আফরান
নিশো আর মেহজাবীন জুটির
নতুন ওয়েব ফিল্ম 'নীল জলের কাব্য'
চলে এসেছে ওটিটি প্লাটফর্ম আইস্ক্রিন’এ। শিহাব শাহীন
পরিচালিত এই ওয়েব ফিল্মটির
গল্প মধ্যবিত্ত স্বামী-স্ত্রীকে ঘিরে। তার বাকি কাজগুলোর
চেয়ে এটা আলাদা। কারণ,
এটি সমাজের বাস্তবতার গল্প বলে। যে
গল্পে মধ্যবিত্তের কথা আছে, যে
গল্পে রয়েছে জ্যামিতি বক্স কিনতে না
পারার কথা, যে গল্পে
আছে সমুদ্র দেখার সাধ থাকলেও সাধ্য
পূরণ না হওয়ার।
ওয়েব
ফিল্মটিতে আফরান নিশো এবং মেহজাবীন
চৌধুরী মূলত মধ্যবিত্ত পরিবারের
প্রতিনিধিত্ব করেছেন। মধ্যবিত্ত এই পরিবারের গল্পটির
কেন্দ্র মেহজাবীন বা দিবা এবং
আফরান নিশো বা শাওন নামের
দম্পতি। তাদের মধ্যবিত্তের সংসারে অভাব যেন পিছু
ছাড়ছেই না। হয়ে উঠছে
না বাইরের রঙিন জীবনটাকে উপভোগ
করার মতো সময়।
মেহজাবীন
বা দিবা'র ছোটবেলা
থেকে খুব শখ সমুদ্র
দেখার। সমুদ্রের নীল জল ছুয়ে
দেখার। সমুদ্রের পানিতে পা ডুবায়ে বসে
থাকবে আর সমুদ্র দেখতে
দেখতে সারাদিন কাটিয়ে ফেলবে। স্কুল থেকে একবার যাওয়ার
সুযোগ হয়েছিল কিন্তু বাবা অনেক কড়া,
তাই বলতে পারেনি, মাকে
বলেছিল। কিন্তু, মা তাকে সরাসরি না
করে দেয় আর বিয়ের
পরে স্বামীর সাথে যাওয়ার কথা
বলে।
দিবা’র বিয়ে হয় সহজ সরল একজন বীমা কোম্পানির এমপ্লয়ী নিশো ওরফে শাওনের সাথে। কিন্তু নিশো বীমা কোম্পানির এজেন্ট হলেও পর্যাপ্ত ক্লায়েন্ট না পেয়ে খুবই বাজে অবস্থায় আছে। শাওনের ছোট ছোট ভাই বোন আর অসুস্থ মাকে নিয়ে টানাপোড়েনে চলে সংসার। ফলে দেখা যায়, তার সাধ আছে কিন্তু সাধ্য নেই। আফরান নিশো যেমন ভালো স্বামী হয়ে উঠেছিলেন তেমনই পরিস্থিতি তাকে ভালো স্বামী হওয়ার অপরাধীতেও সম্মুখীন করেছিল।
অপরদিকে মেহজাবীন চৌধুরী স্বপ্নটাকে একপাশ রেখে স্বামীর অসহায়ত্বকে
ভালোভাবেই সঙ্গ দিয়ে গেছেন।
একজনের স্বপ্ন পূরণ করা অন্যজনের
যেখানে মূল লক্ষ্য ছিল
সেখানে সংসারের টানাপোড়েনে স্বপ্ন পূরণের জার্নিতে এই দম্পতিকে বারবার
হোঁচট খেতে হয়েছে।
'নীল
জলের কাব্য' ওয়েব ফিল্মটিতে বাস্তবমুখী
কিছু অসাধারণ সংলাপ তুলে ধরা হয়েছে।
সংলাপগুলো আমাদের জীবন নিয়ে নতুন
করে ভাবিয়ে তোলে। আমাদের ক্ষুদ্র এই জীবনে অনেক
শখ, অনেক ইচ্ছা থাকে।
কেউ সময়ের কারণে, কেউ টাকার কারণে
সেসব ইচ্ছে পূরণ করতে পারি
না। কিন্তু এক সময় আমাদের টাকা হয়, সময়ও
থাকে প্রচুর, কিন্তু সেই ইচ্ছে পূরণ
আর হয়ে ওঠে না
কিংবা ইচ্ছাই আর তেমন থাকে
না। একটা নির্দিষ্ট ধাপে গিয়ে টাকা, সময়,
শক্তি কিংবা সেই ভালোবাসাও আর
থাকে না। তখন অতীতকে
মনে করে আফসোটুকু বয়ে
বেড়াতে হয় দিনের পর
দিন। ফিল্মে মেহজাবীন নিশোকে সেই কথাটাই বলছিলেন।
ওয়েব
ফিল্মটির গল্প আমাদের সবার
জীবনের সাথে সম্পূর্ণ রিলেটেবল
বলা যায়। গল্পটা খুব
সাদামাটা হলেও এর সংলাপ
ও অভিনয় ছুঁয়ে
যাবে সবাইকে। এটি আমাদের মনে
করিয়ে দিলো আমাদের ছোট
ছোট ইচ্ছেগুলোর কথা। আমাদের হৃদয়ে
লুকায়িত স্বপ্ন পূরণের গল্পগুলোর কথা। আবার কিছু
স্বপ্ন পূরণের জন্য কিভাবে লড়াই
করা লাগে তাও তুলে
ধরা হয়েছে ফিল্মটিতে।
সত্যি
বলতে আফরান নিশো এবং মেহজাবীন
চৌধুরীর জন্য এ ধরনের
চরিত্র দুটি নতুন নয়।
এমন চরিত্রে তাদের পূর্বেও দেখা গেছে। তারপরও
তাদের একসাথে এটাতে (নীল জলের কাব্য) ভালো লেগেছে। শাওন
ও দিবা চরিত্রে নিশো
এবং মেহজাবীন দুজনই ভালো ছিলেন। স্ক্রিনে
তাদের উপস্থাপন বরাবরের মতই মুগ্ধ করেছে।
ভালো লেগেছে তাদের রসায়ন। দুজনের খুনসুটি, মান-অভিমান, ভালোবাসা,
দু'জন দু'জনকে
আঁকড়ে ধরা; সবই ছিল
সুন্দর ও সাবলীল। এজন্য
চরিত্রের সাথে ভালোভাবে কানেক্ট
করতে পেরেছি। অন্যান্য যারা ছিলেন ভালোই
ছিলেন।
ওয়েব ফিল্মটির
সিনেমাটোগ্রাফি বেশ সুন্দর ছিল।
বিজিএমও ভালো লেগেছে, তবে
আরেকটু ভালো হতে পারতো।
সমুদ্রের যে নীল রূপ
তুলে ধরা হয়েছে তাও
সুন্দর। তবে চিত্রনাট্য আরও
একটু ভালো করা যেত।
যেহেতু ওয়েব ফিল্ম তাই
রানটাইম একটু বাড়িয়ে চরিত্রের
আরও কিছু গভীরতা আনা
যেত। কিন্তু পরিচিত গল্প আর স্বপ্ন
জয়ের মাঝে যা দেখানো
হয়েছে তা খারাপ লাগেনি।
সবমিলিয়ে ভালোই ছিল। কেননা এমন
মধ্যবিত্তদের গল্প আজকাল যেন
তুলে ধরাই হয় না। বলা
হয় না তাদের দুঃখ-বেদনার গল্পগুলো।
তাই চাইলে আইস্ক্রিন ওটিটি প্ল্যাটফর্ম থেকে দেখে নিতে
পারেন ওয়েব ফিল্মটি।
পরিশেষে
বলতে হয়, আমরা স্বপ্নের
মাঝেই বেঁচে থাকি। স্বপ্ন আমাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যায়। আমরা
যদি স্বপ্ন না দেখতাম তাহলে
আমাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা কিংবা
চাহিদা বলতে কিছুই থাকতো
না। তাই তো স্বপ্ন
যখন বাস্তবে পরিণত হয় তখন যেন
নিজেকেই পৃথিবীর
সবচেয়ে সুখী মানুষ মনে
হয়। শিহাব শাহীনের এই ওয়েব ফিল্মে
এমন এক স্বপ্ন এবং
এর বাস্তবায়ন সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয়েছে।
এর মাঝে মধ্যবিত্ত ফ্যামিলির
দৈনন্দিন কার্যক্রম প্রকাশ পেয়েছে। স্বপ্নকে একপাশে রেখে টানাপোড়েনের গল্পও
দেখানো হয়েছে।
নীল জলের কাব্য আফরান নিশো মেহজাবীন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের
সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির
নেতৃবৃন্দ। নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বে তারা গেল
শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা
নিবেদন করেন।
এ সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সহসভাপতি
ডিএ তায়েব, সহসাধারণ সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক আলেকজান্ডার বো, দপ্তর
ও প্রচার সম্পাদক জ্যাকি আলমগীর, কোষাধ্যক্ষ কমল, কার্যনির্বাহী সদস্য সুচরিতা, রোজিনা,
আলীরাজ, সুব্রত, দিলারা ইয়াসমিন, শাহনূর, নানা শাহ, চুন্নু ও সনি রহমান উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন, চিত্রনায়িকা
রুমানা ইসলাম মুক্তি, নাহিদা আশরাফ আন্না, ডি জে সোহেলসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট অনেকেই
উপস্থিত ছিলেন।
গত ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন হয়। মিশা
সওদাগর পেয়েছেন ২৬৫ ভোট এবং ২২৫ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন মনোয়ার হোসেন
ডিপজল।
মন্তব্য করুন
ঈদ উপলক্ষে বরাবরই তারকাদের নিয়ে আড্ডার আয়োজন
করে বেসরকারি টেলিভিশনগুলো। বিভিন্ন ব্যান্ডের ফটোশুটে প্রায় তাদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়া
যায় ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস ও তরুন নায়ক ইমন খান কে। কাজের সূত্র ধরেই দুই তারকার
বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। বন্ধুত্বের জায়গা থেকেই এবারে ইমন অপু বিশ্বাসকে ঢালিউডের ‘গসিপ
কুইন’ বলেন।
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে
হাজির হয়েছিলেন ইমন। ওই অনুষ্ঠানে ‘জানতে চাই’ নামের একটি অংশ নায়কের কাছে উপস্থাপক
জানতে চান ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ কে। এমন প্রশ্নের জবাবে অবলীলায় ইমন অপু
বিশ্বাসের কথাবলেন।
ইমন একটু হেসেই বলেন, অপু
বিশ্বাসের কাছে ঢালিউডের সব খবর থাকে। মানে অপু বিশ্বাসকে সবাই বলে
নায়ক মান্না ভাই। আগে মান্না ভাইয়ের কাছে সব ধরনের খবর থাকত। এখন থাকে তার কাছে। সে
জানে ইন্ডাস্ট্রিতে কোথায় কী হচ্ছে। এমনকি সে খুব সঠিক তথ্যও দিয়ে দেয়।
ব্যক্তি জীবনের নানান বিষয় নিয়ে আলোচনায় থাকেন অপু বিশ্বাস। ঢাকাই সিনেমার নায়ক শাকিব খানের সঙ্গে বিয়ে এবং বিচ্ছেদ নিয়েই বেশি আলোচনা চলে এই অভিনেত্রীকে নিয়ে। বর্তমানে নিজের ব্যবসা নিয়েও ব্যস্ত সময় পার করছেন অভিনেত্রী।
অপু বিশ্বাস ঢালিউড ‘গসিপ কুইন’ ইমন খান
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পিয়া জান্নাতুল
মন্তব্য করুন
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত কমিটির নেতৃবৃন্দ। নবনির্বাচিত সভাপতি মিশা সওদাগর ও মনোয়ার হোসেন ডিপজলের নেতৃত্বে তারা গেল শনিবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে জাতির পিতার সমাধিসৌধ বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
ঈদ উপলক্ষে বরাবরই তারকাদের নিয়ে আড্ডার আয়োজন করে বেসরকারি টেলিভিশনগুলো। বিভিন্ন ব্যান্ডের ফটোশুটে প্রায় তাদের একসঙ্গে দেখতে পাওয়া যায় ঢালিউড কুইন অপু বিশ্বাস ও তরুন নায়ক ইমন খান কে। কাজের সূত্র ধরেই দুই তারকার বন্ধুত্ব গাঢ় হয়েছে। বন্ধুত্বের জায়গা থেকেই এবারে ইমন অপু বিশ্বাসকে ঢালিউডের ‘গসিপ কুইন’ বলেন।
সম্প্রতি আইনজীবীর পোশাকে পিয়া জান্নাতুল এর একটি ভিডিও ক্লিপ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, হবিগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন একটি বিষয় নিয়ে কথা বলছেন। আর তার ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে সেই কথা শুনে লাবণ্যময়ী হাসি দিচ্ছেন মডেল, অভিনেত্রী ও আইনজীবী পিয়া জান্নাতুল। ব্যস্, এই হাসিতেই ঘায়েল নেটিজেনরা। বিভিন্ন গানের সঙ্গে ভিডিওটি জুড়ে দিয়ে তৈরি হচ্ছে রিলস ও মিম।