সম্প্রতি ওটিটি প্ল্যাটফর্ম হইচইয়ে মুক্তি পেয়েছে বহুল প্রতীক্ষিত ওয়েব সিরিজ ‘মহানগর ২’। মুক্তির পরই শুরু হয়েছে নতুন হিসাব। প্রথম কিস্তির তুলনায় দ্বিতীয়টিতে ‘ওসি হারুন’ চরিত্রটা যেনো আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন। ঈদের ছুটিতে অনেকেই বড় পর্দার পাশাপাশি ওটিটিতে মাধ্যমে 'মহানগর ২' দেখে প্রশংসা করছেন। আসুন এবার জেনে নেয়া যাক ‘মহানগর-২’ প্রশংসিত হওয়ার নেপথ্যের কারণ।
শুরুতেই বলতে হবে ‘মহানগর-২’-এর গল্প এবারও নানা চমক ছিল। গল্পের উপস্থাপনাও ছিল ভালো। এ জন্য সবার আগে বলতে হবে সিরিজটির পরিচালক আশফাক নিপুণের দক্ষতার কথা। ভালো একটি গল্প টানটান উত্তেজনার মধ্যে দর্শকদের সামনে এনেছেন। গল্পের শুরুটা ‘মহানগর’ সিরিজের পর থেকে। এবারের পর্বে শুরুতেই দেখা যায়, একটি কক্ষে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটকে রাখা হয়েছে ওসি হারুন চরিত্রের অভিনেতা মোশাররফ করিমকে। অপরাধের দায়ে পুলিশের এক কর্মকর্তাকে আটকে রাখার ঘটনা, জিজ্ঞাসাবাদ সেখান থেকে নতুন গল্পগুলো ডালপালা ছড়াতে সহায়তা করেছে।
জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে ওসি হারুনের চরিত্রের ফ্ল্যাশব্যাক। সেখানে তাঁর ২০ বছরের ক্যারিয়ার ঘুরেফিরে এসেছে। একটি অতীত ঘটনা এমন, ওসি হারুন থানা থেকে বিদায় নেবেন। তাঁকে একজন কাউন্সিলর ফুলেল শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন। মোশাররফ করিমের সংলাপ, ‘শুধু ফুল পাঠায়ছে? আর কিছু পাঠায় নাই।’ উত্তর আসে ‘না’। তখন হারুন বলতে থাকেন, ‘আপনার চোখ দেখে পরিষ্কার বলে দিতে পারি কাউন্সিলর আবদুল মান্নান শুধু ফুলই পাঠায় নাই, সঙ্গে কিছু টাকাও পাঠায়ছে। আপনি ফুলটা আমার হাতে দিয়ে টাকাটা আপনার হাতে রেখেছেন। এসব চান্দার টাকা। নিজের টাকা দিয়ে আবদুল মান্নান আমাকে বিদায় দেওয়ার মতো মানুষ না।’
এমন অনেক ঘটনা গল্পের চরিত্রকে আরও বেশি মজবুত করেছে। বিশেষ করে উল্লেখ করা যায়, মোশাররফ করিমের বিপরীতমুখী চরিত্রকে। ঈদে মোশাররফ করিমের কাজ নিয়ে আলোচনা বেশি হয় সেটা নতুন কিছু নয়। তবে এবার নতুন করে ‘মহানগর ২’ দিয়ে আলোচনায় থাকবেন এই অভিনেতা।
দুই, অভিনয়শিল্পীদের বাজিমাত। পরীক্ষিত এই অভিনেতার অভিনয় নিয়ে নতুন করে বলার কিছু নেই। গত রাতে সিরিজটি মুক্তির পরই আবার আলোচনায় মোশাররফ করিম। ফেসবুক–ভক্তরা তাঁকে ঘিরে শত শত রিভিউ দিচ্ছেন। বেশির ভাগ ভক্তই মোশাররফকে ১০–এ ১০ দিতে চান। কারণ, তাঁর অভিব্যক্তি, চাহনি, কথা বলার ধরন নাকি ভক্তদের চোখ সরানোর সুযোগ দেয়নি। কেউ কেউ বলছেন, মোশাররফ করিম অভিনীত ‘মহানগর’ দেশের অন্যতম ওয়েব সিরিজের তালিকায় জায়গা করে নিচ্ছে।
একটি দৃশ্যের কথা বলা যাক, মোশাররফ করিমের সামনে বসে আছেন ফজলুর রহমান বাবু ও রফিউল কাদের। তাঁরা ওসি হারুনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। তাঁরা জানান, ২০ বছরের ক্যারিয়ারে হারুন যে অপরাধ করেছেন, তাঁর সবই তাঁদের কাছে রয়েছে। অভিযোগ শুনেই মুচকি হাসেন মোশাররফ করিম।
তারপর মোশাররফ করিম বলতে যান, ‘শোনেন, দুইটা কথা মনে রাখবেন।’ তখন ধমক দিয়ে তাঁকে থামিয়ে দেন ফজলুর রহমান বাবু। কিন্তু পরক্ষণেই মোশাররফ বুঝিয়ে দেন তিনিও থেমে থাকার পাত্র নন। বিপরীতমুখী এই দুই কর্মকর্তার অভিনয় এবার জমে উঠেছে। পুরো গল্পেই অভিনয় ও সংলাপ দর্শকদের টানবে।
তিন, সিরিজটিতে সমসাময়িক নানা ঘটনার ছাপ পাওয়া গেছে। যা দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। পরিচালকের রাজনৈতিক সচেতনতাও প্রশংসিত হচ্ছে। ‘মহানগর ২’ দেখতে বসলে দেশে সম্প্রতি সময়ে ঘটে যাওয়া অনেক ঘটনার কথাই আপনার মনে পড়বে।
‘মহানগর ২’ দেখার চতুর্থ কারণ হিসেবে বলতে হবে সিরিজের নতুন যুক্ত হওয়া চরিত্রগুলোর কথা। বিশেষ করে গত সিজনের আলোচিত চরিত্র মলয় বাদ পড়ার পর অনেক দর্শই শঙ্কায় ছিলেন—না জানি দ্বিতীয় সিজন কেমন হয়! তবে দ্বিতীয় সিজনে নতুন আসা চরিত্রগুলো দর্শকদের যেন আরও চমকে দিয়েছেন। সিরিজে আফসানা মিমিকে দেখা যাবে নেত্রীর ভূমিকায়। তিনি নির্বাচন করবেন। হঠাৎ তাঁর জনসভায় বোমা হামলা হয়। এ ছাড়া ফজলুর রহমান বাবু, বৃন্দাবন দাস, তানজিকা আমিন, দিব্য জ্যোতির অভিনয় প্রশংসা পেয়েছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন