গতকাল ৭ আগস্ট সফলভাবে শেষ হলো ব্রিটিশ কাউন্সিলের ‘ইওর ওয়ার্ল্ড’ ভিডিও প্রতিযোগিতা। দুর্দান্ত এক ভিডিও জমা দেয়ার মাধ্যমে এ বছরের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছে ভিয়েতনাম থেকে কাউ গিয়াউই মাধ্যমিক স্কুল। বিজয়ী ভিডিওতে “সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ” প্রতিপাদ্যে স্কুলের শিক্ষার্থীরা তাদের সোশ্যাল অ্যাকশন প্রকল্প তুলে ধরে। ভিডিওতে সামাজিক সমস্যা চিহ্নিত করা হয় এবং এর সমাধান তুলে ধরে শিক্ষার্থীরা। প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক বিজয়ী ঘোষণা করা হয় জোহার টাউন ,পাকিস্তান এর লাহোর গ্রামার স্কুল। ব্রিটিশ কাউন্সিল পার্টনার স্কুলের সাথে প্রতিযোগিতা করে এ স্কুল প্রতিযোগিতায় আঞ্চলিক বিজয়ী ঘোষিত হয়। অন্যদিকে, ব্রিটিশ কাউন্সিলের পার্টনার স্কুলের সাথে প্রতিযোগিতা করে জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ী হয় বাংলাদেশের স্কলাস্টিকা স্কুল। প্রতিযোগিতায় সিডনি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এবং দ্য রেডিয়াস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল যৌথভাবে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে এবং ইয়েল ইন্টারন্যাশনাল স্কুল তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে।
বৈশ্বিক পর্যায়ে নিজেদের পার্টনার নেটওয়ার্কের স্কুলগুলো নিয়ে অনুষ্ঠিত হয় ব্রিটিশ কাউন্সিলের ফ্ল্যাগশিপ ভিডিও নির্মাণ প্রতিযোগিতা ‘ইওর ওয়ার্ল্ড।’ এ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের সৃষ্টিশীলতার মাধ্যমে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে সমস্যা সমাধান সংশ্লিষ্ট দক্ষতা ও ডিজিটাল দক্ষতা প্রদর্শনের সুযোগ পায়; একইসাথে, তারা তাদের নিজেদের জীবন, কমিউনিটি ও অভিজ্ঞতা নতুনভাবে আবিষ্কার করেন। প্রতিযোগিতাটি ব্রিটিশ কাউন্সিল পার্টনার স্কুল নেটওয়ার্কের স্কুলগুলোর ১৪ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত ছিল।
এ বছর সতের বছরে পদার্পন করা প্রতিযোগিতাটির (ইওর ওয়ার্ল্ড ২০২২-২৩) প্রতিপাদ্য ছিল ‘গুড হেলথ অ্যান্ড ওয়েল-বিইং, যা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার তিন নম্বর লক্ষ্যের সাথে সরাসরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। শিক্ষার্থীরা স্কুলে তাদের অধ্যয়ন করা বিষয় যেমন বিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন ও গ্লোবাল স্টাডিস থেকে প্রাপ্ত ধারণা ও জ্ঞান নিয়ে দুর্দান্ত সব ভিডিও তৈরি করে। এসব ভিডিওতে শিক্ষার্থীরা নিজেদের শিক্ষার ইতিবাচক ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের কমিউনিটির বাস্তব জীবনের সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য সহযোগিতামূলক উপায়ে কাজ করার সক্ষমতা ও দক্ষতা প্রদর্শন করে। এ বছর প্রতিযোগিতায় জমা পড়ে ৭৫০টিরও বেশি ভিডিও এবং প্রতিযোগিতায় ব্রিটিশ কাউন্সিল নেটওয়ার্কের স্কুলগুলো থেকে ৩৫০০ -এরও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
স্কলাস্টিকা স্কুলের গ্রেড-১২-এর ছাত্র ও বিজয়ী দলের সদস্য উত্সব সরকার বলেন, “এ ভিডিও নিয়ে কাজ করার মাধ্যমে আমরা একবিংশ শতাব্দীর দক্ষতা যেমন সহযোগিতা, দলগত কাজের দক্ষতা, সমস্যা সমাধানের সক্ষমতা, সৃজনশীলতা ও ডিজিটাল স্বাক্ষরতা সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এর বাইরেও, আমরা কঠোর পরিশ্রম করা এবং এর পাশাপাশি অধ্যবসায় ও সহিষ্ণুতা অর্জন নিয়ে শিখতে পেরেছি।”
এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় সব দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে ভূমিকা রেখেছে, তাদেরকে সৃজনশীল ও সমালোচনামূলক নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সক্ষম করবে; পাশাপশি, ক্যারিয়ারের জন্য প্রস্তুত হতে এবং ভবিষ্যত গঠনে প্রস্তুত করে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। ‘ইউর ওয়ার্ল্ড’র মাধ্যমে ব্রিটিশ কাউন্সিল শিক্ষার্থীদের পরিবর্তনের প্রতিনিধি হতে অনুপ্রাণিত করবে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের ইতিবাচক দিক সম্পর্কে বলতে গিয়ে স্কলাস্টিকা স্কুলের গ্রেড- টেন- এর একাডেমিক প্রোগ্রাম ম্যানেজার, ফিদিয়া কামাল বলেন, “অন্যান্য পার্টনার স্কুলগুলোকে আমি এই ধরণের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করার জন্য উৎসাহ জানাই। কেবলমাত্র পুরস্কার অর্জন করাই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়ার মূল কারণ নয়। বরং, শিক্ষার্থীদের মেধা প্রদর্শনের মাধ্যমে তাদের সৃজনশীল দক্ষতাগুলোকে আরও শাণিত করা, আমাদের সামনে থাকা জলবায়ু বিপর্যয় বিষয়ে সম্ভাব্য সমাধান খুঁজে বের করার ক্ষেত্রে বিশ্বের বাকিদের সাথে তাদের প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিশ্চিত করা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব রোধের প্রচেষ্টায় জয়ী হওয়াই এ প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্য।
বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি প্রক্রিয়ায় এগিয়ে থাকার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ক্লাসরুমের বাইরের কার্যক্রমে অংশ নেয়া দিনদিন খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে। ‘ইওর ওয়ার্ল্ড’-এ অংশগ্রহণ শিক্ষার্থীদের অবসর সময়ে নিজেদের ইতিবাচকভাবে বিকশিত করার সুযোগ নিয়ে এসেছে। এতে করে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির ক্ষেত্রে আলাদাভাবে চিহ্নিত হওয়ার পাশাপাশি, নিজেদের আশপাশের সামাজিক ও পরিবেশগত বিষয় নিয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির সুযোগ পাবে।
এ বিষয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর টম মিসিওসিয়া বলেন, “এ লেভেল, ও লেভেল ও আইজিসিই’র প্রস্তুতি নেয়ার ক্ষেত্রে ব্রিটিশ কাউন্সিলের পার্টনার স্কুলগুলো কেবল বিশ্বমানের শিক্ষাই নিশ্চিত করে না, পাশাপাশি পাঠ্যক্রম বহির্ভূত কার্যক্রম (এক্সট্রা কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ) ও ‘ইওর ওয়ার্ল্ড’ ভিডিও প্রতিযোগিতার মতো যৌথ ক্লাসরুম প্রকল্পের মাধ্যমে তারা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রার (এসডিজি) সমাধান খুঁজে পেতে বৈশ্বিকভাবে বাকিদের সাথে সংযুক্ত হওয়া ও দায়িত্বশীল বিশ্ব-নাগরিক হিসেবে গড়ে ওঠার সুযোগ প্রদান করে।
ব্রিটিশ কাউন্সিল বৈশ্বিক ইওর ওয়ার্ল্ড ভিডিও প্রতিযোগিতায শীর্ষে বাংলাদেশ স্কলাস্টিকা
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন।
এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।
শুধু কপিলই নয়, সামনে এসেছে তার সহকর্মী অর্চনা পূরণ সিং এবং সুনীল গ্রোভারের পারিশ্রমিকের কথাও।
ভারতীয় গণমাধ্যমটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সুনীল গ্রোভার প্রতি পর্বের জন্য প্রায় ২৫ লাখ ও অর্চনা পূরণ সিং নিচ্ছেন ১০ লাখ টাকা। এছাড়া ক্রুষ্ণা অভিষেক, কিকু শারদা ও রাজীব ঠাকুর পর্ব প্রতি নিচ্ছেন যথাক্রমে ১০ লাখ, ৭ লাখ এবং ৬ লাখ টাকা করে।
প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের টিভি অনুষ্ঠানগুলোর মধ্যে 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো'র রয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। গত ৩০ মার্চ থেকে নেটফ্লিক্সে শুরু হয়েছে এই শোয়ের প্রচার কার্যক্রম। এখন পর্যন্ত প্রচারিত হয়েছে মোট পাঁচটি পর্ব।
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে
সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন
ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
(বাচসাস)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার
কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি
ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল
মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক
রিমন মাহফুজ।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ
উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।
এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,
‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা
ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি।
বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে
খুবই সামান্য টাকা পায়।
এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে
জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের
এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে
আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর
অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয়
নিয়ে কথা বলব’।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে
আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি
নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন
ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব।
প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ
খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক
করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব
দিতে হবে’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন
উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের
সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে
আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প
ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’
এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি
অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র
আরও এগিয়ে যাবে’।
বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান
চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায়
না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে
বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান
বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র
শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের
চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু
সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ
করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে
গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।
এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর
রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক
জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ
সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক
এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড,
গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন,
অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ
ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস,
দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া,
আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।
উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়।
তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও
নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ গোলটেবিল বৈঠক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
কমেডি কিং কপিল শর্মার 'দ্য গ্রেট ইন্ডিয়ান কপিল শো' এর পারিশ্রমিক নিয়ে তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতীয় গণমাধ্যম নিউজ এইটটিন। এখন পর্যন্ত নেটফ্লিক্সে এই শোয়ের মোট পাঁচটি পর্ব প্রচারিত হয়েছে। আর এই পাঁচ পর্বের জন্য প্রায় ২৬ কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিয়েছেন কপিল শর্মা। অর্থাৎ পর্ব প্রতি পারিশ্রমিক ৫ কোটি টাকারও বেশি।