কালার ইনসাইড

সত্যজিৎ রায়: চলচ্চিত্রের বিস্ময়কর প্রতিভা


Thumbnail

মার্টিন স্কোরসেজে সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্রগুলোকে "বিশ্ব সিনেমার অমূল্য সম্পদ" হিসাবে বর্ণনা করে বলেছেন "চলচ্চিত্রের প্রতি আগ্রহী সকলের" উচিত সত্যজিতের চলচ্চিত্র দেখা। জাপানি মাস্টার চলচ্চিত্রকার আঁকিরা কুরোসাওয়া তো স্কোরসেজে থেকেও উচ্ছ্বাসিত প্রশংসা করে বলেছেন: "সত্যজিতের সিনেমা না দেখা মানে সূর্য বা চাঁদ না দেখেই পৃথিবীতে বেঁচে থাকার সামিল।" বাঙালি এই পরিচালকের চলচ্চিত্রগুলো বিশ্ব সিনেমার ‘অমূল্য রত্ন’ হলেও সেগুলো দেখার জন্য খুব একটা সহজলভ্য না হবার ফলে বর্তমান প্রজন্মের অনেক চলচ্চিত্র বোদ্ধা এবং প্রেমীরা এখনও চলচ্চিত্র শিল্পে সত্যজিতের মৌলিক এবং বিস্ময়কর শিল্পকর্মগুলোর সাথে ঘনিষ্ঠভাবে পরিচিত নন। তাই, সত্যজিতের সেরা চলচ্চিত্রগুলোকে ‘রেট্রোস্পেকটিভ’ হিসাবে দর্শক ও বোদ্ধাদের দেখার সুযোগ করে দেয়ার জন্য ‘ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট’এর এই অসাধারণ উদ্যোগকে অভিনন্দন জানাই। আগস্টের শেষ সপ্তাহে শুরু হতে যাওয়া উৎসবে পুরো যুক্তরাজ্য জুড়ে এই অস্কার বিজয়ী নির্মাতার কালজয়ী চলচ্চিত্র শিল্পকর্মগুলি প্রদর্শিত হবে। 

যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রে সত্যজিৎ তার “পথের পাঁচালী” (১৯৫৫) সিনেমাটির জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস (১৯২৯) অবলম্বনে নির্মিত এই চলচ্চিত্রের জন্য প্রথম বাঙালি নির্মাতা হিসাবে ১৯৯২ সালে তিনি অস্কার পুরস্কার অর্জন করেছিলেন। বিশ্ব চলচ্চিত্রের ক্লাসিক এই শিল্পকর্মের কাহিনী আবর্তন হয়েছে ভারতের বাংলা রাজ্যের একটি ছোট্ট গ্রামের এক পরিবারের সম্পূর্ণ জীবন যাপনের গল্প নিয়ে। এই চলচ্চিত্র দিয়েই পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণে সত্যজিতের আত্মপ্রকাশ, পরিচালকের অভিষেকের সাথে সাথে এই চলচ্চিত্রের বেশিরভাগ অভিনেতা – অভিনেত্রীই ছিলেন নবাগত এবং অনভিজ্ঞ। আর্থিক সংকটের কারণে ছবিটির শুটিং ক্রমাগত বাঁধাগ্রস্ত হলেও কয়েক বছরের সংগ্রামের পর অবশেষে কাজটি সম্পন্ন করতে পেরেছিলেন। ছবিটির সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন বিখ্যাত ভারতীয় সেতার কিংবদন্তি পণ্ডিত রবি শঙ্কর। “পথের পাঁচালী” নির্মাণের সময়কালে সত্যজিৎ এবং রবি শঙ্কর কেউই বিখ্যাত ছিলেন না, তারা নিজেরাও হয়তো তখন জানতেন না এখানেই শুরু হচ্ছে তাদের মহত্বের সোপান রচনা। 

চলচ্চিত্রটির সাথে কোন না কোনোভাবে জড়িত প্রত্যেকের শ্রম ও নিষ্ঠা এবং শিল্পীদের নির্মল ও সরল অভিনয় কাজটিকে চূড়ান্তভাবে একটি অত্যন্ত বিশুদ্ধ, অন্তরঙ্গ গল্প হিসাবে চিত্রায়িত করেছে। দ্য অবজারভারের চলচ্চিত্র সমালোচক ফিলিপ ফ্রেঞ্চ পরে এটিকে “এখন পর্যন্ত নির্মিত সর্বশ্রেষ্ঠ ছবিগুলির মধ্যে একটি” বলে প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু কিছু কিছু চলচ্চিত্র সমালোচক প্রায়শই “পথের পাঁচালীকে” সহজ বয়ানে বলা একটা গল্প হিসাবেই মনে করেন বা সাধারণভাবেই দেখার প্রবণতা তাদের। আমি মনেকরি এটা ভুল প্রবণতা বা তাদের সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির ঘাটতি রয়েছে। আমি বরং বলতে চাই “পথের পাঁচালী একজন চলচ্চিত্র পণ্ডিতের নির্মিত একটি জটিল ও কালজয়ী সৃষ্টি।” 

সত্যজিৎ জ্যঁ রেনওয়ার সাথে সাক্ষাৎ করেছিলেন এবং ভিত্তোরিও ডি শিকা’র কালজয়ী সৃষ্টি “বাইসাইকেল থিভস” (১৯৪৮) অধ্যয়ন করেছিলেন। সত্যজিৎ ছোটবেলা থেকেই একটি সাহিত্যিক ও সাংস্কৃতিক আবহে বড় হয়েছিলেন; তিনি এমন একটি পরিবার থেকে উঠে এসেছিলেন, যাদের ঊন-বিংশ শতকের বাঙ্গালী নবজাগরণ ও সমাজ সংস্কারে গুরুত্বপূর্ণ অবদান ছিল। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসন ও সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের বিপরীতে সত্যজিতের ঠাকুরদাদা প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও চিত্রশিল্পী উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী এবং বাবা বিখ্যাত কবি ও সাহিত্যিক সুকুমার রায়ের শৈল্পিক ও সাহিত্যিক অবস্থান ছোটবেলা থেকেই সত্যজিতের শৈল্পিক মানস ও মস্তিষ্ক গঠনে বিশেষ ভূমিকা রেখেছিল।  

বাঙালিদের চিন্তাভাবনা প্রায়শই তাদের সাম্রাজ্যবাদী শাসকদের ব্যাপারে অবারিত মনের ছিল, ঠিক তেমনি রায়ের কাজগুলি এতো বেশি বৈচিত্র্যময় এবং চমকপ্রদ যা সচারচর সমালোচকদের পক্ষে সহজেই গণনা করা বা বুঝে ওঠা সম্ভব হয়ে ওঠে না। তিনি শিশুদের চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন; আবার হেনরিক ইবসেনের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নাট্য-অভিযোজন করেছিলেন; তিনি গোয়েন্দা গল্প লিখেছেন এবং একজন সুদক্ষ শিল্পী ছিলেন। স্বাধীনতাত্তোর ভারতে নারীদের সংগ্রাম দেখেছেন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজের দমন ও নিপীড়নের সাথে পুঁজিবাদের সম্পর্ক ও যাবতীয় বিতর্কের বিষয় নিয়েও তিনি সচেতন ও অনুভূতিপ্রবণ ছিলেন, যা তার চলচ্চিত্রগুলোতে শৈল্পিক ভাবে চিত্রায়িত হয়েছে। তার কলকাতা ত্রয়ী সেটাই দেখাতে চায় যে , বাংলা প্রদেশের রাজধানী ‘কল্লোলিনী তিলোত্তমা’ মহানগরী কলকাতার একটি ক্রমাগত ধাবমান ক্ষয়িষ্ণু সমাজ তার সোনার সন্তানদের শুধুমাত্র একটা চাকরি দিতেও অক্ষম। সত্যজিৎ অন্তরঙ্গতার কবি ছিলেন, তার তীক্ষ্ণ পর্যবেক্ষণ, সূক্ষ্ম রসবোধ, এবং ধারালো যুক্তিই তার ছবির কবিতার দৃশ্যপটে চিত্রিত হয়েছে।  তার চলচ্চিত্রগুলি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ, ভিয়েতনামের যুদ্ধ, এবং পুঁজিবাদের গভীর এবং অনৈতিক প্রভাবের দিকেও ইঙ্গিত দেয় যা তাদের যথেষ্ট হতাশায় ঠেলে দিতে পারে। “জন অরণ্য” (দ্য মিডল ম্যান) চলচ্চিত্রে, সোমনাথ, একজন মেধাবী ইতিহাস স্নাতক,  কিন্তু ফলাফল আশানুরূপ না হওয়ায় জন্য সে বৃত্তির স্বপ্ন ছেড়ে দিয়ে মধ্যস্থতাকারী হিসাবে কাজ শুরু করে। তার একজন মক্কেলের জন্য যৌনকর্মী সংগ্রহ করার মাধ্যমে চলচ্চিত্রটি শেষ হয়। সেখানে দেখা যায়, সোমনাথ তার মক্কেলের জন্য যে যৌনকর্মীর সন্ধান পেয়েছে সে তার পরিচিতা। 

১৯৯২ সালে সত্যজিতের পরলোকগমনের পরে বলতে গেলে কলকাতা স্থবির হয়ে পড়ে। ছয় ফুট তিন ইঞ্চি উচ্চতার এই মানুষটি কলকাতা শহরের মহান এবং কালজয়ী শিল্পীদের একজন হিসাবে যথাযথভাবে পূজিত হয়েছেন। সত্যজিৎ একজন বাঙালি, কিংবা একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা পরিচয়ের চেয়েও অনেক বেশিকিছু ছিলেন; দ্বিতীয় যুদ্ধোত্তর বিশ্ব চলচ্চিত্রের অন্যতম সেরা ব্যক্তিত্ব হলেন সত্যজিৎ। তার কালজয়ী চলচ্চিত্রগুলি আবার উপভোগ করতে ব্রিটিশ শ্রোতা ও বোদ্ধাদের জন্য আরেকটি সুবর্ণ সুযোগ আসছে– এবং অবশ্যই চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে সত্যজিৎকে নতুন করে দেখতে, বুঝতে ও নতুন প্রজন্মকে বুঝানোর এবং ভাবানোর সেই উপযুক্ত সময় সমাগত।

মূল লেখা: দ্যা গার্ডিয়ান

অনুবাদ: অরুণাভ বিলে 



সত্যজিৎ   চলচ্চিত্র   ব্রিটিশ ফিল্ম ইন্সটিটিউট   পথের পাঁচালী   রবি শঙ্কর  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড অভিনেত্রী রাগিনি খান্না। তার আরেক পরিচয় তিনি বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দর ভাগনি। কয়েক দিন আগে এ অভিনেত্রী ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেলে দেন। কিন্তু এ ঘোষণা দেওয়ার একদিন পরই নিজ ধর্মে ফেরার কথা জানান এই অভিনেত্রী।

কয়েক দিন আগে রাগিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। তাতে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি ঘোষণা করছি যে, এখন থেকে খ্রিস্টান ধর্মের ঐতিহ্য, রীতিনীতি অনুসরণ করব।

রাগিনি এ ঘোষণা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্ষমা চান। এতে তিনি বলেন, আমি রাগিনি খান্না। আমার পূর্বের রিলস ভিডিওর জন্য ক্ষমা চাইছি। যাতে আমি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের কথা জানিয়েছিলাম। আমি পুনরায় আমার শিকড়ে ফিরে এসেছি। এখন থেকে হিন্দু সনাতন ধর্ম অনুসরণ করব।

রাগিনি খান্না একাধারে মডেল-অভিনেত্রী ও সঞ্চালক। ২০০৮ সালে হিন্দি ভাষার টিভি ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর অনেক সিরিয়ালে কাজ করেছেন।

২০১১ সালে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ‘টিন থাই ভাই’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে। পরের বছরই পাঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন রাগিনি। এরপর আরও বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   রাগিনি খান্না  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ব্র্যাড পিটকে পেছনে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শাহরুখ খান

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান। নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।

বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময় শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!

সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা মেলেনি।

‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়। 

এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’


ব্র্যাড পিট   জনপ্রিয়তা   শাহরুখ খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাকিব খানের জন্য যে জেলার পাত্রী ঠিক করেছে তার পরিবার

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার। শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে পারছেন না অভিনেতা এবং তার পরিবার। শুধু তাই নয়, শাকিবকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে পাত্রী দেখাও।

অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।

আরও পড়ুন:  এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব

আরও পড়ুন: ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জজেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন। শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।

একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এ পর্যন্ত দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।

শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি গেলে আমিও যাব।’


শাকিব খান   ঢালিউড   অপু বিশ্বাস   বুবলী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কপিল শর্মার এক পর্বে ৫ কোটি!

প্রকাশ: ১০:৪০ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। 

এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।

শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।

ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।


কপিল শর্মা   নেটফ্লিক্স  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৯:৩৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ।

গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।

এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি। বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে খুবই সামান্য টাকা পায়।

এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে কথা বলব’।

ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব। প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।

চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব দিতে হবে’।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’

এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র আরও এগিয়ে যাবে’।

বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায় না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।

শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।

এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড, গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।

উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়। তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।


‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’   গোলটেবিল বৈঠক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন