কালার ইনসাইড

দর্শকের কেমন লাগলো ‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমাটি

প্রকাশ: ০৫:৪১ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০২৩


Thumbnail

সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে ‘মুজিব: একটি জাতির রুপকার’ সিনেমাটি। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত ভারত-বাংলাদেশ যৌথ প্রযোজনার এ চলচ্চিত্রটি বাঙালির সবচেয়ে আবেগের জায়গা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত। বাংলাদেশ জন্মের ইতিহাস আর এই বাংলাদেশ জন্মের পেছনে বঙ্গবন্ধুর অবদানের গল্প তো কমবেশি আমরা সকলেই জানি, তবুও একটা জানাশোনা কাহিনী কিভাবে এতটা মনে দাগ কাটতে পারে সেটি মুভি না দেখার আগ পর্যন্ত কেউ বুঝবে না। এত বছর ধরে বইয়ে যা পড়েছেন সেসব ঘটনা চোখের সামনে ঘটতে দেখা এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা।

পুরো সিনেমায় দর্শকদের মাঝে সালের সাথে তাল মিলিয়ে মিলিয়ে প্রেক্ষাপট আবার চেহারা দেখে দেখে কে কোন চরিত্রটি করেছে সেটি মেলানোর চেষ্টা দেখা গিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর সেই ছোটবেলা থেকে শুরু করে তার মৃত্যু অবধি প্রত্যেক সময়কালের সাথে দৃশ্যপটের যে মিল সেটি নিখুঁতভাবে ধরে রাখার যে চেষ্টা ছিল, তাতে শ্যাম বেনেগাল স্বার্থক।

সিনেমায় বঙ্গবন্ধুর ছোটবেলা থেকে শুরু করে তার বিয়ে, সন্তান, রাজনৈতিক উত্থান, ৫২'র ভাষা আন্দোলনে তার ভূমিকা থেকে শুরু করে কিভাবে তিনি ধীরে ধীরে এ দেশটিকে আমাদের উপহার স্বরুপ দিয়ে গেছেন তার নিজ জীবনের ভয়াবহ সব ত্যাগ তিতিক্ষার মাধ্যমে তার পরিপূর্ণ নিদর্শন রয়েছে। আমাদের এ দেশটিকে যে আজ আমরা 'আমাদের বাংলাদেশ' বলতে পারি, আর সেটি যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কল্যাণেই সে আবেগ সে নিবেদন সিনেমায় ছিল।

এছাড়া সিনেমায় প্রত্যেকের সংলাপ ছিল চমৎকারভাবে গোছানো। অনেক যত্ন এবং সময় নিয়ে যে এই সংলাপগুলো তৈরি করা হয়েছে সেটি ছিল চোখে পড়ার মত। সেই দেশভাগের সময় থেকে মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত, মুহম্মদ আলী জিন্নাহ থেকে শুরু করে জুলফিকার আলী ভুট্টো অবধি সবার অভিনয় সংলাপ ছিল নজরকাড়া। সেই সময় প্রেক্ষাপট যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছিল সিনেমার পর্দায়।

একটি সিনেমা যেমন তার সংলাপের মাধ্যমে মানুষের মনে দাগ কাটে, তেমনি তার সংগীতের মাধ্যমেও। এই সিনেমার মিউজিক ছিল অসাধারণ। মুজিবের বিয়ের সময়কার একটি গান, এখনই মানুষের মুখে মুখে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে।

মূল ভূমিকায় অভিনয় করা 'আরেফিন শুভ' এ সিনেমা করার ক্ষেত্রে একটি বিরাট ধন্যবাদ পাওয়ার দাবীদার বলেই অনেকে মনে করছেন। এত কঠিন আর চ্যালেঞ্জিং চরিত্রটি তিনি করেছেন, সেক্ষেত্রে তার ব্যাপক সাহস আছে তা বলাইবাহুল্য। এ এমন এক কঠিন চরিত্র, যেখানে একটু উনিশ-বিশ হলেই সবকিছু শেষ! কিন্তু শুভ এ সিনেমায় ছক্কা মেরেছেন বলা যায়। তার প্রচন্ড কষ্ট আর পরিশ্রম পর্দায় ফুটে উঠেছে। যেহেতু, বায়োপিক সিনেমায় নিজে থেকে ইম্প্রোভাইস করার কিছু থাকে না, সেহেতু প্রচন্ড এফোর্ট শুভকে দিতে হয়েছে বঙ্গবন্ধু চরিত্রটিকে জাস্টিফাই করার জন্যে।

আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন, নুসরাত ফারিয়া। স্ক্রিনে তিনিও ফুটিয়ে তুলেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সেই ছেলেবেলা। বাবা মেয়ের মধ্যকার আত্মিক সম্পর্কটি অনুভব করা গিয়েছে। বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রীর স্বামী ওয়াজেদ মিয়াকে যখন বঙ্গবন্ধু হাতঘড়ি উপহার দিচ্ছিলেন, সেই মুহুর্তটি ছিল বেশ আবেগঘন।

এছাড়া, প্রত্যেক অভিনয় শিল্পী এবং কলাকুশলীদের অভিনয়ই ছিল অসাধারণ। বঙ্গমাতার চরিত্রে 'নুসরাত ইমরোজ তিশা' এবং 'হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী' চরিত্রে তৌকির আহমেদ এর অভিনয় দর্শকের ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছে। এ সিনেমা যেমন কাউকে করেছে মুগ্ধ আবার কারো কারো চোখে এনে দিয়েছে পানি। পর্দায় বঙ্গবন্ধু এবং সোহরাওয়ার্দীর যে ভাই বা বন্ধুর মত নির্লোভ একটি সম্পর্ক আরেফিন শুভ এবং তৌকির আহমেদের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সেটি ছিল দেখার মত। অনেকর মনেই তা ভীষণভাবে দাগ কেটেছে।

সিনেমায় বেশ কিছু ক্যামিও চরিত্র ছিল। সাসপেন্স ধরে রাখার জন্যেই কে কে সেই ক্যামিও চরিত্রে ছিলেন সেটি প্রকাশ না করা গেলেও, পর্দায় সেই সকল ক্যামিও চরিত্রকে দেখে দর্শক এমন গুরুগম্ভীর সিনেমাতেও বেশ বিনোদন পেয়েছেন। হলের দর্শকদের জন্য এই ক্যামিও চরিত্রগুলো রইলো চমক হিসেবে।

এ ছাড়া রেণু (শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব) চরিত্রে অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা, শেখ হাসিনা চরিত্রে নুসরাত ফারিয়া, শেখ রেহানা চরিত্রে সাবিলা নূর, মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী চরিত্রে রাইসুল ইসলাম আসাদ, তাজউদ্দীন আহমদ চরিত্রে রিয়াজ, এ কে ফজলুল হক চরিত্রে শহীদুল আলম সাচ্চুসহ অনেকেই অভিনয় করেছেন।

অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন খায়রুল আলম সবুজ (লুৎফর রহমান), দিলারা জামান (সাহেরা খাতুন), সায়েম সামাদ (সৈয়দ নজরুল ইসলাম), শহীদুল আলম সাচ্চু (এ কে ফজলুল হক), প্রার্থনা ফারদিন দীঘি (ছোট রেনু), গাজী রাকায়েত (আবদুল হামিদ), তৌকীর আহমেদ (সোহরাওয়ার্দী), সিয়াম আহমেদ (শওকত মিয়া), মিশা সওদাগর (জেনারেল আইয়ুব খান), এলিনা (বেগম খালেদা জিয়া) ও জায়েদ খান (টিক্কা খান)।

যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ আর বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য এক অন্যরকম আবেগের জায়গা, এই মুভির বেশ কিছু দৃশ্যে চোখের পানি ধরে রাখা কষ্টসাধ্য ব্যাপার। অনেকেই অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে বলেছেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে যখন আমাদের বিজয়ের পতাকা উড়ছিল, বা পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের সময়টায়, আমাদের বঙ্গমাতার সাথে পাকিস্তানের সৈনিকের পরাজয় স্বীকার করে নেয়া বা শেখ রাসেলকে যখন গুলি করছিলো খুব জোরে তার 'মা' বলে দেয়া শেষ চিৎকারটা আপনার একদম অন্তরে গিয়ে আঘাত করবে। এসব এড়ানো সম্ভব না। এসব এড়ানো যায় না।‘

বাঙালি জাতির জন্যে ‘মুজিব: একটি জাতির রুপকার’ সিনেমাটি একটি মাইলফলক। দেশকে ভালবেসে বঙ্গবন্ধুকে ভালবেসে দল মত নির্বিশেষে এ সিনেমাটি একবার হলেও সবার দেখা উচিত বলেই মনে করেন অনেক বিশ্লেষক।

পরিশেষে বলা যায়, শ্যাম বেনেগালের মতো পরিচালক এ চলচ্চিত্রটি পরিচালনার কাজের প্রস্তাব গ্রহণ করেন কেননা তার মনে হয়েছিলো যে চলচ্চিত্রের প্রধান চরিত্রটি ছিলো তার সময়ের একজন আকর্ষণীয় ব্যক্তি। কিন্তু পরবর্তীতে এই বায়োপিকের ফোকাসটা যে সম্পূর্ণ অন্য জায়গায় সেটা তিনি উপলব্ধি করতে পারেন। ভীনদেশী পরিচালক হয়েও এখানে যে একটি জাতির আবেগ এবং তাদের অনুভূতির প্রশ্ন জড়িত সেটি তিনি বুঝতে পেরেছেন আর তার যথাযথ মর্যাদাও যে দিতে পেরেছেন এটি অনেক বিরাট ব্যাপার।

মুজিব: একটি জাতির রূপকার  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মেয়েকে প্রকাশ্যে আনলেন তারকা দম্পতি রাজ-শুভশ্রী

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ওপার বাংলার তারকা দম্পতি রাজ-শুভশ্রী। ছেলে ইউভানের জন্মের অল্প সময়ের মধ্যে তাকে প্রকাশ্যে এনেছিলেন। এদিকে গত বছরের ৩০ নভেম্বর শুভশ্রী দ্বিতীয়বার মা হওয়ার সুখবর জানান ভক্তদের কিন্তু মেয়ে ইয়ালিনিকে লাইমলাইট থেকে দূরেই রেখেছিলেন।

তবে শুক্রবার (১৭ মে) ইনস্টাগ্রামে শুভশ্রী দুই সন্তানের ছবি পোস্ট করে অভিনেত্রী লেখেন, ‘সকালের কথারা।সেখানে দেখা যাচ্ছে জানালার পাশে বসে বোনের সঙ্গে গল্প করছে ইউভান।

ছোট্ট ইয়ালিনির মাথায় একটা দুইটি নয়, চারটি ঝুঁটি বেঁধে বসে আছে বাবা রাজের কোলে। আর বোনকে গল্প বলে শোনাচ্ছে ইউভান। এই মনোমুগ্ধকর মুহূর্ত ভক্তদের নজর কেড়েছে।


তারকা   দম্পতি   রাজ   শুভশ্রী  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পদ হারাতে যাচ্ছেন নিপুণ

প্রকাশ: ০৩:২১ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিকে কেন্দ্র করে ঢাকাই সিনেমার নায়িকা নিপুণ আক্তার ফের আলোচনায়। এবারে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির পদ হারাতে যাচ্ছেন তিনি। গণমাধ্যমে শিল্পী সমিতি ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করায় সদস্যপদ হারাতে পারেন নিপুণ।

নিপুণের সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বর্তমান কমিটি। বৃহস্পতিবার (১৬ মে) সমিতির কার্যকরী সভা শেষে এমনটা জানিয়েছেন সহ-সভাপতি ডি এ তায়েব।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির (২০২৪-২৬) মেয়াদি নির্বাচনের ফলাফল বাতিল চেয়ে নতুন নির্বাচন দাবি করে রিট করেছেন পরাজিত সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী নিপুণ আক্তার। বুধবার (১৫ মে) বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের হাইকোর্ট বেঞ্চে নিপুণের পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট পলাশ চন্দ্র রায় এ রিট আবেদন করেন। এ বিষয়ে সমিতির পদক্ষেপ কী হতে পারে তা নিয়ে বৈঠক করেন সদস্যরা।

বৈঠক শেষে ডি এ তায়েব বলেন, ‘রিট করা নিয়ে আমরা এখনো ভাবছি না। আমাদের কাছে নোটিশ এলে আইনিভাবে তা মোকাবিলা করা হবে।’ এর একদিন আগে সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার হোসেন ডিপজলকে ‘অশিক্ষিত’সহ নানা কুরুচিপূর্ণ ভাষায় নিপুণ গালাগালি করেন বলেন জানান ডিএ তায়েব।

বিষয়টি তুলে তিনি বলেন, নিপুণ আক্তার গণমাধ্যমে সমিতির সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে যা বলেছেন, তা কুরুচিপূর্ণ, মানহানিকর। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কমিটির সবাই। তার সদস্যপদ কেন বাতিল হবে না, জানতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে। ৭ দিনের মধ্যে যদি তিনি উত্তর না দেন অথবা উত্তর যথোপযুক্ত মনে না হয়, তাহলে তার সদস্যপদ বাতিল করা হবে।


চলচ্চিত্র   শিল্পী   সমিতি   নিপুণ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

আবেদনময়ী লুকে চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া

প্রকাশ: ০২:০৩ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা নুসরাত ফারিয়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ খোলামেলা রূপেই ধরা দেন। তার আবেদনময়ী লুক দর্শকদেরও উচ্ছ্বসিত করে। তিনি একেবারে ন্যাচারাল লুকে সকলের সামনে হাজির হয়েছেন।

সম্প্রতি চিত্রনায়িকা নুসরাত ভ্রমণে গিয়েছেন অস্ট্রেলিয়া। সেখানে সিডনির পথে পথে হেঁটে বেড়াতে গিয়ে তিনি পরেছেন এক আবেদনময়ী পিংক কালারের ফুল খচিত ড্রেস।

আর এসব ছবি ফেসবুক আইডিতে শেয়ার করে ইংরেজিতে একটি ক্যাপশন লিখেছেন ফারিয়া। যার অর্থ দাঁড়ায়, ‘সেই শেষ দিন আমি মন দিয়ে কাঁদব বলে ঠিক করলাম। সেই সকালের পর, আমি এই ফুলের মতোই ফুটেছিলাম।

সবশেষ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনী নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্রমুজিব: একটি জাতির রূপকার’- দেখা গেছে নুসরাত ফারিয়াকে। শ্যাম বেনেগাল পরিচালিত সিনেমাটিতে শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।



মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

ফের পেছাল কঙ্গনার ইমার্জেন্সি সিনেমা

প্রকাশ: ১২:১৩ পিএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

গত বছর ভারতের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর লুকে চমকে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওত। তখনই জানিয়েছিলেন, লুকটিইমার্জেন্সিসিনেমার। এরপর সিনেমাটির একাধিক মুক্তির তারিখ জানানো হয়। তবে আলোর মুখ দেখেনিইমার্জেন্সি এবার আরও একধাপ পেছাল এর মুক্তির তারিখ।

মুক্তির তারিখ পিছিয়ে নেওয়ার বিষয়ে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মণিকর্ণিকা ফিল্মস জানায়, “আমাদের রানি কঙ্গনা রানাওতের জন্য আমাদের হৃদয় ভালোবাসায় পরিপূর্ণ। তিনি এখন দেশ জাতির সেবাকেই প্রাধান্য দিয়েছেন। দেশের সেবায় তিনি দায়বদ্ধতাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। সে কারণেইমার্জেন্সি মুক্তির তারিখ স্থগিত রাখা হলো। মুক্তির নতুন তারিখ পরবর্তী সময়ে জানানো হবে।

সিনেমাটির মুক্তির তারিখ নিয়ে দুবার পেছানো হলো। এর আগে ২০২৩ সালের ২৪ নভেম্বর মুক্তির দিন ঠিক ছিল। সিনেমার কাহিনি পরিচালনার দায়িত্বে আছেন কঙ্গনা নিজে। সর্বশেষ আগামী ১৪ জুন মুক্তির দিন ধার্য করা হয়।

মূলত ১৯৭৫ সালের জুন মাস থেকে ১৯৭৭ সালের ২১ মার্চ পর্যন্ত, একটানা ২১ মাস ভারতে জরুরি অবস্থা জারি ছিল। সে সময়কালই ধরা পড়েছে সিনেমায়।


কঙ্গনা   ইমার্জেন্সি   সিনেমা  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

কানের লাল গালিচা মাতালেন ঐশ্বরিয়া রাই

প্রকাশ: ১১:৫৭ এএম, ১৭ মে, ২০২৪


Thumbnail

ফ্রান্সের কান সৈকতে আবারও বসেছে সিনেমার বর্ণিল আয়োজনকান চলচ্চিত্র উৎসব ১২ দিনব্যাপী ৭৭তম আসর চলবে ২৫ মে পর্যন্ত। বিশ্বের সব জনপ্রিয় তারকারা এই উৎসবে নজরকাড়া লুকে হাজির হচ্ছেন। কানের মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন সাবেক বিশ্বসুন্দরী বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন।

বৃহস্পতিবার (১৬ মে) কান চলচ্চিত্র উৎসবের দ্বিতীয় দিনে লাল গালিচায় সবাইকে মুগ্ধ করেছেন ঐশ্বরিয়া। রেড কার্পেটে অভিনেত্রী হেঁটেছেন ফাল্গুনি-শেন পিককের কালো-সোনালি গাউন পরে। গাউনের লম্বা টেইল নজর কেড়েছে সবার। এদিন ঐশ্বরিয়ার পোশাকে অন্যমাত্রা যোগ করেছে তার পোশাকের সাদা স্লিভস। আর পোশাকের সঙ্গে মিল রেখে গোল্ডেন কানের দুল পরেছিলেন এই বলিউড সুন্দরী।

মেয়ে আরাধ্যার হাত ধরেই ফ্রান্সে হাজির হন তিনি। প্লাস্টার জড়ানো হাতে তাকে মুম্বাই এয়ারপোর্টে দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। রেড কার্পেটেও প্লাস্টার হাতেই দেখা মিলল তার। বরং আরও প্রশংসা পেয়েছেন ঐশ্বরিয়া।

ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চন দুই দশকের বেশি সময় ধরে কান চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছেন। প্রথমবার ২০০২ সালে কান চলচ্চিত্র উৎসবে ভারী সোনার গয়নাসহ নীতা লুল্লা শাড়িতে হাঁটেন রেড কার্পেটে। সেই বছরই তার সিনেমাদেবদাসসেখানে প্রিমিয়ার হয়েছিল। তিনি অভিনেতা শাহরুখ খান এবং পরিচালক সঞ্জয় লীলা বানসালির সঙ্গে উপস্থিত হয়েছিলেন। এরপর থেকে প্রায় প্রতি বছরই উৎসবে হাজির থেকেছেন এই অভিনেত্রী।


কান   লাল গালিচা   ঐশ্বরিয়া  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন