শাবনাজ-নাঈম নব্বই দশকের জনপ্রিয় জুটি। বাংলা চলচ্চিত্রে এই জুটির পরেই শুরু হয় নতুনদের জয়যাত্রা। একের পর এক হিট সিনেমা উপহার দিয়ে দর্শক মনে স্থায়ী আসন গড়েন তারা। কিন্তু হঠাৎ করেই ছন্দপতন ঘটে! সাফল্যের চূড়ায় থাকতেই এই জুটি একসঙ্গে চলচ্চিত্র থেকে দূরে সরে যান। পর্দার প্রেম বাস্তব জীবনে ধরা দেয়। বর্তমানে শাবনাজ-নাঈম দুই কন্যা সন্তানের মা-বাবা। পর্দা থেকে হারিয়ে গেলেও দর্শক হৃদয়ে এখনো অমলিন এই জুটি।
রোববার (৮ মে) ঢাকাই সিনেমার সোনালি প্রজন্মের অভিনেতা নাঈমের জন্মদিন। এবার ৫২তম বছরে পা রাখলেন তিনি। ঘরোয়াভাবে দুই কন্যা ও স্ত্রী অভিনেত্রী শাবনাজকে নিয়ে উত্তরার বাসাতেই কেক কেটে জন্মদিন পালন করেছেন ঢাকার বিখ্যাত নবাববাড়ির এই সন্তান।
ধন্যবাদ জানিয়ে নাঈম বলেন, জন্মদিনে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি আমার বাবা মা, শ্রদ্ধেয় পরিচালক এহতেশাম, চাঁদনীর প্রযোজকসহ এই সিনেমা সংশ্লিষ্ট সবাইকে। যতগুলো সিনেমায় অভিনয় করেছি প্রত্যেক সিনেমার প্রযোজক, পরিচালক, সহশিল্পী সহ সিনেমার প্রত্যেককে শ্রদ্ধা ভরে স্মরণ করছি। আমার ভক্ত দর্শকের প্রতিও ভালোবাসা রইলো। তাদের জন্যই আমি সবার পরিচিত ও প্রিয় নাঈম।
স্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে নাঈম বলেন, আমার স্ত্রী শাবনাজকে ধন্যবাদ আমার জীবনটাকে সুন্দর করে সাজিয়ে দেয়ার জন্য। মহান আল্লাহ আমাকে দুই মেয়ে সন্তান উপহার দিয়েছেন, অশেষ কৃতজ্ঞতা আল্লাহর প্রতি। জীবনের বাকিটা দিন সুস্থ, সুন্দরভাবে কাটিয়ে দিতে চাই।
১৯৭০ সালের আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেন নাঈম। নবাব বংশের সন্তান নাঈম। তার পুরো নাম খাজা নাঈম মুরাদ। মায়ের সূত্রে টাঙ্গাইল করটিয়া জমিদার বাড়ির সন্তান এই নায়ক। ছোটবেলা থেকেই পড়াশোনার পাশাপাশি গান বাজনার প্রতি প্রবল আকর্ষণ ছিল নাঈমের। ১৯৯১ সালের ৪ অক্টোবর ‘চাঁদনী’ সিনেমা মুক্তির মাধ্যমে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু হয় তার। প্রথম সিনেমা সুপারহিট হয়। এতে তার বিপরীতে ছিলেন শাবনাজ।
এরপর ‘লাভ’, ‘চোখে চোখে’, ‘দিল’, ‘টাকার অহংকার’, ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’, ‘সোনিয়া’, ‘অনুতপ্ত’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় জুটি বেঁধে অভিনয় করেন তারা। প্রায় ২০টির মতো সিনেমায় এই জুটিকে দেখা গেছে। অভিনয়ের তিন বছরের মাথায় শাবনাজ ও নাঈম দুজনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেন। ১৯৯৪ সালের ৫ অক্টোবর ভালোবেসে বিয়ে করেন তারা। তাদের দুই কন্যাসন্তান রয়েছে; বড় মেয়ের নাম নামিরা নাঈম আর ছোট মেয়ে মাহদিয়া নাঈম।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যক্তিগত জীবনে বিয়ে ও বিচ্ছেদ টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে গেছেন ঢাকাই সিনেমার সুপারস্টার শাকিব খান। অপু বিশ্বাস ও বুবলী এই নায়কের দুই সাবেক স্ত্রী হলেও বাবা হিসেবে দুই সন্তান আব্রাম ও শেহজাদের যাবতীয় দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। তবে এবার নতুন সম্পর্কের পথে হাঁটতে চলেছেন ঢালিউড কিং।
নায়কের পরিবারের মতে, অতীত ভুলে সংসারী হয়ে উঠুক শাকিব খান। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবারে চলছে বিয়ের তোড়জোড়। খুব শিগগিরই বিয়ে করবেন অভিনেতা। এর জন্য শাকিবের সম্মতিতে পাত্রী দেখাও শুরু হয়েছে।
গুঞ্জন চলছে, যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফেরা এক ডাক্তার মেয়ের সঙ্গে বিয়ের আলোচনা এগোচ্ছে শাকিবের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে শাকিবের পরিবারের এক সদস্য জানিয়েছেন, যখনই সিনেমা মুক্তির সময় আসে তখনই আলোচনায় থাকতে সাক্ষাৎকারে শাকিব প্রসঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন অপু ও বুবলী। এতে শাকিব খান যেমন বিব্রত হন, তেমনি তার পরিবারকে অস্বস্তিতে পড়তে হয়। আর এ কারণেই শাকিবের পরিবার তাকে বিয়ে দিচ্ছে।
শাকিবের পরিবারের ওই সদস্য আরও বলেন, দুজনই এখন শাকিবের অতীত। অথচ তারা এখনও শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক আছে বলে দাবি করছেন। আমরা তাই বেশ বিরক্ত।
এদিকে শাকিবের বাড়িতে যাওয়ায় নিষেধ রয়েছে অপু ও বুবলীর। এ ছাড়া তারা দুজন যদি কোনো সাক্ষাৎকারে শাকিবকে নিয়ে কোনো মিথ্যাচার করেন তবে সে বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে শাকিবের পরিবারের।
শোনা যাচ্ছে, দুবার নিজের পছন্দে বিয়ে করে জটিলতায় পড়েছেন শাকিব। আর তাই এবার পরিবারের পছন্দেই সম্মতি দিয়েছেন তিনি। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে জমকালো আয়োজনে চলতি বছরের শেষের দিকেই বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন ঢালিউড কিং।
মন্তব্য করুন
এবার অস্ট্রেলিয়ায় স্টেজ শো করেছেন জায়েদ খান। রোববার মেলবোর্নের টাউন হলে এই অনুষ্ঠানটি হয়েছে। সেখানকার বাঙালি দর্শকের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন ‘সোনার চর’ সিনেমার এই নায়ক। স্টেজ থেকে ‘শিরায় শিরায় রক্ত, আমরা জায়েদ খানের ভক্ত’ বলে শ্লোগান দিচ্ছিলেন দর্শকরা। বিষয়টিতে বেশ মুগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন জায়েদ খান।