কালার ইনসাইড

নায়িকার ফিগার নিয়ে কথা বলায় তোপের মুখে নির্মাতা রাফি

প্রকাশ: ০৩:২৭ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২২


Thumbnail

সম্প্রতি চলচ্চিত্রের সিন্ডিকেট নিয়ে নিজের ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন বর্তমান সময়ের শোবিজের প্রিয় মুখ নায়িকা দিঘী। সিন্ডিকেটের খেলায় অসুস্থ হয়ে হয়ে পড়েছেন তিনি। তার সঙ্গে চূড়ান্ত কথা বলেও পরে না জানিয়ে অন্যজনকে নিয়েছেন এক পরিচালক। তবে ঠিক কোন পরিচালক এমন করেছে তার নাম পরিচয় কিছুই প্রকাশ করেননি তিনি। দীঘি না বললেও গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে সেই পরিচালকের নাম প্রকাশ করা হয়। তিনি রায়হান রাফি । 

পরিচালক নিজেই দীঘির ওই অভিযোগের বিপরীতে গণমাধ্যমে কথা বলে বেড়াচ্ছেন। খন্ডন করছেন দীঘির আনা অভিযোগ। রাফি জানিয়েছেন, দীঘি নিজেই আমার সঙ্গে কথা বলে অভিনয় করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ছবির ব্যাপারে দীঘির সঙ্গে আমার সঙ্গে কথা বলেছে, আমার অফিসে এসেছে। এর মানে এই নয় যে তাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।

রায়হান রাফি বলেন,একটি চরিত্রের জন্য একাধিকজনের সঙ্গে কথা হতে পারে, চূড়ান্ত একজন হবে এবং তার সঙ্গে লিখিত চুক্তি হবে। দীঘির সঙ্গে তো আমার কোনো লিখিত চুক্তি হয়নি। সে কাজ করতে চেয়েছে, অফিসে নিজের ইচ্ছাতেই এসেছে। দীঘি বলেছে আমি তাকে বাদ দিয়েছি, তাকে আমার চরিত্রের জন্য উপযুক্ত মনে হয়নি, ফলে তার সঙ্গে যোগাযোগ করিনি। 

দীঘিকে পরামর্শ দিয়ে রাফি বলেন, তার উচিত টিকটক বাদ দিয়ে অভিনয়ে মনোযোগী হওয়া। ফিটনেসের দিকে মনোযোগী হওয়া। সে শুধু আমার সিনেমা থেকে বাদ পড়েছে এমন না, অন্যরা কেন তাকে সিনেমা থেকে বাদ দিল? নিশ্চয়ই তার ঘাটতি আছে।  

রাফির এমন মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকেই তার মন্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সাংবাদিকে জাহিদ আকবর তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, নারীর শরীর নিয়ে এইভাবে প্রকাশ্যে কথা বলা অন্যায়। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধের পর্যায়ে পড়ে। নতুন প্রজন্মের নায়িকা দীঘি বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে পরিচালক রায়হান রাফী কী জঘন্যভাবে বারবার একইভাবে সেই নায়িকার শরীর নিয়ে কথা বললেন। বার কয়েক শুনলাম যা সত্যি অপরাধ মনে হয়েছে। নারীর শরীর নিয়ে কী তিনি প্রকাশ্যে এইভাবে বলতে পারেন? আমার প্রশ্ন থাকলো যারা নারী বিষয়ে কাজ করেন, যারা সচেতন মানুষ হিসেবে নিয়মিত এইসব নিয়ে কথা বলেন তাদের কাছে। এই পরিচালক কী অন্য নারী অভিনয় শিল্পীদের সম্মানের চোখে দেখেন?  নারী অভিনয়শিল্পী, কন্ঠশিল্পী,কলাকুশলীরা যারা এইসব নিয়ে  চুপচাপ আছেন একসময় তাদের শরীর নিয়ে এমন বলতে সাহস পাবেন। তারা কী নিরাপদ এই পরিচালকের কাছে?  একজন পরিচালক একজন অভিনয়শিল্পীকে বাদ দিতেই পারেন। এটা তার সিনেমা, চরিত্র চিত্রায়নে তার নিজের একটা কল্পনা, ধারণা থাকতেই পারে। কিন্তু শরীর নিয়ে প্রকাশ্যে বলতে পারে কী? এটা পরিচালক ফোন করে বলতে পারতেন। আর সেই  ভিডিওতে হাস্যকর লেগেছে বারবার নিজেকে দামী কিছু বোঝনো। ভালোকথাও বলেছেন কিছু। সব ছাপিয়ে নারীর শরীর নিয়ে বিশ্রী মন্তব্য কানে লেগেছে। তাকে প্রকাশ্যে এমন কথা বলার জন্য প্রকাশ্যেই ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে আমার মত।

সাংবাদিক নিপু বড়ুয়া প্রতিবাদ জানিয়ে তাঁর ফেসবুকে লিখেছেন, নায়িকা ফিট না আনফিট প্রকােশ্যে এভাবে বলে না। পরিচালকের কথায় বোঝা যায় উনি ফিট বডি দেখে অভ্যস্ত! উনার শুভ বুদ্ধির উদয় হোক। অতিকথন ভয়ানক। # বডি শেমিং খুবই খারাপ। অনেকে মামলায়ও জড়িয়েছেন।

এদিকে নায়িকা পলি তার ফেসবুকে লিখেছেন, প্রকাশ্যে নায়িকার ফিট আনফিট নিয়ে পরিচালকের আনফিট বক্তব্যই বলে দেয় তার জ্ঞানের পরিধি কতটুকু...
শুভবুদ্ধির উদয় হোক!

নায়িকা সুবাহ তার ফেসবুকে লিখেছেন, বাংলাদেশের রেকর্ড হয়ে থাকলো! এইভাবে কোনদিন কোন  বড় ডিরেক্টর, কোন নায়িকাকে প্রকাশ্যে তার ফিগার বডি নিয়ে অপমান করতে দেখিনি।নিজে একটা পোড়া বেগুন কিসের এত অহংকার রে ভাই!? উনি এমন ভাবে কথা বলেছে মনে হচ্ছে সে ইন্ডিয়ান ডিরেক্টর,, কারণ জহর বা সাঞ্জাইলা বানসালি হয়ে গেছে! যে প্রেম করতে পারবে সেই ভালো নায়িকা ভালো ফিগারের সুন্দরী নায়িকা!! আর যে প্রেম করতে পারবে না খাট কাপাতে পারবেনা সে ভালো নায়িকা না এটা কি ধরনের মিনিং !! বর্তমান যুগে অনেক বড় বড়  বলিউড এবং বাংলাদেশের অ্যাক্ট্রেস নায়ক নায়িকারা অনেকেই টিক টক করেন। তার মানে এই না যে সে পঁচে গেছে বা একদম খারাপ হয়ে গেছে পর্নস্টার হয়ে গেছে সরি টু সে। 

এভাবে একটা নায়িকাকে অপমান করা হলো বিষয়টা খুব কষ্টের তারপরেও সে ছোট থেকেই অভিনেত্রী & আবার স্টারর্কিড, ৩টা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তার ঝুলিতে আছে। সে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত অভিনেত্রী তাকে অবশ্যই সম্মান দিয়ে কথা বলা উচিত ছিল তার। চলচ্চিত্রের প্রযোজক পরিচালক মানে সিনেমার বাবা মা ওনারা যদি এইভাবে এই ভাষায় অভিনেত্রীদের কে নিয়ে কথা বলে তাহলে বিষয়টা খুবই দুঃখজনক এবং হতাশার। 

এইভাবে বডি শেমিং করা ঠিক হয়নি। আপনাদের সবার উচিত এইসব ফালতু মন মানসিকতার মানুষ দেরকে শিক্ষা দেয়া। আমিও চলচ্চিত্রের একজন অংশ এবং আমিও একটা মেয়ে  তাই বিষয়টি আমার খারাপ লেগেছে আর আমি পার্সোনালি দিঘিকে অনেক পছন্দ করি। আমি কখনো কাউকে ছাড়ে কথা বলিনি এবং বলবোও না আমার কাছে খুবই খারাপ লেগেছে ওই ডিরেক্টরের কথাবাত্রা গুলো। দিঘির জায়গায় হয়তো আমিও এরকম বাজে ভাবে বডি সেভিং এর শিকার হতে  পারি দুদিন পর!
উনার মত ডিরেক্টর এর কাছে। দিঘির বাবা আমার ছবিতে আমার বাবা হয়েছিলেন অনেক ভালো মানুষ আর দিঘির মা অনেক নামকরা নায়িকা দোয়েল ছিলেন।
দিঘি একটা অল্প বয়সের মা হারা মেয়ে। চলচ্চিত্রের মানুষদের অবশ্যই প্রতিবাদ করা উচিত এভাবে চুপ না থেকে কাল হয়তো আপনাদের কে নিয়েও এভাবে অপমান করে কথা বলতে কেউ পিছপা হবে না। বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ আর আমি বরাবরই প্রতিবাদী অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ করবোই যদি কিছু করার থাকে কইরেন ইনশাল্লাহ দেখা যাবে।

এদিকে অনেক ফেসবুক  ব্যবহারকারী এর প্রতিবাদ জানিয়ে লিখেছেন  তারা আর কখনোই রাফির সিনেমা দেখবেন না। কথা নামে একজন রাফির পোস্টে কমেন্ট করে বলেন, আমি আর কখনোই আপনার পরিচালিত কোন সিনামা দেখব না ( যদিও আমি তেমন সিনেমা দেখিনা, আমার life এ just দুইটা মুভি মনপুরা & হাওয়া দেখেছি) কারন আপনি একজন নারীকে নিয়ে ( দীঘি ) খুবই আপত্তিকর, নোংরা ভাষায় কথা বলেছেন। 

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এমন প্রতিবাদের প্রেক্ষিতে রাফির সাথে বাংলা ইনসাইডারের  কথা হলে তিনি বলেন, আমি ব্যক্তিগত ভাবে দিঘীকে ছোট করার জন্য এমনটি বলিনি। আমাই আমার সিনেমার চরিত্রটির জন্য এমন মন্তব্য করেছি। আমি নিজেও মোটা। আসলে কে মোটা, কে চিকন এটি একান্তই তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। এনিয়ে কথা বলার রাইট আমাদের কারও নাই। তবয়ে অনেকেই এখন বলছে আমি বডি শেমিং করেছি। আসলে বডি শেমিংটা কী? আমি তো তার শরীর নিয়ে কটু কথা বলিনি। শুধু মাত্র আমার সিনেমার চরিত্রটির জন্য স্লিম ফিগার প্রয়োজন সেটাই বলেছি। আর দিঘীকে আমি বলবো আমাকে যেনো ভুল না বুঝে। 

উল্লেখ্য, রাফির নতুন সিনেমা ‘সুড়ঙ্গ’। আর এই ছবির মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে আফরান নিশোর। আর তাঁর বিপরীতে দেখা যাবে নায়িকা তমা 

রাফি   দিঘী   তমা মির্জা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী

প্রকাশ: ০৭:২৯ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউড অভিনেত্রী রাগিনি খান্না। তার আরেক পরিচয় তিনি বরেণ্য অভিনেতা গোবিন্দর ভাগনি। কয়েক দিন আগে এ অভিনেত্রী ধর্মান্তরিত হওয়ার ঘোষণা দিয়ে হইচই ফেলে দেন। কিন্তু এ ঘোষণা দেওয়ার একদিন পরই নিজ ধর্মে ফেরার কথা জানান এই অভিনেত্রী।

কয়েক দিন আগে রাগিনি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি পোস্ট দেন। তাতে এ অভিনেত্রী বলেন, আমি ঘোষণা করছি যে, এখন থেকে খ্রিস্টান ধর্মের ঐতিহ্য, রীতিনীতি অনুসরণ করব।

রাগিনি এ ঘোষণা দেওয়ার ২৪ ঘণ্টা পর একটি ভিডিও পোস্ট করে ক্ষমা চান। এতে তিনি বলেন, আমি রাগিনি খান্না। আমার পূর্বের রিলস ভিডিওর জন্য ক্ষমা চাইছি। যাতে আমি খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের কথা জানিয়েছিলাম। আমি পুনরায় আমার শিকড়ে ফিরে এসেছি। এখন থেকে হিন্দু সনাতন ধর্ম অনুসরণ করব।

রাগিনি খান্না একাধারে মডেল-অভিনেত্রী ও সঞ্চালক। ২০০৮ সালে হিন্দি ভাষার টিভি ধারাবাহিকের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন। এরপর অনেক সিরিয়ালে কাজ করেছেন।

২০১১ সালে রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরার ‘টিন থাই ভাই’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক ঘটে। পরের বছরই পাঞ্জাবি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন রাগিনি। এরপর আরও বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।

বলিউড   রাগিনি খান্না  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ব্র্যাড পিটকে পেছনে ফেলে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে শাহরুখ খান

প্রকাশ: ০৩:৫৭ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয়তার দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম আকর্ষণীয় মার্কিন অভিনেতা ও চলচ্চিত্র প্রযোজক ব্র্যাড পিটকেও পেছনে ফেলে দিয়েছেন বলিউডের বাদশাহ শাহরুখ খান। নিজের দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের মাটিতেও জনপ্রিয়তার শিখরে তিনি।

বলিউড বাদশাহ তখন বার্লিনে, সিনেমার শুটিং চলছে পুরোদমে। সেই সময় শাহরুখের জন্মদিন উপলক্ষ্যে ইউরোপ থেকে কাতারে কাতারে মানুষ এসেছেন, প্রিয় নায়ককে এক পলক দেখার আশায়। শুটিংয়ের জন্য ১ কিলোমিটার জায়গা জুড়ে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। ব্যারিকেডের বাইরে পোস্টার হাতে অভিনেতাকে শুভেচ্ছা জানান অনুরাগীরা। অভিনেতাও প্রায় এক ঘণ্টা সময় দিয়েছিলেন তাদের। শাহরুখের নজিরবিহীন স্টারডম!

সহ-অভিনেতা আলি খান ছিলেন শুটিং ফ্লোরে। তার কথায়, ‘আমরা বার্লিনে যে হোটেলে ছিলাম, কিছু দিন আগে ব্র্যাড পিট এবং কুয়েন্টিন ট্যারেন্টিনো সেই হোটেলেই ছিলেন। বার্লিনে তাদেরও একটি সিনেমার শুটিং চলছিল সেই সময়। তাদের ইউনিটের সদস্যরাই আমাদের সিনেমাতে ছিলেন। তাদের মুখে শুনলাম, শাহরুখের জন্মদিনে এত মানুষ ঢল, এর আগে কোনও শুটিংয়ে এত ভিড় দেখা যায়নি। এমনকি ব্র্যাড পিট যখন ছিলেন তখনও এত মানুষের দেখা মেলেনি।

‘অ্যা মাইটি হার্ট’ সিনেমাতে অ্যাঞ্জেলিনার সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন আলি খান। প্রয়াত অভিনেতা ইরফান খানও ছিলেন সেই সিনেমায়। সেই সিনেমার প্রযোজক ছিলেন ব্র্যাড পিট। মুম্বাইয়ের একটি বিলাসবহুল হোটেলে পার্টির আয়োজন করা হয়। 

এ প্রসঙ্গে আলি বলেন, ‘সিনেমার সেটের বাইরে অ্যাঞ্জেলিনা একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো। আমি, আমার স্ত্রী আর অ্যাঞ্জেলিনা অনেক গল্প করলাম পার্টিতে। বিশেষত আমার স্ত্রীর সঙ্গে সন্তানের পরিচর্যা, তাদের খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় বিষয় কথা বলেছিলেন অ্যাঞ্জেলিনা।’


ব্র্যাড পিট   জনপ্রিয়তা   শাহরুখ খান   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাকিব খানের জন্য যে জেলার পাত্রী ঠিক করেছে তার পরিবার

প্রকাশ: ০২:১৪ পিএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই সিনেমার কিং খান শাকিবের বিয়ের গুঞ্জন চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। বুবলী আর অপু বিশ্বাসকে নিয়ে বিরক্ত শাকিব খানের পরিবার। শাকিবকে নিয়ে দুই নায়িকার বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে কথাবার্তা-গল্পগুজব আর নিতে পারছেন না অভিনেতা এবং তার পরিবার। শুধু তাই নয়, শাকিবকে বিয়ে দেওয়ার জন্য চলছে পাত্রী দেখাও।

অভিনেতার ঘনিষ্ঠজনেরা বলেছেন, ঢাকার পাশের জেলায় পাত্রী দেখছে শাকিবের পরিবার। এবার আর নিজের পছন্দে নয়, পরিবারের পছন্দেই বিয়ে করবেন অভিনেতা। অতীত ভুলে সংসারী হবেন শাকিব।

আরও পড়ুন:  এবার জায়েদ খানের ওপর ক্ষোভ ঝাড়লেন সাকিব

আরও পড়ুন: ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে তাহসান-ফারিণের গান

অর্থাৎ বুবলীর সঙ্গে যদি শাকিবের সত্যি বিয়ে হয়ে থাকে, তাহলে এবার তৃতীয় দফায় বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন অভিনেতা। শোনা যাচ্ছে, চিকিৎসক পাত্রী পছন্দ করেছে তাঁর পরিবার।

শাকিবের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার পার্শ্ববর্তী মুন্সিগঞ্জজেলার একটি মেয়েকে শাকিবের বউ হিসেবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করেছে তার পরিবার। মেয়ে যুক্তরাজ্য থেকে চিকিৎসা বিষয়ে লেখাপড়া করে দেশে ফিরেছেন। শাকিবেরও ডাক্তার মেয়ে পছন্দ।

একাধিক সূত্রে জানাগেছে, এ পর্যন্ত দুই থেকে তিনজন পাত্রীকে দেখেছে শাকিবের পরিবার। এর মধ্যে মুন্সিগঞ্জের চিকিৎসক মেয়েই নাকি এগিয়ে আছেন। সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি বছরের শেষ দিকে ধুমধাম করে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন শাকিব খান। আর এই আয়োজনের পুরো দায়িত্ব নিচ্ছে শাকিবের পরিবার।

শুধু তা–ই নয়, শাকিবকে নিয়ে কেউ কোনো মিথ্যাচার করলেই আইনের আশ্রয় নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে শাকিব খানের পরিবার। পাশাপাশি জানা গেছে, শাকিবের বাড়িতে অপু-বুবলীর প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। যদিও জবাবে বুবলী বলেছেন, ছেলে বীরকে একা ছাড়বেন না তিনি। এই কথা প্রসঙ্গে অপুও বলেছেন, ‘তিনি গেলে আমিও যাব।’


শাকিব খান   ঢালিউড   অপু বিশ্বাস   বুবলী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কপিল শর্মার এক পর্বে ৫ কোটি!

প্রকাশ: ১০:৪০ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। 

এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।

শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।

ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।


কপিল শর্মা   নেটফ্লিক্স  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত

প্রকাশ: ০৯:৩৪ এএম, ০৩ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস)।

বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ।

গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।

এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন, ‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি। বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে খুবই সামান্য টাকা পায়।

এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয় নিয়ে কথা বলব’।

ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব। প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।

চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব দিতে হবে’।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’

এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র আরও এগিয়ে যাবে’।

বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায় না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।

শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।

এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড, গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।

আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন, অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস, দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া, আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।

উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়। তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।


‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’   গোলটেবিল বৈঠক  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন