কালার ইনসাইড

মালদ্বীপে ভারতীয় সিনেমার শুটিংয়ে বারণ, চলছে মালদ্বীপ বয়কটের ট্রেন্ড

প্রকাশ: ০৯:৫৮ পিএম, ১৫ জানুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

পুরো ভারতজুড়ে মালদ্বীপ বয়কটের ডাক উঠেছে। রাজনীতিবীদ থেকে তারকা মুখ- এমনকি ভারতের সাধারণ মানুষও মালদ্বীপ বর্জনের ডাকে সুর মিলিয়েছেন। সবাই বলছেন, মালদ্বীপ নয়, ভারতীয়দের গন্তব্য হোক লাক্ষাদ্বীপ! বলিউড তারকা থেকে ক্রিকেট তারকাদের অনেকেই এ বিষয়ে সহমত প্রকাশ করেছেন।

সম্প্রতি, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উদ্দেশে মালদ্বীপের মন্ত্রীদের করা অবমাননাকর মন্তব্যের কারণে পুরো ভারতে চলছে ‘বয়কট মালদ্বীপ’ ট্রেন্ড।

মালদ্বীপকে ‘শিক্ষা’ দিতে ভারতের চলচ্চিত্রশিল্পের ওপর নতুন চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে। নিদান এসেছে ভারত মহাসাগরের এই অনিন্দ্যসুন্দর দ্বীপমালায় হিন্দি সিনেমার শুটিং না করার।

মুম্বাইয়ের ‘অল ইন্ডিয়া সিনে ওয়ার্কার্স অ্যাসোসিয়েশন’ (এআইসিডব্লিউএ) বলেছে, সিনেমার শুটিং করতে কিংবা নিছক ছুটি কাটাতে কেউ যেন আর মালদ্বীপে না যান।

সংগঠনের সভাপতি সুরেশ শ্যামলাল গতকাল রোববার এক ভিডিও বার্তায় ওই অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, দেশে ওই রকম বহু দ্বীপ রয়েছে। সেদিকে তাকান। মালদ্বীপে যাওয়ার প্রয়োজন নেই।

সুরেশ শ্যামলালের বিবৃতি জারি হয় গতকাল মালদ্বীপের রাজধানী মালেতে ভারত–মালদ্বীপের উচ্চপর্যায়ের কোর গ্রুপের বৈঠকের পর। ওই বৈঠকেই মালদ্বীপের তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, আগামী ১৫ মার্চের মধ্যে সে দেশে থাকা ৮৮ ভারতীয় প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যকে ভারতে ফিরিয়ে নিতে হবে।

লক্ষণীয়, ওই বৈঠকের পর মালদ্বীপের পক্ষ থেকে সেনা অপসারণের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানিয়ে দেওয়া হলেও বৈঠক নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি প্রচার করেছে, তাতে তার উল্লেখই করা হয়নি।

বিবৃতিতে ভারত বলেছে, মালদ্বীপের মানুষের কাছে মানবিক সাহায্য পৌঁছে দিতে ভারতীয় বিমানগুলোর কাজ যাতে অব্যাহত থাকে, সে জন্য দুই দেশ গ্রহণযোগ্য সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। দুই দেশের পরবর্তী বৈঠকের দিন পারস্পরিক সুবিধামতো ঠিক করা হবে।

শুটিংয়ের জন্য মালদ্বীপে না যেতে সুরেশ শ্যামলালের নিদানের কারণ যে সেনা প্রত্যাহারে সে দেশের চাপ, সেটি তার বিবৃতিতেই স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, ‘১৫ মার্চের মধ্যে ভারতকে সেনা ফিরিয়ে নিয়ে যেতে বলেছে মালদ্বীপ। কয়েক দিন আগে সে দেশের কয়েক মন্ত্রী আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে ‘কটূক্তি’ করেছিলেন।’

লাক্ষা দ্বীপে নরেন্দ্র মোদির সফর এবং সেখানে দেশের মানুষকে লাক্ষা দ্বীপ ভ্রমণ করতে তিনি আহ্বান জানানোর পর মালদ্বীপের তিন মন্ত্রী তাকে নিয়ে মন্তব্য করেন। এর পর থেকে মালদ্বীপকে বর্জন করার একটা ঝোঁক ভারতে শুরু হয়েছে।

সুরেশ শ্যামলাল বলেন, ‘সংগঠনের সভাপতি হিসেবে দেশের বলিউড, টালিউড, কলিউডসহ ভারতের সব জায়গার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ও অভিনেতা–অভিনেত্রীদের সবার কাছে আমার আবেদন, কেউ যেন ওই দেশে সিনেমার শুটিং করতে বা ছুটি কাটাতে না যান। সামাজিক মাধ্যমেও মালদ্বীপসংক্রান্ত কিছু রাখবেন না। আমাদের দেশে অনেক দ্বীপ রয়েছে। দয়া করে সেগুলোকে তুলে ধরুন।’

এই অনুরোধের পরই শ্যামলালের হুমকি, ‘দেশের বিরুদ্ধে যাঁরা যাবেন, আমরা তাঁদের বিরুদ্ধে যাব। আমরা অনেক কিছুই সহ্য করতে পারি। কিন্তু দেশের বিরুদ্ধে কিছু সহ্য করব না। এই সন্ধিক্ষণে আমাদের সবাইকে দেশ ও প্রধানমন্ত্রীর পাশে থাকতে হবে।’

মালদ্বীপের অর্থনীতি প্রধানত পর্যটনের ওপর নির্ভরশীল। কোভিড–১৯ অতিমারির সময় পর্যটকের সংখ্যা মারাত্মক হ্রাস পাওয়ায় সে দেশের অর্থনীতি বিপর্যস্ত হওয়ার মুখে দাঁড়িয়েছিল। পর্যটনের পরই রয়েছে মাছ রপ্তানি ও জাহাজ তৈরির ব্যবসা। চীনপন্থী প্রেসিডেন্ট মোহামেদ মুইজ্জু নির্বাচিত হওয়ার পর ভারতের সঙ্গে মালদ্বীপের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের দ্রুত অবনতি ঘটেছে।

মুইজ্জুর নির্বাচনী স্লোগান ছিল ‘আউট ইন্ডিয়া’। সেই প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করতে তাঁরা সে দেশে অবস্থিত ৮৮ ভারতীয় ফৌজকে ফেরত চলে যেতে বলেছেন। সে দেশের আগের সরকারের নীতি ছিল ভারতপন্থী। তাদের সঙ্গে চুক্তির কারণেই ওই সেনারা সে দেশে রয়েছেন। মালদ্বীপকে দেওয়া ভারতীয় ছোট বিমান ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে উদ্ধারকাজ ও পণ্য সরবরাহে সাহায্য করা তাঁদের কাজ।

ভারতের বিরোধিতা মুইজ্জু যত করছেন, ততই তিনি নিজেকে চীনের দিকে টেনে নিচ্ছেন। সম্প্রতি পাঁচ দিনের চীন সফরকালে সে দেশের প্রেসিডেন্টকে তিনি সে দেশ থেকে আরও বেশি করে পর্যটক পাঠাতে অনুরোধ করেছিলেন। চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংও তাঁকে জানিয়েছেন, মালদ্বীপের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় তাঁরা তাঁদের পাশে থাকবেন।

স্পষ্টতই ভারতের ‘উগ্র জাতীয়তাবাদী’ মহল শক্তিহীন মালদ্বীপকে ‘ভাতে মারার’ নীতি নিয়েছে। ২০২০ সালে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান সংঘর্ষের পর বিস্তীর্ণ ভারতীয় ভূখণ্ড চীন দখল করে নেওয়ার পর রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ চীনের প্রতিও এই নীতি গ্রহণ করতে চেয়েছিল। সে সময় ‘চীন বর্জন’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছিল।

তবে চীনের হুমকিতে তা কার্যকর করা যায়নি। বরং ভারতীয় অর্থনীতির অতিমাত্রায় চীননির্ভরতা বেড়েই চলেছে। এখন দেখার বিষয় ‘মালদ্বীপ বর্জন’ কত দূর এগোয়।


মালদ্বীপ   ভারত   বলিউড   সিনেমা শুটিং  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ: চিত্রনায়িকা অপু

প্রকাশ: ০৬:১৭ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস ও শবনম বুবলীর সঙ্গে ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খান দাম্পত্য সম্পর্কের ইতি টেনেছেন অনেক আগেই। তবে এখনও মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন মিডিয়ায় শাকিবের সঙ্গে তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন দুই নায়িকাই।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শাকিবের সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের অনেক খুঁটিনাটি ফাঁস করেছেন বুবলী। যা নিয়ে বর্তমানে দর্শকমহলে বেশ আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিচ্ছে। বিষয়টি নিয়ে এবার কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।

সাক্ষাৎকারে বুবলী বলেছিলেন, ‘আইনগতভাবে আমি এখনও শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী।’ আবার বলছেন, ‘আমি শাকিবের সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।’

সম্প্রতি একটি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে বুবলীর সেসব কথার প্রেক্ষিতে কথা বলেছেন অপু বিশ্বাস।

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

অপু বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেওয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’

অপু আরো বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগে আপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না। এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’

বুবলীকে ইঙ্গিত করে নাম প্রকাশ না করে অপু আরও বলেন, ‘এখন আমরা একটা জায়গায় চলে এসেছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখতে হবে। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি উনাকে সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   ঢালিউড   সুপারস্টার শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুক্তির আগেই ইতিহাস গড়ল ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’!

প্রকাশ: ০৪:০৫ পিএম, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের স্বাধীনতা দিবসে বড়সড় ধামাকা আসতে চলেছে। মুক্তি পেতে যাচ্ছে ‘পুষ্পা: দ্য রুল’। মুক্তির চার মাস আগে থেকেই এই সিনেমা শোরগোল ফেলে দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রচার শুরু হয়নি সিনেমার। তা সত্ত্বেও, খবরের শিরোনাম দখল করে নিচ্ছে ‘পুষ্পা’। কেন জানেন? 

শোনা যাচ্ছে, প্রচারের আগে, মুক্তির অনেক আগেই ১০০০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে এই সিনেমা। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এমন ঘটনা এটিই প্রথম। অনন্য নজিরটি গড়ল আল্লু অর্জুন অভিনীত এই সিনেমা।

১৯৭২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত শক্তি সামন্ত পরিচালিত ‘অমর প্রেম’ সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুরের কান্না দেখে রাজেশ খান্না বলেছিলেন ‘পুষ্পা, আই হেট টিয়ার্স’। কাট টু, ২০২১ সালে, ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’ সিনেমায় দক্ষিণের সুপারস্টার আল্লু অর্জুন বললেন, ‘পুষ্পা, ম্যায় ঝুঁকে গা নেহি সালা…’। 

পুষ্পাকে কেন্দ্র করে দুই সংলাপে আকাশ-পাতালের তফাত। তফাত সোয়্যাগে। এক পুষ্পা (‘অমর প্রেম’ সিনেমায় শর্মিলা ঠাকুর অভিনীত চরিত্রের নাম ছিল পুষ্পা) কান্নাকাটি করে ভাসায়। ১৯৭২ সাল থেকে দর্শকের মনে বদ্ধমূলভাবে গেঁথে গিয়েছে– ফুলের মতো নাজুক পুষ্পারা কেবল কাঁদতেই পারে। ফোঁস করতে পারেন না। 

২০২১ সালে আল্লু অর্জুন প্রথম দেখালেন, পুষ্পাদের কাঁটাও আছে। ফোঁস করতেও পারে। পুষ্পার নতুন সংজ্ঞা তৈরি করলেন এই বলে যে, সে মাথা নোয়াতে রাজি নয়, ‘পুষ্পা ঝুঁকে গা নেহি!’ সোয়্যাগে পরিপূর্ণ ডায়ালগ ডেলিভারি, থুতনির নিচ দিয়ে আঙুলগুলো কায়দা করে নিতে-নিতে পুষ্পা বলে ‘ঝুঁকে গা নেহি সালা’!

এই সিনেমায় অভিনয় করে প্রকৃত অর্থেই শোরগোল ফেলে দিলেন দক্ষিণ ভারতীয় তারকা আল্লু অর্জুন। যিনি অতীতে কেবল নিজের ঘরের মাঠেই গোল দিয়েছেন। কখনও ‘দেসামুদুরু’, কখনও ‘পারুগু’ তো কখনও ‘ইয়েভাদু’ সিনেমায়। রাতারাতি প্যান ইন্ডিয়া স্টারের তকমা পেয়ে গেলেন আল্লু। হয়ে উঠলেন গোটা দেশের ঘরের ছেলে।

গ্ল্যামারের মোড়ক থেকে আগাগোড়া বেরিয়ে, রোদে পোড়া চেহারা নিয়ে ক্যামেরার সামনে এসে দাঁড়ালেন পুষ্পারূপী আল্লু অর্জুন। পাখির চোখ করলেন গোটা দেশের দর্শককে। ‘মহাভারত’ মহাকাব্যের বীরের মতো লক্ষ্যভ্রষ্ট ছিলেন না বলেই পুষ্পার সিক্যুয়েল নিয়ে এখন থেকেই এত হাঙ্গামা শুরু হয়ে গেছে।


ইতিহাস   ‘পুষ্পা: দ্য রাইজ’   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বুবলীর উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার, বললেন অপু বিশ্বাস

প্রকাশ: ০৬:১৮ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ঢালিউড প্রাঙ্গণের সুপারস্টার খ্যাত শাকিব খানের সাথে শবনম বুবলী ও অপু বিশ্বাসের গভীর সম্পর্কের কথা এখন সবার মুখে মুখে। দুজনই ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের সাবেক ঘরনি ও অভিনেতার দুই সন্তানের মা। ভিন্ন মেরুতে অবস্থান করলেও মাঝেমধ্যেই অপু-শাকিব-বুবলী এই ত্রয়ীর সমীকরণ নিয়ে চর্চা উঠে আসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। খবরের শিরোনাম হন তারা।
 
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে শাকিব খানের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা বলেছেন বুবলী।  বলছেন, 'আইনগতভাবে আমি এখনো শাকিব খানের বৈধ স্ত্রী। তার সঙ্গে কোয়ালিটি টাইম পার করি, আমাদের সন্তান অনেক সময় সে সুযোগটাও করে দেয়।'

বুবলীর বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে হেসে দেন অপু বিশ্বাস। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, ‘শাকিবকে নিয়ে তার এত এত মন্তব্যে আমি ভাষা হারাচ্ছি, আবেগাপ্লুত হচ্ছি। আমি কী বলব, বুঝতে পারছি না।’

সম্প্রতি গণমাধ্যমে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আমি একজন নারী হিসেবে বলব, উনি যথার্থ সম্মানীয় মানুষ। প্রতিটি মানুষের তার নিজের কাছে সম্মানের জায়গা খোঁজেন। তিনিও এতটা সময় ধরে তার ক্যারিয়ারের ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন। তবে আমার মনে হয় নিজের প্রচারের স্বার্থে অন্যকে ব্যবহার করে নিজের ব্যক্তিত্ব বিলিয়ে দেয়াটা বুদ্ধিমানের লক্ষণ নয়। আর যদি এটাই সে মনে করে, তাহলে তার উপযুক্ত চিকিৎসার দরকার।’
 
তিনি আরও বলেন, ‘এই যে উনি শাকিবের একের পর এক হাঁড়ির খবর দিচ্ছেন, কিন্তু আমি কোনো হাঁড়ি খুঁজে পাচ্ছি না। কিন্তু মজার মজার খবর পাচ্ছি তার মুখ থেকে। এ ব্যাপারে আর কি-ই-বা বলব। ওনার মনে হয় ডাক্তার দেখানো উচিত।’
 
সবশেষে অপু বলেন, ‘এখন আমরা একটা পর্যায়ে আছি। আমাদের কথাবার্তা যেন যথাযথ হয়, খেয়াল রাখা উচিত। এখন এসব কথা হাস্যকর মনে হয়। অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। আমি মনে করি ওনার সুস্থ থাকা দরকার।’


অপু বিশ্বাস   শবনম বুবলী   শাকিব খান  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

তামান্না ভাটিয়াকে ভারতীয় সাইবার সেলে তলব

প্রকাশ: ০৪:০৪ পিএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রির আলোচিত অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া এখন বলিউডেরও পরিচিত মুখ। বেশ দাপুটের সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। ক্যারিয়ারে দুর্দান্ত সময় পার করছেন। কিন্তু এরই মধ্যে বিপাকে পড়লেন এ তারকা। তাকে তলব করেছে ভারতের মহারাষ্ট্র সাইবার সেল।

ভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সাইবার সেলের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, মহাদেব অনলাইন গেমিং এবং বেটিং অ্যাপ্লিকেশনের একটি সহায়ক অ্যাপে আইপিএল ম্যাচ দেখার জন্য কথিত প্রচারের জন্য তলব করা হয়েছে তামান্নাকে।

দক্ষিণী এই নায়িকাকে আগামী ২৯ এপ্রিল মহারাষ্ট্র সাইবার সেলে হাজির হওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সেখাতে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

এর আগে, গত বছরও কিছু আইপিএল ম্যাচ অ্যাপে অবৈধভাবে স্ট্রিম করা হয়েছিল। এ ব্যাপারে একটি অভিযোগও রয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সেই মামলায় সাক্ষী হিসেবে তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ডাকা হয়েছে।

ইতোমধ্যে এ মামলায় মহারাষ্ট্র সাইবার সেল গায়ক বাদশা, অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত ও জ্যাকলিন ফার্নান্দেজের ম্যানেজারদের বক্তব্য নিয়েছে। আর মহাদেব অ্যাপটি অবৈথ অর্থ লেনদেন এবং বাজি ধরার জন্য বিভিন্ন তদন্ত সংস্থার মনিটরিংয়ে রয়েছে।

প্রসঙ্গত, তামান্না ভাটিয়া ‘বাহুবলী’ এবং নেটফ্লিক্স অ্যান্থলজি ‘লাস্ট স্টোরিজ-২’ এর জন্য দর্শকমহলে বহুল পরিচিত।


তামান্না ভাটিয়া   ভারতীয় সাইবার সেল   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বাংলাদেশের 'নীল জোছনা' সিনেমায় পাওলি দাম

প্রকাশ: ১০:২২ এএম, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের সরকারি অনুদানের 'নীল জোছনা' সিনেমায় অভিনয় করবেন ভারতের অভিনেত্রী পাওলি দাম। 

মোশতাক আহমেদের প্যারাসাইকোলজি বিষয়ক উপন্যাস 'নীল জোছনার জীবন' অবলম্বনে নির্মিত হবে সিনেমাটি।

সিনেমার প্রধান নারী চরিত্রে দেখা যাবে অভিনেত্রী পাওলি দামকে। তার বিপরীতে কে থাকছেন সেটা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। 

গত বুধবার (২৪ এপ্রিল) পাওলির সঙ্গে আনুষ্ঠানিক চুক্তি করেন নির্মাতা ফাখরুল আরেফীন খান।

তিনি বলেন, 'প্রায় ৬ বছর আগে 'নীল জোছনা' সিনেমার কাজ শুরু করেছিলাম। এরপর ২০১৯ সালে করোনা এবং আমার আরেকটি সিনেমার কারণে কাজটি বন্ধ ছিল।

এরপর আবার গত বছরের শুরু থেকে কাজ শুরু করি। সিনেমার দৃশ্যধারণ শুরু হবে মে মাসের শেষ দিকে।' 


পাওলি দাম   নীল জোছনা  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন