কালার ইনসাইড

স্বাধীনতার পাঁচ দশকে বাংলাদেশে যত নারী কেন্দ্রিক চলচ্চিত্র

প্রকাশ: ০৪:১৬ পিএম, ০৮ মার্চ, ২০২২


Thumbnail স্বাধীনতার পাঁচ দশকে বাংলাদেশে যত নারী কেন্দ্রিক চলচ্চিত্র

একজন নারী তার পরিপূর্ণ অধিকার আদায়ের দাবিতে দীর্ঘকাল ধরে যে আন্দোলন চালিয়ে আসছে, তারই সম্মানস্বরূপ প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে ৮ মার্চ নারী দিবস পালন করা হয়।উপমহাদেশের বেশিরভাগ চলচ্চিত্রই নায়ককেন্দ্রিক ছবি, বাংলা চলচ্চিত্রও এর ব্যতিক্রম নয়। এর মাঝেও এই দেশে নির্মিত হয়েছে বেশ কিছু নারীকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র, যার বেশিরভাগই হয়েছে দর্শকনন্দিত, পেয়েছে প্রশংসা, পুরস্কারও।

আর্ন্তজাতিক নারী দিবসে তেমনি অন্যতম সেরা দশ চলচ্চিত্র নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের বিশেষ আয়োজন—

১. রূপবান (১৯৬৫) : বাংলার নারীর ধৈর্য, ত্যাগ ও সংগ্রামের অনবদ্য গাঁথা এটি। একজন নারীর আশা-আকাঙ্ক্ষা ও মর্যাদাবোধের সফল চলচ্চিত্র রুপায়ন ‘রূপবান’।

সালাউদ্দিন পরিচালিত এই ছবিটি ছিল প্রথম লোককাহিনীনির্ভর ও সুপারহিট চলচ্চিত্র। সুজাতা রূপবান চরিত্রে অভিনয় করে রাতারাতি খ্যাতি পান। সত্য সাহার সঙ্গীতায়োজনে এবং আব্দুল আলীম ও নীনা হামিদের কণ্ঠে গাওয়া এই ছবির গান মানুষের মুখে মুখে ফিরত।

২. সারেং বউ (১৯৭৮) : শহীদুল্লাহ কায়সারের উপন্যাস অবলম্বনে ‘সারেং বউ’ পরিচালনা করেন আবদুল্লাহ আল মামুন। এই ছবিতে বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলের এক নারীর জীবন সংগ্রাম স্থান পেয়েছে।

ছবিতে দেখা যায়, কদম সারেং ভালোবেসে বিয়ে করে নবিতনকে। বিয়ের কিছুদিন পরে আবার চলে যান জাহাজে। কদম মাঝেমধ্যেই নবিতনের কাছে চিঠি ও টাকা পাঠায়। কিন্তু গ্রামের মোড়ল ডাক পিয়নকে হাত করে সেই সব নিয়ে নেয়। তিনি অভাবের সুযোগে নবিতনকে লালসার শিকার বানাতে চান। কিন্তু নবিতন ঢেঁকিতে ধান ভানার কাজ করে সংসার চালান। কোনোভাবে মোড়লের ফাঁদে পা দেন না। এভাবে এগিয়ে যায় কাহিনী। স্বামী ফিরে আসার পর নবিতন নতুন বাস্তবতার মুখোমুখি হন। একদম শেষ দৃশ্যে থাকে দারুণ চমক। ফারুকী কবরী অভিনীত এই ছবিটিতে আব্দুল জব্বারের কন্ঠে ‘ওরে নীল দরিয়া’ গানটি এখনো সমান জনপ্রিয়। নবিতন চরিত্রে অভিনয়ে কবরী জাতীয় পুরস্কার অর্জন করেন।

৩. গোলাপী এখন ট্রেনে (১৯৭৮) : নিজের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে আমজাদ হোসেন নির্মান করেন ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’। আমাদের সমাজের বাস্তবতায় একজন খেটে খাওয়া গ্রামীণ নারীকে পদে পদে কত সমস্যায় পড়তে হয়, তা দেখানো হয়েছে এই ছবিতে। কিন্তু দৃঢ়প্রত্যয়ী নারী নিজের মর্যাদাবোধ নিয়ে এগিয়ে চলেন।

ববিতা, ফারুক, আনোয়ার হোসেন, আনোয়ারা অভিনীত এই ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন আলাউদ্দিন আলী। গানগুলোও বেশ জনপ্রিয় হয়। ছবিটি সেরা চলচ্চিত্রসহ মোট ১২টি বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করে। ববিতার ক্যারিয়ারে এটি সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে বিবেচিত হয়।

৪. সূর্য দীঘল বাড়ী (১৯৭৯) : আবু ইসহাকের কালজয়ী উপন্যাস অবলম্বনে ‘সূর্য দীঘল বাড়ী’ যৌথভাবে নির্মাণ করেন মসিউদ্দিন শাকের ও শেখ নিয়ামত আলী। এটি বাংলাদেশের প্রথম সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র।

বাংলা ১৯৫০ সনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে অবিভক্ত ভারতের বাংলায় ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে ‘পঞ্চাশের আকাল’ নামে যে দুর্ভিক্ষ হয়েছিল, সেই দুর্ভিক্ষে লক্ষ দরিদ্র মানুষ প্রাণ হারায়। যারা কোনোমতে শহরের লঙ্গরখানায় পাত পেতে বাঁচতে পেরেছিল তাদেরই একজন স্বামী পরিত্যক্ত জয়গুন। সঙ্গে তার মৃত প্রথম স্বামীর ঘরের ছেলে ও দ্বিতীয় স্বামীর ঘরের মেয়ে। আরো আছে মৃত ভাইয়ের স্ত্রী-পুত্র। তারা গ্রামে ফিরে এসে এমন এক খন্ড জমিতে ঘর তৈরি করে যেটি অপয়া ভিটে বলে পরিচিতি ছিল।

দুর্ভিক্ষ, দারিদ্রতা, মাতৃত্ব সর্বোপরি এক নারীর জীবন সংগ্রামের দৃশ্য ফুটে উঠেছে এই চলচ্চিত্রে। ছবিটি সেরা চলচ্চিত্রসহ মোট ৬টি শাখায় জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী নারী জয়গুন চরিত্রে ডলি আনোয়ারের অনবদ্য অভিনয় তাকে এনে দেয় জাতীয় পুরস্কার।

৫. ভাত দে (১৯৮৪) : আমজাদ হোসেনের পরিচালনায় ‘ভাত দে’ ছবিতে দেখা যায়, জরি একজন গরিব বাউলের মেয়ে। ছোটবেলায় অভাবের কারণে মা চলে যায়। অন্ধ বাউল বাবার অভাব-অনটনের সংসারে সে বড় হতে থাকে।

জরি যখন বড় হয়,একদিন বাবাও ভাত যোগাড় করতে গিয়়ে মারা যায়। এর পর শুরু হয় সহায়-সম্বলহীন এক দরিদ্র নারীর জীবন সংগ্রাম। আসে প্রেম ও অতঃপর করুণ পরিণতি। আলমগীর, শাবানা, আনোয়ার হোসেন অভিনীত সিনেমাটি শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রের পুরস্কার সহ মোট ৯টি শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করে। জরি চরিত্রে অভিনয় করে শাবানা তার সেরা চলচ্চিত্র দিয়ে ঘরে তুলে নেন জাতীয় পুরস্কার। এছাড়া বাংলা ছবির মধ্যে ‘ভাত দে’ প্রথম কান আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নেয়।

৬. হাঙর নদী গ্রেনেড (১৯৯৭) : কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের উপন্যাস অবলম্বনে সরকারি অনুদানে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন চাষী নজরুল ইসলাম।

মুক্তিযুদ্ধে নারীর ত্যাগ-তিতিক্ষার অসাধারণ রুপায়ন এই চলচ্চিত্র। গল্পের কেন্দ্রে থাকে হলদি গাঁ আর সেই গ্রামের এককালের দস্যি মেয়ে বুড়ি। বয়সে অনেক বড় চাচাতো ভাই গফুরের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের ফলে রাতারাতি গফুরের আগের পক্ষের দুই ছেলে সলিম ও কলিমের মা হয়ে যায়। বুড়ির কোলে আসে নিজের সন্তান রইস। কিন্তু আর ১০টি শিশুর মতো স্বাভাবিক নয়। ১৯৭১ সালে কিছু মুক্তিযোদ্ধাকে বাঁচাতে গিয়ে নিজের সন্তানকেই মুক্তিযোদ্ধা বলে পাকিস্তান আর্মিদের হাতে তুলে দেন।

সুচরিতা, সোহেল রানা,অরুণা বিশ্বাস অভিনীত এই ছবিটি চারটি বিভাগে জাতীয় পুরস্কার অর্জন করে। বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম শক্তিশালী নারী চরিত্র বুড়ি চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় স্বরুপ জাতীয় পুরস্কার ঘরে তুলেন সুচরিতা।

৭. নিরন্তর (২০০৬) : হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাস ‘জনম জনম’ অবলম্বনে আবু সাইয়ীদের অন্যতম সেরা একটি চলচ্চিত্র ‘নিরন্তর’। বাবার অন্ধত্বের কারণে তিথিদের পরিবারে আকস্মিক দুর্যোগ নেমে আসে। কোনো চাকরি যোগাড় করতে না পেরে তিথি অন্ধকার পথে পা বাড়ায়। এই ছাড়া বয়ে বেড়ায় শৈশবের নির্যাতনের স্মৃতি। ছোট ভাইয়ের ব্যবসায় এক সময় তিথিদের পরিবার সচ্ছলতা ফিরে পায়। তিথিও দেহব্যবসা ছেড়ে দেয়। কিন্তু তার জীবন দিন দিন ফ্যাঁকাসে হতে থাকে। কোথাও কথা বলার একজন মানুষ খুঁজে পায় না।

শাবনূর, লিটু আনাম, ইলিয়াস কাঞ্চন, ডলি জহুর অভিনীত এই ছবিটি বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক সম্মাননাসহ বাংলাদেশের হয়ে অস্কারে প্রতিনিধিত্ব করে। চিত্রনায়িকা শাবনূরের ক্যারিয়ারে এই ছবিটি অনন্য হয়ে থাকবে।

৮. থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার (২০০৯) : আলোচিত নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর চলচ্চিত্র ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ এর প্রধান চরিত্র রুবা। নানা সামাজিক সঙ্কটে বেড়ে ওঠা তরুণী বেছে নেয় লিভ টুগেদার। একটি খুনের ঘটনায় সঙ্গী জেলে গেলে নানা ধরনের বিপদে পড়ে। এর মধ্যে সাহায্য করে এক কণ্ঠশিল্পী বন্ধু। ত্রিমুখী এক দ্বন্দ্বে ছবিটি এগিয়ে যায়।

রুবা চরিত্রে তিশার অনবদ্য অভিনয়ের পাশাপাশি এই ছবিতে আরো ছিলেন মোশাররফ করিম ও তপু। জনপ্রিয় এই ছবিটি বাংলাদেশের হয়ে অস্কারে প্রতিনিধিত্ব করে।

৯. গেরিলা (২০১০) : সৈয়দ শামসুল হকের ‘নিষিদ্ধ লোবান’ ও পরিচালকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে নির্মিত নাসিরউদ্দিন ইউসুফের চলচ্চিত্র ‘গেরিলা’। মুক্তিযুদ্ধ সময়কার গ্রামীন ও শহুরের প্রেক্ষাপটে অপূর্ব সংমিশ্রন এই ছবিতে প্রধান চরিত্র বিলকিস। সেও নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে,দেশের জন্য নিজের জীবন দিয়ে দেয়।

সরকারি অনুদানে নির্মিত অনন্য এই মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রটি সেরা চলচ্চিত্রসহ মোট ১১টি বিভাগে জাতীয় পুরস্কার লাভ করে। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাসে অন্যতম শক্তিশালী নারী চরিত্র বিলকিস রুপদানদারী জয়া আহসান জিতে নেন জাতীয় পুরস্কার।

১০. সুতপার ঠিকানা (২০১৫) : একজন নারীর শৈশব থেকে বৃদ্ধ পুরো জীবন কাটে বাবা, স্বামী, সন্তানদের আশ্রয়ে। এর মাঝেও কিছু নারী নিজের ঠিকানা খুঁজতে চেষ্টা করে। তেমনিই এক নারী সুতপা।

দর্শকদের মাঝে এইরকম-ই গল্প উপহার দিয়েছেন প্রসূন রহমান। সরকারি অনুদানে নির্মিত এই ছবিতে নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছে অপর্ণা ঘোষ। পুরো ছবি তিনি একাই টেনেছেন, কুমার বিশ্বজিতের সঙ্গীতায়োজন ছিল প্রশংসনীয়, ধারা বর্ণনায় আসাদুজ্জামান নূর অন্যরকম আবহ সৃষ্টি করেছে। ছবিটি বিভিন্ন আর্ন্তজাতিক পুরস্কার অর্জন করেছে।

এদিকে দেশে ডিজিটাল চলচ্চিত্রের জোয়ার শুরু হলে জাজ মাল্টিমিডিয়া বানায় ‘অগ্নি’, ‘অগ্নি ২’ ও ‘রক্ত’। এছাড়া চিত্র নায়িকা ববি বানান তার নিজের প্রযোজনায় ‘বিজলী’। এসব ছবি একই সঙ্গে নারীপ্রধান এবং অ্যাকশনধর্মী।

 ‘ন’ ডরাই’, ‘দেবী’  নারীপ্রধান বাংলাদেশি ছবি হিসেবে আলোচিত। পাশাপাশি সবশেষ বাংলাদেশের প্রথম নারী কবি বলা হয় চন্দ্রাবতীকে। মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা এবং রামায়ণ তার অন্যতম সৃষ্টি। তবে তার সৃষ্টির চেয়ে ঢের বেশি নাটকীয় এবং একইসঙ্গে বিয়োগান্তক তার নিজের জীবন। ষোড়শ শতকের অসম্ভব প্রতিভাবান ও সংগ্রামী এই নারীকে নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘চন্দ্রাবতী কথা’। যা ইতোমধ্যে দর্শক মহলে সাড়া ফেলেছে। এছাড়া ‘স্বপ্নবাজী’ ও ‘বুবুজান’  নামে দুটি নারীপ্রধান চলচ্চিত্র রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।


নারী দিবস   চলচ্চিত্র   সূর্য দীঘল বাড়ী   ভাত দে   ‘ন’ ডরাই’   ‘দেবী’  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

হানিফ সংকেতের ফেসবুক হ্যাক

প্রকাশ: ১০:৪২ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় উপস্থাপক ও নির্মাতা হানিফ সংকেতের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ রোববার (২৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় হ্যাক হয়েছিল। পেজটির দখলে নিয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছবিও পোস্ট করেন হ্যাকাররা। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই হানিফ সংকেতের কারিগরি দল পেজের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।

ফেসবুক পেজ ফিরে পাওয়ার পর সন্ধ্যা সাতটার দিকে পেজে দেয়া এক পোস্টে বলা হয়েছে, ‘কিছুক্ষণ আগে কে বা কারা পেজটি হ্যাক করে সেখানে অত্যন্ত অরুচিকর একটি দৃশ্য সংযোজন করে, যা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমার টেকনিক্যাল টিম অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে অপসারণ করে।’

এতে আরও বলা হয়, ‘আমাদের এই পোস্ট দেয়ার আগেই অনেকে পেজ হ্যাক হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে আমাদের সতর্ক করেছেন, সে জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা।’

হানিফ সংকেত   ফেসবুক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লাবণ্যময়ী সেই ভাইরাল হাসি নিয়ে মুখ খুললেন পিয়া

প্রকাশ: ০৩:৩০ পিএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।

রাতারাতি ট্রেন্ডিংয়ে উঠে যাওয়া কিংবা যাকে নিয়ে চারদিকে এত হইচই, এবার পিয়া জান্নাতুলই মুখ খুললেন বিষয়টি নিয়ে। গণমাধ্যমে দেওয়া এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন, মোটেই আমি স্রোতে গা ভাসিয়ে দিচ্ছি না। কারণ বুঝি, যারা ২ সেকেন্ডে ওপরে ওঠাতে পারে, তারা পরে আবার ১ সেকেন্ডেই নামিয়ে ফেলতে পারে।

পিয়ার ভিডিওটি দেখে তরুণদের একটি বড় অংশ তাকে ‘জাতীয় ক্রাশ’বলে ডাকছেন। কেউ কেউ তো সোশ্যালমিডিয়ায় অবলীলায় লিখেও ফেলছেন, ‘প্রেমে পড়ে গেলাম। আহ্ কী হাসি!’

বিষয়টিকে ‘দোষের’ দেখছে না পিয়া জান্নাতুল। তিনি বলেন, আমি বুঝতে পেরেছি কনটেন্ট বা রিলস যে যেটাই তৈরি করছেন, তাদের বেশিরভাগই তরুণ-যুবক। আর তাদের জীবনে এখনো অনেক কিছু দেখার বাকি আছে।

পিয়া আরও বলেন, আসলে এগুলো এখন ট্রেন্ডের মাধ্যমে যাচ্ছে। আর যখন যে ট্রেন্ড আসে, সবাই সেটাকেই অনুসরণ করে। এটাতে দোষের কিছু দেখছি না।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে ‘মিস বাংলাদেশ’ খেতাব জিতে আলোচনায় আসেন পিয়া জান্নাতুল। এরপর ২০০৮ সাল থেকে র‍্যাম্প মডেলিং দিয়ে তার কর্মজীবন শুরু। পরবর্তীতে ২০১১ সালে দক্ষিণ কোরিয়ায় আয়োজিত ওয়ার্ল্ড মিস ইউনিভার্সিটি শিরোপা অর্জন করেন। এছাড়া মিশরে অনুষ্ঠিত ওয়ার্ল্ড টপ মডেল প্রতিযোগিতায় শীর্ষ মডেল হওয়ারও সাফল্য অর্জন করেন।


ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন   পিয়া জান্নাতুল  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির আগেই আটকে গেল রায়হান রাফির ‘অমীমাংসিত’

প্রকাশ: ১১:১৮ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

প্রথমবার সেন্সর বোর্ডের জালে আটকা পড়ে গেলেন তরুণ নির্মাতা রায়হান রাফি। তার নির্মিত ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সিনেমাটির গল্প বাস্তবের সঙ্গে মিল থাকায় আটকে গেছে সেন্সর বোর্ডে। ওয়েব ফিল্মটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইমতিয়াজ বর্ষণ, তানজিকা আমিন, রাশেদ মামুন অপু প্রমুখ। গত ক’বছর ধরে প্রেক্ষাগৃহ আর ওটিটি, দুই মাধ্যমেই সফলতা পেয়েছেন এই নির্মাতা।

গত ২৪ এপ্রিল (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড থেকে চূড়ান্ত রায় জানানো হয়, ছবিটি দর্শকদের সামনে প্রদর্শনযোগ্য নয়। তবে ৩০ দিনের মধ্যে আপিলের সুযোগ রয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ‘অমীমাংসিত’ নির্মাতা রায়হান রাফী। নিজের ফেসবুকে লিখেছেন, ‘সিনেমা বাস্তবের সাথে মিলে গেছে তাই এটা মুক্তি দেওয়া যাবে না! সিনেমা হতে হবে অবাস্তব! ওয়েব ফিল্ম ‘অমীমাংসিত’ সেন্সর বোর্ডে আটকে দেয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানাই। বিষয়টা তাহলে এমন, কোনো সিনেমায় কোনো সাংবাদিক দম্পতি খুন হতে পারবে না? কাল্পনিক কাহিনি উল্লেখ করার পরেও যদি কোনো ঘটনার সাথে মিল খুঁজে পাওয়া যায়, তাহলে ব্যাপারটা এমন, ঠাকুর ঘরে কে রে? আমি কলা খাই না টাইপ।’

রাফি আরও লেখেন, ‘অমীমাংসিত’ সিনেমায় কোনো কিছুই প্রমাণ করা হয়নি, কেবল বিভিন্ন জনের ধারণা দেখানো হয়েছিল, তারপরও এই সিনেমা আটকে দেওয়াটা সত্যি দুঃখজনক!’

সবশেষে তিনি লিখেছেন, ‘সিনেমায় কোনো খুন দেখানো যাবে না, কোনো ধর্ষণ দেখানো যাবে না, কোনো অপহরণ দেখানো যাবে না, কোনো গুম দেখানো যাবে না। আমরা সবাই ফেরেশতা, বাস করি বেহেশতে। এখানে কোনো খুন হয় না, কোনো গুম হয় না, কোনো ধর্ষণ হয় না। এভাবেই হাত পা বেঁধে সাঁতার কাটতে হবে আমাদের দেশের সিনেমাকে।’

‘অমীমাংসিত’কে দর্শকের সামনে অপ্রদর্শনযোগ্য বলে রায় দিয়ে যে কারণগুলো দেখানো হয়েছে সেগুলো হলো, ১) চলচ্চিত্রটিতে নৃশংস খুনের দৃশ্য রয়েছে। (২) কাল্পনিক কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপের বিষয়বস্তু বাস্তবতার সাথে মিল রয়েছে। (৩) এ ধরনের কাহিনি বাস্তবে ঘটেছে এবং ঘটনা সংশ্লিষ্ট মামলা উচ্চ আদালতে বিচারাধীন। (৪) চলচ্চিত্রটির কাহিনি/বিষয়বস্তু বিচারাধীন মামলার সাথে মিল থাকায় ভুল বার্তা দিতে পারে এবং তদন্তের বিঘ্ন ঘটাতে পারে।


অমীমাংসিত   রায়হান রাফি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা

প্রকাশ: ০৯:৪৩ এএম, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ইরাকে এক নারী টিকটক তারকাকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। বাসসের খবর অনুযায়ী স্থানীয় সময় শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) মোটরসাইকেলে নিয়ে আসা এক বন্দুকধারী ওই নারীকে গুলি করে হত্যা করেন। ওই নারীর নাম ওম ফাদাহ।

ইরাকের সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি অনেক প্রভাবশালী এবং সুপরিচিত ছিলেন। বাগদাদে তার বাড়ির বাইরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এএফপি’কে এই কথা জানিয়েছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, অজ্ঞাতনামা এক হামলাকারী জায়উনা জেলায় ওম ফাহাদকে তার গাড়িতে গুলি করে। অন্য এক নিরাপত্তা সূত্র জানায়, ওই হামলাকারী খাবার ডেলিভারি দেওয়ার ভান করে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

ওম ফাহাদ আঁটসাঁট পোশাক পরে ইরাকি সঙ্গীতে তার নাচের টিকটক ভিডিওগুলোর জন্য পরিচিত হয়েছিলেন।

২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে একটি আদালত ‘শালীনতা এবং জনসাধারণের নৈতিকতাকে ক্ষুন্ন করে এমন অশালীন বক্তৃতা সম্বলিত ভিডিও’ সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য তাকে ছয় মাসের কারাদ- দেয়।

ইরাকের জনসাধারণের ‘নৈতিকতা এবং ঐতিহ্য লঙ্ঘন করে এমন বিষয়বস্তু সম্বলিত কন্টেন্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে সরিয়ে ফেলার জন্য গত বছর দেশটির সরকার অভিযান শুরু করে।

টিকটক, ইউটিউব এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মগুলোতে পোস্টকৃত আক্রমণাত্মক বিভিন্ন ক্লিপ চিহ্নিত করে তা সরিয়ে ফেলার জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় একটি কমিটি গঠন করে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, এরপর থেকে বেশ কয়েকজন প্রভাবশালীকে গ্রেপ্তার করা হয়। ২০১৮ সালে বন্দুকধারীরা বাগদাদে প্রভাবশালী মডেল তারকা ফারেসকে গুলি করে হত্যা করে।


টিকটক তারকা   হত্যা   ইরাক  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ: চিত্রনায়িকা অপু

প্রকাশ: ০৬:১৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টেনেছেন অনেক আগেই। তবে এখনও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন মিডিয়ায় শাকিবের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন দুই নায়িকাই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের অনেক খুঁটিনাটি ফাঁস করেছেন বুবলী। যা নিয়ে বর্তমানে দর্শকমহলে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।

সাক্ষাৎকারে বুবলী বলেছিলেন, ‘আইনগতভাবে আমি এখনও শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী।’ আবার বলছেন, ‘আমি শাকিবের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।’

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বুবলীর সেসব কথার প্রেক্ষিতে কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

অপু বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’

অপু আরো বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগে আপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না। এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’

বুবলীকে ইঙ্গিত করে নাম প্রকাশ না করে অপু আরও বলেন, ‘এখন আমরা একটা জায়গায় চলে এসেছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখতে হবে। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি উনাকে সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   ঢালিউড   সুপারস্টার শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন