তরুণ ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিবের নারীদের নিয়ে তার একটি পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে সম্প্রতি ভাইরাল হয় এবং এর পরই তীব্র সমালোচনার মুখে পরেন এই ক্রিকেটার।
সাকিবের অসম্মাজনক পোস্টকে নিয়ে ইতিমধ্যে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। এছাড়া এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক নারী তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় তার এই পোষ্ট নিয়ে বাংলা ইনসাইডারের সাথে বুধবার ( ২১ সেপ্টেম্বর) কথা বলেছেন দুইজন কর্মজীবী নারী। তাদের মধ্যে একজন হলেন কবি ও শিক্ষিকা আয়শা জাহান নূপুর। বর্তমানে তিনি কর্মরত আছেন ঢাকা মনিপুর উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে, অন্য আরেকজন হলেন, লেখিকা, আবৃত্তি শিল্পী ও উদ্যোক্তা এ্যানি আক্তার ।
সাকিবের ফেইজবুক পোষ্ট প্রসঙ্গে প্রথমেই আয়শা জাহান নূপুর বলেন, তরুণ ক্রিকেটার তানজিম হাসান সাকিবের মা যদি চাকরিজীবি হতেন তাহলে তানজিমের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের সুযোগ থাকতো বলে আমি বিশ্বাস করি। তানজিম চাকরিজীবি নারীদের নিয়ে তার ভাবনার প্রকাশ ঘটাতে গিয়ে সমাজের চোখে আরও একটা দিক উন্মুক্ত করেছেন, যা আমরা অনেকেই এড়িয়ে গিয়েছি। তা হলো- নারীর যোগ্যতা ও দায়! কথা শুনে মনে হচ্ছে, নারী, জগতের সকল দায় নিয়ে বসে আছেন! স্বামী, সন্তান, পরিবার, সমাজ, ধর্ম, সবার হক রক্ষার দায় একমাত্র নারীর। প্রশ্ন হলো, তাহলে জনসংখ্যার বাকী অর্ধেক পুরুষ করেনটা কী?
তানজিম সাকিব বোধহয় অর্থনীতিতে নারীর অবদানের হিসেবটা ঠিক জানেন না। যেমনটা জানেন একজন চাকুরিজীবি নারী। দিনশেষে ঘরে ফিরে সবার প্রথমে সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরেন কিন্তু একজন চাকুরিজীবি নারীই । পরিবারের সবার পছন্দের তালিকা তাঁর অদৃশ্য দিনপঞ্জি, ঝুলিয়ে রাখেন হৃদয়ে এই নারীই। যে অপূর্ণতা নিয়ে নিজে বড় হয়েছেন- তা যেন সন্তানের বড় হওয়ায় বাঁধা না হয়, এটা নারীই ভাবেন। অন্য নারীর চেয়ে চাকুরিজীবী নারীরা পরিবারে গুণগত সময় বেশি দিয়ে থাকেন, কোন আপোষ করেন না তারা।
চাকুরিজীবী মায়ের সন্তানেরা ভিন্নতর ব্যক্তিত্ব নিয়ে বেড়ে ওঠে। মাকে দেখেই তারা ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে শিখে যায়। সমাজে আলাদা মর্যাদা নিয়ে মাথা তোলে। আর যদি পর্দার কথা বলতে হয়, তাহলে বলবো, তানজিম চাকুরীজীবী নারীদের দিকে তাকান বলেই পর্দার খেলাপ হয়। আশা করবো এরপর থেকে তিনি আর তাকাবেন না কারণ তিনি না তাকালে অন্তত একজন পুরুষ নারীর পর্দার হক রক্ষায় অবদান রাখবেন!
পাশাপাশি লেখিকা, আবৃত্তি শিল্পী ও উদ্যোক্তা এ্যানি আক্তার বলেন, নারী মানে দেশ, জাতি এবং ঘরের আলোর প্রতিমা আর এটাই হলো ‘নারীর স্বকীয়তা’। আমি ধর্মীয় অনুশাসন কিংবা সামাজিক প্রথা এসবের পক্ষ কিংবা বিপক্ষে কথা না বলে স্বাধীন দেশের স্বাধীন নাগরিক এবং সর্বোপরি একজন স্বয়ংসম্পূর্ণ নারী হিসেবে আমার মতামত প্রকাশ করছি।
হ্যাঁ, পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীকে দূর্বল বলে অনেকে বিবেচনা করে থাকে এখনও কিন্তু ভেবে দেখবেন যুগের পর যুগ ধরে নারীরা রোজ মননে, গঠনে, বিচক্ষণতার পরীক্ষা দিয়ে নিজেকে প্রমান করে দিচ্ছে যে- ঘর, কর্মক্ষেত্র কিংবা দেশ চালনায় তারা সমান পারদর্শী। যেখানে অন্যান্য রাষ্ট্রের মতোই আমাদের দেশ বা রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী, তিনিও একজন নারী। আর সেই দেশের সুযোগ্য নাগরিক হয়ে একজন ক্রিকেটার এর নারীদের নিয়ে এমন অসম্মাজনক মতামত আমরা সত্যিই আশা করি না।
ক্রিকেটার তানজিম তানিম বলেছেন,‘স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়।’
ক্রিকেটারের বক্তব্যের রেশ টেনে আমি এটাই বলবো যে, নারীর পর্দা করার সাথে কর্মজীবি হবার বা গৃহিনী হবার কোনো সম্পর্ক নেই। স্ত্রী অথবা মা কর্মজীবি হওয়ায় পরিবার কিংবা সমাজ ধ্বংস হবার কোনো সম্পর্ক নেই। যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। তাই শিক্ষিত, কর্মজীবি নারীরা ঘরের বাইরে বের হয় বলেই সন্তান পালন, পরিবারের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করতে জানে না এই ভাবনাটা যৌক্তিক নয়। আমি ধর্মীয় অনুশাসনকে সন্মান রেখেই বলছি ধর্মপরায়ন হওয়া বা পর্দানশীল হওয়া এটা একেবারেই ব্যক্তিস্বাধীনতা; এর সাথে নারীর যোগ্যতা, সন্মানকে সম্পৃক্ত করাটা একেবারেই ভিত্তিহীন।
নারী দূর্বল বা সবল, সুশিক্ষিত বা অশিক্ষিত, গৃহিনী বা কর্মজীবি যাই হোক না কেনো তবুও নারী একজন "মা" "স্ত্রী" এবং "কন্যা"। স্রষ্ঠার দেয়া শ্রেষ্ঠ পদবি ধারন করেই একজন নারী একটা সংসার, একটা দেশ, একটা জাতিকে বদলে দেবার কিংবা আরো প্রগতিশীল করে তুলবার ক্ষমতা রাখে। বর্তমান বিশ্বে ধর্মীয় কিংবা সামাজিক গোড়া মনোভাব বা রীতিনীতিকে ছাপিয়ে নারীরা যেখানে প্রতিটা ক্ষেত্রে নিজেদের যোগ্যতার প্রমান রাখছে, সেখানে বাংলাদেশকে রিপ্রেজেন্ট করে এমন একজন দায়িত্বশীল ক্রিকেটারকে মন্তব্য করার ব্যাপারে আরো যত্নবান হওয়া উচিৎ ছিলো বলে আমি মনে করি।
ক্রিকেটার তানজিম এর এই মতামত সম্পূর্ণ ব্যক্তিগত। স্বাধীন দেশে মত প্রকাশের অধিকার সবার আছে তাই উনি তার নিজস্ব বক্তব্য রেখেছেন। তবে হ্যাঁ, দায়িত্বশীল নাগরিক হিসেবে আমাদের সকলকেই মন্তব্য করা বা মতামত দেবার ব্যাপারে যথেষ্ট সচেতন হওয়া জরুরী। নারীদের নিয়ে যে কোনো নেতিবাচক স্টেটমেন্ট দেবার আগে আমাদের সকলেরই ভাবা উচিৎ নারী হলো শাশ্বতী, নারী সম্পূর্ণা।
উল্লেখ্য, নারীদের নিয়ে তানজিম সাকিবের অসম্মাজনক পোস্টটিতে তিনি বলেন, ‘স্ত্রী চাকরি করলে স্বামীর হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে সন্তানের হক আদায় হয় না, স্ত্রী চাকরি করলে তার কমনীয়তা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পরিবার ধ্বংস হয়, স্ত্রী চাকরি করলে পর্দা নষ্ট হয়, স্ত্রী চাকরি করলে সমাজ নষ্ট হয়।
সাকিব চাকরিজীবি ক্রিকেটার আবৃত্তি শিল্পী লেখিকা এ্যানি আক্তার আয়শা জাহান নূপুর
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্রে নানা সংকট ও বিদ্যমান সমস্যা নিয়ে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে
সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’-শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠক আয়োজন করে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র, বিনোদন
ও সাংস্কৃতিক সাংবাদিকদের ৫৬ বছরের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি
(বাচসাস)।
বৃহস্পতিবার (০২ মে) শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার
কক্ষে (৭ম তলা) বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে গোলটেবিল আলোচনায় প্রধান অতিথি
ছিলেন—ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ভার্সেটাইল
মিডিয়ার কর্ণধার প্রযোজক আরশাদ আদনান, সূচনা বক্তব্য রাখেন বাচসাস সাধারণ সম্পাদক
রিমন মাহফুজ।
গোলটেবিল বৈঠকে ‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ প্রবন্ধ
উপস্থাপনা করেন বাচসাস সদস্য ও বাংলাদেশ সম্পাদক ফোমের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন।
এসময় ঢাকা ১০ আসনের সংসদ সদস্য ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ বলেন,
‘চলচ্চিত্র শুরু থেকে শিল্পীদের সঙ্গে সাংবাদিকেরা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। সাংবাদিক বন্ধুরা
ছাড়া আমরা সম্পন্ন না। ৫৬ বছর আপনারা যেভাবে সম্মান দিয়েছেন আগামীতেও দেবেন আশা করি।
বর্তমানে অল্প কিছু সিনেমা হলে সিনেমা মুক্তি পায়। সেখানে একজন প্রযোজক সিনেমা থেকে
খুবই সামান্য টাকা পায়।
এ অবস্থায় আমরা যদি টাক্সের টাকাটা কমানোর জন্য সর্বসম্মতিক্রমে
জাতীয় সংসদে তুলে ধরতে পারি তাহলে আমাদের এই শিল্পের জন্য বড় সমস্যার সমাধান হবে। আমাদের
এই শিল্পের অনেক সমস্যা রয়েছে, এগুলোর সমাধানও আছে। এই সমস্যার সমাধানে নিজেদেরই এগিয়ে
আসতে হবে। ভালো ভালো সিনেমা বানাতে হবে। জাতির পিতার হাতে গড়া এই এফডিসির জন্য প্রধানমন্ত্রীর
অগাত ভালোবাসা রয়েছে। আমরা এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে সংসদে এই শিল্পের উন্নয়নে করণীয়
নিয়ে কথা বলব’।
ভার্সেটাইল মিডিয়ার কর্ণধার আরশাদ আদনান বলেন, ‘এই সাবজেক্ট নিয়ে
আমরাও কাজ করছিলাম। ধন্যবাদ জানাই বাচসাসকে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য। বিষয়টি
নিয়ে আমরা কাজ করব। বাচসাসকে সঙ্গে নিয়েই সমস্যাগুলো সমাধানের চেষ্টা করব। অনেক দিন
ধরেই প্রযোজক সমিতি প্রশাসকের হাতে। প্রযোজক সমিতির সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব সমাধান করব।
প্রযোজক বাঁচলে চলচ্চিত্র বাঁচবে। আশা করছি, অচিরেই এ সংসট নিরসন হবে’।
চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও আলিমুল্লাহ
খোকন বলেন, ‘চলচ্চিত্রের জন্য সিঙ্গেল স্ক্রিনের বিকল্প নেই। যে হলগুলো আছে তা আধুনিক
করতে হবে। চলচ্চিত্র সম্পর্কে যাদের জানা শোনা আছে অনুদান দেওয়ার ক্ষেত্রে তাদের গুরুত্ব
দিতে হবে’।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন
উজ্জ্বল বলেন, ‘হল মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্প বাঁচাতে ভূমিকা রাখছে। ঈদের
সিনেমা ছাড়া বছরজুড়ে হল মালিকদের লোকসান গুনতে হয়। তারপরও তারা শিল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে
আছে। সিনেমা হলগুলো আধুনিক করার চেষ্টা চলছে। ভালো সিনেমা নির্মাণ হলে পুনরায় এ শিল্প
ঘুরে দাঁড়াবে। তার প্রমাণ ‘প্রিয়তমা’।’
এসময় শিল্পী সমিতির সহসভাপতি ও চিত্রনায়ক ডিএ তায়েব বলেন, ‘সরকারি
অনুদান সঠিক মানুষদের দিতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদান দিলে চলচ্চিত্র
আরও এগিয়ে যাবে’।
বাংলাদেশ ফিল্ম ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল বলেন, ‘অনুদান
চলচ্চিত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী। এটা দ্রুত বন্ধ করা উচিত। কারণ, সঠিক লোক অনুদান পায়
না। তাছাড়া অনুদানের টাকা দিয়ে অনেকেই গাড়ি কেনে। অনুদানের টাকা দিয়ে সিনেমা না বানিয়ে
বিয়ে করেছে এমনও প্রমাণ রয়েছে। অনুদানের টাকা কখনো যথাযথ ব্যবহার হয় না। তাই অনুদান
বন্ধ করে দেওয়াই ভালো’।
শিল্পী সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য-চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, ‘চলচ্চিত্র
শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায় নিয়ে বারবার বৈঠক করতে হবে। সমস্যাগুলো বের করে সমাধানের
চেষ্টা করতে হবে। সেন্সরে বোর্ডে দায়িত্ব থাকার কারণে অনেক সিনেমা দেখতে হয়। এমন কিছু
সিনেমা আছে যেগুলো হলের উপযোগী না। সেগুলোও হলে মুক্তি পায়। এসব সিনেমা দর্শকের হলবিমুখ
করে। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। বাণিজ্যিক সিনেমার নির্মাতাদের অনুদানে
গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলেই আমাদের এ শিল্প আরও এগিয়ে যাবে’।
এসময় আরও উপস্থিত থেকে আলোচনায় অংশ নেন ‘বাচসাস’ সাবেক সভাপতি রেজানুর
রহমান, শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক
জ্যাকি আলমগীর, কার্যনির্বাহী সদস্য রোজিনা, চুন্নু, নানা শাহ, শাহনূর, চলচ্চিত্র পরিচালক
সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্র সম্পাদক আবু মুসা দেবু, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ
সম্পাদক এস এম কামরুজ্জামান সাগর, চিত্রনায়িকা অঞ্জনা রহমান, মুক্তি, চলচ্চিত্র পরিচালক
এস এ হক অলিক, হাবিবুল ইসলাম হাবিব, অরুণ চৌধুরী, সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড,
গাজী মাহবুব, চয়নিকা চৌধুরী, বুলবুল বিশ্বাস, মাসুমা তানি ও বাংলাদেশ চলচ্চিত্র প্রদর্শক
সমিতির উপদেষ্টা সুদীপ্ত দাস, উপদেষ্টা সদস্য ইউনুস রুবেল প্রমুখ।
আরও উপস্থিত ছিলেন বাচসাস’র সহসভাপতি অনজন রহমান ও রাশেদ রাইন,
অর্থ সম্পাদক সাহাবুদ্দিন মজুমদার, সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আলম মিলন, সমাজ কল্যাণ
ও মহিলাবিষয়ক সম্পাদক আনজুমান আরা শিল্পী, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক ইরানি বিশ্বাস,
দপ্তর সম্পাদক আহমেদ তেপান্তর (আওয়াল), নির্বাহী সদস্য লিটন রহমান, রুহুল আমিন ভূঁইয়া,
আনিসুল হক রাশেদ, রুহুল সাখাওয়াত প্রমুখ।
উপস্থিত সবাই সিনেপ্লেক্স ও সিনেমা হল বাড়ানোর জোর দাবি জানায়।
তারা মনে করেন সিনেমা হল বাড়লে সংকট অনেকটাই নিরসন হবে। সেইসঙ্গে ভালো গল্পের দিকেও
নজর দেয়ার অনুরোধ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সৈয়দা ফারজানা জামান রুম্পা।
‘চলচ্চিত্র শিল্পে সমস্যা ও উত্তরণের উপায়’ গোলটেবিল বৈঠক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন