সম্প্রতি মারা
গেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আহমেদ রুবেল। মৃত্যুর আগে একটি সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে
যোগ দেয়ার কথা ছিল তার।
তবে প্রয়াত অভিনেতা আহমেদ রুবেলের
সঙ্গে কাজের স্মৃতি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা
বলেছেন অভিনেত্রী সুষমা সরকার।
তিনি
বলেন, ‘আমি প্রদর্শনীতে এসে
নুরুল আলম আতিক ভাইকে
ফোন দেই। তখন আমি
তাকে বলি আপনি কই?
আতিক ভাই বলেন আমি
একটু হসপিটালে, রুবেল একটু অসুস্থ। তখন
আমি ভাবলাম আমরা তো অনেক
রাত জাগি, আমাদের লাইফস্টাইলটাই এমন। আমরা চাইলেও
নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে চলতে
পারি না। আমি ভেবেছি
তিনি হয়তো একটু স্ট্রেসের
মধ্যে আছে, হয়তো একটু
ঝামেলা গেছে-এমনই কিছু
ভেবেছিলাম।
আমি
যখন শো-তে এসেছি,
তখন খুব ভালো লাগছিল।
আমি জাস্ট উড়ছিলাম। কিন্তু যখন শুনলাম রুবেল
ভাই আর নাই, তখন
আমি কয়েক সেকেন্ড থমকে
গেছি। রুবেল ভাই নাই মানে
কী! পরে ঘটনাটি ব্যোম
বাস্টিংয়ের মতো ছড়িয়ে গেল
রুবেল ভাই আর নাই।
তখন
আমি বুঝতে পারছিলাম না যে কি
হতে যাচ্ছে, কী হবে। এখানে
এতোগুলো মানুষ এসেছে। তারপর আমি রুবেল ভাইকে
দেখতে ওখানে (হাসপাতাল) যাই। রুবেল ভাইকে
যখন দেখলাম, তখন মনে হলো
রুবেল ভাই ঘুমিয়ে আছেন।
এখন ডাকলেই মনে হয় রুবেল
ভাই উঠবেন।
রুবেল
ভাই একটু সময় পেলেই
সেটে ঘুমিয়ে যেতেন। রুবেল ভাই বলতেন আমি
একটু ঘুমাই। তারপর তাকে ডেকে বলতে
হতো রুবেল ভাই শট-শট’।
অভিনেত্রী
সুষমা সরকার আরও বলেন, যখন রুবেল ভাইয়ের
সঙ্গে আমার দেখা হয়,
তখন রুবেল ভাইকে আমি একটা কথাই
বলতাম-রুবেল ভাই এতো ভালো
কাজ করেন। এত ভালো একজন
অভিনেতা, এতো পাওয়ারফুল অভিনেতা
আপনি। আপনাকে পাই না কেন?
এত ভালো কাজ হচ্ছে
ওডিটিতে। এখনতো ওডিটি ভালো পারফর্মারদের খুঁজছে,
আপনাকে কেন পাই না।
তখন রুবেল ভাই একটা কথাই
বলেছিলেন যে, আমাকে তো
কেউ খোঁজে না।
প্রসঙ্গত,
অভিনেতা আহমেদ রুবেল কর্মজীবন শুরু করেন সেলিম
আল দীনের ‘ঢাকা থিয়েটার’ দলের
মাধ্যমে। পরবর্তীতে তিনি বাণিজ্যিক সিনেমাসহ
মোট ছয়টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তারপর তিনি চলচ্চিত্র শিল্প
ছেড়ে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করা শুরু করেন
এবং সফল হন। আহমেদ
রুবেল অভিনীত প্রথম নাটক গিয়াস উদ্দিন
সেলিমের ‘স্বপ্নযাত্রা’।
এরপর
তিনি হুমায়ূন আহমেদের ইদ নাটক ‘পোকা’-তে অভিনয় করেন,
যেখানে তার অভিনীত ‘গোরা
মজিদ’ চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।
এরপর
একুশে টেলিভিশনের ধারবাহিক নাটক ‘প্রেত’-এ অভিনয় করেন।
‘প্রেত’ নাটকটি মুহম্মদ জাফর ইকবালের একই
নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। এর পরিচালক আহির
আলম। এ ছাড়া তিনি
হুমায়ূন আহমেদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘শ্যামল ছায়া’ সিনেমায় অভিনয় করেন।
মঞ্চ
ও ছোট পর্দার অভিনেতা
আহমেদ রুবেল ১৯৯৩ সালে ‘আখেরী
হামলা’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় (চলচ্চিত্রে) পা রাখেন। পরে
তিনি অভিনয় করেছেন ‘চন্দ্রকথা’, ‘ব্যাচেলর’, ‘গেরিলা’ ও ‘দ্য লাস্ট
ঠাকুর’ সিনেমায়।
অভিনেতা আহমেদ রুবেল ১৯৬৮ সালের ৩ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আয়েশ উদ্দিন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ইসলামপুর মহল্লায় তার মাতুলালয় (নানির বাড়ি)। পিতা-মাতার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে হলেও ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছেন ঢাকা শহরে, বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে ঢাকার গাজীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।
মন্তব্য করুন
টালিউডের পরিচালক সৃজিত মুখার্জি এর হাত ধরে বলিউডে আসছে শার্লক হোমস! যদিও খবরটি খুব নতুন নয়।
সম্প্রতি সৃজিত সামাজিক মাধ্যমে কিছু ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানেই দেখা যায়, কয়েকটি ব্লক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে শার্লক হোমসের ছবি। মাথায় টুপি, সন্দেহজনক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন শার্লক হোমস; যেখানে এই আইকনিক গোয়েন্দার চরিত্রে অভিনয় করছেন কে কে মেনন।
সৃজিত এই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সব ছবিগুলোকে একসঙ্গে জুড়ে ফেলুন আর আপনি বুঝতে পারবেন, একমাত্র এই মানুষটাই সমস্ত রহস্যের সমাধান করতে পারেন।’
এটিই সৃজিতের শার্লক হোমসের প্রথম ঝলক বলা যেতে পারে। ছবিতে কে কে মেননকে দেখা যাবে প্রধান চরিত্রে, শার্লক হোমস হিসেবে। এছাড়া শার্লকের বন্ধু ওয়াটসনের ভূমিকায় থাকছেন রণবীর শোরে। স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত এই ছবিটি মুক্তি পাবে জিও সিনেমাতে।
অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে তারা অধীর আগ্রহে এই ছবির জন্য অপেক্ষা করছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পরিচালক গত বছর থেকেই শ্যুটিং শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি সৃজিত ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ নামের ছবির শ্যুটিং শেষ করেছেন। ‘এক রুকা হুয়া ফয়সালা’ নামের একটি নাটক থেকে চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এই ছবিটির। প্রযোজনায় রয়েছে এসভিএফ। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন কৌশিক গাঙ্গুলি ও পরমব্রত চ্যাটার্জি।
শার্লক হোমস সৃজিত মুখার্জি কে কে মেনন
মন্তব্য করুন
চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারাহ খান এবং সাজিদ খানের মা মেনকা ইরানি ৭৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। মেনকা ইরানি ছিলেন ডেইজি ইরানি এবং হানি ইরানির বোন। তিনি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সেলিম খানের ‘বচপন’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তবে তিনি বেশিদিন পর্দায় ছিলেন না, কারণ খুব অল্প বয়সেই তার বিয়ে হয়।
মায়ের জন্মদিনে ফারাহ খান ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করে লিখেছিলেন, "আমরা সবাই নিজেদের মাকে অনেক সময় টেকেন ফর গ্রান্টেড নিয়ে ফেলি, বিশেষ করে আমি। গত মাসে আমি বুঝতে পেরেছি মা মেনকাকে আমি কতটা ভালোবাসি। আমার দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সাহসী ব্যক্তি। এতগুলো অপারেশন করার পরেও তার সেন্স অফ হিউমার অটুট ছিল। শুভ জন্মদিন মা! আজ বাড়ি ফিরে আসার (হাসপাতাল থেকে) জন্য একটি ভালো দিন। আমার সঙ্গে আবার লড়াই শুরু করার জন্য তুমি যথেষ্ট শক্তিশালী। আমি জানি তুমি পারবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি। আমি তোমাকে ভালোবাসি।"
তবে, জন্মদিনের দুই সপ্তাহ পরেই মেনকা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ইনস্টাগ্রামে পাপারাজ্জির অ্যাকাউন্ট ভাইরাল ভয়ানি ফারাহ খানের মায়ের মৃত্যুর খবর শেয়ার করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, "ফারাহ খান এবং তার ভাই সাজিদ খান এবং তাদের আশেপাশের সবার জন্য জীবন আর একই রকম থাকবে না। তাদের মা স্বর্গীয় আবাসের জন্য যাত্রা করেছেন, এমন একটি শূন্যতা রেখে গেছেন যা কেউ পূরণ করতে পারবে না। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।"
ফারাহ খান মেনকা ইরানি মৃত্যুবরণ বলিউড
মন্তব্য করুন
বলিউডের বাতাসে বিচ্ছেদের সুর যেন অবিরাম বেজে চলেছে, একের পর এক জনপ্রিয় জুটির জীবনে। বর্তমানে বলিউড তারকা অর্জুন কাপুর-মালাইকা অরোরা, হার্দিক পান্ডে-নাতাশা স্তানকোভিচ, এবং ঐশ্বরিয়া রায়-অভিষেক বচ্চনের জীবনে বিচ্ছেদের সুর শোনা যাচ্ছে। এবার সেই সুর যেন ছুঁয়েছে বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার জীবনেও। ইনস্টাগ্রামে তার একটি রহস্যময় পোস্টকে কেন্দ্র করে এমন গুঞ্জন চলছে নেটিজেনদের মধ্যে।
চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারাহ খান এবং সাজিদ খানের মা মেনকা ইরানি ৭৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। মেনকা ইরানি ছিলেন ডেইজি ইরানি এবং হানি ইরানির বোন। তিনি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সেলিম খানের ‘বচপন’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তবে তিনি বেশিদিন পর্দায় ছিলেন না, কারণ খুব অল্প বয়সেই তার বিয়ে হয়।