কালার ইনসাইড

রুবেল ভাইকে দেখে মনে হয় ঘুমিয়ে আছেন : সুষমা সরকার

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ১১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি মারা গেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা আহমেদ রুবেল। মৃত্যুর আগে একটি সিনেমার বিশেষ প্রদর্শনীতে যোগ দেয়ার কথা ছিল তার। তবে প্রয়াত অভিনেতা আহমেদ রুবেলের সঙ্গে কাজের স্মৃতি নিয়ে গণমাধ্যমে কথা বলেছেন অভিনেত্রী সুষমা সরকার।

তিনি বলেন, ‘আমি প্রদর্শনীতে এসে নুরুল আলম আতিক ভাইকে ফোন দেই। তখন আমি তাকে বলি আপনি কই? আতিক ভাই বলেন আমি একটু হসপিটালে, রুবেল একটু অসুস্থ। তখন আমি ভাবলাম আমরা তো অনেক রাত জাগি, আমাদের লাইফস্টাইলটাই এমন। আমরা চাইলেও নিয়মানুবর্তিতার মধ্য দিয়ে চলতে পারি না। আমি ভেবেছি তিনি হয়তো একটু স্ট্রেসের মধ্যে আছে, হয়তো একটু ঝামেলা গেছে-এমনই কিছু ভেবেছিলাম। 

আমি যখন শো-তে এসেছি, তখন খুব ভালো লাগছিল। আমি জাস্ট উড়ছিলাম। কিন্তু যখন শুনলাম রুবেল ভাই আর নাই, তখন আমি কয়েক সেকেন্ড থমকে গেছি। রুবেল ভাই নাই মানে কী! পরে ঘটনাটি ব্যোম বাস্টিংয়ের মতো ছড়িয়ে গেল রুবেল ভাই আর নাই।

তখন আমি বুঝতে পারছিলাম না যে কি হতে যাচ্ছে, কী হবে। এখানে এতোগুলো মানুষ এসেছে। তারপর আমি রুবেল ভাইকে দেখতে ওখানে (হাসপাতাল) যাই। রুবেল ভাইকে যখন দেখলাম, তখন মনে হলো রুবেল ভাই ঘুমিয়ে আছেন। এখন ডাকলেই মনে হয় রুবেল ভাই উঠবেন। 

রুবেল ভাই একটু সময় পেলেই সেটে ঘুমিয়ে যেতেন। রুবেল ভাই বলতেন আমি একটু ঘুমাই। তারপর তাকে ডেকে বলতে হতো রুবেল ভাই শট-শট’।  

অভিনেত্রী সুষমা সরকার আরও বলেন, যখন রুবেল ভাইয়ের সঙ্গে আমার দেখা হয়, তখন রুবেল ভাইকে আমি একটা কথাই বলতাম-রুবেল ভাই এতো ভালো কাজ করেন। এত ভালো একজন অভিনেতা, এতো পাওয়ারফুল অভিনেতা আপনি। আপনাকে পাই না কেন? এত ভালো কাজ হচ্ছে ওডিটিতে। এখনতো ওডিটি ভালো পারফর্মারদের খুঁজছে, আপনাকে কেন পাই না। তখন রুবেল ভাই একটা কথাই বলেছিলেন যে, আমাকে তো কেউ খোঁজে না।

প্রসঙ্গত, অভিনেতা আহমেদ রুবেল কর্মজীবন শুরু করেন সেলিম আল দীনের ‘ঢাকা থিয়েটার’ দলের মাধ্যমে। পরবর্তীতে তিনি বাণিজ্যিক সিনেমাসহ মোট ছয়টি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তারপর তিনি চলচ্চিত্র শিল্প ছেড়ে টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করা শুরু করেন এবং সফল হন। আহমেদ রুবেল অভিনীত প্রথম নাটক গিয়াস উদ্দিন সেলিমের ‘স্বপ্নযাত্রা’।

এরপর তিনি হুমায়ূন আহমেদের ইদ নাটক ‘পোকা’-তে অভিনয় করেন, যেখানে তার অভিনীত ‘গোরা মজিদ’ চরিত্রটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে।

এরপর একুশে টেলিভিশনের ধারবাহিক নাটক ‘প্রেত’-এ অভিনয় করেন। ‘প্রেত’ নাটকটি মুহম্মদ জাফর ইকবালের একই নামের উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত। এর পরিচালক আহির আলম। এ ছাড়া তিনি হুমায়ূন আহমেদের বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘শ্যামল ছায়া’ সিনেমায় অভিনয় করেন।

মঞ্চ ও ছোট পর্দার অভিনেতা আহমেদ রুবেল ১৯৯৩ সালে ‘আখেরী হামলা’ সিনেমার মাধ্যমে রুপালি পর্দায় (চলচ্চিত্রে) পা রাখেন। পরে তিনি অভিনয় করেছেন ‘চন্দ্রকথা’, ‘ব্যাচেলর’, ‘গেরিলা’ ও ‘দ্য লাস্ট ঠাকুর’ সিনেমায়।

অভিনেতা আহমেদ রুবেল ১৯৬৮ সালের ৩ মে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের রাজারামপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আয়েশ উদ্দিন। চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের ইসলামপুর মহল্লায় তার মাতুলালয় (নানির বাড়ি)। পিতা-মাতার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরে হলেও ছোটবেলা থেকেই বেড়ে উঠেছেন ঢাকা শহরে, বর্তমানে পরিবারের সঙ্গে ঢাকার গাজীপুরে স্থায়ীভাবে বসবাস করছিলেন।


আহমেদ রুবেল   সুষমা সরকার  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শেষ দেখায় সামিনা চৌধুরীকে যা বলেছিলেন শাফিন আহমেদ

প্রকাশ: ০২:৩৫ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় ব্যান্ডতারকা শাফিন আহমেদ ও সামিনা চৌধুরীর যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একই মঞ্চে গান গাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার পর শাফিন অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত তার গান গাওয়া হয়নি। অনুষ্ঠানের চার দিনের মাথায় সামিনা চৌধুরী জানতে পারেন যে শাফিন আহমেদ আর বেঁচে নেই।

মৃত্যুর তিন দিন আগে সামিনা চৌধুরী ও তার স্বামী ইজাজ খান স্বপন হাসপাতালে শাফিনকে দেখতে যান। তারা কিছু সময় শাফিনের পাশে কাটান এবং তার সঙ্গে কথা বলেন।

হাসপাতালের সেই দিনের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গিয়ে সামিনা চৌধুরী বলেন, “তিন দিন আগে কথা বলে, দেখে এলাম। বারবার আমাকে আর স্বপনকে থাকতে বলছিলেন।” শাফিন আহমেদ স্বপনকে বলেছিলেন, “আমাকে ছেড়ে যেয়ো না প্লিজ! আমার সঙ্গে গল্প করো। আমার অনেক ব্যথা হচ্ছে কোমরে। স্বপন, তোমাকে কিছু বলব, বসো।” শাফিনকে পানি খাওয়ান স্বপন। তারপর তাকে ঘুমের ওষুধ দেওয়া হয়। শাফিনের অবস্থা দেখে আয়োজকেরা তাদের চলে আসতে বলেন।

তিনি বলেন, “কী বলতে চেয়েছিলেন শাফিন ভাই, কে জানে। কোনো চাপা কষ্ট কি ছিল তার ভেতর? দেশের আরেকটি সম্পদ, আরেকটি মেধার বিয়োগ হলো। চোখে শুধু ভাসছে। তোমরা যেয়ো না প্লিজ...আমাকে আর পাবা না।”

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শাফিন আহমেদ স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন। তাকে তার বাবা সুরকার কমল দাশগুপ্তের কবরে সমাহিত করা হবে। পাশেই রয়েছে তার মা সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের কবর।

শাফিন আহমেদের গাওয়া তুমুল জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা...এ অন্তরে’, ‘ফিরিয়ে দাও হারানো প্রেম’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি।


শাফিন আহমেদ   সামিনা চৌধুরী   মৃত্যুবরণ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

সামনে এল সৃজিতের 'শার্লক হোমস' এর ফার্স্ট লুক

প্রকাশ: ০১:০৮ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

টালিউডের পরিচালক সৃজিত মুখার্জি এর হাত ধরে বলিউডে আসছে শার্লক হোমস! যদিও খবরটি খুব নতুন নয়। 

সম্প্রতি সৃজিত সামাজিক মাধ্যমে কিছু ভিডিও শেয়ার করেছেন। সেখানেই দেখা যায়, কয়েকটি ব্লক দিয়ে তৈরি করা হয়েছে শার্লক হোমসের ছবি। মাথায় টুপি, সন্দেহজনক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রয়েছেন শার্লক হোমস; যেখানে এই আইকনিক গোয়েন্দার চরিত্রে অভিনয় করছেন কে কে মেনন।

সৃজিত এই ছবি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেছেন, ‘সব ছবিগুলোকে একসঙ্গে জুড়ে ফেলুন আর আপনি বুঝতে পারবেন, একমাত্র এই মানুষটাই সমস্ত রহস্যের সমাধান করতে পারেন।’

এটিই সৃজিতের শার্লক হোমসের প্রথম ঝলক বলা যেতে পারে। ছবিতে কে কে মেননকে দেখা যাবে প্রধান চরিত্রে, শার্লক হোমস হিসেবে। এছাড়া শার্লকের বন্ধু ওয়াটসনের ভূমিকায় থাকছেন রণবীর শোরে। স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত এই ছবিটি মুক্তি পাবে জিও সিনেমাতে।

অনেকেই মন্তব্য করেছেন যে তারা অধীর আগ্রহে এই ছবির জন্য অপেক্ষা করছেন। ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, পরিচালক গত বছর থেকেই শ্যুটিং শুরু করেছেন।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি সৃজিত ‘সত্যি বলে সত্যি কিছু নেই’ নামের ছবির শ্যুটিং শেষ করেছেন। ‘এক রুকা হুয়া ফয়সালা’ নামের একটি নাটক থেকে চিত্রনাট্য তৈরি হয়েছে এই ছবিটির। প্রযোজনায় রয়েছে এসভিএফ। মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন কৌশিক গাঙ্গুলি ও পরমব্রত চ্যাটার্জি।


শার্লক হোমস   সৃজিত মুখার্জি   কে কে মেনন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

বিয়ের বছর না ঘুরতেই পরিণীতির রহস্যময় পোস্ট

প্রকাশ: ১২:৫০ পিএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বলিউডের বাতাসে বিচ্ছেদের সুর যেন অবিরাম বেজে চলেছে, একের পর এক জনপ্রিয় জুটির জীবনে। বর্তমানে বলিউড তারকা অর্জুন কাপুর-মালাইকা অরোরা, হার্দিক পান্ডে-নাতাশা স্তানকোভিচ, এবং ঐশ্বরিয়া রায়-অভিষেক বচ্চনের জীবনে বিচ্ছেদের সুর শোনা যাচ্ছে। এবার সেই সুর যেন ছুঁয়েছে বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার জীবনেও। ইনস্টাগ্রামে তার একটি রহস্যময় পোস্টকে কেন্দ্র করে এমন গুঞ্জন চলছে নেটিজেনদের মধ্যে।

বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) পরিণীতি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেন।

ওই পোস্টে পরিণীতি লেখেন, "এই মাসে আমি নিজের জীবনকে আরেকটু ভালোভাবে দেখার জন্য থেমেছি। আবারও বুঝতে পেরেছি, একজনের মানসিকতাই সবকিছু। অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। এ জন্য এক সেকেন্ডও নষ্ট করবেন না।"

পরিণীতি আরও লেখেন, "সময় কিন্তু বয়ে চলেছে। প্রতিটি মুহূর্ত কীভাবে কাটাবেন, তা আপনার উপরেই নির্ভর করছে। অন্য কারো জন্য বাঁচা বন্ধ করুন। নিজের মানসিকতার সঙ্গে মেলে, এমন মানুষ খুঁজে নিন। বিষাক্ত মানুষদের জীবন থেকে ছেঁটে ফেলতে ভয় পাবেন না।"

তিনি আরও যোগ করেন, "অন্যরা কী ভাবছেন, তা নিয়ে ভাবা বন্ধ করুন। পরিস্থিতিতে আপনার প্রতিক্রিয়া বদলান। জীবনে সময় সীমিত, তাই নিজে যেমন চান, তেমনভাবেই বাঁচুন।"

পরিণীতির এই হঠাৎ পোস্টে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার ভক্তরা। অনেকেই জানতে চেয়েছেন, "সব ঠিক আছে তো? আমরা সব সময় আপনার পাশে আছি।" যদিও তিনি কাকে নিয়ে পোস্টটি করেছেন তা প্রকাশ করেননি। প্রসঙ্গত, ২০২৩-এর সেপ্টেম্বরে আম আদমি পার্টির নেতা রাঘব চড্ডাকে বিয়ে করেন পরিণীতি। বর্তমানে তিনি যুক্তরাজ্যে স্বামীর সঙ্গেই অবকাশ যাপন করছেন। আর এমন সময়েই হঠাৎ এমন রহস্যময় পোস্ট শেয়ার করেছেন তিনি।


পরিণীতি   বিচ্ছেদ   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মা হারালেন ফারাহ খান

প্রকাশ: ১১:৫৪ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারাহ খান এবং সাজিদ খানের মা মেনকা ইরানি ৭৯ বছর বয়সে মারা গেছেন। মেনকা ইরানি ছিলেন ডেইজি ইরানি এবং হানি ইরানির বোন। তিনি সিনেমার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং ১৯৬৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত সেলিম খানের ‘বচপন’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তবে তিনি বেশিদিন পর্দায় ছিলেন না, কারণ খুব অল্প বয়সেই তার বিয়ে হয়।

মায়ের জন্মদিনে ফারাহ খান ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করে লিখেছিলেন, "আমরা সবাই নিজেদের মাকে অনেক সময়  টেকেন ফর গ্রান্টেড নিয়ে ফেলি, বিশেষ করে আমি। গত মাসে আমি বুঝতে পেরেছি মা মেনকাকে আমি কতটা ভালোবাসি। আমার দেখা সবচেয়ে শক্তিশালী এবং সাহসী ব্যক্তি। এতগুলো অপারেশন করার পরেও তার সেন্স অফ হিউমার অটুট ছিল। শুভ জন্মদিন মা! আজ বাড়ি ফিরে আসার (হাসপাতাল থেকে) জন্য একটি ভালো দিন। আমার সঙ্গে আবার লড়াই শুরু করার জন্য তুমি যথেষ্ট শক্তিশালী। আমি জানি তুমি পারবে। সেই দিনের অপেক্ষায় আছি। আমি তোমাকে ভালোবাসি।"

তবে, জন্মদিনের দুই সপ্তাহ পরেই মেনকা চলে গেলেন না ফেরার দেশে। ইনস্টাগ্রামে পাপারাজ্জির অ্যাকাউন্ট ভাইরাল ভয়ানি ফারাহ খানের মায়ের মৃত্যুর খবর শেয়ার করেছে। সেখানে লেখা হয়েছে, "ফারাহ খান এবং তার ভাই সাজিদ খান এবং তাদের আশেপাশের সবার জন্য জীবন আর একই রকম থাকবে না। তাদের মা স্বর্গীয় আবাসের জন্য যাত্রা করেছেন, এমন একটি শূন্যতা রেখে গেছেন যা কেউ পূরণ করতে পারবে না। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।"


ফারাহ খান   মেনকা ইরানি   মৃত্যুবরণ   বলিউড  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাফিনকে নিয়ে যা বললেন হাসান

প্রকাশ: ১১:১৬ এএম, ২৭ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

গানের কাজে জুলাইয়ের দ্বিতীয় সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রে যান শাফিন আহমেদ। একটি শো শেষে তিনি আরেকটি শোর প্রস্তুতিতে ছিলেন এবং আয়োজকদের নানা পরিকল্পনাও চলছিল। হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ভার্জিনিয়ার শো বাতিল করতে হয়।

বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় ভোরে খবর আসে যে শাফিন আহমেদ আর বেঁচে নেই। ভার্জিনিয়ার হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে থাকা দেশের সংগীতের উজ্জ্বল তারকাকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। শাফিন আহমেদের আকস্মিক মৃত্যুর খবর সবাইকে মর্মাহত করে। ভক্ত-শ্রোতাদের পাশাপাশি দীর্ঘদিনের সহকর্মীরাও এ সংবাদে বিস্মিত হন।

শাফিন আহমেদের মৃত্যুর সংবাদে শোকাহত জনপ্রিয় ব্যান্ড 'আর্ক' এর হাসান। তিনি জানান, শাফিন আহমেদ ছিলেন তাঁর আদর্শ। শাফিনের চলাফেরা, কথা বলা, বাজনা বাজানো এবং গান গাওয়া সবকিছুই হাসানের কাছে প্রিয় ছিল। হাসান বলেন, ‘শাফিন ভাইকে অনুসরণ করেই আমি সুর করা শুরু করি। তিনি আমার প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন। শাফিন ভাই ছিলেন একজন অনুকরণীয় সংগীত ব্যক্তিত্ব। আইয়ুব বাচ্চু ভাইয়ের মতোই, শাফিন ভাইও আমার জন্য একজন শিক্ষাগুরু ছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে সবসময়ই কিছু না কিছু শেখার ছিল। বাচ্চু ভাই ও শাফিন ভাই দুজনের কাছেই আমি ছিলাম সন্তানের মতো। শাফিন ভাইয়ের চলে যাওয়া সংগীত জগতের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

হাসান আরও বলেন, ‘মিউজিশিয়ান হিসেবে শাফিন আহমেদ ছিলেন একজন মাস্টার। শিল্পী হিসেবে তিনি ছিলেন অত্যন্ত স্টাইলিশ। তাঁর গাওয়ার ধরন সম্পূর্ণ ইউনিক ছিল। শুধু কণ্ঠশিল্পী হিসেবেই নয়, সংগীতজ্ঞ হিসেবেও তিনি ছিলেন অনুকরণীয়। আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না, শাফিন ভাই নেই। এমন খবর শোনার জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। দেশ-বিদেশের অনেক মঞ্চে তাঁর সঙ্গে গান করেছি। টেলিভিশনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও তাঁর সঙ্গে বসার অভিজ্ঞতা হয়েছে। তাঁর স্টুডিও রেকর্ডিং কাছ থেকে দেখেছি। রেকর্ডিং, প্লেয়িং, টেকনোলজি—সব দিক থেকেই তিনি অনেক এগিয়ে ছিলেন। আমিও অনেক কিছু তাঁর কাছ থেকে শিখেছি।’ 

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার এক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে মারা গেছেন শাফিন আহমেদ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তাঁকে তাঁর বাবা সুরকার কমল দাশগুপ্তের কবরে সমাহিত করা হবে। শাফিন আহমেদের মরদেহ এখনো ভার্জিনিয়ায় রয়েছে এবং শিগগিরই দেশে আনা হবে। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বনানী কবরস্থানে বাবার কবরে তাঁকে সমাহিত করা হবে। তাঁর মা সংগীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের কবরও সেখানে রয়েছে। ১৯৭৪ সালে মারা যান কমল দাশগুপ্ত। ফিরোজা বেগমকে বিয়ের পর তিনি ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছিলেন।

শাফিন আহমেদের জন্ম ১৯৬১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি। শৈশবে বাবার কাছে উচ্চাঙ্গসংগীত ও মায়ের কাছে নজরুলসংগীত শিখেছেন তিনি। তাঁর গাওয়া জনপ্রিয় কিছু গানের মধ্যে রয়েছে ‘আজ জন্মদিন তোমার’, ‘চাঁদ তারা সূর্য’, ‘জ্বালা জ্বালা জ্বালা...এ অন্তরে’, ‘ফিরিয়ে দাও হারানো প্রেম’, ‘ফিরে এলে না’, ‘হ্যালো ঢাকা’, ‘জাতীয় সংগীতের দ্বিতীয় লাইন’ প্রভৃতি। 


শাফিন   হাসান   সঙ্গীতশিল্পী  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন