দুই বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান। বাংলাদেশে ছবিতে অভিনয়ের পর ভারতের বাংলা সিনেমার অভিষেক হয় ২০১৩ সালে। এরপর থেকেই একের পর এক দর্শকপ্রিয় সিনেমা উপহার দিয়েছেন এই তারকা। অনেকের মতে, কলকাতায় জয়ার জনপ্রিয়তা বাংলাদেশের চেয়েও বেশি।
বয়স পঞ্চাশ ছুঁই ছুঁই, কিন্তু বয়সেও অভিনয়ে মুগ্ধ করে রেখেছেন দুই বাংলার সিনেপ্রেমীদের। একের পর এক পুরস্কার পেয়ে যাচ্ছেন এই সুদর্শনী অভিনেত্রী।
তবে হঠাৎ করেই জয়ার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কৌতূহলী হয়ে উঠেছেন সিনেপ্রেমীরা। কলকাতা ও বাংলাদেশ- তার দুই বাংলার অনুরাগীরাই জানতে চান, কী কারণে টেকেনি অভিনেত্রীর সংসার? আর বিচ্ছেদের পর এতোদিন ধরে কেন সিঙ্গেলই রয়ে গেলেন!
এ কথা সবারই জানা, জয়ার প্রথম স্বামী মডেল-অভিনেতা মোহাম্মদ ফয়সাল আহসান উল্লাহ্। ফয়সালকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন জয়া। বাংলাদেশের জমিদার পরিবারের ছেলে ফয়সাল ছিলেন বিত্তবান। জয়ার সঙ্গে ফয়সালের দেখা হয়েছিল ১৯৯৮ সালে। সেই প্রথম দেখার কথা ফয়সাল বলেছিলেন এক সাক্ষাৎকারে।
ফয়সাল ও জয়া দুজনেই বলেছিলেন, একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে প্রথম দেখা হয় জয়া ও ফয়সালের। সেখানে নাকি এক ঘণ্টা দেরি করে আসেন ফয়সাল। আর এ জন্য মেকআপের পর অপেক্ষা করতে হয়েছিল জয়াকে। রেগে গিয়ে ফয়সালকে নানান তিক্ত কথা শুনিয়ে দেন।
তারা জানিয়েছিলেন, এই রাগই আবার নাকি অনুরাগে বদলাতে বেশি সময় নেয়নি। এক সময় ফোনে কথা বলতে বলতেই একে অপরের প্রেমে পড়েন। প্রেমের পরিণতি টানেন বিয়ের মাধ্যমে। এরপর দুজনে সংসার করেন ১৩ বছর।
সেই ১৩ বছরের সংসার কেন ভাঙল সেই কারণ এতোদিন রহস্যেই ছিল। এত দিন পর তার পর্দা ফাঁস করলেন ফয়সাল নিজেই।
কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা বলছে, বিয়ের পরেও একসঙ্গে কাজ করছিলেন জয়া-ফয়সাল। এরপরই ছন্দপতন। জনপ্রিয়তা বাড়ছিল জয়ার, তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে ছিলেন ফয়সাল। এই সাফল্যই হয়তো তাদের দাম্পত্যে ফাটল ধরিয়ে দেয়। এতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দূরত্ব ক্রমশ বাড়তেই থাকে। যা বিবাহবিচ্ছেদে রূপ নেয়।
সবশেষ ২০১১ সালে পাকাপাকিভাবে আলাদা হয়ে যান জয়া ও ফয়সাল। তবে বিচ্ছেদের বিষয়ে জয়ার পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য আসেনি।
মন্তব্য করুন
এবারের কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হবে ইরানি নির্মাতা মোহাম্মদ রাসুলফের নতুন ছবি ‘দ্য সিড অফ দ্য সেক্রেড ফিগ’। এই ছবিটি ৭৭তম উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগেও লড়ছে। সম্প্রতি কান উৎসবে ছবি জমায় দেওয়ায় মোহাম্মদ রাসুলফের ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় নিরাপত্তার অভিযোগে আট বছরের কারাদণ্ড দেয় ইরান সরকার। কারাদণ্ডের সঙ্গে তাকে চাবুক মারা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত।
মোহাম্মদ রাসুলফ জানিয়েছেন, ইরানের একটি আদালত জাতীয় নিরাপত্তার অভিযোগে তাকে কারাদণ্ডের শাস্তি দেয়ার পর নিজ দেশ ছেড়ে ইউরোপের অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে গেছেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্টে রাসুলফ ইরান সরকারের সিদ্ধান্তের প্রতি নিন্দা জানিয়ে অত্যাচারী এবং নিপীড়ক শাসক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন যেটিতে তাকে ইরানের পার্বত্য সীমান্ত অতিক্রম করতে দেখা গেছে।
রাসলুফর
আইনজীবীরা তাকে বলেছে যে
তার কারাদণ্ড স্বল্প নোটিশে কার্যকর করা হবে। তাই
তিনি ইরান থেকে পালানোর
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ইরানি কর্তৃপক্ষ এর আগে তাকে
একাধিকবার গ্রেফতার করেছিল এবং তার কাজের
জন্য তার পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত
করেছিল।
মন্তব্য করুন
ঢাকাই
সিনেমার দুই চিত্রনায়িকা অপু
বিশ্বাস ও পরীমণি। ব্যক্তিজীবনে
দুজনেরই বেশ ভালো সম্পর্ক।
বিভিন্ন অনুষ্ঠান কিংবা আয়োজনে একসঙ্গে দেখা যায় তাদের।
পরীমণির
ছেলের জন্মদিনে অপু বিশ্বাস গিফট
দিচ্ছেন, আবার অপুর ছেলের
জন্মদিনে হাজির হয়ে পরী সারপ্রাইজ
দিচ্ছেন এমন বহু ঘটনা
রয়েছে এই দুই নায়িকার
মধ্যে। বিশেষ করে দুজনই নিজেদের
দুঃসময়ে একে অন্যেকে পাশে
পেয়েছেন।
পরীমণির
নানার মৃত্যুর খবরে হাসপাতালে ছুটে
গিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। আবার
অপুর কোনো দুঃসংবাদ কিংবা
সুসংবাদেও পরীমণির উপস্থিতির দেখা মিলেছে প্রতিবার।
যে কারণে এবার অপু বিশ্বাসের
কণ্ঠেও শোনা গেল পরীকে
নিয়ে প্রশংসা।
সম্প্রতি
একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন অপু। যেখানে পরীমণিকে
নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়
এই নায়িকাকে। সঞ্চালক অপুকে প্রশ্ন করেন, তার দৃষ্টিতে পরী
কেমন?
জবাবে
এই নায়িকা বলেন, ‘আগে পরী কি
ছিল আমি জানি না।
ব্যাখ্যাও দিতে চাই না।
তবে অপু বিশ্বাসও মা
পরী হতে পারেনি। সে
এতটা সম্মানের উর্ধ্বে চলে গেছে।’
কিছুদিন
আগে দ্বিতীয় সন্তানের মা হয়েছেন পরীমণি।
পুত্র সন্তান পূণ্যর পর কন্যা সন্তান
দত্তক নিয়েছেন তিনি। এরই মধ্যে শুরু
করেছেন তার পরবর্তী সিনেমার
শুটিং। খুব শিগগিরই ‘রঙিলা
কিতাব’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে
দেখা যাবে এই নায়িকাকে।
অন্যদিকে
বর্তমানে সিনেমার চেয়ে নিজের ব্যবসা
নিয়েই বেশি ব্যস্ত সময়
পার করছেন অপু বিশ্বাস। পাশাপাশি
সময় দিচ্ছেন ছেলে আব্রাম খান
জয়কে। খুব শিগগিরই এই
নায়িকা নতুন সিনেমার শুটিং
শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন।
মন্তব্য করুন
বলিউড কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রির
নায়িকাদের কি সম্পত্তি আছে তা জানার আগ্রহ সবারই আছে। কারণ এই সব নায়িকাদের বিলাশবহুল
জীবন-যাপন সবাইকেই আশ্চর্যন্বিত করে। ভারতের দক্ষিণী চলচিত্রের নয়নতারার কথায় ধরা যাক,
তার নিজের প্লেন রয়েছে। তাই অনেকে ভাবেন তিনি বোধহয় ভারতের সবচেয়ে ধনী নায়িকা। আবার
কারও কারও ধারণা আলিয়া বা দীপিকাই সবচেয়ে ধনী।
কিন্তু সাধারণ মানুষের এই ধারণা
সম্পূর্ণ ভুল। ভারতের সর্বোচ্চ ধনী নায়িকার মুকুট এখনো সাবেক বিশ্বসুন্দরী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের দখলে। সাবেক এই বিশ্বসুন্দরীর মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৭৭৬ কোটি রুপি।
সম্প্রতি ভারতের
জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইটিনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেয়া হয়েছে। প্রতিবেদনে উল্লেখ
আছে, ভারতের সবচেয়ে ধনী নায়িকা বচ্চন পরিবারের এই বৌমাই। তার সম্পদের পরিমাণ ৭৭৬ কোটি
রুপি। প্রতি বছর শুধু মাত্র ব্র্যান্ড এনডরসমেন্ট থেকে ঐশ্বর্যর আয় হয় ৮০-৯০ কোটি। একদিনের কোন-ও ইভেন্টের জন্য তিনি নিয়ে থাকেন ৬-৭ কোটি।
তালিকার দুই
নম্বরে আছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৬২০ কোটি রুপি। ভারতের ধনী নায়িকাদের
তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে আছেন আলিয়া ভাট। তার মোট সম্পদ ৫১৭ কোটি রুপি।
এই তালিকায় কারিনা কাপুর খান আছেন চতুর্থ স্থানে। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ৪৮৫
কোটি রুপি। এরপরের অবস্থানটি দীপিকা পাডুকোনের। এই অভিনেত্রী ৩১৪ কোটি রুপির মালিক।
এছাড়াও আনুশকা শর্মা (তার মোট সম্পত্তি ২৫৫ কোটি), মাধুরী দীক্ষিত নেনে (তার মোট সম্পত্তি ২৪৮ কোটির), কাজল (তার মোট সম্পত্তি ২৪০কোটির), ক্যাটরিনা কাইফ (তার মোট সম্পত্তি ২২৪ কোটির), শিল্পা শেঠি (তার মোট সম্পত্তি ১৫৮ কোটির), নয়নতারা (তার মোট সম্পত্তি ২০০ কোটির) ও রানি মুখার্জি (তার মোট সম্পত্তি ২০০কোটির)।
মন্তব্য করুন
চিত্রনায়ক
শরিফুল রাজের সঙ্গে ‘কাজলরেখা’ সিনেমা দিয়ে চলচ্চিত্রে অভিষেক
হয় অভিনেত্রী মন্দিরা চক্রবর্তীর। প্রথম সিনেমাতেই নিজের অভিনয় দিয়ে বেশ প্রশংসা
কুড়িয়েছেন এই অভিনেত্রী। রাজ-মন্দিরার নতুন এই জুটি
দর্শকরাও পছন্দ করেছে।
তারই
রেশ ধরে এই জুটির
প্রেমের গুঞ্জন ছড়িয়েছে। বিশেষ করে চিত্রনায়িকা পরীমণির
সঙ্গে শরিফুল রাজের সংসার ভাঙার পরে তাদের প্রেমের
গুঞ্জনে নতুন বাতাস লেগেছে।
বিষয়টি নিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমে
কথা বলেছেন মন্দিরা।
যেখানে
তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিজীবনে প্রেমের সম্পর্কে আছেন। তবে কার সঙ্গে
প্রেম করছেন সেটা ফাঁস করতে
চান না। একইসঙ্গে এই
অভিনেত্রী মনে করেন, প্রত্যেকের
জীবনেই প্রেম থাকা উচিত।
মন্দিরা
বলেন, ‘আমার মনে হয়
প্রত্যেক মানুষের জীবনে প্রেম থাকা জরুরি। এতে
শরীর ও মন দুটোই
ভালো থাকে। প্রেম ছাড়া একজন মানুষ
ভাল থাকতে পারে না। বাস্তব
জীবনে আমারও প্রেম আছে। তবে এখন
প্রেম করলেও বিয়ে করার ইচ্ছা
নেই। বিয়ে করার জন্য
পরিবার থেকেও চাপ নেই। তাই
কাজেই পুরো মনোযোগ দিচ্ছি।’
এসময়
রাজের সঙ্গে প্রেমের গুঞ্জন প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন,
‘রাজ আমার অনেক ভালো
বন্ধু। বন্ধু থেকে প্রেমিক অনেকেরই
জীবনে হয়। তবে আমার
জীবনে এমনটা হবে না। সে
আমার ভালো বন্ধুই থাকবে।’
মন্তব্য করুন
বলিউড
বাদশাহ শাহরুখ খান। বি-টাউনের
বাঘাবাঘা নির্মাতা তাকে নিয়ে কাজ
করার স্বপ্ন দেখেন। এবার শাহরুখ একদমই
নতুন নির্মাতার সঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন।
ছেলে আরিয়ান খানের নির্দেশনায় ওটিটিতে দেখা যাবে তাকে।
অভিনয়ের
থেকে আরিয়ান খানকে পরিচালনাই বেশি টানে। এ
কথা আগেই জানিয়েছিলেন শাহরুখ
পুত্র। বাবাকে নিয়ে এরই মধ্যে
তিনি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছেন। এবার আর বিজ্ঞাপনে
নয়। শাহরুখকে দেখা যাবে আরিয়ানের
পরিচালনায় ওয়েব সিরিজে, যা
হতে যাচ্ছে তার প্রথম ওয়েব
সিরিজ।
গণমাধ্যমটির সূত্রমতে, সিরিজটির শুটিং এরই মধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। এখন এডিটিংয়ের পালা। সিরিজে একটি ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে শাহরুখকে। সিরিজের নাম স্টারডম। শাহরুখের চরিত্র সম্পর্কে কিছুই জানানো হয়নি।
আরিয়ান খান তার প্রথম সিরিজের জন্য বেশ কয়েকবার খবরে উঠে এসেছেন। সম্প্রতি ববি দেওলও তার প্রোজেক্টে এন্ট্রি নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে। জানা গিয়েছে, এ সিরিজে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে দেখা যাবে ববিকে। তার একটি অভিনব ভূমিকাও থাকবে। যেটি একজন সাধারণ মানুষ যা ভাবেন, তার থেকে একেবারেই আলাদা।
মন্তব্য করুন
এবারের কান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হবে ইরানি নির্মাতা মোহাম্মদ রাসুলফের নতুন ছবি ‘দ্য সিড অফ দ্য সেক্রেড ফিগ’। এই ছবিটি ৭৭তম উৎসবের প্রতিযোগিতা বিভাগেও লড়ছে। সম্প্রতি কান উৎসবে ছবি জমায় দেওয়ায় মোহাম্মদ রাসুলফের ওপর দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় নিরাপত্তার অভিযোগে আট বছরের কারাদণ্ড দেয় ইরান সরকার। কারাদণ্ডের সঙ্গে তাকে চাবুক মারা ও সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির আদালত।
বলিউড কিংবা সাউথ ইন্ডাস্ট্রির নায়িকাদের কি সম্পত্তি আছে তা জানার আগ্রহ সবারই আছে। কারণ এই সব নায়িকাদের বিলাশবহুল জীবন-যাপন সবাইকেই আশ্চর্যন্বিত করে। ভারতের দক্ষিণী চলচিত্রের নয়নতারার কথায় ধরা যাক, তার নিজের প্লেন রয়েছে। তাই অনেকে ভাবেন তিনি বোধহয় ভারতের সবচেয়ে ধনী নায়িকা। আবার কারও কারও ধারণা আলিয়া বা দীপিকাই সবচেয়ে ধনী।