‘হাসির
রাজা’
টেলি সামাদ চলে যাওয়ার চার বছর আজ। চলচ্চিত্রের অত্যন্ত শক্তিশালী এই অভিনেতা ২০১৯
সালের এই দিনে ৭৪
বছর বয়সে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
১৯৪৫ সালের ৮ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জের নয়াগাঁও এলাকায় জন্মগ্রহণ করেন টেলি সামাদ। এটি তার সিনেমায় ব্যবহৃত নাম।
আসল নাম আবদুস সামাদ পরিবর্তন করে সিনেমায় এসে টেলি সামাদ নামে পরিচিত হন তিনি। ১৯৭৩ সালে নজরুল ইসলাম পরিচালিত ‘কার বউ’ চলচ্চিত্রে প্রথম অভিনয় করেন টেলি সামাদ। তবে তিনি জনপ্রিয়তা পান মেহমুদ পরিচালিত ‘পায়ে চলার পথ’ সিনেমার মাধ্যমে। ১৯৮৪ সালে কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘দিলদার সিকদার’ ও ‘মনা পাগলা’ সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেন। সবশেষ অভিনয় করেন অনিমেষ আইচের ‘জিরো ডিগ্রি’ সিনেমায়।
সত্তরের দশক থেকে টেলি সামাদকে পর্দায় দেখেছেন দর্শকরা। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য চলচ্চিত্র ও নাটকে অভিনয় করে দর্শকের মনে দাগ কেটে আছে তিনি। নিজের অভিনয় দিয়ে দর্শকদের হাসিতে মাতিয়ে রাখতেন টেলি সামাদ। এক সময় কৌতুক অভিনেতা বললেই চলে আসত তার নাম।
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অভিনয়ের বাইরে অর্ধশতাধিক চলচ্চিত্রে গানও গেয়েছেন টেলি সামাদ। তবে জীবদ্দশায় টেলি সামাদের আফসোস ছিল, তিনি কোনো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাননি।
টেলি সামাদের জনপ্রিয় সিনেমার মধ্যে রয়েছে- ‘নয়নমণি’, ‘অবাক পৃথিবী’, ‘মণিহার’, ‘মতিমহল’, ‘মা’, ‘আগুনের আলো’, ‘পাগলা রাজা’, ‘ফকির মজনুশাহ’, ‘গোলাপী এখন ট্রেনে’, ‘তুফান’, ‘নয়নের চাঁদ’, ‘মাটির ঘর’, ‘ঘর সংসার’, ‘শেষ উত্তর’, ‘জীবন মৃত্যু’, ‘মান অভিমান’, ‘সুখিনার যুদ্ধ’, ‘ভাত দে’, ‘নেপালী মেয়ে’।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন