কালার ইনসাইড

ঢাকাই চলচ্চিত্রে যত ‘সাইকোপ্যাথ’ চরিত্র

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২


Thumbnail ঢাকাই চলচ্চিত্রে যত ‘সাইকোপ্যাথ’ চরিত্র

'Psychopath' সাইকোপ্যাথি হল এক ধরনের মানষিক অসুস্ততা। এটি একটি পার্সোনালিটি ডিজঅর্ডার যা বিভিন্ন চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য সনাক্তকরনেই বুঝা যায়। অগভীর আবেগ, কম ভয়, উদাসীন সহানুভূতি, ঠাণ্ডা মাথায় অন্যায় করা, নিজ দোষ শিকার না করা, নিজেকে অনেক কিছু মনে করা, মানুষকে মিথ্যা দিয়ে প্রভাবিত করা, দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, পরিকল্পনা করে খারাপ কাজ করা, ধান্দাবাজি, মানুষের ক্ষতি করে অনুতপ্ত না হওয়া, মানুষের কষ্ট দেখে উপহাস করা এবং অসামাজিক আচরণ যেমন খারাপ চরিত্রের দিকে ধাবিত হওয়া, স্বার্থ হাসিলের জন্য নিজের চরিত্র নষ্ট করা, পরের সাফল্যের বা শ্রমের উপর ​​নিজ জীবনধারা বিন্যাস করা এবং ঠাণ্ডা মস্তিষ্কে অপরাধিত্ব বজায় রাখা ইত্যাদি । 

সারা দুনিয়াতে বিশেষ করে হলিউড এবং কোরিয়ান মুভিজগতে সাইকোপ্যাথদের নিয়ে বহু চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। এদের মধ্যে অনেক চলচ্চিত্র বিপুল জনপ্রিয়তা ও প্রশংসা অর্জন করেছে। তবে সে অনুপাতে উপমহাদেশে এই ঘরানার কাজ নিয়ে পরীক্ষা-নীরিক্ষা খুব কম-ই হয়েছে। এই লেখার মাধ্যমে বাংলা চলচ্চিত্রে উল্লেখযোগ্য অল্প কিছু সাইকোপ্যাথ চরিত্র তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে। 

হুমায়ূন ফরীদি

বড়ভাই- বিশ্বপ্রেমিক

১৯৯৫ সালে মুক্তি পায় শহীদুল ইসলাম খোকন পরিচালিত রোম্যান্টিক-সাইকো-থ্রিলার ঘরানার চলচ্চিত্র “বিশ্বপ্রেমিক”। রুবেল, মৌসুমী, সোহেল রানা, খলিল, গোলাম মুস্তাফারদের মতো তারকা ও শক্তিমান অভিনেতাদের থাকার পরও, হুমায়ূন ফরীদির সেই ভয়ানক চরিত্র ও অভিনয়ের কারণে এছবিটি বাংলা সিনেপ্রেমীদের কাছে এখনো বিশেষ কিছু হয়ে আছে।

এখানে হুমায়ূন ফরীদর চরিত্রটি মানসিকভাবে বিপর্যস্থ একটি চরিত্র, যিনি মেয়েদের বুকের তিল সংগ্রহ করেন! কারণ তিনি মনে করেন এটি থাকলে মেয়েরা বিপথগামী হয়ে যায়। ছোটবেলায় তিনি তার মাকে পরকিয়াকৃত অবস্থায় দেখার পর থেকে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন। তার মায়ের বুকেও তিল থাকায় তার মনে এমন বিশ্বাসের তৈরি হয় এবং পরবর্তীতে তিনি তিল সংগ্রহ করতে গিয়ে একাধিক মেয়েকে গুম ও খুন করেন।

সোহেল চৌধুরী – রাঙা বউ 

১৯৯৬ সালে মুক্তি পাওয়া হিন্দি ছবি ‘Agni Sakshi’ এর অনুকরণে আমাদের দেশে নির্মিত হয় রোম্যান্টিক-থ্রিলার ঘরানার ছবি ‘রাঙা বউ’; কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন ভারতীয় অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, হুমায়ুন ফরীদি, আমিন খানসহ অনেকে। দুটি ছবিই ১৯৯১ সালে মুক্তি পাওয়া আমেরিকান সাইকো-থ্রিলার চলচ্চিত্র ‘Sleeping with the Enemy’ এর অনুকরণে নির্মিত।

‘রাঙা বউ’ এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে এক অত্যাচারী জমিদারপুত্রকে দেখতে পাওয়া যায়, যারা বংশপরম্পরায় প্রজাদের প্রতি শোষণ-নিপীড়ন চালিয়েছে। পূর্বপুরুষের রক্ত তার শরীরে প্রবাহিত হওয়ায় তিনি এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারেননি। তিনি গরিব ঘরের এক সুন্দরী মেয়েকে জোরপূর্বক বিয়ে করে নিজের বাড়ীতে রাখেন, সেখানে তিনি তাকে যেমন গায়ের জোরে মারধর করেন ঠিক তেমনি তাকে ভালোবাসেন। এভাবে তিনি তার মনের সকল চাওয়া-পাওয়া তার ‘রাঙা বউ’-এর মাধ্যমে পুরণ করে থাকেন।

জমিদারপুত্রের চরিত্রে এ ছবিতে অভিনয় করেন হুমায়ুন ফরিদী। মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত এছবিটি অশ্লীলতা, পর্ণগ্রাফির কাটপিস এবং সরাসরি রগরগে দৃশ্য দেখানোর জন্য সে সময় ব্যাপক সমালোচিত হয়। ছবিটি প্রদর্শন পরবর্তীতে নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যদিও ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেছিল।

মান্না

বাদশাহ – আম্মাজান 

এক সরকারী কর্মকর্তার ছেলে বাদশাহ তার ছোটবেলায় বাবাকে হারালে, পরবর্তীতে বিভিন্ন ঘটনাক্রমে তার চোখের সামনে তার মা ধর্ষিত হন। অনাকাঙ্ক্ষিত এই ঘটনা দেখার পর থেকে তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।

মায়ের প্রতি তার প্রবল ভালোবাসা এবং মাকে খুশি রাখার ইচ্ছায় যেমন মন দিয়ে ভালো কাজ করে, ঠিক তেমনি মায়ের কষ্ট লাঘব করতে কোনো খারাপ কাজ করতে দ্বিধা করে না। এমন এক গল্প নিয়ে জনপ্রিয় নির্মাতা কাজী হায়াৎ ১৯৯৯ সালে নির্মাণ করেন অ্যাকশন-ড্রামা ঘরানার ছবি ‘আম্মাজান’। যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন মান্না; সাথে অন্যান্য চরিত্রে রয়েছেন শবনম, মৌসুমী, আমিন খান, ডিপজল সহ আরো অনেকে।

বাদশাহ চরিত্রে অভিনয় করা মান্নার পারফরম্যান্স দারুণভাবে প্রশংসিত ও আলোচিত হয়, এখনো ছবিটি সমানভাবে জনপ্রিয়। ছবিটি সেসময় ব্যবসায়িক সফলতা অর্জন করেছিল।

ডিপজল

আকরাম –  কঠিন সীমার 

এক সৎ পুলিশ অফিসারের ছেলে লিউকেমিয়া রোগে আক্রান্ত হলে চিকিৎসার জন্য তার bone marrow এর প্রয়োজন হয়। অসুবিধা হলো রক্তের গ্রুপ ও-নেগেটিভ এবং অনেক চেষ্টা করা সত্ত্বেও কোনোভাবেই কম সময়ের মধ্যে এই গ্রুপের bone marrow খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরবর্তীতে একাধিক খুন করে জেলবন্দী থাকা এক আসামীর সাথে রক্তের গ্রুপ মিলে গেলে পুলিশ অফিসার এটি নিতে অস্বীকার জানায়, কারণ তিনি নিজেই এই দূর্ধর্ষ সিরিয়াল কিলারকে গ্রেফতার করেছিল, তাই স্বভাবতই খুনি চাইবে ব্যক্তিগত জেদ ধরে তার পরিবারের ক্ষতি করতে।

কিন্তু কোনো উপায়ান্তর না পেয়ে অবশেষে অফিসার সেই আসামীর শরণাপন্ন হন এবং সেই কুখ্যাত আসামী ছলে-কৌশলে এই সুযোগ কাজে লাগান। এমন এক উত্তেজনাকর গল্প নিয়ে পরিচালক মনতাজুর রহমান আকবর নির্মাণ করেন এ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার ছবি ‘কঠিন সীমার’, যেখানে উক্ত আসামীর চরিত্রে অভিনয় করেন ডিপজল। এছাড়া কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন মান্না, পপি, অমিত হাসান, ময়ুরী, আহমেদ শরীফ সহ আরো অনেকে।

তাসকিন রহমান

জিসান –ঢাকা অ্যাটাক

২০১৭ সালে নির্মাতা দীপঙ্কর দীপন নির্মাণ করেন পুলিশ-এ্যাকশন-থ্রিলার ঘরানার চলচ্চিত্র “ঢাকা অ্যাটাক”; যেখানে একজন স্মার্ট সাইকোপ্যাথ কিলার শেষ পঁয়ত্রিশ মিনিটের উপস্থিতি দিয়ে পর্দা কাঁপানো পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছিলেন!

এখানে জিসান চরিত্রটি ছোটবেলা থেকেই বুদ্ধিমান, কিন্তু মানসিকভাবে বিকারগ্রস্থ। মানুষের ইমোশন নিয়ে খেলা সে বেশ উপভোগ করে। একসময় তার পিতা দ্বিতীয়বার বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হলে এটি তাকে মানসিকভাবে আঘাত করে, এতে তিনি তার পিতামাতা দুজনকেই খুন করেন। পরবর্তীতে তার অসৎ চাচা বিশাল সম্পত্তি ভোগের উদ্দেশ্যে তাকে লালনপালন করে, তবে বড় হওয়ার পর জিসান তার চাচার উদ্দেশ্য ধরে ফেললে তিনি মালয়েশিয়া পালিয়ে যান এবং সেখানকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের সাথে যোগাযোগ স্থাপন শুরু করেন। পরবর্তীতে নিজ জন্মভূমি বাংলাদেশকে সিরিয়াল বোম্বব্লাস্টের মাধ্যমে উড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘৃণ্য পরিকল্পনায় অংশগ্রহণ করেন। 

“ঢাকা অ্যাটাক” ছবির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন আরিফিন শুভ, মাহিয়া মাহি, এবিএম সুমন, কাজী নওশাবা আহমেদ, শতাব্দী ওয়াদুদ সহ আরো অনেকে। মুক্তির পর চলচ্চিত্রটি দর্শকমহলে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছিল এবং তাসকিন রহমান এছবিতে অভিনয়ের পর রাতারাতি তারকাখ্যাতি পেয়ে যান। এই চরিত্রটির জন্য তিনি সেরা নবাগত অভিনেতা হিসেবে মেরিল-প্রথম আলো পুরষ্কার অর্জন করেন।

বাপ্পারাজ

রানা – মিসড্ কল 

এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার বিপদে পড়া মানুষদের সহায়তার জন্য একটি বিশেষ ধরনের অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করেন, যার মাধ্যমে কেউ তার ফোন নম্বরে মিসড্ কল দিলে সে উক্ত ফোনের GPS ব্যবহার করে ফোনের লোকেশন বের করে ফেলতে পারবে৷ এমন এক ইন্টারেস্টিং গল্প নিয়ে পরিচালক সাফি উদ্দিন সাফি নির্মাণ করেন রোম্যান্টিক-অ্যাকশন ঘরানার চলচ্চিত্র মিসড্ কল; যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেন বাপ্পী, মুগ্ধতা, তামান্না, বাপ্পারাজ, মিশা সওদাগর, কাজী হায়াৎ-সহ অনেকে।

বাপ্পারাজ এক মানসিক বিকারগ্রস্ত ইয়াবা চোরাচালানকারীর চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি ‘পাগল’ নামক শব্দটি শুনলে নরপশুর মতো আচরণ শুরু করে দেন। ঘটনাক্রমে জানা যায়, এর আগে তার পিতা এবং তার দাদারও এই রোগ ছিল। ২০১৭ সালের ৩ মার্চ মুক্তি পাওয়া এছবিটি দর্শকমহলে আলোচনা তুলতে ব্যর্থ হয়, সেইসাথে দূর্বল নির্মাণ ও নির্মাণগত ত্রুটির কারণে সমালোচনার সন্মুখীন হয়।

কাজী মারুফ

মারুফ – অন্য মানুষ

২০০৪ সালে মুক্তি পায় কাজী হায়াৎ পরিচালিত রোম্যান্টিক-থ্রিলার ঘরানার ছবি “অন্য মানুষ”; যেখানে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন কাজী মারুফ, শাবনূর, শাকিল খান, রাজিব, ডনসহ আরো অনেকে। এছবিটি এর এক বছর আগে মুক্তিপ্রাপ্ত তামিল ছবি “কাদলান কোন্দেন” (২০০৩) এর আনক্রেডিটেড রিমেক।

এখানে মারুফ এতিম, ছোটবেলায় পাহাড়ি অঞ্চলে বসবাসরত অবস্থায় বাঙালি-অবাঙালি দাঙ্গায় চোখের সামনে তার পিতামাতা নিহত হয়৷ সেই ট্রমা নিয়ে মারুফ পরবর্তীতে এতিমখানায় বড় হয়, সেখানে তিনি বিভিন্নভাবে বারবার লাঞ্ছিত হন। পদে পদে জীবনের বিভিন্ন জায়গায় লাঞ্ছনা ও অপমান সহ্য করতে করতে একসময় তিনি মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন৷ কলেজের একটি মেয়েকে একতরফা ভালোবাসতে গিয়ে তিনি তার আপনজনদের খুন করে ফেলেন। ২০০৪ সালে মুক্তি পাওয়ার পর এছবিটি দর্শকমহলে ইতিবাচক সাড়া ফেলেছিল, “ইতিহাস”, “অন্ধকার” এর পর কাজী মারুফ এই ছবিতেও তার অভিনয়ের জন্য প্রশংসিত হয়েছিলেন।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ব্র্যাড পিটকে পেছনে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শাহরুখ খান

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান। নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।

বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময় শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!

সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা মেলেনি।

‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়। 

এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’


ব্র্যাড পিট   জনপ্রিয়তা   শাহরুখ খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাকিব খানের জন্য যে জেলার পাত্রী ঠিক করেছে তার পরিবার

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার। শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে পারছেন না অভিনেতা এবং তার পরিবার। শুধু তাই নয়, শাকিবকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে পাত্রী দেখাও।

অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।

আরও পড়ুন:  এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব

আরও পড়ুন: ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জজেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন। শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।

একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এ পর্যন্ত দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।

শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি গেলে আমিও যাব।’


শাকিব খান   ঢালিউড   অপু বিশ্বাস   বুবলী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কপিল শর্মার এক পর্বে ৫ কোটি!

প্রকাশ: ১০:৪০ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। 

এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।

শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।

ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।


কপিল শর্মা   নেটফ্লিক্স  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৯:৩৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ।

গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।

এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি। বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে খুবই সামান্য টাকা পায়।

এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে কথা বলব’।

ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব। প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।

চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব দিতে হবে’।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’

এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র আরও এগিয়ে যাবে’।

বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায় না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।

শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।

এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড, গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।

উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়। তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।


‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’   গোলটেবিল বৈঠক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

নেটিজেনদের মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন স্বস্তিকা

প্রকাশ: ০৯:২১ পিএম, ০২ মে, ২০২৪


Thumbnail

ভারতীয় বাংলা সিনেমার অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখার্জি। জীবনটা নিজের শর্তে উপভোগ করেন এই অভিনেত্রী। ঠোঁটকাটা স্বভাব, সমাজের বাঁকা দৃষ্টিকে পাত্তা না দেওয়ায় বছর জুড়েই আলোচনায় থাকেন। আবার সমকালীন বিষয় নিয়ে কথা বলেও বহুবার সমালোচিত হয়েছেন স্বস্তিকা।

জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চলগুলোর মধ্যে একটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। গেল এপ্রিল থেকেই এখানে প্রচণ্ড দাবদাহ দেখা যাচ্ছে। শুধু এপার বাংলা নয়, ওপার বাংলার মানুষও হাঁসফাঁস করছেন তীব্র দাবদাহে।

পরিবেশ বাঁচাতে বিজ্ঞানীরা যেমন গাছ লাগানোর কথা বলছেন, তেমনি তারকাদের মধ্যেও অনেকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলছেন। কিন্তু এ প্রসঙ্গে কথা বলে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়েছেন স্বস্তিকা। তবে তিনিও কম যান না। রীতিমতো নেটিজেনদের এক হাত নিলেন তিনি।

বুধবার (১ মে) নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন স্বস্তিকা। ক্যাপশনে অভিনেত্রী লেখেন, ‘আরও গাছ কাটো/ আরও পুকুর বোজাও/ কংক্রিটের জঙ্গলে বাস করবে মানুষের লাশ।’

আর এতেই খেপে গিয়ে স্বস্তিকার দিকে প্রশ্নের তীর ছোড়া শুরু করেন তারা। সুপ্রিয়া নামের একজন লিখেছেন, ‘আপনি থাকেন কোথায়? কয়টা গাছ লাগিয়েছেন এই পর্যন্ত? ফ্ল্যাট কেনা নেই তো একটাও?’

প্রশ্নগুলো দেখে থেমে থাকেননি স্বস্তিকাও। সুপ্রিয়ার সবগুলো প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন তিনি। অভিনেত্রী লেখেন, ‘হ্যাঁ, গাছ লাগিয়েছি। আমাদের বাড়ির গলিতে যত গাছ আছে সবগুলো আমি এবং আমার বাবা দুজনে মিলে লাগিয়েছি। আর আমার ফ্ল্যাট কেনা নেই। আমি আমার বাবার বাড়িতে থাকি। আর মুম্বাইতে থাকি ভাড়া বাসায়।

জবাবে অভিনেত্রী আরও লেখেন, ফেসবুকে এসে কাউকে আক্রমণ করার আগে চেক করে নিবেন আমার কয়টা ফ্ল্যাট আছে। আর গ্লোবাল ওয়ার্মিংয়ের দায় আমাদের সবার। আমাকে তীর ছুড়ে প্রকৃতির কোনো সুরাহা হবে না।

অন্যদিকে সায়ন্তন ঘোষ লেখেন, ‘দিদি ভাই কংক্রিটের ফ্ল্যাটে বসে এবং এসিতে বসে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন।’ এই মন্তব্যেরও কড়া জবাব দিয়েছেন স্বস্তিকা। তিনি লেখেন, ফুটপাতে বসে স্ট্যাটাস দিতে পারব না দাদা। আমি গত ৪ দিন ধরে রাস্তায় কাজ করছি। পোর্টবেল এসি তো পাওয়া যায় না, পাওয়া গেলে না হয় সঙ্গে নিয়ে আসতাম।

আরেক নেটিজেন লিখেছেন, ‘এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছেন।’ এর জবাবে স্বস্তিকা লেখেন, ‘কী করে জানলেন আমি এসি ঘরে বসে জ্ঞান দিচ্ছি?’

এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে স্বস্তিকার কমেন্টসবক্সে। আর কেউ কেউ তো আবার স্বস্তিকার বাসার ছবিই চেয়ে বসেছেন। তারা আসলে দেখতে চান স্বস্তিকা এসি ঘরে বসে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন কিনা। মূলত এসব বিষয় নিয়ে জোর চর্চা চলছে নেটদুনিয়ায়।

স্বস্তিকা মুখার্জি  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন