অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইহুদিবাদী ইসরায়েলের বর্বর গণহত্যা বন্ধ করার জন্য নতুন ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছেন বলে জানিয়েছেন জর্জ গ্যালাওয়ে। তিনি ব্রিটিশ পার্লামেন্টের একটি উপনির্বাচনে ভূমিধস বিজয়ের পর এ কথা বলেন।
গ্যালাওয়ে বৃহস্পতিবার রোচডেল উপ-নির্বাচনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।
শুক্রবার ইরানের প্রেস টিভির সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে গ্যালাওয়ে বলেন, “বুধবার আমি প্রথম যে কাজটি করতে যাচ্ছি সেটি মূলত প্রধানমন্ত্রীর প্রশ্ন। আমি প্রধানমন্ত্রীকে বলতে যাচ্ছি যে, এই হাউজের আমিই একমাত্র সদস্য, আমি গাজায় হত্যা বন্ধ করার জন্য নতুন ম্যান্ডেট নিয়ে এসেছি, আপনি গাজায় গণহত্যা বন্ধের পদক্ষেপ নিন।”
ব্রিটিশ এই এমপি বলেন, “একটি যুদ্ধবিরতি প্রয়োজন, কিন্তু সেটাই যথেষ্ট নয়। গাজায় একটি সাময়িক বিরতি, একটি মানবিক বিরতি, একটি সাধারণ যুদ্ধবিরতি যথেষ্ট নয়। গাজায় ইসরায়েলের দখলদারিত্বের অবসান ঘটাতে হবে। গাজার ওপর থেকে অবরোধ সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করতে হবে।”
জর্জ গ্যালাওয়ে বলেন, “আমাদের আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে মেনে নিতে হবে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব এবং অসলো চুক্তি সবকিছুকে উপেক্ষা করা হয়েছে। অসলো চুক্তি এখন মৃত এবং এটি সমাহিত।”
তিনি বলেন, “প্রায় সাত লাখ অবৈধ বসতি স্থাপনকারী এখন ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে বসবাস করছে যেগুলো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের অধীনে থাকার কথা ছিল।
স্পষ্টবাদী গ্যালাওয়ে বলেন, “প্রায় ৩০ বছর আগে অসলো চুক্তি হয়েছে। এখন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের পতাকা উত্তোলনের সময় হয়েছে। এটিকে পবিত্র ভূমি বলা হয় যেখানে ইহুদি, মুসলিম এবং খ্রিস্টানরা আইনের দৃষ্টিতে সমান নাগরিক হিসেবে একসাথে বসবাস করার কথা। পার্লামেন্টে এই ধরনের চুক্তি করার কথা আমি তুলে ধরব।” সূত্র: প্রেসটিভি
গাজা গণহত্যা ব্রিটিশ পার্লামেন্ট ভোট
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন