নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:০৯ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮
আসছে পয়লা বৈশাখে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে ‘পোড়ামন ২’। তার আগে ভালোবাসা দিবসের বিশেষ নাটক ‘তবুও ভালোবাসি’। দুটি কাজ নিয়েই বেশ উচ্ছ্বসিত সিয়াম আহমেদ। খুঁটিনাটি আরও অনেক কিছু নিয়ে মুখোমুখি হয়েছেন বাংলা ইনসাইডারের।
‘পোড়ামন ২’ সিনেমার শুটিং শেষ, ব্যস্ততা কী নিয়ে?
এখন আমি কনফিউজড। হাতে আপাতত চারটা ফিল্মের অফার আছে। কোনটা ছাড়ব আর কোনটা করব তা নিয়ে টেনশনে আছি। আশাকরি কিছুদিনের মধ্যেই জানাতে পারব আমার পরের সিনেমাটি কি হচ্ছে। অথবা সামনে কি কি সিনেমায় কাজ করছি। তাছাড়া ‘পোড়ামন ২’ নিয়ে প্রমোশন করার চিন্তাভাবনা আছে। ‘পোড়ামন ২’কে আমি যতটুকু ফিল করতে পেরেছি। আর পোস্টার থেকে শুরু করে সবকিছু নিয়ে মানুষ যতটা আগ্রহ দেখাচ্ছে। আশাকরি এ বছর সিনেমাটি মুক্তির আগে যেমন আলোচনায়, মুক্তির পরেও আলোচনার সঙ্গে প্রশংসিত ও দর্শক নন্দিতও হবে।
নায়িকা পূজার সঙ্গে রসায়ন দর্শক কীভাবে নিবে বলে মনে করেন?
পূজা খুবই ট্যালেন্ট একজন অভিনেত্রী। দর্শকের পছন্দ হওয়ার নানা কারণ রয়েছে। দুষ্ট মিষ্টি, টক জ্বাল একটা কেমেস্ট্রি পাবে। মফস্বলে রিয়াল কেমেস্ট্রি যেটা। একটা সময় যে প্রেমটা পর্দায় দেখতে মানুষ খুব পছন্দ করতো। সেটা এ সিনেমায় দেখতে পাবে।
পরিচালক রায়হান রাফির বড় পর্দায় প্রথম কাজ, আপনারও প্রথম। দুজনার ক্যামেস্ট্রি কেমন ছিল?
দুজনের প্রথম হওয়াতে তো ক্যামেস্ট্রিটা আরও বেশি জমেছে। আর কাজ করতে গিয়ে যে সুবিধাটা হয়েছে। দুজনেই অনেক খুতখুতে ছিলাম। প্রতিটা শর্ট ১৪ বার ভেবে ওকে করেছি। আমরা সবসময় এই ভেবেছি, প্রথম কাজটা দিয়েই যেন দর্শকের মনে জায়গা তৈরী করে নিতে পারি। রাফির নির্মাণশৈলী আমরা আগেও দেখেছি। গল্প বলার ভঙ্গি কিংবা ভাবনাগুলো ভালো। রাফির সবচেয়ে ভালো যে ব্যাপারটা, শর্টে যাওয়ার আগে আমাদের কাছ থেকে ইনপুটটা নেয় যে তুমি কি মনে করছো। তুমি কি করতে চাও এই জায়গায়। যখন এটা বলে। তখন আমাদের একটা মত প্রকাশের জায়গা তৈরী হয়। এর ফলে আমাদের বোঝাপড়াটা অনেক ভালো হয়েছে। রাফি কি চায়, এটা মোটামুটি আমরা ওর চোখ দেখেই বুঝেছি।
নাটক থেকে সিনেমায়, জার্নিটা কেমন ছিল?
আমি যে খুব বেশিদিন নাটক করছি এমনটা নয় কিন্তু। তবে আমি মনে করি অনেক কম সময় ভালো কিছু অর্জন করতে পেরেছি। নাটক, শর্টফিল্ম বা অন্যন্য সব দিয়ে মানুষের যে ভালবাসাটা পেয়েছিলাম আমি। ওই ভালবাসাটাই কিন্তু আমাকে সিনেমায় টেনে নিয়ে গেছে। আমি সিনেমায় যাওয়ার সাহসটা পেয়েছি। ক্যানভাসের পার্থক্যটা হলো, এটার ক্যানভাস তো অবশ্যই অনেক বড়। ছোটপর্দায় বাজেট নিয়ে আমরা সবসময় সংশয়ে থাকি। এখানে সে ব্যাপারটায় একটা শান্তির জায়গা আছে। আমি যেটা সবসময়েই চেয়েছি। ক্যারেক্টারটাকে একটা স্টাডি ভেবে সময় নিয়ে অভিনয় করা। এইটা ফিল্মেই শুধুমাত্র সম্ভব। এখানে বলে তুমি সময় নেও, দিনে দুইটা বা তিনটা সিকোয়েন্স করো। কিন্তু ভেবে ভেবে করো। পারফেক্টলি কিছু করো। ফিল্মে আমরা দিনে বড়জোর পাঁচটা থেকে ছয়টা সিকোয়েন্স করেছি। আর নাটকে দেখা যায়, দুদিনে আমাদের পুরো একটা নাটক নামাতে হয়। ওখানে তাই প্রিপারেশন নেয়া ও নিজেকে ভাঙ্গার খুব বেশি জায়গা থাকে না।
ছোটপর্দায় ফের কাজ করা, প্রথম ছবি তো মুক্তি মিললো না এখনো….
ছোটপর্দা আমার উঠতি স্থল। ছোটপর্দা আমার জন্মস্থান। জন্মস্থানে আমরা ফিরে আসবো, এটাই স্বাভাবিক। তবে এইবার কাজ করার কারণ হচ্ছে, ‘তবুও ভালোবাসি’র পরিচালক রুবায়েত মাহমুদ। তাকে আমি গত বছর কথা দিয়েছিলাম যে যদি সে ‘ক্লোজআপ কাছে আসার গল্প’ আবারও করে, তাহলে আমিই করবো। গত বছর আমরা যখন একসঙ্গে কাজ করলাম। উনি সিদ্ধান্ত নিয়ে রেখেছিলেন সামনেও সিয়ামকেই আমার লাগবে। গত বছর ‘মেঘ এনেছি ভেজা’ নাটকটি খুব প্রশংসা পায়। ভ্যালেন্টাইন উপলক্ষেই নাটকটি করা। একটা নাটকই করছি এবং তা কমিটমেন্ট রক্ষার জন্য।
তাহলে কি ছোটপর্দায় আপাতত দেখা যাবে না?
এমনটা ঠিক নয়। আসলে কনটেন্টটা এমন হতে হবে, যেটা আমাকে টানে। যদি কোন কনটেন্ট এমন হয় যে আমি না করে থাকতে পারছি না। তাহলে তা অবশ্যই করবো। ছোট হলেও আমার যে একটা অডিয়েন্স মহল আছে। তারা অপেক্ষা করছিলেন অনেকদিন ধরে সিয়ামের নাটক দেখছি না। তাঁরা নানাভাবে নক দিচ্ছিলো ভাই আপনার নাটক দেখছি না। আপনার নাটক দেখতে চাই। কাজ করতে গিয়ে একটা দায়বদ্ধতা তো তৈরি হয়েছে। এরকম যদি কোন অফার আসে যে আমি না করে থাকতে পারছি না, তাহলে অবশ্যেই করবো।
জাজের সঙ্গে সামনে কোন সিনেমার প্ল্যানিং?
আরও একটি সিনেমার কথা চলছে। পরিচালক রায়হান রাফিই থাকবে। স্ক্রিপ্টও মোটামুটি রেডি। এটা দেশপ্রেম নিয়ে। ওটার জন্য নিজেকে কতটা প্রস্তুত করতে পারবো সেটা নিয়ে একটু টেনশনে আছি। আশাকরি মার্চের দিকে এর কাজ শুরু হবে। এর থেকেও দেরী হতে পারে।
সিনেমা করতে গিয়ে স্বরণীয় কোনো ঘটনা?
বেশ কিছুই আছে। যেমন আমার যে ইনট্রডাকশন র্শট ছিল। তার ঠিক আগের রাতে আমাদের ডিওপি শাহিন ভাইয়ের তার বাবা মারা যায়। তার কমিটমেন্টের জায়গাটা এত স্ট্রং ছিল যে তার বাবাকে কবর দিয়ে আবার পরের দিন শুটিংয়ে এসেছেন। আমার শর্ট নিয়েছেন। উনি যাওয়ার আগে বলে গিয়েছিলেন সিয়াম তুমি টেনশন করো না, তোমার প্রথম শর্টটা আমিই নিবো। এইটা আমি কখনোই ভুলতে পারবো না যে ভালবাসা তিনি আমাকে দিয়েছেন।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ/জেডএ
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন।
এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।
শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে
সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন
ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
(বাচসাস)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার
কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি
ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল
মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক
রিমন মাহফুজ।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ
উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।
এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,
‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা
ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি।
বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে
খুবই সামান্য টাকা পায়।
এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে
জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের
এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে
আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর
অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয়
নিয়ে কথা বলব’।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে
আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি
নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন
ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব।
প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ
খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক
করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব
দিতে হবে’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন
উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের
সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে
আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প
ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’
এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি
অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র
আরও এগিয়ে যাবে’।
বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান
চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায়
না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে
বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান
বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র
শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের
চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু
সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ
করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে
গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।
এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর
রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক
জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ
সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক
এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড,
গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন,
অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ
ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস,
দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া,
আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।
উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়।
তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও
নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ গোলটেবিল বৈঠক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।