কালার ইনসাইড

একজন নাজিয়া হাসান, আশির দশকের তরুণদের মনে এখনও আইডল!


Thumbnail পাকিস্তানি সর্বকনিষ্ঠ গায়িকা নাজিয়া হাসান।

একজন নাজিয়া হাসান। তিনি ছিলেন প্রথম পাকিস্তানি সর্বকনিষ্ঠ গায়িকা। যিনি মাত্র ১৫ বছর বয়সে সেরা প্লেব্যাক সিঙ্গার হিসেবে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতেছিলেন। ‘ডিসকো দিওয়ানি’ নাজিয়া হাসানের মাদকতাময় কণ্ঠে গাওয়া এই দুর্দান্ত মেলোডিয়াস গানটি আশির দশকের বড় হওয়া প্রজন্মের কাছে আইকনিক সং হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেছে।

দক্ষিণ এশিয়ার ‘পপ কুইন’ বলা হতো নাজিয়া হাসানকে। তিনি ছিলেন আইনজীবী এবং সমাজকর্মী। তার সফল সঙ্গীত জীবনের মাধ্যমে নাজিয়া উপমহাদেশের কিংবদন্তি একজন শিল্পী হিসেবে মর্যাদা লাভ করেন এবং দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় সেলিব্রেটিদের একজন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। তিনি অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার লাভ করেছেন এবং প্রথম সর্বকনিষ্ঠ পাকিস্তানি গায়িকা হিসেবে শ্রেষ্ঠ নারী নেপথ্য শিল্পী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার জিতে নিয়েছিলেন।

অসাধারণ গুণে গুণান্বিতা ছিলেন নাজিয়া হাসান। সত্তরের দশক থেকে নাজিয়া হাসান পাকিস্তান টিভিতে শিশুশিল্পী হিসেবে পারফর্ম করতেন। পেশাদার গান গাওয়া শুরু করেন মাত্র সতেরো বছর বয়স থেকে। ভাই জোহেব হাসানের সাথে যুগলবন্দী পপ গান গাওয়া শুরু করেন তিনি। তুমুল হিট হয় নাজিয়া হাসান- জোহেব হাসান জুটি। সঙ্গীতের মূর্ছনায় বিমোহিত করেন লক্ষ লক্ষ সঙ্গীতপ্রেমীদের। ভারতীয় হিন্দি ছবির বরেণ্য অভিনেতা ফিরোজ খানের নজরে পড়ে কিশোরী নাজিয়ার মাদকতাময় হাস্কি ভয়েস। ফিরোজ খান যেমন জহুরি ছিলেন। তাই জহুর চিনতে তার দেরি হয়নি। ফিরোজ খান তার কুরবানি ছবিতে নাজিয়াকে ব্রেক দেন, ‘আপ য্যায়সা কোয়ি মেরে জিন্দেগী মে আয়ে তো বাত বান যায়ে....’- গানটি  স্মরণকালের সেরা জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। আজও মানুষ এই গান শোনে। এই গান কখনো পুরনো হবে না। আসলে নাজিয়া হাসানের গান কোনোদিন পুরনো হবার নয়। বর্তমান প্রজন্মের কাছেও নাজিয়া হাসান একটি সমাদৃত কণ্ঠ।

নাজিয়ার বাবা বশির হাসান ছিলেন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী। মা মুনিজা বশির ছিলেন সমাজকর্মী। ভাই জোহেব এবং ছোটবোন জাহরা’র সঙ্গে নাজিয়ার শৈশব ও কৈশোরের একটা বড় অংশ কেটেছিল লন্ডনে। লন্ডনের রিচমন্ড আমেরিকান ইউনিভার্সিটি থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন ও ইকোনমিক্সে স্নাতক করেন নাজিয়া। এরপর লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ে ডিগ্রিও লাভ করেন। ১৯৮১ সালে মুক্তি পায় নাজিয়া-জোহেবের প্রথম মিউজিক অ্যালবাম ‘ডিসকো দিওয়ানি’। এই অ্যালবাম ভারত ও পাকিস্তানে বিক্রির সব রেকর্ড ভেঙেচুরে দিয়েছিল। এমনকি ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ল্যাটিন আমেরিকা এবং রাশিয়াতেও বিক্রির তালিকায় সবার উপরে ছিল নাজিয়ার ‘ডিসেকো দিওয়ানি’ গানটি। নাজিয়া - জোহেবের প্রায় সব গানের সুর করেছেন প্রখ্যাত সুরকার বিধু।

১৯৯৫ সালে পাকিস্তানি ব্যবসায়ী মির্জা ইশতিয়াক বেগকে বিয়ে করেন নাজিয়া। বিয়ের পর তিনি গানের জগত থেকে বিদায় নিয়ে পুরোদমে সংসার করার দিকে অত্যন্ত মনোযোগী ছিলেন। কিন্তু বিয়ের কারণে সুপ্রতিষ্ঠিত ক্যারিয়ার ছেড়ে দেয়া নাজিয়ার কপালে সুখ সয়নি বেশিদিন। স্বামী ইশতিয়াক বেগের সাথে দাম্পত্য কলহ শুরু হয়। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন নাজিয়া। অসুখী বিবাহিত জীবনের কথা প্রকাশ করতে চাননি নাজিয়া। শুধু তার বাবা, মা, ভাই জোহেব জানতেন তাদের প্রিয় নাজিয়া অশান্তির জীবন কাহিনী। ইতিমধ্যে তার শরীরে বাসা বাঁধে মরণব্যাধি ক্যান্সার।

এদিকে ১৯৯৭ সালে জন্ম হয় নাজিয়ার একমাত্র ছেলে আরেজ হাসান। নাজিয়া চেয়েছিলেন, ছেলে যেন কোনোমতেই তার বাবা মির্জা ইশতিয়াকের কাছে বড় না হয়। তাই মৃ্ত্যুর দশদিন আগে জোর করে চূড়ান্ত করেছিলেন নিজের বিবাহ বিচ্ছেদ। ২০০০ সালের ১৩ আগস্ট লন্ডনের এক হাসপাতালে মাত্র ৩৫ বছর বয়সে মা মুনিজা বশিরের চোখের সামনেই মারা যান আশির দশকের এক ক্ষণজন্মা পাকিস্তানি পপ সিঙ্গার নাজিয়া হাসান। লন্ডনের হেনডনের সমাধিক্ষেত্রে চিরনিদ্রায় শায়িত আছেন পপ কুইন নাজিয়া হাসান।

নাজিয়া মোট পাঁচটি অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন এবং এই অ্যালবামগুলো বিশ্বব্যাপী ৬৫ মিলিয়নেরও বেশি রেকর্ড বিক্রি হয়েছে। নাজিয়া ১৯৯১ সালে জাতিসংঘ হেডকোর্য়াটার নিউইয়র্কে যোগদান করেন এবং পরবর্তী দুই বছর ইউনাইটেড নেশন্স সিকিউরিটি কাউন্সিলে চাকরি করেছেন। তৃতীয় বছরে তিনি ইউনিসেফে সাংস্কৃতিক দূত হওয়ার অফার পান। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির লিডারশিপ প্রোগ্রামে স্কলারশিপ জিতেছিলেন তিনি। কিন্তু ফুসফুসের ক্যান্সার হওয়ার কারণে এই কোর্স তিনি কমপ্লিট করতে পারেননি। মৃত্যুর পর ২০০২ সালে নাজিয়াকে মরণোত্তর ‘প্রাইড অফ পারফরম্যান্স’ পুরস্কার দেওয়া হয় যা তার মা মুনিজা বশির গ্রহণ করেন। নাজিয়ার ছেলে আরেজ হাসান (২৬) তার মামা ও নানীর সাথে লন্ডনে বসবাস করছেন।


নাজিয়া হাসান   পপ কুইন   ডিসকো দিওয়ানি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অভিনেত্রী স্ত্রীর মৃত্যুশোক স্বামীর আত্মহত্যা

প্রকাশ: ০২:৫৯ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত ১২ মে সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তেলেগু অভিনেত্রী পবিত্রা জয়রাম। অন্ধ্রপ্রদেশের মেহবুবা নগরের কাছে একটি ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হয়। হিট তেলেগু টেলিভিশন ধারাবাহিকত্রিনয়নীতে তিলোত্তমার ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন পবিত্রা। অভিনেত্রীর মৃত্যুর ঘটনায় গুরুতর আহত হয় স্বামী অভিনেতা চন্দ্রকান্ত।

দুর্ঘটনায় গাড়িতে তিনিও ছিলেন। তবে স্ত্রীর মৃত্যুর পর একেবারে ভেঙে পড়েন অভিনেতা। এবার নিজেও পাড়ি জমালেন পরপারে। গত শুক্রবার তেলেঙ্গনার অলকাপুরে নিজের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় অভিনেতার ঝুলন্ত দেহ। শনিবার (১৮ মে)  এক প্রতিবেদনে তথ্য জানিয়েছেন ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।


অভিনেত্রী   মৃত্যুশোক   স্বামী   আত্মহত্যা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

৫৪ হাজার কোটি টাকার মালিক অভিনেত্রী শারমিনের শ্বশুর

প্রকাশ: ০১:৩৬ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ওয়েব সিরিজহীরামাণ্ডিতে অভিনয় করেছেন বলিউডের নবাগত অভিনেত্রী শারমিন সেহগল। ১৯৯৫ সালে ২৮ সেপ্টেম্বর জন্ম নেওয়া শারমিনের বর্তমান বয়স ২৮ বছর। যদিও অভিনয় দিয়ে দর্শকদের হৃদয়ে খুব একটা ছাপ ফেলতে পারেননি তিনি। 

মামা সঞ্জয় লীলা বানসালির সহকারী পরিচালক হিসেবে শোবিজাঙ্গনে যাত্রা শুরু করেন সেহগল। বলিউডের শীর্ষ পরিচালক বানসালির সঙ্গে খামোশি, দেবদাস এবং ব্ল্যাকের মতো অনেক বড় বড় প্রজেক্টে কাজ করেছেন শারমিন।

ব্যক্তিজীবনে ২০২৩ সালের নভেম্বরে শারমিন সেহগল ব্যবসায়ী আমান মেহতাকে বিয়ে করেছেন। আমান বিজনেস টাইকুন সমীর মেহতার ছেলে। সমীর এবং তার ভাই সুধীর মেহতা টরেন্ট গ্রুপের প্রধান। মেহতা ভাইদের সাম্রাজ্য ফার্মা, পাওয়ার, গ্যাস এবং ডায়াগনস্টিক সেক্টরজুড়ে বিস্তৃত।

ব্লুমবার্গ বিলিয়নেয়ার্স ইনডেক্স অনুসারে, ২০২৪ সালের হিসেবে সমীর মেহতার মোট সম্পত্তির পরিমাণ .৪৪ বিলিয়ন ইউএস ডলার বা ৫৩ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। টরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস মেহতা ব্রাদার্সের মূল কোম্পানি। ব্রিটিশ ম্যাগাজিন ফোর্বসের মতে, সংস্থাটি বছরে ৩৫ হাজার কোটি টাকা আয় করে।


কোটি টাকা   অভিনেত্রী   শারমিন   শ্বশুর  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বোল্ড লুকে দিশা পাটানি

প্রকাশ: ০১:১৩ পিএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দিশা পাটানি। যদিও অভিনয়ের থেকে নিজের সাহসী খোলামেলা রূপের জন্যই বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি।

নিজের বোল্ড লুকের ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় বরাবরই পারদ চড়ান দিশা। এবারেও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। সম্প্রতি থাইল্যান্ডে ঘুরতে গেছেন এই তারকা। সেখানে গিয়েই উষ্ণতা ছড়ালেন ভক্তদের মাঝে।

ইনস্টাগ্রামে বেশ কিছু ছবি প্রকাশ করেছেন দিশা। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মাঝ সমুদ্রে আলো ছায়ার খেলায় মেতেছেন অভিনেত্রী। কয়েকদিন আগেই ওয়াইন রঙের একটি বিকিনি পড়ে ছবি দিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার হাজির হয়েছেন সাদা বিকিনিতে। একটুকরো পোশাকেই যেন শরীর ঢাকার চেষ্টা করেছেন অভিনেত্রী।

ইনস্টাগ্রামে দিশাকে প্রায় কোটি মানুষ অনুসরণ করেন। অভিনেত্রীর বিভিন্ন ছবি, মুহূর্তগুলোর চিত্র দেখতেই যেন তারা সবসময় মুখিয়ে থাকেন।


বোল্ড লুক   দিশা পাটানি  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বিরাট আনুশকা সংসার, সন্তান নিয়ে খুশি

প্রকাশ: ১১:০৮ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি নিজের অবসর জীবনের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন বিরাট কোহলি। আর এদিকে আনুশকা খুব শিগগিরই হয়তো অভিনয় জীবন থেকে মুখ ফেরাবেন। তবে বিরাট-আনুশকা খুশি সংসার, সন্তান নিয়ে।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বিরাট ছেলে অকায় মেয়ে ভামিকাকে নিয়ে অজানা তথ্য প্রকাশ্যে আনেন।

গত পাঁচ বছর ধরে কোনও ছবি মুক্তি পায়নি আনুশকার। মেয়ের জন্মের পর শুধুচাকদহ এক্সপ্রেসছবিটি করেছেন তিনি। অবশ্য সেটি আজও মুক্তি পায়নি।

অভিনেত্রী নিজেই এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, তার জীবনে অগ্রাধিকার পায় তার সন্তানরা। এবার বিরাটের অবসরের জল্পনা উঠতেই শোনা যাচ্ছে, দুই ছেলেমেয়ে স্ত্রী আনুশকার সঙ্গে লন্ডনেই লোকচক্ষুর আড়ালে থাকবেন কোহলি-দম্পতি।

তবে, ছেলে অকায় বেশ ছটফটে হয়েছে বলে জানালেন বাবা বিরাট। আর মেয়ে ভামিকা নাকি তিন বছর বয়সেই ব্যাট ঘোরাতে শিখে গেছে! বিরাট অবশ্য এখন থেকেই কিছু অনুমান করতে চান না। তার কথায়, এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। ওদের যা খুশি, বড় হয়ে সেটাই হবে।


লন্ডন   অবসর   বিরাট   আনুশকা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কানে রেড কার্পেটে নজর কাড়লেন কিয়ারা

প্রকাশ: ০৯:৩২ এএম, ১৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

কান চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪- রেড কার্পেটে নজর কাড়লেন কিয়ারা আদবানি। সাদা হাই স্লিটেড পোশাকে তিনি যেন ঝলমলে প্রজাপতি। মুহূর্তেই ভাইরাল সেই ভিডিও।

বলিউড অভিনেত্রী ফ্যাশন আইকন কিয়ারা ফ্রেঞ্চ রিভেরা থেকে নিজের একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন। একটি অফ-হোয়াইট পোশাকে যেন পরী। ১৭ মে চলচ্চিত্র উৎসব থেকে তার প্রথম লুকের আভাস দিয়ে ইনস্টাগ্রামে ঝড় তুলেছেন তিনি।

প্লাঞ্জ নেকলাইন হাই-স্লিটেড গাউনের সঙ্গে কিয়ারা পরেছিলেন হিরের দুল এবং হাই-হিল। তার পোশাক ডিজাইন করেছেন লক্ষ্মী লেহর প্রবাল গুরুং ছিলেন স্টাইলিংয়ের দায়িত্বে।

গালা ইভেন্টে কিয়ারা আন্তর্জাতিক সিনেমার ল্যান্ডস্কেপে ভারতের ক্রমবর্ধমান প্রভাবের উপর জোর দেবেন বলে জানা  গেছে। অনুষ্ঠানটি সারা বিশ্বের নারীদের একত্রিত করবে এবং বিনোদন শিল্পে তাদের অবদানের স্বীকৃতি দেবে। এই মুহূর্তে বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী কিয়ারা


কান   রেড   কার্পেট   কিয়ারা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন