বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রানি মুখার্জি ২০২০ সালে করোনার সময় দ্বিতীয়বার অন্তঃসত্ত্বা হয়েছিলেন। তবে পাঁচ মাসের গর্ভাবস্থায় মৃত্যু হয় অনাগত সন্তানের। সেই শোক কাটিয়ে ওঠার আগেই তার কাছে এসেছিল ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ সিনেমার প্রস্তাব। তাহলে সিনেমা মুক্তির আগে কেন এ বিষয়টি প্রকাশ করেননি রানি, তাও জানালেন। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অব মেলবোর্নে এ বিষয়ে কিছু কথা বলেছেন অভিনেত্রী।
রানি বলেন, ‘এ বিষয়ে নিয়ে আমি প্রথমবার কথা বলছি। বর্তমানে সবাই ব্যক্তিগত জীবনের কথা খোলামেলাভাবে আলোচনা করেন। এমনকি সিনেমার প্রচারকে চটকদার বানাতে অনেকেই ব্যক্তিগত কথা বলে সিনেমার প্রচার বাড়াতে চান। আমি সিনেমার প্রচারের সময় আমার ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে চাইনি। কারণ যাতে কারোর মনে না হয় যে সিনেমার প্রচার করতে ব্যক্তিগত শোককে আমি জনসমক্ষে তুলে ধরছি।’
অভিনেত্রী বলেন, ‘২০২০ সালে যখন সারা দেশে করোনা ছড়িয়ে পড়েছিল, তখন আমি দ্বিতীয়বারের জন্য অন্তঃসত্ত্বা হই। তবে প্রেগন্যান্সির পাঁচ মাসে আমার অনাগত সন্তান হারাই। আমার মিসক্যারেজ হয়ে যায়।’
অভিনেত্রী আরও বলেন, ‘সন্তান হারানোর ১০ দিন পর পরিচালক নিখিল আডবানী আমাকে ফোন করে মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে সিনেমার গল্পটা শোনান এবং বলেন- আমি বলছি না যে আবেগ ফুটিয়ে তোলার জন্য সন্তানকে হারানো দরকার। তবে মাঝে মাঝে সঠিক সময়ে একেকটা সিনেমা এসে যায়, যেখানে ব্যক্তিগতভাবে তুমি খুবই কানেক্ট করতে পারবে। যখন আমি এ গল্পটা শুনি, আমি বিশ্বাস করতে পারিনি। আমি ভাবতেও পারিনি যে নরওয়ের মতো একটা দেশে কোনো নারীর সঙ্গেও এরকম কিছু ঘটতে পারে!’
ব্যক্তিগত জীবন ব্যক্তিগতই রাখতে চান নায়িকা। স্বামী সন্তান দুইজনেই থাকেন ক্যামেরার পিছনে। এমনকি জনসমক্ষে তার মেয়ে আদিরাকেও দেখা যায় না। তবে এবার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে এ প্রথম মুখ খুললেন রানি।
প্রেগন্যান্সি ৫ মাস সন্তান রানি মুখার্জি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন