কালার ইনসাইড

কোকাকোলার বিজ্ঞাপন নিয়ে ক্ষমা চাইলেন জীবন-শিমুল

প্রকাশ: ০৫:১৮ পিএম, ১১ জুন, ২০২৪


Thumbnail

সম্প্রতি ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে সারাবিশ্বের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে কোমল পানীয় 'কোকাকোলা' বয়কটের ডাক দেয় দেশের একটি মহল। কোকাকোলা ইসরায়েলের একটি কোম্পানি এমন একটি  ধারণা দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক মাধ্যমে প্রচলিত থাকায় কোকাকোলা বাংলাদেশ বারবার বোঝানোর চেষ্টা করেছে যে এটি ইসরায়েলি কোম্পানি নয়। বাংলাদেশে উৎপাদিত কোকাকোলা দেশীয় প্রক্রিয়ায় তৈরি হয়। তবে, কোকাকোলার এই বার্তা জনগণ তেমনভাবে গ্রহণ করেনি।

তাই কোম্পানিটি এবার সরাসরি একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ করেছে, যেখানে তারা বোঝানোর চেষ্টা করেছে, কোকাকোলা ১৯৩টি দেশে তৈরি হয় এবং ফিলিস্তিনেও তাদের একটি ফ্যাক্টরি রয়েছে। এই প্রচেষ্টায় প্রতিষ্ঠানটি প্রমাণ করতে চেয়েছে যে, কোকাকোলার ইসরায়েলি মালিকানাধীন বলে যে তথ্যটি ছড়ানো হচ্ছে তা পুরোপুরি মিথ্যা ও গুজব। আর কোকাকোলা বাংলাদেশের এই বিজ্ঞাপনটি নিয়েই এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয়েছে তীব্র বিতর্ক, চলছে তুমুল আলোচনা-সমালোচনা। 

বিজ্ঞাপনটিতে মডেল হয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন ও শিমুল শর্মা। আর তাই কোকাকোলা বয়কটের পাশাপাশি এবার এই দুই অভিনয়শিল্পীকে বয়কটের হুমকি দিয়েছেন নেটিজেনরা। বিভিন্ন গ্রুপ থেকে শুরু করে অনেকে নিজের ফেসবুক আইডিতেও পোস্ট দিয়ে এমন বয়কটের ডাক দিচ্ছেন। 

 এমন পরিস্থিতিতে তোপের মুখে পড়ে কোকাকোলার বিজ্ঞাপনে কাজ করার বিষয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন অভিনেতা শরাফ আহমেদ জীবন। সোমবার (১০ জুন) রাতে এ অভিনেতা তার ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে দাবি করেছেন, তিনি ইসরায়েলের পক্ষে কোন কাজ করেননি।

পোস্টে শরাফ আহমেদ জীবন বলেন, ‘আমি একজন নির্মাতা এবং অভিনেতা হিসেবে সবার কাছে পরিচিত। বিগত দুই দশক ধরে আমি নির্মাণ ও অভিনয়ের সাথে জড়িত। ব্যক্তিগত জীবনে আমি সবসময় মানবাধিকারবিরোধী যেকোনো আগ্রাসনের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছি এবং আপনাদের অনুভূতি ও মতামতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকেছি।’

এ অভিনেতা আরও দাবি করেন, বিজ্ঞাপনটিতে তিনি কোথাও ইসরায়েলের পক্ষ নেননি, এমনকি অতীতেও তিনি ইসরায়েলের পক্ষ নিয়ে কোন মন্তব্য করেননি। পাশাপাশি তার হৃদয় সবসময়  ন্যায়ের পক্ষে এবং মানবতার পাশে আছে, থাকবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। 

কোকাকোলার বিজ্ঞাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি কোকা-কোলা বাংলাদেশ তাদের একটি বিজ্ঞাপন নির্মাণ এবং এতে অভিনয়ের জন্য আমাকে প্রস্তাব দেয়। আমি শুধুমাত্র তাদের দেয়া তথ্য ও উপাত্তই কাজটিতে তুলে ধরেছি। বিজ্ঞাপনটি প্রচার হবার পর থেকে আমি আপনাদের অনেক মিশ্র প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করছি এবং আপনাদের প্রতি সম্মান জানিয়ে আমি আবারো বলতে চাই কাজটি শুধুই আমার পেশাগত জীবনের একটি অংশমাত্র।’

এদিকে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে বিজ্ঞাপনটিতে মডেল হওয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন আরেক অভিনেতা শিমুল শর্মা। মঙ্গলবার (১১ জুন) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেইজে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। স্ট্যাটাসটিতে তিনি লিখেছেন,

‘আমি শিমুল শর্মা যদিও পরিচয় দেবার মত একজন অভিনেতা এখনও হয়ে উঠতে পারিনি কারণ একজন অভিনেতা হবার জন্য যে অধ্যবসায় এবং দূরদর্শিতা দরকার সেটা এখনো আমার হয়ে উঠেনি, আমি চেষ্টা করছি মাত্র। তাই হয়ত না বুঝে করা আমার কাজ আজ আমার দর্শক, তথা আমার পরিবার ও দেশের মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। আমি ভবিষ্যতে কোন কাজে অভিনয় করতে গেলে অবশ্যই আমাদের দেশের মূল্যবোধ, মানবাধিকার, মানুষের মনোভাবকে যথেষ্ট সম্মান দিয়ে বিবেচনা করে তারপর কাজ করব। আমি মাত্র আমার জীবনের পথচলা শুরু করেছি, আমার এই পথচলায় ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুলভ দৃষ্টিতে দেখবেন এবং আমাকে ভবিষ্যতে একজন বিবেকবান শিল্পী হয়ে ওঠার জন্য শুভ কামনায় রাখবেন। ধন্যবাদ সবাইকে।’

এর আগে শিমুল বলেছিলেন,  বাংলাদেশে কোকাকোলা নিয়ে প্রোপাগান্ডামূলক একটি তথ্য ছড়িয়ে আছে। কোনো প্রোডাক্টকে যদি ধর্মীয় মোড়কে মুড়িয়ে ফেলা হয়, তাহলে কিছু করার নেই। সবাই  নিজেদের জায়গা থেকে স্টেটমেন্ট  দিতে পারে। মূলত সেই জায়গা থেকেই  বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করা হয়েছে।

তবে কোকাকোলার বিতর্কিত বিজ্ঞাপনটি বয়কটের ডাক দেওয়ার পরে তার ফেসবুক পেজ ডিএক্টিভেট করে রেখেছিলেন শিমুল। এরপর আজ সকালে পেইজটি পুনরায় অ্যাক্টিভ করে বিজ্ঞাপনের বিষয়ে পোস্ট দিয়ে ক্ষমা চাইলেন এই অভিনেতা।

এদিকে, বিজ্ঞাপনটি নিয়ে যেহেতু বিতর্ক হচ্ছে- স্বাভাবিকভাবেই এর নির্মাতাকে নিয়েও আলোচনা হচ্ছে। অনেকেই জানতে চাইছেন বিজ্ঞাপনটির নির্মাতা 'ব্যাচেলর পয়েন্ট' খ্যাত কাজল আরেফিন অমি কিনা। আর তাই এ বিষয়ে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন অমি নিজেই। ফেসবুকে দেয়া এক পোস্টে তিনি দাবি করেন,  এটি তার বানানো নয়। কাজল আরেফিন অমি তার ফেসবুকে লিখেছেন, আমি কখনো বিজ্ঞাপন বানাই নি, আমি নাটক, ওয়েব ফিল্ম, ওয়েব সিরিজ নিয়েই কাজ করেছি, ভবিষ্যতে সিনেমা বানাবো। ধন্যবাদ।

এদিকে, আসন্ন ঈদুল আযহায় কাজল আরেফিন অমি নির্মিত 'ফিমেল' সিরিজের নতুন সংস্করণ 'ফিমেল ৪' আসছে। যা প্রথমবারের মতো ওটিটি প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পাবে।


কোকাকোলা   ইসরায়েল   ফিলিস্তিন   শরাফ আহমেদ জীবন   শিমুল শর্মা   বয়কট  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

মুভি রিভিউ: মহারাজা

প্রকাশ: ০৮:১৮ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বিজয় সেতুপতির ৫০তম সিনেমা 'মহারাজা'র ট্রেইলার প্রকাশিত হয় গেল মে মাসে।  তামিল ভাষায় নির্মিত অ্যাকশন-প্যাকড এই থ্রিলারটি তখন থেকেই দর্শকদের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি করে।  গেল মাসে ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর আয় করে নেয় ১০০ কোটিরও বেশি রুপি।  সম্প্রতি এটি মুক্তি পেয়েছে ওটিটি প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে।  সেখানে স্ট্রিমিংয়ের পর থেকেই ছবিটি জনপ্রিয়তার তুঙ্গে রয়েছে। 
  
প্লট:  
কাহিনী শুরু হয় চেন্নাইয়ের পল্লিকারানাইয়ের একটি নাপিতের দোকানে কাজ করা মহারাজা (বিজয় সেতুপতি) নামে এক নাপিতের জীবন নিয়ে।  তার জীবন তার নিজের কাজ এবং মেয়ে জ্যোতিকে ঘিরেই  আবর্তিত।  তার সরল জীবনটা বদলে যায় যখন তার জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিস চুরি হয়ে যায়। মহারাজা থানায় রিপোর্ট করে যে তিনজন ডাকাত তার বাড়িতে ঢুকে তাকে অজ্ঞান করে দেয়।  তবে তারা কোন সোনাদানা বা টাকাপয়সা কিছুই নেয়নি, বরং নিয়ে গেছে তার লক্ষ্মীকে।  তবে, এই লক্ষ্মী তার স্ত্রী, সন্তান কিংবা অন্যকেউ নয়।  বরং এটি একটি পুরানো ডাস্টবিন।  আর এই ডাস্টবিন ফিরে পাওয়ার জন্যই তার যে লড়াই সেটিকে ঘিরেই এগিয়েছে ছবির কাহিনী। 

পুলিশ প্রথমে মহারাজার কথা গুরুত্ব না দিলেও, মহারাজা ডাস্টবিনটি ফিরে পেতে তাদের ঘুষের প্রস্তাব দিলে তারা কিছুটা সক্রিয় হয় এবং ডাস্টবিনটি খুজে দেবে বলে আশ্বাস দেয়।  পাশাপাশি তাদের মধ্যে এমন একটি ধারণা তৈরি হয় যে, এরমধ্যে নিশ্চয়ই মূল্যবান কিছু লুকানো ছিল।  যদিও পুলিশকে মহারাজা জানায়, ডাস্টবিনে কিছুই ছিলো না।  ডাস্টবিনটি একসময়ে অলৌকিকভাবে তার মেয়ের জীবন বাঁচিয়েছিল । তাই এটির প্রতি তার এমন গভীর আবেগ।  যদিও, মহারাজার কথা বিশ্বাস হয়না পুলিশের। এক পর্যায়ে ঘুষের লোভে ডাস্টবিনটি উদ্ধারে মাঠে নামে পুলিশ।  যদিও, ছবিটির কাহিনী এতটা সহজ নয়।  এর ভেতরেও লুকানো রয়েছে ভিন্ন এক রহস্য।  মূলত, সিনেমাটি দুই বাবার জীবনকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে।  একজন বিজয় সেতুপতি এবং আরেকজন অনুরাগ কাশ্যপ। 
 
অভিনয়:  
বিজয় সেতুপতি তার ৫০তম সিনেমায় মহারাজা চরিত্রে চমৎকার অভিনয় করেছেন।  শরীরী ভাষা থেকে আবেগের ভারসাম্য সব কিছুতেই তার চরিত্রের সূক্ষ্মতা তিনি বেশ ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।  তার চরিত্রটি যেমন তার মেয়ের জন্য অতি কোমল হৃদয়ের, পাশাপাশি একইসঙ্গে প্রচন্ড প্রতিশোধপ্রবণ।  তিনি এই দ্বৈততা একইসাথে খুব ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।  

অনুরাগ কাশ্যপও তার চরিত্রে অসাধারণ অভিনয় করেছেন।  এই সিনেমাটিতে অনুরাগ কাশ্যপ ও বিজয় সেতুপতি একজন আরেকজন এর প্রতিপক্ষ হলেও বিজয় সেতুপতির মতো অনুরাগ কাশ্যপও তার মেয়ে ও পরিবারের প্রতি অতি কোমল হৃদয়ের, পাশাপাশি একইসঙ্গে প্রচন্ড হিংস্র।  বিজয় সেতুপতির মতো অনুরাগ কাশ্যপও এই দ্বৈততা বেশ ভালোভাবেই ফুটিয়ে তুলতে সক্ষম হয়েছেন।  

তবে, সিনেমাটির একটি দুর্বল দিক হলো, নির্মাতা শুধু বিজয় সেতুপতির চরিত্রের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। অনুরাগ কাশ্যপসহ অন্যান্য জনপ্রিয় অভিনেতাদের চরিত্রগুলো সেভাবে গড়ে ওঠেনি।  সিনেমাটিতে তারা বিশেষ কোন স্থান দখল করতে পারেনি।  সিনেমাটি আরও গতি পেতো যদি অন্যান্য চরিত্রগুলোও  ভালোভাবে বিকাশ ঘটানো যেত।   
 
স্ক্রিন প্লে ও পরিচালনা  
পরিচালক নিতিলান স্বামীনাথানের গল্প বলার ভঙ্গিমা 'মহারাজা'র অন্যতম সেরা দিক। তিনি একটি সরল পথে গল্পটি বলতে পারতেন, কিন্তু তিনি একটি নন-লিনিয়ার ফরম্যাটে গল্পটি বলেছেন যা সিনেমাটিকে আলাদাভাবে উপস্থাপন করেছে।  সিনেমায় কিছু বিভ্রান্তিকর মুহূর্ত থাকলেও এটি পুরো সময়জুড়ে দর্শকের মনোযোগ ধরে রাখতে সক্ষম।  গল্পে কী ঘটতে যাচ্ছে তা জানার আগ্রহ তৈরি করতে পরিচালক সফল হয়েছেন। 

সম্পাদনা ও চিত্রগ্রহণ
নন-লিনিয়ার স্ক্রিনপ্লে ও বিভিন্ন সময়ের ফ্রেমগুলো ছবিটিকে আকর্ষণীয় করে তুলেছে।  সিনেমার একদম শেষ পর্যন্ত পরিচালক দর্শকের মস্তিষ্কের সাথে এক ধরনের খেলা খেলে গেছেন।  যদিও শেষের দিকে এসে অনেকটাই অনুমেয় ছিল কি ঘটতে যাচ্ছে।  এরপরও এই সিনেমা যেভাবে এর নন লিনিয়ার স্টাইলে গল্প বলে গেছে তাতে ছবিটি শেষ পর্যন্ত দেখে মুগ্ধ হবেন যে কেউ। 

সিনেমাটিতে কোনো গান কিংবা অতিরঞ্জিত কিছু ছিলনা।  ভায়োলেন্স যা আছে তা সিনেমার গল্প অনুযায়ী মানানসই।  কিছু কিছু দুর্বলতা থাকলেও এটি দর্শকদের অনেকদিন মনে রাখার মতো একটি ছবি।


মহারাজা   সিনেমা   রিভিউ  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে মেহজাবীনের প্রথম ছবি ‘সাবা’

প্রকাশ: ০৩:৫৬ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম চলচ্চিত্র 'সাবা' মুক্তির আগেই টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ডিসকভারি প্রোগ্রামে নির্বাচিত হয়েছে। মাকসুদ হোসেনের পরিচালনায় ছবিটি প্রযোজনা করেছেন মেহজাবীন নিজেই।

৪৯তম টরন্টো উৎসব শুরু হবে ৫ সেপ্টেম্বর এবং চলবে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।

'সাবা' ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন মেহজাবীন চৌধুরী। এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে টিভিতে ১৪ বছর অভিনয়ের পর বড় পর্দায় নাম লিখিয়েছেন তিনি। রোকেয়া প্রাচী ও মোস্তফা মনওয়ারও ছবিটিতে অভিনয় করেছেন। সিনেমাটির গল্প ও চিত্রনাট্য লিখেছেন ত্রিলোরা খান ও মাকসুদ হোসেন।

ডিসকভারি প্রোগ্রামে বিভিন্ন দেশের নতুন এবং উদীয়মান পরিচালকদের প্রথম ও দ্বিতীয় চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এ বছর 'সাবা'সহ মোট ২৪টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এই বিভাগে সেরা চলচ্চিত্রের পুরস্কার ২০ হাজার ডলার।

ডিসকভারি প্রোগ্রামে পুরস্কারজয়ী পরিচালকদের মধ্যে রয়েছেন আলফনসো কোয়ারন, ক্রিস্টোফার নোলান, ইয়োর্গোস লানতিমোস, ব্যারি জেনকিন্স, ইলদিকো এনিয়েদি, মারেন আদে এবং এমা সেলিগম্যান।


মেহজাবীন চৌধুরী   সিনেমা   টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

লাইফ সাপোর্টে সংগীতশিল্পী হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল

প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী ও টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজক হাসান আবিদুর রেজা জুয়েল বর্তমানে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন। গত ১১ বছর ধরে ক্যানসারের বিরুদ্ধে লড়াই করছেন তিনি এবং এ সময়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

জুয়েলের স্ত্রী সংগীতা গণমাধ্যমকে জানান, ‘মঙ্গলবার রাতে হঠাৎ করেই জুয়েলের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হলে দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকরা তাকে আইসিইউতে ভর্তি করেন এবং বর্তমানে তিনি ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন।’

সংগীতা আরও জানান, জুয়েলের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এবং প্লাটিলেট সংখ্যা কমে গেছে। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন যেন জুয়েল দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন।

২০১১ সালে জুয়েলের লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে। পরে ক্যানসার ফুসফুস ও হাড়েও ছড়িয়ে পড়ে। সাম্প্রতিক দুই মাসে তার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি ঘটেছে।

জুয়েলের কর্মজীবন শুরু হয় ১৯৮৬ সালে ঢাকায় আসার পর। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে যুক্ত হন। প্রথম অ্যালবাম ‘কুয়াশা প্রহর’ প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। সংগীতশিল্পী হিসেবে তিনি দশটির মতো অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও, টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনা এবং ইভেন্ট ম্যানেজমেন্টেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।


জুয়েল   ক্যানসার   চিকিৎসাধীন  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে জন কবিরের শোকবার্তা

প্রকাশ: ১০:৩৬ এএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

জনপ্রিয় ব্যান্ড তারকা শাফিন আহমেদ (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন) আর আমাদের মাঝে নেই। বৃহস্পতিবার সকালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। বাংলাদেশ সময় সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে, ৬৩ বছর বয়সে তার মৃত্যু হয়।

শাফিন আহমেদের হঠাৎ চলে যাওয়ায় শোবিজ অঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। প্রখ্যাত গায়ক ও অভিনেতা জন কবির তার শোকবার্তায় লিখেছেন,

"শাফিন ভাইকে নিয়ে কিছু বলার ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। তার এভাবে চলে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নিতে পারছি না। চার দশক ধরে শ্রোতাদের হৃদয় আন্দোলিত করে আসা এই কিংবদন্তিকে এভাবে বিদায় জানানো সম্ভব নয়। দেশের সেরা এই রকস্টারের প্রতি একটাই অভিযোগ, কেন নিজের শরীরের যত্ন নেননি। শিল্পীজীবন বেছে নিয়েছেন বলে শ্রোতাদের জন্য নিজেকে বিলীন করে দিতে হবে- এটাও মেনে নেওয়া যায় না। জানি, শাফিন আহমেদ তার কালজয়ী গানের মধ্য দিয়ে যুগের পর যুগ বেঁচে থাকবেন। তারপরও তার শূন্যতা কখনও পূরণ হবে না।"


শাফিন আহমেদ   জন কবির   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


কালার ইনসাইড

শাফিন আহমেদের মৃত্যুতে কুমার বিশ্বজিৎ এর শোক

প্রকাশ: ১০:০৭ এএম, ২৬ জুলাই, ২০২৪


Thumbnail

বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের অন্যতম বড় তারকা শাফিন আহমেদ। ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই তরুণদের মধ্যে আলাদা প্রভাব বিস্তার করেছিলেন এই গায়ক। মেধা, রুচি এবং ব্যক্তিত্বের সমন্বয়ে তিনি নিজেকে নিয়ে গিয়েছিলেন এক অনন্য উচ্চতায়। তাই তার মৃত্যুর পর অনেকেই তাকে কিংবদন্তি হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন।

শাফিন আহমেদের আকস্মিক মৃত্যু কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না শিল্পীসমাজ। শোবিজ অঙ্গনে নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। প্রখ্যাত গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ শোক প্রকাশ করে লিখেছেন,

"শাফিন ভাই এভাবে চলে গেলেন! উনার আত্মার চির শান্তি কামনা করছি।"

১৯৭৯ সালে গঠিত হয় বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় ব্যান্ড মাইলস। "চাঁদ তারা সূর্য," "জ্বালা জ্বালা," "ফিরিয়ে দাও," "জন্মদিন"সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছে শাফিন ও তার ব্যান্ড। ব্যান্ডের বাইরেও শাফিনের বহু জনপ্রিয় গান রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়ার একটি হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা ৫০ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই ব্যান্ড সংগীতের তারকা। তার মৃত্যুর খবরে দেশের সংগীতাঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।


শাফিন আহমেদ   মাইলস   ব্যান্ড   মৃত্যু  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন