কালার ইনসাইড

শিল্পী সমিতির নির্বাচন: জয়-পরাজয়ের নেপথ্যের কথা

প্রকাশ: ১০:২২ পিএম, ২৯ জানুয়ারী, ২০২২


Thumbnail শিল্পী সমিতির নির্বাচন: জয়-পরাজয়ের নেপথ্যের কথা

নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বিবার্ষিক (২০২২-২০২৪) নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের দর্শকপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন জায়েদ খান।

এবারের নির্বাচন চলচ্চিত্রের শিল্পী সমিতির যে কোন নির্বাচনকে হার মানিয়েছে। বেশ অনেক কারণেই এবারের নির্বাচন নিয়ে সারা দেশের দৃষ্টি ছিলো এফডিসির দিকে। যার অন্যতম কারণ নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন।

ইলিয়াস  কাঞ্চন (১৯১) পেয়ে মিশা সওদাগরকে (১৪৮) হারিয়ে ৩৩ বছর পর শিল্পী সমিতির দায়িত্ব নিয়েছেন।

অনেকেই প্রশ্ন তুলতে পারেন এত বছর পর এসে দেশের জনপ্রিয় খল অভিনেতা মিশা সওদাগরকে কিভাবে হারিয়ে জয়ের হাসি মুখে নিয়ে বাড়ি ফিরলেন?

নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন বাংলা চলচ্চিত্রের এক ইতিহাস বলা চলে। তার 'বেদের মেয়ে জ্যোৎস্না' ছবিটি বাংলা চলচ্চিত্রের সর্বাধিক ব্যবসা সফল সিনেমা। শুধু এই সিনেমা নয় তার অনেক সুপার হিট ছবি আছে যা দর্শকের মনে আজো জায়গা করে আছে। গ্রাম থেকে শহর কোথায় নেই তার ভক্ত! 

শুধু সিনেমা নয়। সামজিক নানা কর্মকাণ্ডের সাথেও তিনি জড়িত। তার গড়া 'নিরাপদ সড়ক আন্দোলন' যেন আলোর দিশারি হয়ে কাজ করছে। সড়ক দূর্ঘটনা কমাতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন তিনি।

শিল্পী সমিতির নির্বাচন করছেন ইলিয়াস কাঞ্চন খবরটি শুনে তাকে নিয়ে সামজিক যোগাযোগ ব্যাপক চর্চা শুরু হয়। সাধারণ দর্শকদের পাশাপাশি চলচ্চিত্রের অনেকেই এবারের নেতৃত্বে তাকে চেয়েছেন। সব মিলিয়ে নির্বাচনে তার জয় হয়।

এবার আসা যাক সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খানের দিকে। এই নির্বাচনের মূল কেন্দ্র বিন্দু ছিলো জায়েদ খান ও নিপুণ। সরজমিনে দেখা গিয়েছে অন্যান্য প্রার্থীদের তুলনায় এই প্রর্থীদের মাঝেই  লড়াইটা ছিলো চোখে পড়ার মত। 

জায়েদ খান ১৭৬ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। অন্যদিকে তার প্রতিদন্দী 

চিত্রনায়িকা পেয়েছেন নিপুণ (১৬৩) ভোট। হার-জিতের খেলায় ভোটের ব্যবধান বেশী নয়। তবে লড়াই করতে হয়েছে বেশ দুজনকেই। 

অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন জায়েদ খান কিভাবে নির্বাচিত হন? তিনি নায়ক হিসেবেও তো নিপুণের থেকে বেশী জনপ্রিয় নয়! 

ইলিয়াস কাঞ্চন জনপ্রিয়তা পাশাপাশি নানা সামাজিক কর্মকান্ড দিয়ে যেমন সবার সাস্থা অর্জন করেছেন দীর্ঘ দিনের ক্যারিয়ারে ঠিক তেমনে জায়েদ খান জনপ্রিয়তার দিক থেকে তেমন এগিয়ে না থাকলেও সাংঠনিক ভাবে বেশ সফল। যার প্রমাণ মিলে গত করোনার সময়ে তার নানা কর্মকাণ্ডের জন্য।

করোনায় অসহায় শিল্পীদের সমিতির পাশাপাশি নানা মাধ্যমে আর্থিক সহযোগিতা থেকে শুরু করে খাবারের ব্যবস্থা করেছেন অনেকবার। নিয়োমিত সকল শিল্পীদের সাথে যোগাযোগ করেছেন। খোঁজ নিয়েছেন। জেনেছেন কখন কার কি প্রয়োজন। শুধু তাই নয় করোনায় আক্রান্ত বাংলা চলচ্চিত্রের অনেক শিল্পীর লাশ কাধে নিয়েছেন। যখন তাদের পাশে পরিবারের অনেকেই ছিলেন না। যখনই যার বিপদ শুনেছেন দৌড়ে গেছেন তাদের কাছে। সেটা হউক মধ্যরাত কিংবা দিন।

পাশাপাশি জায়েদ খানকে বরাবরই সমর্থন দিয়েছেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি শিল্পী ফারুক, সোহেল রানা, আনোয়ারা থেকে অনেকেই। 

এদিকে,নিপুণকে নিয়েও বেশ আশাবাদী ছিলেন অনেকেই। ইলিয়াস কাঞ্চনের সাথে একই প্যানেল থেকে নির্বাচন করলেও তিনি হেরে গেছেন জায়েদ খানের কাছে। 

নিপুণের জনপ্রিয়তা একেবারে কম না। তবুও কেন হেরে গেলেন তিনি? এমন প্রশ্ন অনেকের মনেই ঘুরপাক খাচ্ছে!

একটু বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় জায়েদ খানের বিভিন্ন কাজের কাছে তিনি পিছিয়ে আছেন। যদিও তিনিও বিভিন্ন সময় বিভিন্ন শিল্পীদের পাশে দাড়িয়েছেন। 

পাশাপাশি সরজমিনে দেখা গিয়েছে শুরু থেকেই ইলিয়াস কাঞ্চন ও নিপুণ প্যানেলের অনেকেই বেশ আক্রমনাত্মক ছিলেন। প্রচারণার সময় বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সময় নানা বিষয় নিয়ে সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে নিপুণ সহ রিয়াজকে। বিশেষ করে 'নোট দিয়ে ভোট কেনার দিন শেষ' গানটি নিয়ে। 

গানটির সাথে কোমর দুলিয়ে নিপুণ সহ অনেকের নাচ সিনিয়র শিল্পীদের মনে কষ্টের জন্ম দিয়েছেন। অনেকেই মনে করছেন গানটির মাধ্যমে সিনিয়র  শিল্পীদের অপমান করা হয়েছে। যার প্রভাব হয়তো নির্বাচনে পরেছে।

সব কিছু মিলিয়ে বেশ উত্তেজনার মধ্য দিয়েই শেষ হলো এবারের শিল্পী সমিতির নির্বাচন। 

ইলিয়াস কাঞ্চন ও জায়েদ খান ছাড়াও আরও নির্বাচিত হয়েছেন

সহ-সভাপতি পদে আবারও নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল (২১৯) ও রুবেল (১৯১)। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন সাইমন সাদিক (২১২), সাংগঠনিক সম্পাদক শাহনূর (১৮৪), আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জয় চৌধুরী (২০৫), দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আরমান (২৩২), সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইমন (২০৩), কোষাধ্যক্ষ পদে আজাদ খান (১৯৩)।

দুই প্যানেলে কার্যনির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন- অঞ্জনা সুলতানা (২২৫), অরুনা বিশ্বাস (১৯২), অমিত হাসান (২২৭), আলীরাজ (২০৩), কেয়া (২১২), চুন্নু (২২০), জেসমিন (২০৮), ফেরদৌস (২৪০), মৌসুমী (২২৫), রোজিনা (১৮৫), সুচরিতা (২০১)।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

গভীর রাতে রহস্যজনক স্ট্যাটাস, সকালে মিলল অভিনেত্রীর লাশ

প্রকাশ: ০৬:২৭ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

শোবিজ অঙ্গনে আবারও শোক সংবাদ। সম্প্রতি বিহারের ভাগলপুরে নিজের ফ্ল্যাটে ভারতীয় ভোজপুরি সিনেমার অভিনেত্রী অমৃতা পাণ্ডেকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। সিলিং ফ্যানে শাড়ি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থা উদ্ধার করা হয় তার মরদেহ। যদিও এ অভিনেত্রীর ফ্ল্যাট থেকে কোনো সুইসাইড নোট পাওয়া যায়নি।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, অভিনেত্রী অমৃতার মৃত্যুর কয়েক ঘণ্টা আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নোট শেয়ার করেছিলেন। রিপোর্ট বলছে, অমৃতা তার স্বামীর সঙ্গে মুম্বাইতে থাকতেন। কিন্তু তিনি সম্প্রতি ভাগলপুরে একটি বিয়ের জন্য তার আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) গভীর রাত পর্যন্ত জেগে ছিলেন অমৃতা এবং তার হোয়াটসঅ্যাপ স্ট্যাটাসে একটি নোট পোস্ট করেছেন। কয়েক ঘণ্টা পরে, তাকে তার ঘরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।

পুলিশ রিপোর্ট অনুসারে, হোয়াটসঅ্যাপে অমৃতার নোটে লেখা ছিল, কেনো দুই নৌকায় ভাসছিল জীবন, নৌকা ডুবিয়ে জীবন সহজ করে দিয়েছি।

অমৃতার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং পরিচিতরা জানিয়েছেন, অভিনেত্রী বেশ কিছুদিন ধরে বিষণ্ণতা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যার সঙ্গে লড়াই করছিলেন এবং তিনি এর জন্য চিকিৎসাও করাতে চেয়েছিলেন।

তদন্ত শুরু হলেও, পুলিশ সন্দেহ করছে যে তার আত্মহত্যার কারণ হতাশা। সিটি এসপি শ্রী রাজ জানিয়েছেন যে অমৃতার মৃত্যুর ঘটনায় একটি হাই প্রোফাইল তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এবং এসপি আনন্দ কুমারের নির্দেশে একটি বিশেষ দলও গঠন করা হয়েছে। অমৃতার পরিবার এবং তার স্বামী এখনো জনসমক্ষে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেননি।

অমৃতা দিওয়ানাপান সিনেমায় ভোজপুরি সুপারস্টার খেসারি লাল যাদবের সঙ্গে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন।

ভোজপুরি সিনেমা   অমৃতা পাণ্ডে  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শিল্পী সমিতির শ্রদ্ধা

প্রকাশ: ০২:০৮ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বে তারা গেল শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

এ সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সহসভাপতি ডিএ তায়েব, সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কোষাধ্যক্ষ কমল, কার্যনির্বাহী সদস্য সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, চুন্নু ও সনি রহমান উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্রনায়িকা রুমানা ইসলাম মুক্তি, নাহিদা আশরাফ আন্না, ডি জে সোহেলসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।

গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়। মিশা সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট এবং ২২৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন ডিপজল।


বঙ্গবন্ধু   শিল্পী সমিতি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অপু বিশ্বাস কেন ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ জানাল ইমন

প্রকাশ: ০১:০৬ পিএম, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঈদ উপলক্ষে বরাবরই তারকাদের নিয়ে আড্ডার আয়োজন করে বেসরকারি টেলিভিশনগুলো। বিভিন্ন ব্যান্ডের ফটোশুটে প্রায় তাদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস ও তরুন নায়ক ইমন খান কে। কাজের সূত্র ধরেই দুই তারকার বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। বন্ধুত্বের জায়গা থেকেই এবারে ইমন অপু বিশ্বাসকে ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ বলেন। 

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে হাজির হয়েছিলেন ইমন। ওই অনুষ্ঠানে ‘জানতে চাই’ নামের একটি অংশ নায়কের কাছে উপস্থাপক জানতে চান ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ কে। এমন প্রশ্নের জবাবে অবলীলায় ইমন অপু বিশ্বাসের কথাবলেন।

ইমন একটু হেসেই বলেন, অপু বিশ্বাসের কাছে ঢালিউডের সব খবর থাকে। মানে অপু বিশ্বাসকে সবাই বলে নায়ক মান্না ভাই। আগে মান্না ভাইয়ের কাছে সব ধরনের খবর থাকত। এখন থাকে তার কাছে। সে জানে ইন্ডাস্ট্রিতে কোথায় কী হচ্ছে। এমনকি সে খুব সঠিক তথ্যও দিয়ে দেয়।

ব্যক্তি জীবনের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনায় থাকেন অপু বিশ্বাস। ঢাকাই সিনেমার নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে এবং বিচ্ছেদ নিয়েই বেশি আলোচনা চলে এই অভিনেত্রীকে নিয়ে। বর্তমানে নিজের ব্যবসা নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেত্রী।


অপু বিশ্বাস   ঢালিউড   ‘গসিপ কুইন’ ইমন খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

হানিফ সংকেতের ফেসবুক হ্যাক

প্রকাশ: ১০:৪২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হ্যাক হয়েছিল। পেজটির দখলে নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছবিও পোস্ট করেন হ্যাকাররা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই হানিফ সংকেতের কারিগরি দল পেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

ফেসবুক পেজ ফিরে পাওয়ার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে পেজে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা পেজটি হ্যাক করে সেখানে অত্যন্ত অরুচিকর একটি দৃশ্য সংযোজন করে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমার টেকনিক্যাল টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপসারণ করে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের এই পোস্ট দেয়ার আগেই অনেকে পেজ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের সতর্ক করেছেন, সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’

হানিফ সংকেত   ফেসবুক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লাবণ্যময়ী সেই ভাইরাল হাসি নিয়ে মুখ খুললেন পিয়া

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।

রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ে উঠে যাওয়া কিংবা যাকে নিয়ে চারদিকে এত হইচই, এবার পিয়া জান্নাতুলই মুখ খুললেন বিষয়টি নিয়ে। গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মোটেই আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ বুঝি, যারা ২ সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে আবার ১ সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।

পিয়ার ভিডিওটি দেখে তরুণদের একটি বড় অংশ তাকে ‘জাতীয় ক্রাশ’বলে ডাকছেন। কেউ কেউ তো সোশ্যালমিডিয়ায় অবলীলায় লিখেও ফেলছেন, ‘প্রেমে পড়ে গেলাম। আহ্ কী হাসি!’

বিষয়টিকে ‘দোষের’ দেখছে না পিয়া জান্নাতুল। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি কনটেন্ট বা রিলস যে যেটাই তৈরি করছেন, তাদের বেশিরভাগই তরুণ-যুবক। আর তাদের জীবনে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে।

পিয়া আরও বলেন, আসলে এগুলো এখন ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে। আর যখন যে ট্রেন্ড আসে, সবাই সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে দোষের কিছু দেখছি না।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জিতে আলোচনায় আসেন পিয়া জান্নাতুল। এরপর ২০০৮ সাল থেকে র‍্যাম্প মডেলিং দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু। পরবর্তীতে ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ারও সাফল্য অর্জন করেন।


ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন   পিয়া জান্নাতুল  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন