কালার ইনসাইড

শিল্পী সমিতির নির্বাচন: জায়েদ-নিপুণের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

প্রকাশ: ০১:২৪ পিএম, ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail শিল্পী সমিতির নির্বাচন: জায়েদ-নিপুণের ভাগ্য নির্ধারণ আজ

গত সপ্তাহে শেষ হয়েছে শিল্পী সমিতির নির্বাচন। এবারের নির্বাচনে সভাপতি পদে নির্বাচিত হয়েছে ইলিয়াস কাঞ্চন ও সাধারণ সম্পাদক পদে জয়ী হয়েছেন জায়েদ খান। তবে  নির্বাচন যেনো শেষ হইয়াও হইল না শেষ।

 বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে জল ঘোলা কম হয়নি। পরস্পরের বিরুদ্ধে আদাজল খেয়ে নেমেছেন জায়েদ খান ও নিপুণ। আপিল বোর্ড, মন্ত্রণালয়, উকিল নোটিশসহ আইনের সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দুজন। কী আছে তাদের ভাগ্যে এখনই বোঝা যাচ্ছে না। এ জন্য অপেক্ষা করতে হবে তাদের।

নির্বাচনের পর জায়েদ খানের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন নিপুণ। এরপর শিল্পী সমিতির নির্বাচনী গঠনতন্ত্র-বহির্ভূত ভোট কেনাবেচার অভিযোগ এনে জায়েদ খান ও চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বাতিল চেয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন তিনি।

নিপুণের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের একটি আবেদন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জেলা সমাজসেবা কার্যালয় হয়ে পুনরায় আপিল বিভাগের কাছে দিক-নির্দেশনার জন্য আসে।

চিঠিতে বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান ও কার্যকরী পরিষদের সদস্যপদে চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপারে আপিল বিভাগের চেয়ারম্যানের ওপর ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। এখন কী জায়েদ ও চুন্নুর প্রার্থিতার ফল বাতিল হয়ে যাবে?

এ বিষয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাদের সিদ্ধান্ত পেতে অপেক্ষা করতে হবে শনিবার বিকেল পর্যন্ত। বাদী ও বিবাদী উভয়কে নিয়ে বিকেলে বিএফডিসিতে বসবেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান।

জায়েদ খান ও আপিল বোর্ডের অন্য সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জেমির দাবি আপিল বোর্ডের মেয়াদ শেষ ২৯ জানুয়ারি। এখন তাদের সিদ্ধান্ত আইনসিদ্ধ নয়।

জায়েদ খান আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহানকে আইনি নোটিশও দিয়েছেন। একই নোটিশ পাঠিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব, সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, আপিল বোর্ডের সদস্য মোহাম্মদ হোসেনকেও।

গত বৃহস্পতিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) ব্যারিস্টার মুজিবুল হক ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এ আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

জায়েদ খান বলেন, নির্বাচনী তফসিল অনুযায়ী ২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার পর থেকে আপিল বোর্ড মেয়াদ উত্তীর্ণ। একটি মেয়াদোত্তীর্ণ সংস্থা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমার বিরুদ্ধে লেগেছে, যার কোনো আইনগত ভিত্তি নেই।

নোটিশে জায়েদ খান আরও উল্লেখ করেন, শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) নাকি একটি বৈঠক ডেকেছে, সেখানে আমাকেও উপস্থিত থাকতে হবে- এই মর্মে আমার পিয়নের কাছে চিঠি ধরিয়ে দিয়েছে। আপিল বোর্ড ২৯ তারিখ বিকেল ৫টার পর আপত্তি নিষ্পত্তি করেছে এবং নিপুণ পরাজয় মেনে নিয়ে স্বাক্ষর করে চলে গেছেন। এখানেই আপিল বোর্ডের কাজ শেষ।

এদিকে নোটিশ প্রাপ্তির কথা স্বীকার করেছেন নির্মাতা সোহানুর রহমান সোহান। তিনি বলেন, আমার কাছে একটি আইনি নোটিশ এসেছে। এটা নির্বাচনকে নিয়েই। এখন আমাকে দেখে বুঝতে হবে সেখানে আসলে কী বলা হয়েছে।

অন্যদিকে এক বিবৃতিতে শিল্পী সমিতির নির্বাচনে আপিল বিভাগের সিদ্ধান্ত আইনসিদ্ধ নয় বলে মন্তব্য করেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনে আপিল বোর্ডের আরেক সদস্য মোহাম্মদ হোসেন জেমী। শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে তিনি একথা বলেন। 

বিবৃতিতে জেমী জানান, গত ২৮ জানুয়ারি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পরের দিন অর্থাৎ ২৯ জানুয়ারি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী পুনরায় ভোট গণনার জন্য একটি আপিল করেছিলেন এবং আপিল বোর্ড কর্তৃক তার সুষ্ঠু সমাধান দেওয়া হয়েছিল। এরপরে আর কোনো প্রার্থীর আপিল ছিল না। আপিল বোর্ডের এই কার্যক্রমের ছয় ঘণ্টা পরে আমি আমেরিকার উদ্দেশ্যে দেশ ত্যাগ করেছি।

নিপুণ   জায়েদ   মামলা   শিল্পী সমিতি   নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার মেয়ের মা হলেন পরীমণি!

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই চলচ্চিত্রের লাস্যময়ী অভিনেত্রী পরীমণি। ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেতা শরিফুল রাজকে। যদিও সে সংসার বেশি দিন টেকেনি। তবে বিচ্ছেদের পর এখন ছেলে পুণ্যকে নিয়ে নিজের মতো করে জীবনযাপন করছেন এই অভিনেত্রী। সব ব্যস্ততাও তাকে ঘিরে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এতে তিনি জানিয়েছেন, ছেলে পুণ্যের পর এবার মেয়ের মা হয়েছেন তিনি।

পরী লিখেছেন, আমার মেয়ে এলো ঘরে। আমার মেয়ে, সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। এই নামেই বিশ্ব চিনবে ওকে। ছেলের পরে মেয়ে! কী যে আনন্দ! পৃথিবীতে আসার ছদিন হলো ওর। আমার ঘরে ছেলের পাশে আলো হয়ে আছে। আমি ওকে দত্তক নিয়েছি। নিয়ম মেনে সই করার সময় মনে হলো আল্লাহ আবার আমার জন্য কিছু করলেন। জীবনে কোনোদিন কিছু নিয়ম অনুযায়ী বা পরিকল্পনা করে করিনি আমি। তাই আল্লাহ আমার জন্য যা যা চেয়েছেন, তাই মাথা পেতে নিয়েছি। ও পরীর মতোই আমার কোলে চলে এলো। কোলে যখন নিই, মনে হয় আমার নাভি কেটেই ও এসেছে। ওর ছবি এখন দিচ্ছি না। কেউ রাগ করবেন না! মা তো...আর কিছু দিন যাক।

তিনি লিখেছেন, ছেলে আসার পর থেকে বাড়ি ও বাইরের সব দায়িত্ব নিজে সামলাচ্ছি। কী করে যে পারি! ছবির কাজ একটানা করতে পারছি না। কিন্তু আমাকে তো এবার আরও কাজ করতে হবে, ছেলে আর মেয়ের জন্য। খুব শিগগিরি ‘প্রীতিলতা’র কাজ শেষ করতে হবে। ওটা আগে করতে চাই। সেই জন্য আগের চেহারায় ফিরতে হবে।

পরীমণি আরও বলেন, আমি যা মন থেকে চাই তাই করি। কে কী বলল সে সব নিয়ে কোনও দিন ভাবিনি। কে বলেছে বাবা ছাড়া সন্তান মানুষ করা যায় না? কে বলেছে জন্ম দেওয়া বাবা-মা ছাড়া সন্তান মানুষ হয় না? এই সব নিয়ম সমাজের তৈরি। এই তো আর কয়েক দিনের মধ্যেই মাতৃ দিবস নিয়ে হইচই হবে। কিন্তু সেখানেও তো পিতৃতন্ত্রের আদলে তৈরি করা মেয়েদের জয়গান। এ সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে কাজ আর সন্তানদের নিয়ে বাঁচব আমি। এখন রাতের দিকে সব শান্ত হয়ে আসার পরে এক দিকে ছেলে আর এক দিকে ঘুমন্ত মেয়ের মাঝে যখন চোখ খুলে দেখি তখন মনে হয় পরীমণির আকাশটা বড় হয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, হাতে একগুচ্ছ কাজ পরীমণির। ব্যস্ত রয়েছেন টলিউডের একটি ছবি নিয়ে। ‘ফেলু বক্সী’ নামের একটি ছবিটিতে কাজ করছেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে আছেন সোহম চক্রবর্তী ও মধুমিতা সরকার। এটি নির্মাণ করছেন দেবরাজ সিনহা।

পরীমণি   অভিনেতা শরিফুল রাজ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

রায় শুনে যা বললেন নায়ক সোহেল চৌধুরীর মেয়ে লামিয়া

প্রকাশ: ০৪:১২ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৩ জনকে যাবজ্জীবন, ৬ জনকে খালাস দিয়েছেন আদালত। 

বৃহস্পতিবার (৯ মে) ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তীর আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া অপর আসামিরা হলেন, ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকী।

খালাসপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন ওরফে বস লিটন, ফারুক আব্বাসী, ও আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

এদিকে এ রায় শুনে নিজের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সোহেল চৌধুরীর কন্যা লামিয়া চৌধুরী। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন,.আমার বাবা তো ফেরত আসবে না। উনারা (অপরাধীরা) যেটা করেছেন, সেটার জবাব উনাদেরই দিতে হবে। উনাদের যাবজ্জীবন হোক কিংবা যেটাই হোক বাবার মৃত্যু আমার জীবনে যে প্রভাব ফেলেছে, সেটা কোনোভাবেই পরিবর্তন হবে না। রিয়েলিটি নিয়েই আমাকে থাকতে হবে। এখন তাদের বিচারে আমাদের কোনো কিছুই পরিবর্তন হয়নি, হবেও না।

উল্লেখ্য, ১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরীর কথা-কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলাটি তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর ২০০৩ সালে মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার ২ নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

ওই বছরই আসামি আদনান সিদ্দিকী হাইকোর্টে রিট করেন। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

পরে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়।

নায়ক সোহেল চৌধুরী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বলিউড ভাইজান সালমানের বিপরীতে রাশমিকা মান্দানা

প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গুঞ্জন সত্যি হলো। আর সারপ্রাইজ নয় অবশেষে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা চলে আসলো। বলিউডের নতুন জুটি হতে যাচ্ছেন বলিউড ভাইজান সালমান খান ও দক্ষিণ ভারতীয় জনপ্রিয় অভিনেত্রী রাশমিকা মান্দানা। 

সালমান খানের পরবর্তী সিনেমা ‘সিকান্দার’-এ অভিনেতার বিপরীতে দেখা যাবে দক্ষিণের এই তারকাকে। সাজিদ নাদিয়াদওয়ালা প্রযোজিত এবং এ আর মুরুগাদোস পরিচালিত সিনেমাটি মুক্তি পাবে আগামী বছরের ঈদে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ বৃহস্পতিবার ( ৯ মে) সকালে এর আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসে। যেখানে সালমান আগে থেকেই নিশ্চিত ছিলেন।

এরপর রাশমিকার নাম প্রকাশ করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পোস্ট শেয়ার করে ক্যাপশনে এই নায়িকা লিখেছেন, ‘অনেকদিন ধরেই সবাই আমার নতুন কাজের খবর জানতে চেয়েছিলেন। খবর ছিল না দেখে আমি কিছুই জানাতে পারছিলাম না। এবার জানাচ্ছি। আপনাদের জন্য এটাই ছিল বড় চমক। ‘সিকান্দার’-এ আমি সালমান খানের বিপরীতে কাজ করছি। এমন একটি দুর্দান্ত কাজে আমাকে যুক্ত করার জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং সম্মানিত।’ সিনেমার শুটিং শুরু হবে এ বছরের শেষের দিকে। 

বর্তমানে রাশমিকা তার ‘পুষ্পা ২’ সিনেমা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এই সিনেমার কাজ শেষ হওয়ার পরেই তার নতুন সিনেমার শুটিং শুরু হবে।

 


বলিউড   রাশমিকা মান্দানা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বিশ্বে বেশিবার দেখা ভারতীয় সিরিজের খেতাব হীরামাণ্ডির

প্রকাশ: ১২:২৫ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সঞ্জয় লীলা বনশালির ‘হীরামাণ্ডি’ সিরিজের কাস্টিং, প্রেক্ষাপট নিয়ে চর্চা ও  বিতর্কের কমতি    নেই। তবে হাজারো সমালোচনা থাকলেও নতুন মাইলফলক গড়েছে বনশালির এই ওয়েব সিরিজ। বলা হচ্ছে, পুরো বিশ্বে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশিবার দেখা ভারতীয় সিরিজের খেতাব পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। ৪৩টি দেশের নীরিখে সেরা দশে নাম তুলে ফেলেছে ‘হীরামাণ্ডি’।

বুধবার (৮ মে) সন্ধ্যায় সিনেবাণিজ্য বিশ্লেষক তরণ আদর্শ ইনস্টা পোস্টে জানান, সঞ্জয় লীলা বনশালির ডেবিউ ওয়েব সিরিজ ‘হীরামাণ্ডি’ এযাবৎকালের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী সবথেকে বেশি দেখা ভারতীয় সিরিজের শীর্ষস্থান অধিকার করেছে। মনীষা কৈরালা, সোনাক্ষী সিনহা, রিচা চাড্ডা, অদিতি রাও হায়দরি, শেখর সুমন, অধ্যয়ন সুমন ও ফারদিন খানের মতো তাবড় কাস্টিং নিয়ে তৈরি ‘হীরামাণ্ডি’।

গত পয়লা মে নেটফ্লিক্সে মুক্তি পেয়েছে ‘হীরামাণ্ডি’। বনশালির ১৮ বছরের স্বপ্নের প্রজেক্ট ‘হীরামাণ্ডি’। কোনওরকম কসরত বাকি রাখেননি পরিচালক-প্রযোজক। কারণ, বনশালি মানেই ‘লার্জার দ্যন লাইফ’ সেট, সাজপোশাক। এই সিরিজে কোটি কোটি টাকার শুধু গয়নাই ব্যবহৃত হয়েছে।

সিরিজে ‘লাহোর বলে লখনউ দেখানো আর রিসার্চ ছাড়াই গল্প সাজানোতে ক্ষোভে ফুঁসছে পাকিস্তান। আবার নিজের দেশেও সিরিজ মেকিং নিয়ে প্রতিপদে চর্চার মুখে পড়তে হচ্ছে বানশালিকে। কারও দাবি, ঐতিহাসিক তথ্যে ভুল করেছেন নির্মাতা। তো কেউ বা আবার কাস্টিংয়ের জন্য স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছেন। এমনকি সিরিজের সংলাপে ব্যবহৃত উর্দু নিয়েও আপত্তি তুলেছেন দর্শকদের একাংশ।

 


হীরামাণ্ডি   সঞ্জয় লীলা বনশালি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলার রায় আজ

প্রকাশ: ১২:০৯ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

নব্বই দশকের চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ বৃহস্পতিবার (৯ মে) । ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এ রায় ঘোষণা করবেন। এর আগে ২৯ এপ্রিল ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বৃহস্পতিবার (৯ মে) ধার্য করেন।

১৯৯৮ সালের ১৭ ডিসেম্বর রাজধানীর বনানীতে ট্রাম্পস ক্লাবের নিচে সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় তার ভাই তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী গুলশান থানায় মামলা করেন। সোহেল চৌধুরী নিহত হওয়ার পরপরই এ হত্যাকাণ্ডে চলচ্চিত্র প্রযোজক ও ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সম্পৃক্ততার অভিযোগ ওঠে।

মামলার আসামিরা হলেন ট্রাম্পস ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলাম, ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আব্দুল আজিজ, তারেক সাঈদ মামুন, সেলিম খান, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, ফারুক আব্বাসী, আদনান সিদ্দিকী, দুই শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন ও আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস আগে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর কথা কাটাকাটি হয়। এর প্রতিশোধ নিতে সোহেল চৌধুরীকে হত্যা করা হয়। ঘটনার রাতে সোহেল তার বন্ধুদের নিয়ে ট্রাম্পস ক্লাবে ঢোকার চেষ্টা করেন। তাকে ভেতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। রাত আড়াইটার দিকে আবারও তিনি ঢোকার চেষ্টা করেন। তখন সোহেলকে লক্ষ্য করে ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক ও আদনান গুলি চালান।

মামলার তদন্ত শেষে ১৯৯৯ সালের ৩০ জুলাই গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার আবুল কাশেম ব্যাপারী ৯ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দাখিল করেন। ২০০১ সালের ৩০ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। এর দুই বছর পর মামলাটির বিচার দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য ঢাকার দুই নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়।

মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আসামি আদনান সিদ্দিকী ২০০৩ সালের ১৯ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট ২০০৪ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে রুলসহ আদেশ দেন।

বিচারপতি মো. রূহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি ভীষ্মদেব চক্রবর্তীর তৎকালীন ডিভিশন বেঞ্চ শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ৫ আগস্ট রায় দেন। রায়ে রুলটি খারিজ করে দেওয়া হয় এবং হাইকোর্টের দেওয়া স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়। মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য শেষ হয়েছে।


সোহেল চৌধুরী   চিত্রনায়ক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন