গত দুইদিন ধরে এফডিসিতে হয়েছে ‘রাজকুমার’ ছবির শুটিং। হিমেল আশরাফের ‘প্রিয়তমা’ ছবির সাফল্যের পর নির্মাণ করছেন ‘রাজকুমার’ সিনেমাটি। এরই মধ্যে বাংলাদেশের অংশের শুটিং প্রায় শেষের দিকে।
গেল
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি)
সকালে শুরু হয় শাকিব
খানের ‘রাজকুমার’ ছবির গানের শুটিং।
এফডিসির প্রশাসনিক
ভবনের সামনে দুদিন সময় নিয়ে তৈরি করা গানের শুটিং সেটটি গ্রামীণ মেলার আবহে তৈরি করা
হয়েছিল। এই গানে শাকিব
খানকে একেবারে ভিন্ন লুকে দেখা গেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে ঘুরছে সিনেমার শুটিংয়ের ছবি।
জানা
যায়, ‘স্বপন দেশের স্বপন নয়রে, এটাই জন্মভূমি আমার,
মনের দেশে সবাই রাজা,
আমি একাই রাজকুমার’ এমন
কথার গানটির শুটিংয়ে শাকিব খানের সঙ্গে তিন শতাধিক নৃত্যশিল্পী
অংশ নিয়েছেন।
‘রাজকুমার’
চলচ্চিত্রের এই গানের কথা
লিখেছেন ফেরারী ফরহাদ, সুর ও সংগীতায়োজন
করেছেন ইমন চৌধুরী। গ্রামীণ
মেলার পটভূমির গানটির কোরিওগ্রাফি করেছেন ভারতের অশোক রাজা। তিনি
এর আগেও শাকিব খানের
ছবির গানের কোরিওগ্রাফি করেছেন।
গেল
বছরের ১০ ডিসেম্বর পাবনায়
রাজকুমার ছবির শুটিং শুরু
হয়। এরপর চেন্নাইয়ে এক
দফা মারপিটের শুটিং হয়। ঢাকার শুটিং
শেষ করে আগামী ২
ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে শাকিব খানসহ
পুরো ইউনিট যাবেন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। বাকি অংশের শুটিং
সেখানেই হবে।
সিনেমাটির
গল্প সম্পর্কে হিমেল আশরাফ বলেন, ‘গল্পটা একটা ছেলের জীবনের
জার্নির গল্প। পাবনা থেকে আমেরিকায় যায়
শাকিব খান। আমরা সবাই
জানি, আমেরিকায় সবাই ভালো ও
উন্নত জীবনের জন্য যায়। কিন্তু
এই ছেলেটি সে কারণে আমেরিকা
যায় না। তার যাওয়ার
পেছনে অন্য একটা কারণ
থাকে। সে কিভাবে যায়,
কেন যেতে চায়? এসব
নিয়েই গল্পটা।’
‘রাজকুমার’ সিনেমাটিতে শাকিবের বিপরীতে দেখা যাবে মার্কিন অভিনেত্রী কোর্টনি কফিকে। এ ছাড়া ছবিটিতে রয়েছেন সুবর্ণা মুস্তাফা, আফজাল হোসেন, ফারুক আহমেদ, ডা. এজাজ, মুকিত জাকারিয়াসহ অনেকে। আগামী ঈদুল ফিতরে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।
এফডিসি শিল্পী ‘রাজকুমার’কোর্টনি কফি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন