নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২৭ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০১৮
মাদাম মেরি তুসো নামক এক ফরাসী নারীর সংগ্রহশালা থেকে তৈরি হয় বিখ্যাত মাদাম তুসো জাদুঘর। যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রথম প্রতিষ্ঠিত হলেও পৃথিবীর অনেক নগরীতে এই জাদুঘরের শাখা রয়েছে। জাদুঘরটিতে সাধারণত বিখ্যাত ব্যক্তিদের মোমের মূর্তি স্থান পায়। যেমনটি পেতে যাচ্ছেন বলিউডের প্রথিতযশা পরিচালক করণ জোহর। আজ (১৯ এপ্রিল) এক টুইট বার্তায় এমনটিই জানান করণ। শুধু করণ নয়। অতীতেও অনেক বলিউড তারকার মোমের মূর্তি ঠাঁই পেয়েছে মাদাম তুসো জাদুঘরে। দেখা যাক কারা রয়েছেন সেই তালিকায়-
শাহরুখ খান
চলতি বছর ৪ এপ্রিল মাদাম তুসো জাদুঘরের দিল্লী শাখায় শাহরুখের একটি মোমের মূর্তি উন্মোচিত হয়েছে। কিন্তু এটাই প্রথম নয়, এর আগে ২০০৭ সালে লন্ডনের মাদাম তুসো জাদুঘরেও শাহরুখের মোমের মূর্তি ঠাঁই পেয়েছে।
বরুণ ধাওয়ান
বলিউডের সবচেয়ে কম বয়সী তারকা হিসেবে মাদাম তুসো জাদুঘরে ঠাঁই হয়েছে বরুণ ধাওয়ানের। তবে সেটি লন্ডন, নিউ ইয়র্ক কিম্বা দিল্লীতে নয়। পূর্ব এশিয়ার দেশ হংকংয়ের মাদাম তুসো জাদুঘরে গত ৩০ জানুয়ারি স্থান পেয়েছে বরুনের মোমের মূর্তি। সেই সঙ্গে তাঁর বাবা ডেভিড ধাওয়ান ও মা করুনা ধাওয়ানের মূর্তিও স্থান পেয়েছে।
অনিল কাপুর
২০১৭ সালের ২০ এপ্রিল সিঙ্গাপুরের মাদাম তুসো জাদুঘরে স্থান পেয়েছে অনিল কাপুরের মোমের মূর্তি। ‘স্লামডগ মিলিয়নিয়ার’ ছবির জন্য অনিলের পুরস্কৃত হওয়া মুহূর্তটি তুলে ধরেছে জাদুঘর কর্তৃপক্ষ।
কারিনা কাপুর খান
২০১১ সালে লন্ডনের মাদাম তুসো জাদুঘরে কারিনার মোমের মূর্তি স্থান পায়। ‘রা ওয়ান’ ছবির ‘চাম্মাক চালো’ গানের দৃশ্যে লাল শাড়ি পরা লুকেই তাঁকে সেখানে দেখা যায়। এছাড়া ২০১৫ সালে মাদাম তুসোর সিঙ্গাপুর শাখায়ও কারিনার মোমের মূর্তি স্থান পায়।
ক্যাটরিনা কাইফ
২০১৫ সালের মার্চ মাসে লন্ডনের মাদাম তুসো জাদুঘরে ক্যাটরিনার মোমের মূর্তি স্থান পায়। জদুঘরটিতে বলিউড তারকাদের ১৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে ক্যাটরিনার মূর্তিটি স্থান পায়।
অমিতাভ বচ্চন
মাদাম তুসো জাদুঘরে স্থান পাওয়া প্রথম ভারতীয় তারকা অমিতাভ বচ্চন। সর্বপ্রথম ২০০০ সালে লন্ডনে তাঁর মোমের মূর্তি স্থান পায়। এরপর ২০০৯ সালে নিউ ইয়র্ক, ২০১১ সালে হংকং, একই বছর ব্যাংকক এবং ২০১২ সালে ওয়াশিংটন ডিসিতে স্থান পায় শাহেনশার মোমের মূর্তি।
ঐশ্বরিয়া রাই
২০০৪ সালে লন্ডনের মাদাম তুসো জাদুঘরে স্থান পায় ঐশ্বরিয়ার মোমের মূর্তি। এরপর ২০০৭ সালে নিউ ইয়র্ক শাখায় দ্বিতীয় বারের মতো ঠাঁই হয় সাবেক এই বিশ্ব সুন্দরীর মোমের মূর্তি।
ঋত্বিক রোশন
২০১১ সালে মাদাম তুসোর মূল শাখা লন্ডনে ঠাঁই হয় ঋত্বিক রোশনের মোমের মূর্তি। ‘ধুম’ ছবির আদলে ঋত্বিকের পেটানো শরীরের মোমের মূর্তি স্থান পেয়েছে সেখানে।
সালমান খান
২০০৮ সালে বিশ্বের সুদর্শন পুরুষদের তালিকায় সপ্তম হলে লন্ডনের মাদাম তুসো জাদুঘরে ঠাঁই হয় সালমানের মোমের মূর্তি। এরপর ২০১২ সালে তাঁর আরেকটি মূর্তি স্থান পায় মাদাম তুসোর নিউ ইয়র্ক শাখায়।
মাধুরী দীক্ষিত
২০১২ সালে মাদাম তুসোর লন্ডন শাখায় ঠাঁই হয় মাধুরী দীক্ষিতের মোমের মূর্তি। ভারতের বিখ্যাত নকশাকার বরুণ ভাল-এর নকশা করা শাড়ি মাধুরীর মূর্তির গায়ে দেখা যায়।
বাংলা ইনসাইডার/ এইচপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বলিউড স্টার সালমান খানের জীবন থেকে শনির দশা কাটছেই না। এই তো
গত এপ্রিলের ১৪ তারিখ তার বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালান বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা।
দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে দিয়েছে।
বলিউড ভাইজান খ্যাত সালমান খানের বান্দ্রার ফ্ল্যাটে হামলা চালায়
বিষ্ণোই-গ্যাংয়ের সদস্যরা। দুটি গুলি অভিনেতার ফ্ল্যাটের বাইরের দেওয়াল প্রায় ভেদ করে
দিয়েছে।
গত মাসের রোববার (১৪ এপ্রিল) সালমানের বাড়িতে হামলা চালাতে বন্দুকবাজদের
অস্ত্র সরবরাহ করেছেন সোনু বিষ্ণোই ও অনুজ থাপন নামে দুই ব্যক্তি। ঘটনার পাঁচ দিনের
মাথায় দুজনকেই গ্রেপ্তার করে মুম্বাই পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার সকালে পুলিশি হেফাজতে থাকাকালীন
আত্মহত্যার চেষ্টা করেন অনুজ। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা
করেন। মুম্বাইয়ের সেন্ট জর্জ হাসপাতালে মৃত্যু হয়েছে অনুজের।
সালমনের ফ্ল্যাটে গুলি চালিয়েছিলেন সাগর পাল ও ভিকি গুপ্ত নামে
দুজন। ঘটনার দুদিন পরই গুজরাতের ভূজ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই
উঠে আসে সোনু ও অনুজের নাম। জানা যায়, দশ রাউন্ড গুলি চালানোর নির্দেশ পেয়েছিলেন অভিযুক্তরা।
গুলিকাণ্ডের পর কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রয়েছেন সালমান খান। উদ্বেগে দিন পার করছেন অভিনেতার পরিবারসহ তার অনুরাগীরাও। শোনা গেছে বান্দ্রার ফ্ল্যাট ছেড়ে পানভেলের খামারবাড়িতে পাকাপাকিভাবে থাকতে শুরু করেছেন সালমান খান।
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন