কালার ইনসাইড

৫০০ কোটি পার ৪ দিনেই

প্রকাশ: ০৭:১৪ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০২৩


Thumbnail

প্রতিদিন শাহরুখ খানের ‘জওয়ান’ নতুন নতুন রেকর্ড করছে। কিং খান তাঁরই অভিনীত ব্লকবাস্টার ছবি ‘পাঠান’-কে পেছনে ফেলে দিয়েছেন। সারা বিশ্বের বক্স অফিসের নিরিখে ৪ দিনে ৫০০ কোটি ভারতীয় মুদ্রা আয় করে ‘জওয়ান’-এর সাফল্যের মুকুটে আরেকটি নতুন পালক যোগ হয়েছে।

৭ সেপ্টেম্বর অ্যাটলি কুমার পরিচালিত ‘জওয়ান’ ছবিটি মুক্তি পায়। আর মুক্তির প্রথম দিন থেকে এই ছবি রীতিমতো ঝড় তুলেছে। ওপেনিং ডে-তে ৭৫ কোটির বেশি আয় করে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল ‘জওয়ান’। মুক্তির দ্বিতীয় দিন বক্স অফিসের নিরিখে একটু কম আয় করেছিল এই অ্যাকশন–ধর্মী ছবি। গত শুক্রবার ৫৩ কোটি আয় করে ‘জওয়ান’। শনি আর রোববার আবার দুনিয়াজুড়ে দাপট বেড়েছে ‘জওয়ান’–এর।

গত শনিবার বক্স অফিসের আয়ের অঙ্ক একলাফে অনেকটা বেড়ে গিয়েছিল। এদিন কিং খান আর নয়নতারা অভিনীত ছবিটি ৭৮ কোটি রুপির বেশি আয় করে। এই ঝড়ের দাপট এখনো অব্যাহত। বিভিন্ন ব্যবসায়িক রিপোর্ট অনুযায়ী, গতকাল রোববার কিং খানের এই ছবি সবচেয়ে বেশি আয় করেছে।

গতকাল শুধু ভারতে ছবিটি ৮০-৮২ কোটি রুপি আয় করেছে। কোনো বলিউড ছবি এই প্রথম এক দিনে এত বড় অঙ্কের আয়ের মুখ দেখল। শুধু হিন্দি সংস্করণে এই ছবির ব্যবসা ৭০ কোটির বেশি। এমনকি ‘পাঠান’ আর ‘গদার টু’ মুক্তির প্রথম রোববার ৬০ কোটির অঙ্ক পার করতে পারেনি। ‘জওয়ান’-এর দাপটের সামনে সব ব্লকবাস্টার ছবি এখন সরে গেছে।

এর আগে ২৫০ কোটির অঙ্ক সবচেয়ে দ্রুত পার করা ছবি হিসেবে শীর্ষে ছিল ‘পাঠান’। এরপর সানি দেওলের ‘গদার টু’ ৬ দিনে ২৫০ কোটির অঙ্ক পার করেছিল। শাহরুখের অনুরাগী শুধু দেশে নয়, সারা বিশ্বে ছড়িয়ে আছে। ‘পাঠান’-এর সময় সারা বিশ্বে উন্মাদনা দেখা গিয়েছিল। ‘জওয়ান’ ছবির ক্ষেত্রে একই উন্মাদনা ধরা পড়ছে। বাংলাদেশেও কিং খানের ‘জওয়ান’ সাড়া ফেলেছে। সব মিলে মুক্তির মাত্র ৩ দিনে এই ছবির আয়ের অঙ্ক ৩০০ কোটি পার করে ফেলেছিল। আর সারা দুনিয়ায় এই আয়ের অঙ্ক ছিল ৩৮৪ কোটির বেশি।

কিছু খ্যাতনামা বাণিজ্যবিশ্লেষক আগেই অনুমান করেছিলেন যে এই ছবি মুক্তির চার দিনে দেশ ও বিদেশ থেকে ৫০০ কোটির বেশি আয় করে ফেলবে। আর তাঁদের অনুমান যে সত্য, তা প্রমাণিত। বাণিজ্যবিশ্লেষক রমেশ বালা আজ সোমবার সকালে টুইট করে জানিয়েছেন যে ‘জওয়ান’ মাত্র ৪ দিনে সারা দুনিয়ায় ৫০০ কোটির বেশি ব্যবসা করে ফেলেছে।

বাণিজ্যবিশ্লেষক মনোবালা বিজয়বালন তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে জানিয়েছেন যে ‘জওয়ান’ মাত্র ৪ দিনে ৫০০ কোটির ক্লাবের সদস্য হয়েছে। কোনো বলিউড ছবি হিসেবে এটা সবচেয়ে সেরা জয়। মনোবালা বিজয়বালন এই টুইটে আরও জানিয়েছেন যে শাহরুখ একমাত্র অভিনেতা, যাঁর একই বছরে দু–দুটি ছবি ৫০০ কোটি ক্লাবের সদস্য হলো। এখন দেখা যাক, কিং খানের সাফল্যের মুকুটে আরও কত পালক উঠে আসে।


শাহরুখ খান   জওয়ান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বিয়ের পিঁড়িতে বসছেন সোনাক্ষী!

প্রকাশ: ১১:২৩ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

সদ্যই মুক্তি পেয়েছে সোনাক্ষী সিনহা অভিনীত সিরিজ ‘হীরামান্ডি।’ সঞ্জয় লীলা বানসালি পরিচালিত সিরিজটিতে সোনাক্ষীর অভিনয় বেশ প্রশংসাও পাচ্ছে। এরইমধ্যে শোনা যাচ্ছে, বিয়ের পিঁড়িতে বসতে চান অভিনেত্রী।

সম্প্রতি কপিল শর্মার শো’তে এসেছিলেন সোনাক্ষী। সেখানে কপিল হঠাৎ সোনাক্ষীকে বিয়ে নিয়ে প্রশ্ন করে বসেন। সোনাক্ষী তখন উত্তর দেন, ‘কাটা গায়ে নুনের ছিঁটা! আমি কিন্তু বিয়ে করতে একেবারে তৈরি।’ তবে খুব চালাকি করে জাহিরের প্রসঙ্গ এড়িয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী।

বেশ কয়েক বছর ধরেই প্রেম, সম্পর্ক, বিয়ে নিয়ে খুব একটা মুখ খুলতে দেখা যায়নি সোনাক্ষী সিনহাকে। যখনই এসব প্রশ্ন উঠেছে, তখনই পুরো বিষয়টা এড়িয়ে গিয়েছেন। তবে বলিউডের বাতাসে উড়ছিল সোনাক্ষী ও জাহির ইকবালের প্রেমের খবর। গত বছর সালমান খানের পার্টিতেও একসঙ্গে হাজির হয়েছিলেন সোনাক্ষী ও জাহির।

এরপর থেকেই আলোচনায় দু'জনের প্রেম। তবে দু'জন প্রেমের বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও নিজেদের প্রেম চালিয়ে যাচ্ছেন তা বলাই বাহুল্য। তবে কি জাহিরকেই বিয়ে করতে যাচ্ছেন সোনাক্ষী?


সোনাক্ষী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বছর শেষে আসছে অর্ণবের নতুন অ্যালবাম

প্রকাশ: ০৯:৪৭ এএম, ১১ মে, ২০২৪


Thumbnail

গায়ক, সুরকার ও সংগীত পরিচালক শায়ান চৌধুরি অর্ণব। বর্তমানে কোক স্টুডিও সিজন ৩ নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। ইতোমধ্যেই ‘তাঁতী’ শিরোনামে এই সিজনের প্রথম গানে দেখা গেছে এই তারকাকে। তার মধ্যেই ভক্তদের সুখবর দিলেন এই শিল্পী , জানালেন এ বছরেই আসছে তার নতুন অ্যালবাম।

অর্ণব বিগত তিন বছর ধরে কোক স্টুডিও নিয়েই ব্যস্ত আছেন। এবার অ্যালবামে সময় দিচ্ছেন। জানা গেছে, এ বছরের শেষে আসবে তার এই নতুন অ্যালবাম। যেখানে থাকবে ১০টি গান। ইতোমধ্যেই ৮টি গান নতুন থাকবে।

এবারের গানগুলোতে ভিন্নতা আনতে চেয়েছেন অর্ণব। তাই তিনি দর্শকের জন্য বেশকিছু চমকও রাখবেন বলে জানা যায়, এই অ্যালবামে কাজ হয়েছে কবিদের নিয়ে।

দুই বাংলার নানা কবির কবিতাকে ভেঙে গান তৈরি হয়েছে। জীবনানন্দ দাশ থেকে শ্রীজাত, নীলাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়, অনেকের কবিতা নিয়ে কাজ করেছেন এই শিল্পী। অর্ণবের লেখাও এক-দুটো গান থাকবে।

নতুন অ্যালবামের নাম এখনো ঠিক হয়নি। এর আগে এই শিল্পী ২০০৫ সালে তার প্রথম অ্যালবাম ‘চাইনা ভাবিস’ প্রকাশ করে। তারপর ২০০৬ সালে ‘হোক কলরব’, ২০০৮ সালে ‘ডুব’, ২০১০ সালে ‘রোদ বলেছে হবে’, ২০১২ ‘আধেক ঘুম’, ২০১৫ সালে ‘খুব ডুব’ এবং সব শেষ ২০১৭ সালে ‘অন্ধ শহর’ প্রকাশ করে।


অর্ণব   অ্যালবাম  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাবা হচ্ছেন বিশ্বখ্যাত পপ তারকা জাস্টিন বিবার

প্রকাশ: ১২:৪৮ পিএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

বেশ কিছুদিন ধরেই গুঞ্জন চলছিল, অন্তঃসত্ত্বা হেইলি বিবার। বাবা হতে চলেছেন জাস্টিন বিবার। তবে এ প্রসঙ্গে একটা শব্দও বলেননি এই তারকা জুটি। এর আগেও একাধিকবার হেইলি বিবারের মা হওয়ার গুঞ্জন ছড়িয়েছিল।

তবে এবার আর গুঞ্জন নয়। বাবা হতে চলেছেন বিশ্বখ্যাত পপ তারকা জাস্টিন বিবার। জাস্টিন ও হেইলির সুখের সংসারে আসতে চলেছে নতুন সদস্য।

বাবা হওয়ার সংবাদটি নিজেই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করলেন পপতারকা জাস্টিন বিবার। স্ত্রীর বেবিবাম্পের ছবি পোস্ট করে অনুরাগীদের দিলেন সুখবর। শুধু তাই নয়, খ্রিস্টান সংস্কৃতি মতে আবারও ফাদারের সামনে বিয়ে করলেন জাস্টিন ও হেইলি।

বেশ কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে হেইলি জানিয়েছিলেন, তাঁদের দাম্পত্যজীবন কাটছে সিনেমার মতো। তিনি আরও বলেন, জাস্টিনের সঙ্গে তাঁর বোঝাপড়া খুব ভাল বলেই আপাতত সুখে সংসার করছেন তাঁরা। ২০১৮ সালে অনেকটা চুপিসারেই বিয়ে করে নেন জাস্টিন-হেইলি।

বিয়ের খবর কেউই প্রকাশ্যে আনেননি। এরপর বিয়ের চার বছর পূর্তিতে তাঁদের বিবাহের কথা স্বীকার করেন তারকা জুটি। আর বিয়ের ৬ বছর পর অবশেষে পিতৃত্বের স্বাদ পেতে যাচ্ছেন জাস্টিন।

দীর্ঘ ৮ বছরের সম্পর্কের পর বিচ্ছেদ হয় সেলেনা গোমেজ ও জাস্টিন বিবারের। তারপরই ২০১৮ সালে মার্কিন মডেল হেইলির সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জাস্টিন। গোমেজ ভক্তদের দাবি, সেলেনা গোমেজের কাছ থেকে জাস্টিনকে ছিনিয়ে এনেছেন হেইলি। জাস্টিন-গোমেজ সম্পর্ক ভাঙার মুল কারিগর তিনিই। জাস্টিনের সঙ্গে বিয়ের পর থেকে হেইলির সঙ্গে কথা বলাও বন্ধ করে দেন গোমেজ।

একে অপরের মুখও দেখেননি। তবে সম্প্রতি দুজনকে একসঙ্গে দেখা গেছে। তাদের মাঝে তিক্ততার বরফও গলতে শুরু করেছে। গোমেজও মিডিয়ায় জানিয়ে দিয়েছেন, হেইলির সঙ্গে তার কোনো বিবাদ নেই। 


বাবা   জাস্টিন বিবার  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

চিত্রনায়ক সোহেলের সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বিরোধ: নেপথ্যের কাহিনী

প্রকাশ: ১১:৩৫ এএম, ১০ মে, ২০২৪


Thumbnail

খুনের ঠিক পাচ মাস আগে আলোচিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে প্রচণ্ড ঝগড়া হয় অভিনেতা সোহেল চৌধুরীর। ঘটনাস্থল বনানীর ট্রাম্প ক্লাব। সোহেল চৌধুরী এর জের ধরে ওই রাতে আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে হত্যার হুমকি দেন। কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে মারধরের চেষ্টা করেন সোহেল। আজিজ মোহাম্মদ ট্রাম্প ক্লাবের মালিক আফাকুল ইসলাম ওরফে বান্টি ইসলামের কক্ষে ঢুকে যান। একপর্যায়ে তিনি বাথরুমে পালিয়েও থাকেন। পরে বান্টি ইসলাম ও ক্লাবের ব্যবস্থাপকের হস্তক্ষেপে সে দিন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এ ঘটনার পর আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি ইসলাম ও ব্যবসায়ী আশীষ রায় চৌধুরীর সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এই মামলার সাক্ষীদের আদালত ও পুলিশের দেওয়া জবানবন্দিতে এসব তথ্য উঠে এসেছে।

এ বিষয়ে সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরীন বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, ‘খুন হওয়ার কয়েক মাস আগে বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর প্রচণ্ড বিরোধ হয়। সেই বিরোধের জেরে পূর্বপরিকল্পিতভাবে আজিজ মোহাম্মদ ভাই ও বান্টি ইসলামরা ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে সোহেলকে নৃশংসভাবে গুলি করে হত্যা করে।’

২৫ বছর আগে সোহেল চৌধুরী খুনের ঘটনায় ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই ওরফে আবদুল আজিজ, ট্রাম্প ক্লাবের মালিক বান্টি ইসলাম ও আদনান সিদ্দিকীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তারা তিনজনই পলাতক। বাকি ছয় আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-২-এর বিচারক অরুণাভ চক্রবর্তী এই রায় ঘোষণা করেন। খালাস পাওয়া ছয়জন হলেন আশীষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী, শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমন, তারিক সাঈদ মামুন, হারুন অর রশীদ ওরফে লেদার লিটন, সেলিম খান ও ফারুক আব্বাসী। রায় ঘোষণার সময় আদালত বলেন, সোহেল চৌধুরী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। সাক্ষীরা সত্য গোপনের চেষ্টা করেছেন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে সোহেল চৌধুরীর পূর্বশত্রুতা ছিল, সেটা প্রমাণিত হয়েছে।

আসামি ও সাক্ষীদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির তথ্য বলছে, চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী খুন হন ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর। এর সাড়ে পাঁচ মাস আগে  তিনি চার থেকে পাঁচজন বন্ধুকে নিয়ে বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে যান। রাত তখন ২টা। ক্লাবের এক কোনায় বন্ধুদের নিয়ে বসে ছিলেন সোহেল। ক্লাবের অন্য প্রান্তে বান্ধবীদের নিয়ে চেয়ারে বসে ছিলেন আজিজ মোহাম্মদ। একপর্যায়ে আজিজ মোহাম্মদ তাঁর পূর্বপরিচিত রাবেয়া মাহফুজ ওরফে সোনালীকে গান গাইতে বলেন। তিনি আজিজ মোহাম্মদকে কয়েকটি হিন্দি গান শোনাতে থাকেন। একপর্যায়ে সোহেল চৌধুরী রাবেয়াকে গান গাইতে নিষেধ করেন।

সোহেল চৌধুরী খুন হওয়ার পর রাবেয়া মাহফুজ ১৯৯৯ সালের ১৮ মার্চ সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। সেই জবানবন্দিতে তিনি আদালতকে বলেন, ‘আমার স্বামীসহ ট্রাম্প ক্লাবে নাচগান করি। এভাবে রাত দুইটার মতো বেজে যায়। ওই সময় হঠাৎ দেখি আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে। তাঁর সঙ্গে একজন বিদেশি বন্ধু ছিল। আর ছিল তিনজন বান্ধবী। আমি তখন আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে সালাম দিই। ভাই তখন আমাকে তাঁর টেবিলে বসতে বলেন। তখন আজিজ মোহাম্মদ ভাই আমাকে গান গাইতে বলেন। আমি তিন থেকে চারটা হিন্দি গানের অংশবিশেষ গাই। গান গাওয়ার একপর্যায়ে সোহেল চৌধুরী চিৎকার করে বলেন, গান থামাও।’

রাবেয়া মাহফুজ আদালতকে আরও বলেন, ‘সোহেল চৌধুরীর চিৎকারে আমি একটু ভয় পাই। তৎক্ষণাৎ সোহেল চৌধুরী আমাদের টেবিলের সামনে আসেন। তখন আমার পাশে বসা আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের বান্ধবী ফারজানার উদ্দেশে সোহেল চৌধুরী বলেন, তুমি আমার সঙ্গে আসো। ফারজানা আগে সোহেলের বান্ধবী ছিল। তবে ফারজানা সোহেলের সঙ্গে যেতে রাজি হন না। তখন সোহেল চৌধুরী আজিজ মোহাম্মদ ভাইকে ও ফারজানাকে গালিগালাজ করেন। ক্রমান্বয়ে সোহেল উত্তেজিত হতে থাকেন। একপর্যায়ে আজিজ মোহাম্মদ ভাই বান্টি ইসলামের অফিসের বাথরুমে যান। তখনো সোহেল চৌধুরী আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের উদ্দেশে বলেছিলেন, আজ ওকে ছাড়ব না।’

মামলার আরও কয়েকজন সাক্ষীর জবানবন্দিতে ওই রাতের এ ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ উঠে এসেছে। সোহেল চৌধুরী ওই রাতে আজিজ মোহাম্মদের কাছ থেকে যে নারীকে চলে আসতে বলেছিলেন, সেই ফারজানা ইউসুফ এ মামলায় পুলিশের কাছে ১৬১ ধারায় সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন। তিনি বলেছিলেন, সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়েছিল আগে। পরে আজিজ মোহাম্মদের সঙ্গে তাঁর পরিচয় হয়।

ফারজানা পুলিশের কাছে দেওয়া জবানবন্দিতে বলেন, ‘১৯৮৩ সালে আমার বিয়ে হয়। তবে বিয়ের পর থেকে স্বামীর সঙ্গে আমার মনোমালিন্য চলতে থাকে। এরপর ১৯৯৬ সালে সোহেল চৌধুরীর বোনের ননদ পাপিয়ার গায়েহলুদের অনুষ্ঠানে যাই। সেদিন সোহেলের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়। পরে আমাদের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। আমি কয়েকবার সোহেল চৌধুরীর বাসায় যাই। এরপর ১৯৯৮ সালে জুথি নামের এক মেয়ের একটি অনুষ্ঠানে আমি গিয়েছিলাম। সেখানে প্রথম আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে আমার পরিচয় হয়।’

ফারজানা বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাই আমার বান্ধবী সাথীকে সঙ্গে নিয়ে বনানীর ট্রাম্প ক্লাবে যাই। সেখানে গিয়ে দেখি, আজিজ মোহাম্মদ ভাই কয়েকজন মেয়েবন্ধু, ছেলেবন্ধুসহ একত্রে বসে আছেন। আমি আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের চেয়ারের পাসে বসি। ক্লাবের বারের কাছে সোহেল চৌধুরী, কালা নাসিরসহ আরও পাঁচ থেকে সাতজন ছেলে সেখানে ছিল। এমন সময় সোনালীকে (রাবেয়া মাহফুজ) গান গাইতে বলেন আজিজ মোহাম্মদ ভাই। সোনালী গান গাওয়া শুরু করেন। তখন সোহেল চৌধুরী, কালা নাসির ও তাঁর বন্ধুরা গান বন্ধ করার জন্য চিৎকার শুরু করেন।’

ফারজানা জবানবন্দিতে আরও বলেন, ‘তখন সোহেল চৌধুরী আমাকে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের কাছ থেকে তাঁর টেবিলে আসতে বলেন। আমি না যাওয়ায় তিনি আমাকে গালিগালাজ করেন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইকেও গালিগালাজ করতে থাকেন। তখন আজিজ মোহাম্মদ ভাইও সোহেল চৌধুরীকে বকাবকি করতে থাকেন। তখন আমি ভয়ে পাশে গিয়ে দাঁড়াই। আর আজিজ মোহাম্মদ ভাই দৌড়ে বান্টি ইসলামের অফিসের বাথরুমে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়।’

ফারজানা আরও বলেন, ‘এ সময় হোটেলের ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক) সোহেল চৌধুরী ও তাঁর বন্ধুদের নিচে নামিয়ে দেয়। তখন বান্টি ইসলাম ক্লাবে আসেন। সোহেল চৌধুরীর বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে ক্লাবের ভেতরে আসেন। আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলেন। ভোররাত পাঁচটার দিকে সোহেল চৌধুরী চলে গেলে আমি আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের গাড়িতে করে বাসায় ফিরি।’

কেবল রাবেয়া মাহফুজ কিংবা ফারজানা নন, সোহেল চৌধুরীর মা নূর জাহান বেগমও আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে বিরোধের কথা আদালতকে বলেছিলেন। সাক্ষী হিসেবে ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে নূর জাহান বেগম বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ২৪ জুলাই আমার ছেলে সোহেল চৌধুরীর সঙ্গে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের সঙ্গে ট্রাম্প ক্লাবে খুব ঝগড়াঝাঁটি হয়। মারামারি হওয়ার উপক্রমও হয়। এরপর বান্টি ইসলাম এবং বোতল (আশীষ রায় চৌধুরী) নামের এক ব্যক্তির সঙ্গেও আমার ছেলের গুরুতর ঝগড়া হয়। ঝগড়ার পর থেকে তাঁদের সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হয়। আমার ছেলেকে ট্রাম্প ক্লাবে যেতে নিষেধ করে। মৃত্যুর ১৫ থেকে ২০ দিন আগে বান্টি ইসলাম ও আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের লোকেরা আমার ছেলেকে “মৃত্যুর দিন ঘনিয়ে এসেছে” বলে হুমকি দিয়েছিল।’

সোহেল চৌধুরীর মা নূর জাহান বেগম আদালতকে আরও বলেন, ‘আমার ছেলের হত্যাকাণ্ডের তিন দিন আগে (১৯৯৮ সালের ১৪ ডিসেম্বর) আজিজ মোহাম্মদ ভাই ব্যাংককে যান। এর তিন দিন পর আমার ছেলে গুলিবিদ্ধ হয়। আমার নিশ্চিত বিশ্বাস, আজিজ মোহাম্মদ ভাই, বান্টি ইসলাম ও তাঁদের লোকজনেরা আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে গুলি করে হত্যা করেছে।’

সোহেল চৌধুরীর মা আরও বলেন, ট্রাম্প ক্লাবে অনেক অবৈধ কাজকারবার হতো। ওই ক্লাবের পাশে বড় জামে মসজিদ। মুসল্লিরা ক্লাবের অসামাজিক ও অন্যায় কাজকর্মের বিষয়ে অনেক প্রতিবাদ করেছেন, বাধা দিয়েছে। কিন্তু ট্রাম্প ক্লাব কর্তৃপক্ষ কোনো বাধা মানেনি।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সোহেল চৌধুরীর ঘনিষ্ঠ বন্ধু চৌধুরী গোলাম মোহম্মদ ওরফে ওমর চৌধুরীও সে দিনের ঘটনার বিষয়ে প্রায় একই রকমের বক্তব্য পুলিশের কাছে দিয়েছিলেন। মামলার অভিযোগপত্রে রাবেয়া মাহফুজ, ফারজানা ইউসুফ, নূর জাহান বেগম ও ওমর চৌধুরী এ হত্যা মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষী ছিলেন। অবশ্য সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সাদিয়া আফরীনের তথ্যমতে, এ মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সোহেল চৌধুরীর মা নূর জাহান বেগম বিচার চলাকালে মারা যান। বাকিরা বিচার চলাকালে সাক্ষী হিসেবে আদালতে হাজির হননি।

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী খুনের প্রত্যক্ষদর্শীদের একজন তাঁর বন্ধু আবুল কালাম। তিনিও সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তিনি পুলিশ ও আদালতের কাছে জবানবন্দি দিয়েছেন। তাঁর জবানবন্দিতে উঠে আসে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ। আবুল কালাম বলেন, ‘১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর রাত ১টার সময় সেলিম ভাইয়ের অফিসে গিয়ে কাবাব ও হুইস্কি খাই। এরপর ট্রাম্প ক্লাবে যাই। সেখানে সোহেল চৌধুরীকে পাই। এরপর তাঁর সঙ্গে আবার তাঁর বাসায় যাই। আবার সেখানে বিয়ার পান করি। পরে সোহেল চৌধুরী আমাদের নিয়ে ট্রাম্প ক্লাবে যাওয়ার আগে টেলিফোনে বান্টি ইসলামের সঙ্গে কথা বলেন।’

সোহেল চৌধুরীর বন্ধু আবুল কালাম বলেন, ‘আমরা ট্রাম্প ক্লাবের গেট ও লিফটের কাছে পৌঁছলে সাত থেকে আটজন লোক আমাদের লক্ষ্য করে রিভলবার ও পিস্তল দিয়ে গুলি শুরু করে। আমি পেটে গুলিবিদ্ধ হয়ে পড়ে যাই। দৌড়ে আমি ওমর ভাইয়ের (সোহেল চৌধুরীর বন্ধু) বাসার সামনে গিয়ে পড়ে যাই এবং জ্ঞান হারাই। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হই। হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর ট্রাম্প ক্লাবে গিয়ে জানতে পারি, নীরব ও দাইয়্যান (ট্রাম্প ক্লাবের কর্মচারী) সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারি ইমন, মামুন, লিটন, ফারুক আব্বাসী ও আদনান সিদ্দিকী সেদিন গাড়িতে করে ক্লাবের গেটে আসেন। সোহেল চৌধুরীকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। এরপর তিনি মারা যান।’


চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা   আজিজ মোহাম্মদ   আদালত  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

এবার মেয়ের মা হলেন পরীমণি!

প্রকাশ: ০৮:২৮ পিএম, ০৯ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই চলচ্চিত্রের লাস্যময়ী অভিনেত্রী পরীমণি। ভালোবেসে বিয়ে করেন অভিনেতা শরিফুল রাজকে। যদিও সে সংসার বেশি দিন টেকেনি। তবে বিচ্ছেদের পর এখন ছেলে পুণ্যকে নিয়ে নিজের মতো করে জীবনযাপন করছেন এই অভিনেত্রী। সব ব্যস্ততাও তাকে ঘিরে।

এদিকে, ভারতীয় গণমাধ্যম আনন্দবাজারে একটি প্রতিবেদন লিখেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। এতে তিনি জানিয়েছেন, ছেলে পুণ্যের পর এবার মেয়ের মা হয়েছেন তিনি।

পরী লিখেছেন, আমার মেয়ে এলো ঘরে। আমার মেয়ে, সাফিরা সুলতানা প্রিয়ম। এই নামেই বিশ্ব চিনবে ওকে। ছেলের পরে মেয়ে! কী যে আনন্দ! পৃথিবীতে আসার ছদিন হলো ওর। আমার ঘরে ছেলের পাশে আলো হয়ে আছে। আমি ওকে দত্তক নিয়েছি। নিয়ম মেনে সই করার সময় মনে হলো আল্লাহ আবার আমার জন্য কিছু করলেন। জীবনে কোনোদিন কিছু নিয়ম অনুযায়ী বা পরিকল্পনা করে করিনি আমি। তাই আল্লাহ আমার জন্য যা যা চেয়েছেন, তাই মাথা পেতে নিয়েছি। ও পরীর মতোই আমার কোলে চলে এলো। কোলে যখন নিই, মনে হয় আমার নাভি কেটেই ও এসেছে। ওর ছবি এখন দিচ্ছি না। কেউ রাগ করবেন না! মা তো...আর কিছু দিন যাক।

তিনি লিখেছেন, ছেলে আসার পর থেকে বাড়ি ও বাইরের সব দায়িত্ব নিজে সামলাচ্ছি। কী করে যে পারি! ছবির কাজ একটানা করতে পারছি না। কিন্তু আমাকে তো এবার আরও কাজ করতে হবে, ছেলে আর মেয়ের জন্য। খুব শিগগিরি ‘প্রীতিলতা’র কাজ শেষ করতে হবে। ওটা আগে করতে চাই। সেই জন্য আগের চেহারায় ফিরতে হবে।

পরীমণি আরও বলেন, আমি যা মন থেকে চাই তাই করি। কে কী বলল সে সব নিয়ে কোনও দিন ভাবিনি। কে বলেছে বাবা ছাড়া সন্তান মানুষ করা যায় না? কে বলেছে জন্ম দেওয়া বাবা-মা ছাড়া সন্তান মানুষ হয় না? এই সব নিয়ম সমাজের তৈরি। এই তো আর কয়েক দিনের মধ্যেই মাতৃ দিবস নিয়ে হইচই হবে। কিন্তু সেখানেও তো পিতৃতন্ত্রের আদলে তৈরি করা মেয়েদের জয়গান। এ সব কিছু থেকে নিজেকে সরিয়ে কাজ আর সন্তানদের নিয়ে বাঁচব আমি। এখন রাতের দিকে সব শান্ত হয়ে আসার পরে এক দিকে ছেলে আর এক দিকে ঘুমন্ত মেয়ের মাঝে যখন চোখ খুলে দেখি তখন মনে হয় পরীমণির আকাশটা বড় হয়ে আসছে।

উল্লেখ্য, হাতে একগুচ্ছ কাজ পরীমণির। ব্যস্ত রয়েছেন টলিউডের একটি ছবি নিয়ে। ‘ফেলু বক্সী’ নামের একটি ছবিটিতে কাজ করছেন তিনি। সেখানে তার সঙ্গে আছেন সোহম চক্রবর্তী ও মধুমিতা সরকার। এটি নির্মাণ করছেন দেবরাজ সিনহা।

পরীমণি   অভিনেতা শরিফুল রাজ  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন