চন্দন কুমার দাস।

 

কর্মশালায় বক্তারা কর্মচারীদের সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার তাগিদ দেন।


ইবি   দক্ষতা বৃদ্ধি   কর্মশালা  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানো ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার

প্রকাশ: ০৮:৪৫ এএম, ১৮ মে, ২০২৪


Thumbnail

চট্টগ্রামের গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজের অধ্যক্ষের রুমে ঢুকে শিক্ষক পেটানোর ঘটনায় কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-আহ্বায়ক মোঃ সাফাতুন নুর চৌধুরীকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।

শুক্রবার (১৭ মে) ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদের দপ্তর সম্পাদক মেফতাহুল ইসলাম পান্থের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সংগঠনের শৃঙ্খলা মর্যাদা পরিপন্থি এবং অপরাধমূলক কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে মো. সাফাতুন নুর চৌধুরীকে (যুগ্ম-আহ্বায়ক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, গাছবাড়িয়া সরকারি কলেজ শাখা) বহিষ্কার করা হয়েছে।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সকালে কলেজের কার্যক্রম চলা অবস্থায় ফ্যান নষ্ট থাকার জের ধরে অধ্যক্ষের কক্ষে ঢুকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক . কে এম আতিকুর রহমানের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় লিপ্ত হন ছাত্রলীগ নেতা। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে শিক্ষককে কিল-ঘুষি-লাথি মেরে আহত করেন তিনি।


ছাত্রলীগ   শিক্ষক পেটানো   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ক্লাব ইনসাইড

বহিষ্কার হওয়ার পর যা বললেন রাবির সেই চার ছাত্রলীগ নেতা

প্রকাশ: ০৬:২১ পিএম, ১৬ মে, ২০২৪


Thumbnail

শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৪ ছাত্র নেতাকে বহিষ্কার করেছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। তবে ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্টতা নেই দাবি একাধিক ছাত্রনেতার। এমনকি ঘটনা দ্বিপাক্ষিক হলেও একপাক্ষিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে দাবি বহিস্কৃত ছাত্রনেতাদের।  

 

বহিস্কৃত ছাত্রনেতারা বলছেন, ঘটনার সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। হলের সিসিটিভি ফুটেজ দেখার দাবি তাদের। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের এমন সিদ্ধান্ত একপাক্ষিক হয়েছে বলে দাবি করেন তারা। ঘটনায় পত্রিকা বা গণমাধ্যমে নাম না উঠলেও বিনা কারণে বহিস্কৃত হয়েছেন।

 

বহিষ্কৃত ছাত্রনেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন বলেন, ‘কি থেকে কি হয়েছে আমি কিছুই বুঝতে পারছি না। কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা চার জনের মধ্যে আমার নাম উল্লেখ থাকলেও প্রকৃতপক্ষে ঘটনার সাথে আমার কোনো ধরণের সংশ্লিষ্টতা নেই। ঘটনায় হলের সিসিটিভি ফুটেজ চেক করলে আমাকে পাওয়া যাবে না। এমন সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ আমার বিরুদ্ধে গিয়েছে। ৭ দিন সময় দেওয়া হয়েছে কেন্দ্র থেকে। ঘটনার সাথে আমার সংশ্লিষ্টতা নেই এবং আমি নির্দোষ এ বিষয়টি ঢাকায় গিয়ে সরাসরি কথা বলবো।’ 

 

শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ বলেন, ‘ঘটনাগুলো দ্বিপাক্ষিক হলেও শুধু আমাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। ওই দলের বিরুদ্ধে (বাবু-গালিব) এখন পর্যন্ত সাংগঠনিকভাবে কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখিনি। আমাদের কারণ নির্দেশনার জন্য সাত দিন সময় দেওয়া হয়েছে কিন্তু ঢাকা যাবো কিনা এখনও সিদ্ধান্ত নিতে পারিনি। আজ (১৫ মে) ছিনতাইয়ের অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে উঠেছে তা সম্পূর্ণ বানোয়াট ও মিথ্যাচার। তা রাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক দুজনের পূর্ব পরিকল্পিত। আমি আতিকের (হল শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এবং হলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা) রুমে যায়ই নি। তাহলে আমি তার রুমে ভাঙচুর কিভাবে করব অথবা টাকা কিভাবে হাতিয়ে নিবো? এগুলা আমার বিরুদ্ধে সাজানো একটা নাটক এবং পূর্বপরিকল্পিত।’ 

 

আরেক বহিস্কৃত ছাত্রনেতা ও শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু বলেন, ‘খুবই একটি বিব্রতকর অবস্থায় পড়েছি। এ ঘটনায় পত্রিকা বা গণমাধ্যমে কোথাও আমার নামে অভিযোগ না আসলেও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে আমাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কিসের ভিত্তিতে বহিষ্কার করা হয়েছে এটা আমার জানা নেই। তবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ যে সিদ্ধান্ত নিবে আমি তা মাথা পেতে নেব। আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের রাজনীতি করি। ক্যাম্পাসের কারও রাজনীতি করিনা। এছাড়া ঢাকায় গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাথে কথা বলে বিষয়টা সমাধান করার চেষ্টা করবেন বলে জানান এই ছাত্রনেতা।’

 

বহিষ্কৃত নেতা শাখা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাবিরুজ্জামান রুহুল বলেন, ‘ঘটনা যাই হোক আমাদের সর্বোচ্চ অভিভাবক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ থেকে যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে আমি কোন মন্তব্য করতে রাজি নই। ছাত্রলীগের কর্মী হিসাবে আমরা তাদের সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য। তবে আমি গণমাধ্যমের মাধ্যমে জানতে পেরেছি পান্থ ভাই নাকি (কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দপ্তর সম্পাদক) বলেছেন আমরা নির্দোষ হলে অবশ্যই আমাদের বহিষ্কারাদেশ বাতিল করা হবে। তাই ঢাকায় গিয়ে আমরা লিখিতভাবে আমাদের অবস্থান ব্যক্ত করবো।’

 

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখার তত্বাবধায়ক ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের উপ-শিক্ষা ও পাঠ্যক্রম সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘ছাত্রলীগের কোন নেতা-কর্মী নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে জড়ালে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কর্মকাণ্ড কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে। ইতোমধ্যে কয়েকজনকে বহিষ্কারও করা হয়েছে। আমরা শীঘ্রই সাংগঠনিক সফরে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করব।’ 

 

প্রসঙ্গত, এর আগে ১১ মে রাতে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী হলে গেস্ট রুমে বসাকে কেন্দ্র করে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দু'পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, ককটেল বিষ্ফোরণ ও অস্ত্রের ঝনঝনানিতে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় ক্যাম্পাস। সোহরাওয়ার্দী হল সহ আশেপাশের হলগুলোতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করে। ঘটনার এক দিন পর ১৩ মে রাতে পুনরায় একই স্থানে অস্ত্রের মহড়া দিতে দেখা যায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। 

এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার (১৪ মে) সংগঠনের শৃঙ্খলা ও মর্যাদা পরিপন্থী কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় সংসদ রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি শাহিনুল সরকার ডন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান অপু এবং  সাংগঠনিক সম্পাদক কাব্বিরুজ্জামান রুহুল এই চার নেতা কে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে। পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে কেন পরবর্তী সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তার লিখিত জবাব আগামী ৭ দিনের মধ্যে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দপ্তর সেলে জমা দেয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। 


ছাত্রলীগ   রাবি বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন