ভারতের দক্ষিণী চলচ্চিত্রের
সুপারস্টার থালাপতি বিজয়ের নতুন সিনেমা ‘লিও’। আজ ১৯ অক্টোবর ভারতের এক হাজারেরও বেশি
সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে চলচ্চিত্রটি। আর মুক্তির প্রথমদিনেই বিভিন্ন রেকর্ড ভেঙে
বক্স অফিসে গর্জন তুলেছে সিনেমাটি।
ভারতের বক্স অফিসের বাণিজ্য
ওয়েবসাইট স্যাকনিল্কের রিপোর্ট অনুসারে, ‘লিও’
ইতোমধ্যে ১৬ লাখ টিকিট বিক্রি করেছে । এর মাধ্যমে বিজয়ের ‘লিও’ সিনেমাটি শাহরুখ
খানের ‘জওয়ান’কে টপকে গেছে। ‘জওয়ান’ তার উদ্বোধনী দিনের জন্য অগ্রিম বুকিংয়ে ১৫.৭৫ লাখ টিকিট বিক্রি করেছিল। অগ্রিম টিকিট বিক্রিতে
রেকর্ডের পর ইউএসএ প্রিমিয়ারের ক্ষেত্রেও দাপট দেখিয়েছে ‘লিও’। সেখানে সিনেমাটির বক্স
অফিস আয় ১০ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। চলতি বছরের শাহরুখ খানের ব্লকবাস্টার ‘জওয়ান ও পাঠান’,
রজনীকান্তের ‘জেইলার’ এবং জুনিয়র এনটিআর ও রামচরণের ‘আরআরআর’ কেও টপকে গেছে এই সিনেমাটি।
তবে সিনেমাটি মুক্তির পর সোশ্যাল
মিডিয়ায় দর্শকদের থেকে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে। সাবেক টুইটার বা বর্তমান ‘এক্স’
মাধ্যমে একজন লেখেন, ‘প্রথম অংশ ছিল রিয়্যালিস্টিক সহিংসতায় ভরপুর কিন্তু পরের অংশ
পুরাই জমজমাট বাণিজ্যিক সিনেমার মতো চমকে ভরপুর। সিনেমাটি বড় হিট হবে।’ অন্য আরেকজন
লিখেছেন, ‘বিজয় পুরো বিশ্বের হিরো। ছবিটি পাঁচে পাঁচ পাওয়ার মতো।’
এদিকে ফিল্ম ট্রেড অ্যানালিস্ট
মনোবালা বিজয়াবালান লিখেছেন, “সিংহ হতে চাইলেও শেষ হলো বিড়ালের মতো। শুরুতে সম্ভাবনা
থাকলেও ছবির শেষটা হতাশাজনক। হাইপ অনুযায়ী প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি ‘লিও’। ছবিতে
এনগেজমেন্ট নেই, কয়েক স্থানে একঘেয়ে, কিছু জায়গায় ‘বিক্রম’ এবং ‘কাইথি’র মতো। এটি লোকেশের
ক্যারিয়ারের সবচেয়ে দুর্বল ছবি”।
আরেকজন ফিল্ম ট্রেড ইনসাইডার লিখেছেন, ‘‘লিও’ ছবিটি ‘বিস্ট’-এর থেকেও চারগুণ খারাপ।’ তরণ আদর্শ অবশ্য ছবিটি পছন্দ করেছেন। লিখেছেন, ‘ব্লকবাস্টার’ ও ‘মাস্টারপিস।’ কেউ কেউ ছবিটিকে রজনীকান্তের ‘জেলার’-এর সাথে তুলনা করেছেন। আবার কেউ বলছেন ছবির চিত্রনাট্য ‘দুর্বল’।
পরিচালক লোকেশ কঙ্গরাজের ‘লোকেশ
সিনেমাটিক ইউনিভার্স’-এর তৃতীয় কিস্তি এই ‘লিও’ সিনেমাটি। এতে বিজয়ের সঙ্গে আরো অভিনয়
করেছেন তৃষা কৃষ্ণান, সঞ্জয় দত্ত, অর্জুন, প্রিয়া আনন্দ, গৌতম বাসুদেব মেনন, মনসুর
আলী খান, স্যান্ডি ও মাইস্কিন। সিনেমাটি ২ডি এবং আইম্যাক্সে হিন্দি, তামিল, তেলুগু,
মালায়লাম ও কন্নড় ভাষায় মুক্তি পেয়েছে।
তথ্যসূত্র : স্যাকনিল্ক
লিও জাওয়ান বিজয় থালাপাতি শাহরুখ খান
মন্তব্য করুন
মাত্র
দু’বছরের মধ্যে বলিপাড়ার তারকাদের ‘নয়নের মণি’ হয়ে উঠেছেন
ওরহান অবত্রমানি ওরফে ওরি। জাহ্নবী
কাপুর, সুহানা খান থেকে সারা
আলি খান, অনন্যা পাণ্ডে,
এমনকি দীপিকা পাড়ুকোন, ক্যাটরিনা কাইফের মতো তারকাদের পাশেও
দেখা গেছে ওরিকে।
তিনি ছবিতে অভিনয় করেন না। শুধু ছবি তোলেন। তার সঙ্গে ছবি নেই, ভারতে এমন তারকা খুঁজে পাওয়াই দুষ্কর! তারকাদের সঙ্গে ছবি তুলেই নাকি লক্ষ লক্ষ রুপি উপার্জন করেন তিনি! সেই অর্থের অঙ্কটা নাকি দৈনিক ২০-৩০ লাখ আবার কখনও কখনও ৫০ লাখ ছোঁয়।
বলিপাড়ার যেকোনও পার্টি হোক, কিংবা বিয়েবাড়ি অথবা জন্মদিন, ওরি ছাড়া যেন অনুষ্ঠান অসম্পূর্ণ। নেটপাড়ায় তিনি পরিচত মুখ। তার নিত্যনতুন দামি পোশাক কিংবা ফোনের কভার অথবা চুলের ছাঁট নিয়ে নেটিজেনদের উৎসাহ রয়েছে। পাশপাশি, অনেকেরই কৌতহূল রয়েছে তার আয়ের উৎস নিয়ে।
সম্প্রতি একটি পডকাস্ট শোয়ে এসে তিনি জানান, ছবি তুলেই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা আয় করেন তিনি। করণ জোহরের এজেন্সি তার কাজ দেখাশোনা করে। তবে সিনেমা করতে রাজি নন তিনি। অতো খাটাখাটনি করতে পারবেন না, সাফ কথা এই তারকার।
স্রেফ তারকাদের সঙ্গে সেলফি তুলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করেই নাকি লক্ষ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তিনি। ওরির কথায়, ‘বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গিয়ে আমি ছবি তুলি, আর সেই ছবি পোস্ট করার জন্য আমি টাকা পাই। এক রাতেই ওই সব ছবি পোস্ট করে আমি ২০-৩০ লক্ষ টাকা রোজগার করি। তা ছাড়া আমাকে বিয়েতে লোকে ডাকেন। তাদের বিয়েতে ছবি তোলার জন্য ১৫-২০ লক্ষ টাকা দেন।’ সেই ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করলে নাকি বাড়ে টাকার অঙ্ক! পাশপাশি, ওরি এ-ও জানান শুধুই কাজ নয়, মানুষকে আনন্দ দিতেও চান তিনি।
মন্তব্য করুন
আগামী এক বছরের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন
করা হয়েছে। ১৫ সদস্যের এ সেন্সর বোর্ডের নতুন কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন একঝাঁক তারকাশিল্পী।
নতুন এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আছেন অভিনেত্রী
সুজাতা আজিম, অরুণা বিশ্বাস, রোকেয়া প্রাচী, পূর্ণিমা, আজিজুল হাকিম। এছাড়া রয়েছেন
প্রযোজক খসরু, পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।
কার্যকর হওয়া নতুন কমিটিতে আরও আছেন এফডিসির বর্তমান ব্যবস্থাপনা
পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, পরিচালক সমিতির সভাপতি কাজী হায়াৎ।
রোববার (১২ মে) তথ্য মন্ত্রণালয়ের উপসচিব সাইফুল ইসলামের স্বাক্ষরিত
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে সেন্সর বোর্ড পুনঃগঠনের এ প্রজ্ঞাপনে বলা
হয়েছে, তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চেয়ারম্যান এবং সেন্সর বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে
সদস্য সচিব করে নতুন কমিটি যাত্রা করল।
এছাড়া সেন্সর বোর্ডের সদস্য হিসেবে আছেন আইন ও বিচার বিভাগের সচিব, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (প্রশাসন ও চলচ্চিত্র) এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের একজন প্রতিনিধি।
সেন্সর বোর্ড কমিটি পূর্ণিমা অরুণা বিশ্বাস
মন্তব্য করুন
ঢাকাই
সিনেমার একসময়ের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা। অভিনয় থেকে আছেন দূরে।
মাঝে মধ্যে দুই একটা রিয়্যালিটি
শোয়ের বিচারকের দায়িত্বে দেখা যায়। বাংলাদেশ
চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের নতুন কমিটি গঠন
করেছে সরকার। ১৫ সদস্যের এই
কমিটিতে স্থান পেয়েছেন অভিনেত্রী পূর্ণিমা।
রবিবার (১২ মে) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে কমিটির সদস্যদের নাম প্রকাশ করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়।
সেন্সর
বোর্ড সূত্রে জানা যায়, নতুন
এই বোর্ডের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন তথ্য সচিব। তিনি
আগামী এক বছর সেন্সর
বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন। এ
ছাড়া তথ্যমন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের ছয়জন সদস্য দায়িত্ব
পালন করবেন।
এতে
প্রথমবারের মতো স্থান পেয়েছেন
অভিনেতা আজিজুল হাকিম ও অভিনেত্রী দিলারা
হানিফ পূর্ণিমা। এছাড়াও অভিনয়শিল্পী হিসেবে আছেন অরুণা বিশ্বাস,
রোকেয়া প্রাচী, সুজাতা আজিম।
নির্মাতা
হিসেবে বোর্ডে জায়গা পেয়েছেন কাজী হায়াৎ, জাহাঙ্গীর
আলম ও প্রযোজক হিসেবে
এই নিয়ে পঞ্চমবার সদস্য
হলেন খোরশেদ আলম খসরু।
নতুন
কমিটিতেও বরাবরের মতো আছেন বিএফডিসির
ব্যবস্থাপনা পরিচালক (নুজহাত ইয়াসমিন) ও সেন্সর বোর্ডের
ভাইস চেয়ারম্যান খালেদা বেগম। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে ছয়জন প্রতিনিধিও
থাকছেন সদস্য হিসেবে।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আগামী এক বছরের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ড পুনর্গঠন করা হয়েছে। ১৫ সদস্যের এ সেন্সর বোর্ডের নতুন কমিটিতে জায়গা করে নিয়েছেন একঝাঁক তারকাশিল্পী। নতুন এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে আছেন অভিনেত্রী সুজাতা আজিম, অরুণা বিশ্বাস, রোকেয়া প্রাচী, পূর্ণিমা, আজিজুল হাকিম। এছাড়া রয়েছেন প্রযোজক খসরু, পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম।