প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেল বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘এমআর-৯’। আজ (২৫ আগস্ট) রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সে মুক্তি পেয়েছে সিনেমাটি। যৌথ প্রযোজনায় সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত হলিউড নির্মাতা আসিফ আকবর। সিনেমায় নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন এ বি এম সুমন।
শুক্রবার (২৫ আগস্ট) হলে মুক্তি পেয়েছে ‘এমআর-৯’ সিনেমাটির ইংরেজি সংস্করণ। সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পাওয়ার পর বাংলা সংস্করণ দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেতে পারে বলে জানা গেছে।
কথাসাহিত্যিক কাজী আনোয়ার হোসেনের ‘মাসুদ রানা’ সিরিজের ‘ধ্বংস পাহাড়’ অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘এমআর-৯: ডু অর ডাই’ সিনেমা। গত ১৯ জানুয়ারি না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন এই নির্মাতা। সিনেমাটি মুক্তি পেলেও তিনি তা দেখে যেতে পারেননি।
এ নিয়ে আফসোস প্রকাশ করে এ বি এম সুমন বলেন, তিনি আমাকে নির্বাচন করার পর আত্মবিশ্বাস পাই। চরিত্রের স্রষ্টা আমাকে নির্বাচন করেছেন, এর চেয়ে বড় অনুপ্রেরণা আর হতে পারে না। ওনার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ, উনি থাকলে আমার খুব ভালো লাগত। প্রায় ৪ বছর ধরে সিনেমাটির পেছনে কষ্ট করেছি আমরা। অবশেষে সিনেমাটি মুক্তি পেল আজ।
জাজ মাল্টিমিডিয়া ও হলিউডের সিলভার নাইনের যৌথ প্রযোজনায় ৮৩ কোটি টাকা বাজেটে নির্মিত হয়েছে এ বি এম সুমন অভিনীত ‘এমআর-৯’।এটি বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে সর্বোচ্চ বাজেট। সিনেমায় আন্তর্জাতিক অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে অভিনয় করেছেন ফ্র্যাঙ্ক গ্রিলো, বলিউড অভিনেত্রী সাক্ষী প্রধান, হলিউড অভিনেতা নিকো ফস্টার, বলিউড অভিনেতা ওমি বৈদ্য, হলিউড অভিনেতা ওলেগ প্রুডিয়াস, আমেরিকান মডেল-অভিনেত্রী জ্যাকি সিগেল প্রমুখ।
এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে রয়েছেন শহীদুল আলম সাচ্চু, আনিসুর রহমান মিলন, জেসিয়া ইসলাম, আলিশা প্রমুখ। জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে আল ব্রাভো ফিল্মস ও চেজিং বাটারফ্লাইস পিকচারস ছবিটি প্রযোজনা করেছে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন