কালার ইনসাইড

মর্মান্তিক গল্প 'ছুটির ঘণ্টা'র পিছনের অজানা কথা

প্রকাশ: ০৩:৩৯ পিএম, ১৫ মার্চ, ২০২২


Thumbnail মর্মান্তিক গল্প 'ছুটির ঘণ্টা'র পিছনের অজানা কথা

দেশের অন্যতম আলোচিত ও ব্যবসা সফল ছবি 'ছুটির ঘণ্টা' এর পরিচালক আজিজুর রহমান। যিনি আর আমাদের মাঝে নেই। সোমবার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ১১টার দিকে কানাডার টরেন্টোতে মারা গেছেন আজিজুর রহমান। তার মেয়ে আলিয়া রহমান বিন্দি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। বাংলা ইনসাইডারের  পক্ষ থেকে রইলো এই নির্মাতার প্রতি শ্রদ্ধা।



সেই ১৯৮০ সালের কথা, মুক্তি পেয়েছে সিনেমা ‘ছুটির ঘন্টা’। কোন সিনেমাহলই ছবিটি চালাতে রাজি হয়নি, শেষ পর্যন্ত পরিচালক ইনিয়ে-বিনিয়ে কয়েকটি সিনেমাহলের মালিককে রাজি করালেন।  মাত্র ২০ টি সিনেমাহলে মুক্তি পেল, এদেশের অন্যতম সেরা ছবি ‘ছুটির ঘন্টা’!

তারপরের ঘটনা অবশ্য ইতিহাস। এরপর সারা দেশে কোথাও চার-পাঁচ সপ্তাহ, কোথাও এক-দুই থেকে পাঁচ মাসও ছবিটি চলেছে। ছবিটি ছাড়পত্র নিয়ে ও অনেক ঝামেলা হয়; চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড আটকে দেয়!


তাদের যুক্তি, এই ছবি দেখলে কোমলমতি শিশুরা ভয় পাবে, তাদের ওপর বাজে প্রভাব পড়বে।  পরিচালক আজিজুর রহমান বিপদে পড়ে যান।  তিনি বুদ্ধি বের করলেন। ছবির একটা বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। সেখানে বেশির ভাগ শিশুকে বাবা-মাসহ আমন্ত্রণ জানানো হয়।  কিন্তু, ছবি শেষে দেখা গেল, শিশুরা ভয় তো পেলই না, উল্টো চোখ মুছতে মুছতে হল থেকে বের হচ্ছে, এমনকি অভিভাবকেরাও।

বাচ্চারা জানায়, তারা মোটেও ভয় পায়নি। এরপর এই ছবির মুক্তিতে আর কোনো বাধা থাকল না।  ছুটির ঘণ্টা’ ছবির নাম শোনেনি বা দেখেনি, বাংলা চলচ্চিত্রের এমন দর্শক খুব কমই আছে।  মূলধারার বাণিজ্যিক ছবির যে ৪/৫টি ছবির নাম যদি বলতে হয়, তার মধ্যে অবশ্যই ‘ছুটির ঘণ্টা’ নামটিও থাকে।  গত শতকের আশির দশকে অনেক দর্শকের প্রিয় চলচ্চিত্রের তালিকায় ছিল ‘ছুটির ঘণ্টা’।

ছবিটি বাস্তব ঘটনার উপর ভিত্তি করে নির্মিত হয়। পরিচালক তখন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশে, ফতেহাবাদ গ্রামে একটি পুকুরপাড়ে বিখ্যাত ‘অশিক্ষিত’ ছবির শুটিং করছিলেন। ওই সময় ঢাকায় জাপান এয়ারলাইনসের একটি বিমান ছিনতাই হয়। ফলে রাজধানীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।

পরিচালক টেনশনে পড়ে যান। তখন মোবাইল দূরে থাক, ল্যান্ডফোনও এত সহজলভ্য ছিল না। প্রোডাকশন ম্যানেজারকে বললেন- শহর থেকে কয়েকটি পত্রিকা নিয়ে আসতে। দুপুরে বাংলার বাণী পত্রিকা হাতে আসে। পড়তে পড়তে ভেতরের পাতায় একটি খবরে চোখ আটকে যায় — ‘একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনা’। নারায়ণগঞ্জের একটি স্কুলের ছাত্র ছুটির আগে বাথরুমে আটকা পড়েছিল।  খবরটি পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিচালকের মন খারাপ হয়ে গেল। কীভাবে সে বেঁচে ছিল, সেই ঘটনাগুলোও দেয়ালে ছেলেটি লিখে গিয়েছিল!’

প্রথমেই গল্পটি নিয়ে একটি ছবি বানানোর ভাবনা পরিচালকের মাথায় আসে। ওই দিন কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করেন। কিন্তু খুব একটা উৎসাহ দেয়নি কেউ।  পরে ঢাকা ফিরে যোগাযোগ করেন নানা দিকে। এই গল্প নিয়ে ছবি নির্মাণের জন্য প্রযোজক মিলছিল না।


ওই সময় ১০ জনের বেশি প্রযোজকের কাছে তিনি গিয়েছেন।  সবার একই কথা, একটি স্কুলছাত্র বাথরুমে মারা গেছে, সেখানে কী দেখানোর আছে। তাছাড়া তখন নায়ক আর নায়িকাপ্রধান ছবির প্রাধান্য ছিল। এ গল্পে তো নায়িকা রাখার সুযোগ নেই।

এরকম পরিস্থিতিতে এগিয়ে এলেন সত্য সাহা। সত্য সাহা তখন ‘অশিক্ষিত’ সিনেমাটিও প্রযোজনা করেছিলেন! আজিজুর রহমান বলেন, ‘নিরুপায় হয়ে আবার সত্যদাকে (সত্য সাহা) ধরলাম। বোঝালাম। ‘অশিক্ষিত’ ছবিতে তো তিন-চার কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। আমার এই ছবির জন্য পাঁচ সাত লাখ টাকা বিনিয়োগ করুন। একটা ঝুঁকি নিন। আমার আগ্রহ দেখে তিনি রাজি হলেন।’ এবার চরিত্র নির্বাচনের পালা!

স্কুলের ঘণ্টাবাদক হিসেবে ঠিক হলো নায়ক রাজ্জাক। কিন্তু ওই প্রশ্নটা থেকেই যায়, নায়িকার কী হবে। একদিন কাকতালীয়ভাবে নায়িকার চরিত্রটি গল্পে যুক্ত হয়। তখন কাকরাইলে ফিল্মপাড়া ছিল।  একদিন পরিচালক আজিজুর রহমান তাঁর কাকরাইলের অফিসের দরজা খুলে দেখতে পান, এক নারী অফিসের টেবিলের ওপর বসে সিগারেট ফুঁকছে। তিনি জানালেন, তিনি সুইপারের স্ত্রী, স্বামীর জ্বর হয়েছে, তাই সে ঝাড়ু দিতে এসেছে।

আজিজুর রহমান বলেন, ‘ওই দৃশ্য দেখে মাথায় নায়িকা আইডিয়া আসে। নায়িকা হবে স্কুলের ঝাড়ুদারনি। সেই চরিত্রে অভিনেত্রী খুঁজতে খুঁজতে মনে হলো, শাবানাই যথাযথ।’

ওই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য শাবানাকে নিয়ে ধোলাইখালের সুইপারপট্টিতেও গিয়েছিলেন পরিচালক। তাদের পরিবেশ, আচার-আচরণ, পোশাক, চলাফেরা কাছ থেকে দেখেছেন শাবানা আর আজিজুর রহমান। ছবির শুটিং হয়েছিল কাপ্তাই এলাকায়।সেখানকার একটি রেস্ট হাউসকে ছাত্রের বাড়ি বানানো হয়। রেস্ট হাউসের জানালা থেকে স্কুল দেখা যায়।

ফলে সেখান থেকে স্কুলের ছবি নেওয়া হলো। আবার স্কুল থেকে বাড়ির দৃশ্যও ধারণ করা হলো। এফডিসিতে সেট বানিয়ে ঘরের ভেতরের অংশ ধারণ করা হয়। বাথরুমের ভেতরের অংশের চিত্র ধারণ করা হলো

ঈদের ছুটি ঘোষণার দিন স্কুলের বাথরুমে সবার অজান্তে তালাবদ্ধ হয়ে আটকে পড়ে একটি ১২ বছর বয়সের ছাত্র। আর তালাবদ্ধ বাথরুমে ১১ দিনের ছুটি শেষ হওয়ার প্রতীক্ষার মধ্যে দিয়ে হৃদয়বিদারক নানা ঘটনা ঘটে। অমানবিক কষ্ট সহ্য করার পর কীভাবে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে, এমনই একটি করুণ ঘটনা তুলে ধরা হয়েছে ছবিতে।

প্রথমে স্কুলে আনা টিফিন, পরে কিছুদিন শুধু পানি পান করে বেঁচে ছিল সে। আটকে পড়া দিনগুলোতে নিজের অনুভূতিগুলো দেয়ালে লিখে রেখেছিল। শেষে শিশুটির জীবনে বাজে ‘ছুটির ঘণ্টা’। ঈদের ছুটি শেষে স্কুল খোলে।

উদ্ধার হয় ছেলেটির মরদেহ। স্কুলের দপ্তরি আব্বাস মিয়া স্বেচ্ছায় এই মৃত্যুর দায় নিজের কাঁধে নিয়ে জেলে যান। ছবি মুক্তির পরের দুটো ঘটনার কথা না বললেই নয়।

রাজধানীর পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী প্রেক্ষাগৃহ আজাদের কর্মী চান মিয়া স্মৃতিচারণায় বলেন, মুক্তির কিছুদিন পর ছবিটি উঠিয়েছিলাম। টানা কয়েক মাস চলেছে। একদিনের কথা মনে আছে, এক শোতে “ছুটির ঘণ্টা” দেখতে আসা হলের সব দর্শকই ছিলেন নারী।



ছুটির ঘণ্টা   চলচ্চিত্র   আজিজুর রহমান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মধ্যরাতে ফেসবুকে তানজিন তিশার রহস্য ঘেরা পোস্ট

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

মধ্যরাতে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ উগরে দেওয়া বা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানানোটা যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে দেশের বিনোদন অঙ্গনের তারকাদের। এর আগে পরীমণি, মাহিয়া মাহিকে মাঝরাতে এরকম করতে দেখা গেছে। এবার তালিকায় নাম উঠল তানজিন তিশার। দুপুর রাতে নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে দিলেন কড়া হুঁশিয়ারি। 

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত মধ্যরাতে তিশা নিজের ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি চাইলে আমাদের ইন্ডাস্ট্রির একজন অপরাধীর গল্প শেয়ার করতে পারি। সেই সাহস এবং প্রমাণ আমার আছে।’ 

এরপর অভিনেত্রী লেখেন, ‘মনে রেখো আমি তোমার খারাপ কাজের জন্য তোমাকে সবার সামনে রক্ষা করেছি। বিখ্যাত অভিনেতা হওয়ার আগে একজন ভালো ও বিশ্বস্ত মানুষ হওয়া খুব প্রয়োজন।’

তিশার এমন উত্তপ্ত পোস্ট দেখে নড়েচড়ে বসেন নেটিজেনরা। কাকে এমন হুমকি দিলেন নায়িকা এমনটা যখন ভাবছিলেন অনেকে তখন দেখা যায় ওই পোস্টটি আর নেই। নিজের ফেসবুক থেকে মুছে দিয়েছেন তিনি।

এর আগে মুশফিক আর ফারহানের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় তুলকালাম বাঁধিয়েছিলেন তিশা। পরে মিটেও যায় তা। অনেকের ধারণা ফের হয়তো তাকে ঘিরেই রাত দুপুরে ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন অভিনেত্রী। তবে রাতের আঁধারেই পোস্ট মুছে দিয়ে বিরত রইলেন অপরাধীর গল্প বলা থেকে। 

বলে রাখা ভালো, মাঝে এই প্রেমজনিত কারণেই ঢাকা মেডিকেলেও ভর্তি হতে হয়েছিল মধ্যরাতে। জানা গেছে, সেই যাত্রায় তিনি আত্মহননের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। তখনও উঠে আসে সহশিল্পী মুশফিক আর ফারহানের নাম।

তানজিন তিশা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

প্রকাশ: ০৩:১১ পিএম, ০১ মে, ২০২৪


Thumbnail

ছোট পর্দার দর্শকপ্রিয় অভিনেত্রী তাসনিয়া ফারিণ। ২০১৭ সালে মায়ের ইচ্ছায় অভিনয়ে নাম লেখান। তারপর অংসখ্য নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী।

গত ঈদুল ফিতরে গায়িকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছেন তাসনিয়া ফারিণ। ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামের গানটি দ্বৈতভাবে কণ্ঠে তুলেন তাহসান খান ও ফারিণ। গানটি ‘ইত্যাদি’-তে প্রচারের পর গত ১৬ এপ্রিল ইউটিউবে মুক্তি পায়। তারপর গানটি যেন লুফে নেন শ্রোতারা।

এখন পর্যন্ত গানটির মোট ভিউ দাঁড়িয়েছে ৯৫ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। দর্শক-শ্রোতারা গানটির ভূয়সী প্রশংসা করছেন। শুধু তাই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশ অংশে (মিউজিক) ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে গানটি।

বিষয়টি নিয়ে উচ্ছ্বসিত উপস্থাপক হানিফ সংকেত। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি লেখেন, “প্রিয় দর্শক, ঈদ উপলক্ষে ঈদের বিশেষ ইত্যাদিতে প্রচারিত সবগুলো গানই আপনারা পছন্দ করেছেন জেনে আমরা আনন্দিত। গানটির মধ্যে শিল্পী তাহসান ও তাসনিয়া ফারিণের গাওয়া ‘রঙে রঙে রঙিন হব’ গানটি আপনাদের বিচারে সেরা গান নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশ থেকে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে মিউজিক বিভাগে এক নম্বর স্থানে উঠে আসে, যা এখনো অটুট আছে।”

গায়িকা হিসেবে ফারিণকে দর্শক এখন চিনলেও অনেক আগে থেকেই গানের চর্চা করেন তিনি। এ বিষয়ে ফারিণ বলেন, ‘আমি কিন্তু নায়িকার আগে গায়িকা। যশোর থেকে ঢাকায় এসেও গানের চর্চা করেছি। দিনের পর দিন গান শিখেছি। জাতীয়, বিভাগীয় পর্যায়ে গান করেছি। গান গেয়ে অনেক পুরস্কার পেয়েছি। কিন্তু অভিনয়ের কারণে গানের প্রতিভা এতদিন কেউ জানতে পারেনি।’

‘রঙে রঙে রঙিন হব’ শিরোনামে গানের কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন ইমরান মাহমুদুল।

তাসনিয়া ফারিণ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই চলচ্চিত্রের বর্তমান প্রজন্মের আলোচিত-সমালোচিত নায়ক জায়েদ খান। বিভিন্ন সময় তার নানান কর্মকাণ্ডের জন্য সমালোচিত হতে হয়। অন্যদিকে বিভিন্ন ঘটনায় অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে হঠাৎ নিজের মেজাজ হারাতে দেখা গেছে। এবার তাকে দেখা গেছে চিত্রনায়ক জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়তে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কয়েক সেকেন্ডের একটি ভিডিও ক্লিপে সাকিবের ক্ষোভের বিষয়টি দেখা গেছে। ভিডিওতে দেখা যায়, সুইমিংপুলের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলতে যাচ্ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। তার ঠিক পাশেই দাঁড়ানো ছিল চিত্রনায়ক জায়েদ খান। হঠাৎ দেখা যায়, সাকিব তার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটি সুইমিংপুলে ছুড়ে ফেলে দিয়ে হেঁটে চলে যান। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সাকিবের এমন আচরণে হতভম্ব হয়ে যান জায়েদ খান। ধারণা করা হচ্ছে, পানিতে ছুড়ে ফেলা ফোনটি জায়েদ খানের।

ধারণা করা হচ্ছে, তাদের মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। সেকারণেই হয়তো জায়েদ খানের ওপর চটেছেন সাকিব আল হাসান। শেষমেশ মেজাজ নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পেরে হাতে থাকা ফোনটি পানিতে ছুঁড়ে মারেন। 

ভিডিওটি ঠিক কোন জায়গায় ধারণ করা হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি, তবে ভিডিওটির বিশ্লেষণে অনুমান করা যায়, সেটি কোনো রিসোর্ট কিংবা হোটেলের সুইমিংপুল হতে পারে।

জানা গেছে, ব্যক্তিগত কাজে গিয়ে সেখানে সাকিবের সঙ্গে দেখা হয় জায়েদ খানের। তখন একে অপরের সঙ্গে কুশল বিনিময়ের মাঝেই ঘটে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা।

যদিও এই ঘটনার রেশ ধরে এখনো তাদের কেউই প্রকাশ্যে কথা বলেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই ঘটনা নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।

জায়েদ খান   সাকিব আল হাসান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত

প্রকাশ: ০৬:২৯ পিএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।

অনুষ্ঠানে ফিগার দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী ভক্তদের মাথা ঘুরিয়ে দিলেন ঢাকাই ছবির মোস্ট এলিজিবল ব্যাচেলর জায়েদ খান। স্টেজে পারফর্ম করতে করতে একপর্যায়ে জামা খুলে ফেলেন সুদর্শন এই নায়ক। এরপর স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে দুই হাতের পেশী ফোলাতেই উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন দর্শক সারিতে থাকা জায়েদ ফ্যানরা। এ ছাড়া ভক্তদের অনুরোধে মেলবর্নের ওই অনুষ্ঠানে দিতে হয়েছে ডিগবাজিও। এসময় স্টেজে বেজে চলছিল জায়েদের লেস্টেস্ট সুপার-ডুপার হিট সং ‘বিড়ি খাইলে হয় ক্যানসার’ গানটি।

অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করতে গিয়েছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে হয়েছে অনুষ্ঠানটি। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।

অনুষ্ঠানের একপর্যায়ে জায়েদ খানকে ডিগবাজি দেওয়ার জন্য চিৎকার করে অনুরোধ করেন দর্শকরা। এ বিষয়ে জায়েদ বলেন, বেশির ভাগ দর্শকই ডিগবাজির জন্য অনুরোধ করছিলেন। তাই ডিগবাজি না দিয়ে কোনো উপায় ছিল না। স্টেজে দর্শকের জন্যও ডিগবাজি দেওয়ার ব্যবস্থা ছিল। তাতে তিনজন দর্শক অংশগ্রহণ করেছেন। ডিগবাজিতে যিনি প্রথম হয়েছেন, সেই দর্শককে জায়েদের ছবিসহ বালিশের কভার উপহার দেওয়া হয়েছে। নায়কের হাত থেকেই পুরস্কার গ্রহণ করেছেন বিজয়ী দর্শক।

জানা গেছে, অস্ট্রেলিয়ায় আরও একটি পারফর্ম করবেন জায়েদ। আগামী ৫ মে সিডনির ওরিয়ন ফাংশন সেন্টারে বৈশাখী আড্ডা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে অতিথি হিসেবে পারফর্ম করবেন এই নায়ক।

জায়েদ খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বিয়ে করছেন শাকিব খান, জানেন পাত্রী কে?

প্রকাশ: ১০:২৩ এএম, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।

নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
 
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
 
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
 
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।

এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
 
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।


বিয়ে   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন